post

ইসলামী শিক্ষা দিবস ও শহীদ আবদুল মালেকের শাহাদাতবার্ষিকী পালিত

২৯ আগস্ট ২০১১
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ আন্দোলন-সংগ্রামে যতটা পারদর্শী, দেশ পরিচালনায় ততটাই অদক্ষ। এ সরকারের আমলে দ্রব্যমূল্য অত্যধিক হারে বেড়েছে। সন্ত্রাস-দুর্নীতি সমাজে ছেয়ে গেছে। আড়াই বছরে সরকার দেশকে কিছুই দিতে পারেনি। এক সময় আওয়ামী লীগ দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে আর আজকে অদক্ষ সরকারের অব্যবস্থাপনার ফলে রোড অ্যাক্সিডেন্টে বাংলাদেশ এক নম্বর হয়েছে। তিনি সম্প্রতি রাজধানীর আলফালাহ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত ইসলামী শিক্ষা দিবস ও শহীদ আবদুল মালেকের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। শিবির সভাপতি ডা. মো. ফখরুদ্দিন মানিকের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মো. দেলাওয়ার হোসেনের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক তাসনীম আলম, ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সেলিম উদ্দিন ও জাহিদুর রহমান। এ টি এম আজহার বলেন, ১৯৬৯ সালে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ডাকসুর উদ্যোগে শিক্ষাব্যবস্থার ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শহীদ আবদুল মালেক সেখানে পাঁচ মিনিটের বক্তব্যে ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার গুরুত্ব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছিলেন। ইসলামের শত্রুরা তাদের আলোচনা ব্যর্থ হতে দেখে ক্ষিপ্ত হয়েই আবদুল মালেককে শহীদ করেছিল। যারা সেদিন ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার বিরোধিতা করেছিল তারাই আজ ক্ষমতায়। আওয়ামী লীগ কুরআনবিরোধী আইন পাস না করার কথা বললেও তাই করেছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর বিধান বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিয়েই মানুষকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দেয়া বিধানে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। তাই তারা ক্ষমতায় এলেই ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক তাসনীম আলম বলেন, শহীদ আবদুল মালেকের শাহাদাত ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনকে দমিয়ে দিতে পারেনি। বরঞ্চ তাঁর শাহাদাত সারা দেশের মানুষের মাঝে প্রাণের সঞ্চার করেছে। তিনি ছিলেন অনন্য প্রতিভার অধিকারী একজন ব্যক্তি।  শহীদ আবদুল মালেকের আন্দোলনের কর্মীরা কখনোই এ দেশের মাটিতে ধর্মহীন শিক্ষানীতে বাস্তবায়িত হতে দেবে না। মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, শহীদ আবদুুল মালেক এক ইতিহাস। আমাদের প্রেরণার উৎস। আজ থেকে ৪২ বছর আগে শহীদ মালেকের বুদ্ধিদীপ্ত লেখনী আজো আমাদের অবাক করে। ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার পক্ষে কথা বলার জন্যই তাঁকে শহীদ করা হয়েছে। আজো ইসলামী সমাজব্যবস্থার পক্ষে কথা বলার জন্যই মাওলানা নিজামীসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, মুক্ত নিজামীর চেয়ে বন্দী নিজামী অনেক বেশি শক্তিশালী। জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে ইসলামী আন্দোলনকে কোনভাবেই দমানো যাবে না। সভাপতির বক্তব্যে শিবির সভাপতি বলেন, শহীদ আবদুল মালেকের শিক্ষা আজ লাখো তরুণের হৃদয়ে স্পন্দিত হচ্ছে। শহীদ আবদুল মালেক জাতির উন্নয়নের লক্ষ্যে ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনের কথা বলেছিলেন। এ দেশে এ পর্যন্ত যত কমিশন হয়েছে প্রত্যেকে ইসলামকে উপেক্ষা করে শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়নের প্রয়াস পেয়েছে। মালেকের অনুসারীরা রাজপথে নেমে প্রমাণ করেছে এ দেশে কোন ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত হতে পারে না। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, অশ্লীলতা দমনে ইসলামী শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির