post

যে রক্তের স্রোত এখনো থামেনি

আতিকুর রহমান

১৩ নভেম্বর ২০১৭
আমরা এই পৃথিবীতে এসেছি আবার চলে যাবো এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কে চাই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে? সবাই বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করি। একজন মুমূর্ষু মানুষেরও বেঁচে থাকার জন্য কতই না আকুতি। বাস্তবতা হচ্ছে- এক সময় তাঁর স্থায়ী ঠিকানা কবরস্থানে পাড়ি জমাতে হয়। তারাই তো অকাতরে জীবন বিলাতে পারে যারা উপলব্ধি করতে পেরেছে এই পৃথিবী আমার আসল ঠিকানা নয়, মরণ একদিন মুছে দেবে সকল রঙিন পরিচয়। বর্তমানে আমাদের সামনে ঘটছে অসংখ্য অস্বাভাবিক ঘটনা যা আমাদের চিন্তার বাইরে; সুস্থ মানুষকে গ্রেফতার, অতঃপর বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজানো। প্রিয়জনের লাশটিও পাচ্ছে না স্বজনেরা। এমন কিছু বাস্তব চিত্রের সাক্ষী আমি নিজেও। সেই সব ঘটনাগুলো আজো আমাকে নীরবে কাঁদায়। ঝিনাইদহ জেলা। এই জেলার অধীনস্থ কোটচাঁদপুর ছোট্ট একটি উপজেলা। এটি মাত্র পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এই উপজেলা ঘিরে রয়েছে ইসলামী আন্দোলনের উজ্জ্বল ইতিহাস। শাহাদাতের নজরানা ও ত্যাগের বাস্তব সাক্ষী। এখানেই ঘটেছে ছাত্রশিবিরের ৮৩তম শহীদ শাহ আলম ও জামায়াতকর্মী শহীদ আবু বকর ভাইয়ের শাহাদাতের ঘটনা। পঙ্গত্ববরণকারী জীবন্ত শহীদ আ: আলীম ভাইয়ের নিদারণ কষ্টে হুইল চেয়ারে চলাফেরার দৃশ্য বিবেকের চৌকাঠে আঘাত করে বারবার। কী অপরাধ ছিল আ: আলিম ভাইয়ের, কেন এই পরিণতি তার? সে ঘটনার দিকে আজ আর যাবো না। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ঘটে যাওয়া তিনটি শাহাদাতের প্রেক্ষাপট নিয়ে স্মৃতির অ্যালবাম থেকে একটু ঘুরে আসি। তিনজনের কর্মপরিচয় ছিল ভিন্ন। তাদেরই একজন শহীদ ইসরাইল হোসেন, যাকে ৩০ নভেম্বর ২০১৩ রাজপথে প্রশাসনের গুলিতে শহীদ করা হয়। অপরজন স্কুলশিক্ষক শহীদ ইনামুল হক যাকে উপজেলা নির্বাচনের নমিনেশন পেপার জমা দেয়ার পর উপজেলা গেট থেকে গ্রেফতার করে ২৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালে গভীর রাতে বন্দুকযুদ্ধ নামক প্রহসন করে হত্যা করে আওয়ামী প্রশাসন। এরপর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শহীদ হাফেজ আবুল কালাম আজাদ; যাকে দিনের বেলা বাড়ি থেকে ১৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১টার সময় ধরে নিয়ে ৭ দিন গুম রেখে ২১ এপ্রিল ২০১৪ রাত দেড়টায় হত্যা করে প্রশাসনের নামদারি গুণ্ডারা। এক একটি শাহাদাতের ঘটনা দিয়ে একটি করে বড় বই লেখা সম্ভব। এই ময়দানে ইসলামী ছাত্রশিবিরের দুইজন শহীদ রয়েছেন, দুইজই একই কলেজের ছাত্র ছিলেন। আজ ছাত্রশিবিরের ৮৩তম শহীদ শাহ আলম ভাইয়ের ১০০ সিরিয়াল পরেই ১৮৩তম শহীদ ইসরাইলের ঘটনা আপনাদের নিকট তুলে ধরতে চাই। ২০১৩ সাল ছিল উত্তাল একটি সময়। এই সময়ে সমগ্র বাংলাদেশে ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছিল। আর সেসব অঞ্চলে বেশি প্রকট আকার ধারণ করছিল যেসব অঞ্চল ইসলামী আন্দোলনের উর্বর ঘাঁটি ছিল। কোটচাঁদপুর উপজেলার ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায় অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত এই জনপদ কখনো মাথানত করেনি বাতিলের কাছে। বার বার বুকের তাজা খুন ঢেলে দিয়ে প্রমাণ করেছে তারা ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলনকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসেন। এখানে আমজনতার সংগঠন হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির, তার প্রমাণ রেখেছে তাদের প্রতিটি পদক্ষেপের মাধ্যমে। সাধারণ জনতা প্রতিটি নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয় লাভ করিয়েছে জামায়াত মনোনীত প্রার্থীদের। গত ইউপি নির্বাচনের আগের নির্বাচনে পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদের চারটিতে জামায়াত মনোনীত প্রার্থীরা বিজয় লাভ করেন এবং বর্তমানে উপজেলার তিনজন চেয়ারম্যান জামায়াত মনোনীত, তাহলে বুঝতে পারছেন কতটা জনসম্পৃক্ততা থাকলে এটা সম্ভব। শুধু তাই নয়, এখানে অন্য ধর্মাবলম্বী ও ভিন্ন মতাদর্শের সবাই ইসলামী ছাত্রশিবিরকে ভালোবাসেন। কারণ ছাত্রশিবিরের নির্মোহ ভালোবাসায় তারা সিক্ত। সংগঠনের কালেকশনে সবাই অংশগ্রহণ করে, কারো নিকট থেকে ফিরতে হয় না। যখন জাতীয় নেতৃবন্দকে ঠুনকো অজুুহাতে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসির রায় দেয়া শুরু হলো। এদিকে সারাদেশে গণগ্রেফতার শুরু করে আওয়ামী প্রশাসন। প্রশাসনের এই সব অন্যায়-অপকর্মের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবাদ করে আসছে এই জনপদ। নিয়মিতভাবেই শান্তিপূর্ণ মিছিল করে আসছিল। ২০১২ সালের একটি ঘটনা, মিছিলে পেছন থেকে হামলা, পরে রাতে মামলা এবং গ্রেফতার শুরু। আর হয়রানি নিত্যদিনের ব্যাপারে পরিণত হয় এবং গ্রেফতার আতঙ্ক দিয়ে শুরু হয় অর্থ চাঁদাবাজি। জাতীয় নেতৃবৃন্দের ফাঁসির রায় দেয়া শুরু হলে প্রতিটি রায়ে গর্জে ওঠে এই জনপদের মানুষ। বিশেষ করে সাঈদী সাহেবের রায়ে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে এই জনপদ। আহত হয় ৪০ থেকে ৫০ জন, গুলিবিদ্ধ হয় ৭ জন। এরপর থেকেই শুরু হয় সাধারণ মানুষের কষ্টের রাত। সন্ধ্যা হলেই কাঁথা, বালিশ ও মশারি নিয়ে দূর মাঠের উদ্দেশে রওনা দিতে হয় একটুখানি ঘুমানোর জন্য। রাত হলেই শুরু হবে গ্রামগুলোতে যৌথ অভিযান। রাতে যেসব মানুষ বয়োবৃদ্ধ এবং যেসব ছাত্রের নিকটবর্তী বোর্ড পরীক্ষা তারা কেবলমাত্র বাড়িতে থাকতো। দেখা গেল তাদেরকেও গণগ্রেফতার করা হচ্ছে। এভাবেই চলছিল দিনের বেলা বিক্ষোভ এবং রাতের বেলা দূর মাঠে ঘুম। তার পরেও এই জনপদের আত্মতৃপ্তি থাকতো যে জাতীয় নেতৃবৃন্দের মিথ্যা ফাঁসির রায়ে সামান্য হলেও প্রতিবাদের আওয়াজ তুলতে পেরেছে। এখানে বিশেষ করে আমাদের নেতৃবৃন্দের রায়ে আমরা বিক্ষোভ করতাম এবং যখন ১৮ দলীয় কর্মসূচি থাকতো তখন বিএনপিসহ অন্যান্য দল আমাদের সাথে অংশগ্রহণ করতো। জোটগতভাবেই জোটবদ্ধ আন্দোলনগুলো পরিচালনা করা হতো। কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে নিয়মিত হরতাল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চলমান ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় ৩০ নভেম্বর ২০১৩ শনিবার থেকে ৭২ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দেয় ১৮ দলীয় জোট। এরই অংশ হিসেবে ঝিনাইদহ জেলার অন্তর্গত কোটচাঁদপুর উপজেলাতে পালন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। আগের দিন রাতেই জানিয়ে দেয়া হয় আগামীকাল সকাল ৯ ঘটিকার সময় কোটচাঁদপুর মেইন বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বিক্ষোভ শুরু হবে প্রতিদিনের মতো। আল্লাহর নিকট শাহাদাতের জন্য কত বেশি আকুতি থাকলে শহীদ হওয়া যায় এটা অজানা থেকে যেত যদি শহীদ ইসরাইলের শাহাদাতের সাক্ষী না হতাম। তার পিতাকে সব সময় বলতো আমার বাবার নাম শহীদ। আমি শহীদ হবো- এটা ছিল তার স্বপ্ন। ‘শাহাদাতের স্বপ্ন ছিল আমার এই বুকে, সেই স্বপ্ন যেন যায় না প্রভু কোনদিন চুকে।’ ওগো বিধাতা তুমি নিয়ে যাও, শহীদ করে জান্নাতে পাঠাও। এটা ছিল মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে তার একান্ত চাওয়া। তাইতো ২৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে শহীদ ইসরাইল সাতক্ষীরার উদ্দেশে বের হয় বাবার কাঁচামালের ব্যবসার কাজে এবং রাত ১০টার সময় তার বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারে আগামীকাল বিক্ষোভ। সে খবর পেয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা করে ভোর ৫টার সময় বাড়ি এসে পৌঁছায়। এরপর ফজরের নামাজ আদায় করে। নামাজ শেষে পাড়ায় পাড়ায় বিক্ষোভ মিছিলের দাওয়াতি কাজ করে। সকালের যৎসামান্য খাবার খেয়ে বের হয়ে যায়। শাহাদাতের তৃষ্ণা রয়েছে যার, তার কি পেটের ক্ষুধার অনুভূতি থাকে? মা এবং বড় ভাইয়ের ছেলে আরিফসহ অন্যদের কাছে দোয়া চেয়েছে- আমি যেন শহীদ হতে পারি। শহীদি তামান্না নিয়েই বাড়ি থেকে বের হয় শহীদ ইসরাইল। নছিমনে করে কোটচাঁদপুর মেইন বাসস্ট্যান্ড পৌঁছায় কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে। ১৮ দলীয় নেতাকর্মী জড়ো হয়, অবরোধ সফল করার উদ্দেশ্যে সাধারণ মানুষ অবস্থান নেয়। আকস্মিকভাবে ৯টা বাজতে না বাজতেই কোটচাঁদপুর বাসস্ট্যান্ডে মিছিল ও পিকেটিং করার সময় সশস্ত্র পুলিশ এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সন্ত্রাসীরা অস্ত্র, রামদা, হকিস্টিক ও লাঠিসোটা নিয়ে মিছিলে হামলা চালায়। পুলিশ বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় ইসরাইল ভাই সবাইকে বলতে থাকেন আসুন আমরা আমাদের জীবন দিয়ে বাতিলকে মোকাবেলা করি, প্রয়োজনে আমরা শহীদ হবো কিন্তু বাতিলের কাছে মাথা নত করবো না। তিনি তার সহকর্মীদের সংগঠিত করে হামলা প্রতিহত করতে থাকেন। এ সময় একটি গুলি ইসরাইল ভাইয়ের কানের পাশে বিদ্ধ হয়। মারাত্মক আহত অবস্থায় শহীদের সাথীরা দ্রুত তাকে ধরে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করে। তৎক্ষণাৎ কাছে পাওয়া রিকশা করে নেয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, কিন্তু চিকিৎসা শুরুর মুহূর্তে তিনি প্রিয় সাথীদের শোকসাগরে ভাসিয়ে শাহাদাত বরণ করেন। শুরু হলো হৃদয়বিদারক আর্তচিৎকার। একজন মিছিলের সাথী হারানো যে কত কষ্টের সেদিন বুঝেছিলাম। দেখেছিলাম সন্তানহারা মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ। পিতার বাকহীন নির্বাক চাহনি। ভাই হারানো বোনের মলিন মুখের প্রতিচ্ছবি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যখন পরিবারকে ময়নাতদন্তের কথা বলা হয়- এ কথা শুনার পর শহীদ ইসরাইলের নিকটতম বড় ওয়াসিম ভাইয়ের সেই আকাশ ভারি করা আওয়াজ এখনো কানে ভাসলে চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ে। মাটি আছড়িয়ে ও বুক থাবড়িয়ে বলছিলেন, ‘আমার ভাইকে আর কাটতে দিব না।’ এবার শুরু হলো জানাজা নামাজের প্রস্তুতি। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় কোটচাঁদপুর কামিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে শহীদের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এটুকু জানতে পেরে মাদরাসা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোক জড়ো হতে থাকে এবং এটা দেখে প্রশাসন ও আওয়ামী গুণ্ডারা ভয়ে ভীত হয়ে ঘোষণা করে শহরের মধ্যে জানাজা করা যাবে না। সাধারণ মানুষ উৎকণ্ঠায়- কোথায় হবে জানাজা? এবার একটি স্থান নির্ধারণ করা হয় আল আমিন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে কিন্তু সন্ধ্যা না হতেই সে মাঠ মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। তারপর বিদ্যালয়ের পাশে খালি একটি মাঠে শহীদের প্রথম জানাজা নামাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই মাঠ সাধারণ মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং জানাজা-পূর্ব মুহূর্তে অনেকে আলোচনা করেন এবং সবার কান্নার আওয়াজে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। শহীদের পিতার দাবিতে প্রথম নামাজের জানাজার ইমামতি করেন অধ্যাপক মতিয়ার রহমান এবং দ্বিতীয় জানাজা শহীদের নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হরিন্দিয়া আলিম মাদরাসা প্রাঙ্গণে তৎকালীন জেলা জামায়াতের আমীর ড. মোজাম্মেল হক এর ইমামতিতে অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ ইসরাইলের পিতার দাবির প্রেক্ষিতে বাড়ির সামনে মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়। এবার শুরু হয় প্রশাসনের মামলা প্রক্রিয়া- ১ নম্বর আসামি করা হয় শহীদ ইসরাইলের শ্রদ্ধেয় পিতাকে, ২ নম্বর আসামি করা হয় তার ভাইকে, এরপর যারা জানাজা নামাজের পূর্বে আলোচনা করেছেন তাদেরকে আসামি করে মামলা দায়ের করে আওয়ামী প্রশাসন। সেই মামলায় জেল খাটেন শহীদের পিতা। শহীদ ইসরাইল ভাইয়ের পিতা-মাতা প্রতি মুহূর্তে দোয়া করেন, ‘হে আল্লাহ আমার ছেলে হত্যার বিচার তুমি এই জমিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কর।’ একজন পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ কত যে ভারী যে সন্তান হারায়নি কখনো তাকে বুঝানো যাবে না। প্রিয় সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর একজন শোকাহত পিতাকে জেলখানায় বন্দীর মাধ্যমে মানবতা নামক শব্দটি কলঙ্কিত করেছে আওয়ামী প্রশাসন। এভাবেই প্রতিদিন সত্য পথের পথিকদেরকে নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতনের মাধ্যমে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের পথে না থাকার ব্যাপারে জনমনে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির নজির আজ নতুন কোনো ঘটনা নয়। বরং এসকল কঠিন মুহূর্ত টপকিয়ে আল্লাহর জিন্দাদিল মুজাহিদরা এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। প্রয়োজনে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে কিন্তু বাতিলের কাছে কখনো বশ্যতা স্বীকার করেনি। যে রক্তের স্রোত আজো বহমান। আর এই রক্তের সিঁড়ি বেয়েই একদিন এদেশে কালিমার পতাকা উড়বেই ইনশাআল্লাহ। কবি মতিউর রহমান মল্লিক বলেছেন- আল কুরআনকে ভালবেসে/প্রাণ দিয়েছিল যারা/ আজকে দেখ রক্তমাখা শহীদ বেশে/ ফের দাঁড়িয়েছে তারা। সত্যিই আমাদের চলার প্রতিটি মুহূর্তে শহীদেরা আমাদেরকে অনুপ্রেরণা জোগায়। শহীদেরা আমাদের সাথেই আছেন। আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে শহীদদের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজের আঞ্জাম দিই প্রতিদিন। আল্লাহ তায়ালা শহীদ ইসরাইল ভাইসহ সকল শহীদদের শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমিন হ

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির