post

শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতার প্রয়োজনীয়তা

১৬ জুন ২০১২
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। সবাই সুস্থ আছেন এ প্রত্যাশা করছি। এ সংখ্যার পাঠক চিন্তার বিষয় ছিল শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতার প্রয়োজনীয়তা। আপনাদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। বাছাই করে তিনজনের লেখা এখানে ছাপা হলো। আরো বেশি বেশি লেখা আশা করছি আমরা। আগামী সংখ্যার বিষয় “ইসলামী শিক্ষা দিবসের চেতনা”। লিখবেন ২৫০ শব্দের মধ্যে। অ৪ সাইজের ফুলস্কেপ সাদা কাগজের একপিঠে যথেষ্ট পরিমাণ ফাঁক রেখে লিখতে হবে। লেখার নিচে অবশ্যই আপনার পূর্ণ না ও ঠিকানা থাকতে হবে। খামের উপর “পাঠক চিন্তা” কথাটি লিখে দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই ফটোকপি ও নিউজপ্রিন্ট কাগজে লেখা গ্রহণযোগ্য হবে না। ই-মেইলেও লেখা পাঠানো যাবে : [email protected]। -বিভাগীয় পরিচালক বর্তমান শতকে মানবজাতির সামগ্রিক জীবনে যে বিষয়টির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হলো নৈতিকতার যথাযথ প্রয়োগ। নৈতিকতার যথাযথ প্রয়োগের অভাবেই সামাজিক এবং মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের পথ প্রসারিত হয়। সামাজিক, সাংস্কৃতিক-তমুদ্দনিক সকল পর্যায়ে শিষ্টাচারমূলক মার্জিত আচরণ সবার কাম্য। মানবজীবনের প্রতিটি বাঁকে অজস্র বাধা-বিপত্তির মোকাবেলায় নৈতিকশক্তির বিকল্প অন্য কিছু আজও উপলব্ধি করা যায়নি। মানুষের প্রতিটি আচার-ব্যবহার, চাল-চলন তার ভেতরকার মনুষ্য রূপের প্রতিচ্ছবিকে প্রকাশ করে। স্বল্প পরিসরে মনে হলেও নৈতিকতার ব্যাপক প্রভাব মানবজাতির পুরো জীবনসমুদ্রে তরঙ্গাকৃতিতে বহমান। নৈতিকতা একটি ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ। এটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানুষের ব্যবহারিক জীবনে প্রতিফলিত হয়। নৈতিকতা নামক এই গুণটি এমনিতেই সৃষ্টি হয় না, এটি অর্জন করতে হয় এবং এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করে শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষাব্যবস্থার প্রভাবে মানুষের চিন্তা-চেতনা, আর্দশিক মূল্যবোধ এবং সৃজনশীল কর্মতৎপরতা বিকশিত হয়। একটি জাতির কাক্সিক্ষত উন্নয়নের জন্য, কাক্সিক্ষত নৈতিকমানসম্পন্ন মানবসম্পদ গড়ে তুলতে শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। নৈতিকতা অর্জনের প্রয়োজনীয় শিক্ষা আমাদের শিক্ষানীতিতে না থাকার কারণেই আমাদের এই বিপুল সম্ভাবনার দেশটি দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জাজনক। আমাদের দেশে সংঘটিত বেশির ভাগ অপরাধই নৈতিকতাবিবর্জিত মানুষদের দ্বারা হয়ে থাকে। অথচ জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ শিক্ষানীতির উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে, ‘মানবতার বিকাশ এবং জনমুখী উন্নয়নে ও প্রগতিতে নেতৃত্বদানের উপযোগী মননশীল, যুক্তিবাদী, নৈতিকতাসম্পন্ন, নিজের এবং অন্যান্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কুসংস্কারমুক্ত, পরমতসহিষ্ণু, অসাম্প্রদায়িক, দেশপ্রেম এবং কর্মকুশল নাগরিক গড়ে তোলা।’ শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মীয় তথা নৈতিক ও যুগোপযুগী আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে একটি আদর্শ শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের অকুতোভয় সাহসী সৈনিক শহীদ আবদুল মালেক বলেছেন, ‘জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার আদর্শিক ভিত্তি সঠিকভাবে যদি নির্ধারিত না হয়, তাহলে সে শিক্ষাব্যবস্থা জাতিকে আগামী দিনের কাক্সিক্ষত নাগরিক ও নেতৃত্ব সরবরাহ করতে ব্যর্থ হবে।’ মূলত আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এবং তাঁর অনুগত হওয়াই নৈতিকতার ভিত্তিস্তম্ভ। আর নৈতিকতার প্রধান উৎস হলো মানবতার মুক্তির সনদ আল কুরআন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ। নৈতিকতার গুরুত্ব সম্পর্কে কুরআন বলছে, ‘‘আসলে তোমাদের বা আর কারো কোনো বিশেষ মর্যাদা নেই। বরং সত্য কথা এই যে, যেই নিজের সত্তাকে আল্লাহর অনুগত করে দেবে এবং বাস্তবে সৎ হয়ে চলবে, তার জন্য তার রবের নিকট বদলা রয়েছে, তাদের কোনো ভয় বা দুঃখ নেই।’’ (সূরা বাকারা : ১১২) সুতরাং আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে যদি আল্লাহর অনুগত বান্দা হিসেবে নিজের সামগ্রিক জীবনকে পরিচালনার তাকিদ পাওয়া যায় তবেই নৈতিকমানে নিজেকে উন্নীত করা সম্ভব হবে। অর্থাৎ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে যেখানে নৈতিক এবং পার্থিব শিক্ষার কার্যকরী সংযোগ থাকবে। আমরা যাই শিখি না কেন তা যেন নৈতিক শিক্ষায় ভরপুর থাকে। এ বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্ববহ কথা বলেছেন জাতীয় অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান। তিনি বলেছেন, ‘ফিজিক্সই পড়ি, কেমেস্ট্রিই পড়ি অথবা সাহিত্য পড়ি যা কিছুই পড়ি না কেন নৈতিক (ধর্মের) আদর্শের দ্বারা তা যেন পরিশোধিত হয়।’ নৈতিকতাহীন পাশ্চাত্য দুনিয়াপূজারী সভ্যতার দিকে তাকালে নৈতিকতার প্রয়োজনীয়তা সহজেই উপলব্ধি করা যায়। কতটুকু নৈতিক অধঃপতনের ফলে বছরের পর বছর ধরে আফগানিস্তান, ইরাক, সোমালিয়ার মতো দেশে নির্বিচারে হাজারো নর-নারী এবং শিশু হত্যা করা হচ্ছে। তাই অধ্যাপক বার্বাস তার ঞযব চযরষড়ংড়ঢ়যু ড়ভ ঃযব গড়ফবৎহ ঊফঁপধঃরড়হ গ্রন্থে বলেছেন, ‘বাধ্যতামূলক ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার অনুশীলন না করলে মানবসভ্যতাকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না। কারণ মানুষ ধ্বংসের উপকরণ অনেক বেশি জোগাড় করে ফেলেছে।’ সৌরভ আহমেদ শিক্ষার্থী, ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আমি অনার্স তৃতীয় বষের্র শিক্ষার্থী। বিভাগ গণযোগাযোগ। আমাদের ইথিক্স কোর্স কিছুদিন আগে শেষ হয়েছে। এখানে পেশাজীবনে নৈতিকতা চর্চা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়। স্যারও চেষ্টা করেছেন তত্ত্ব ও সমসাময়িক অবস্থার আলোকে কোর্সটিকে সমৃদ্ধ করতে। কোর্সটি পড়ানোর সময় স্যারকে প্রশ্ন করেছিলাম, স্যার, আমাদের পেশাজীবনে যে সকল নীতি-নৈতিকতা মেনে চলতে হয় তা এই ক্লাসে শিখছি বটে কিন্তু বাস্তব কর্মক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ছে না কেন? কেন জানা সত্ত্বেও এর চর্চা হচ্ছে না? স্যার উত্তরে বলেন, আমরা নৈতিকতার থিওরি পড়ি কিন্তু প্রাকটিক্যালি সব মানা হয় না। আমি সম্পূরক প্রশ্ন করলাম, স্যার, আপনারা শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নৈতিকতা শেখাচ্ছেন, কিন্তু বাস্তব জীবনে তা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। তাহলে তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবস্থাপনা এই পুরো আয়োজনটিই ব্যর্থ হয়ে গেল না? আমি এর উত্তর এমন প্রত্যাশা করেছিলাম যে, স্যার বলবেন, আমি তোমাদের যে ইথিক্স পড়াচ্ছি তা তোমরা অবশ্যই মেনে চলবে তাহলেই একটি কাক্সিক্ষত পরিবেশ সৃষ্টি হবে। কিন্তু স্যারের এই ধরনের কনফিডেন্স আমি দেখিনি। বরং তিনি বললেন, দেয়ার আর ফার ডিফারেন্স বিটুইন থিওরি অ্যান্ড প্রাকটিক্যাল। ‘ইসলামী নৈতিকতা’ অধ্যয়নের সুযোগ না পেয়ে এমনিতেই ব্যক্তির নৈতিক ভিত্তি মজবুত হতে পারছে না। তথাপি যতটুকু শিক্ষা প্রদান করা হয় তার বাস্তবায়নের হার যদি এমন হয় তাহলে ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত হতে হয়। এ কথা সর্বজন স্বীকৃত যে, পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ নেই যার মধ্যে বিবেক বলতে কোনো জিনিস নেই। আর এ বিবেকের মধ্যে ভালো ও মন্দের অনুভূতি অনিবার্যভাবে বিদ্যমান। তাই মানুষ নিছক একটি জীব নয় বরং একটি নৈতিক সত্তা। ফলে প্রকৃতিগতভাবেই মানুষ মন্দ কাজ করলে বিবেক দ্বারা তিরস্কৃত হওয়ার কথা। তবে, এ কথা জোর দিয়ে বলা যায়, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা যখন পথপ্রদর্শক ও নৈতিকতার আদর্শে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাসিত করতে ব্যর্থ হন; পাঠ্যক্রম যখন একজন শিক্ষার্থীকে উন্নতমানে ভোগবাদী প্রাণীতে পরিণত করার চেষ্টাতেই লিপ্ত এবং সহপাঠীরা পরস্পর শুধু আনন্দ উপভোগ আর অনৈতিক সফলতার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত তখন বিবেকের এই অনুভূতি আর কতটুকু কার্যকর থাকতে পারে তা ভাবার বিষয়। আমি হতাশ হতে বাধ্য হই, যখন দেখি স্নাতক পর্যায়ের একজন শিক্ষার্থী তার পরীক্ষার খাতায় উত্তর লেখার সময় ছোট ছোট কাগজের সহায়তা, প্রযুক্তির দক্ষতার অপপ্রয়োগ অথবা পাশের পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে সহযোগিতা গ্রহণ করছে এবং এ ধরনের অবৈধ কাজকে কোনো ধর্তব্যের বিষয় হিসেবে মনে করছে না। মনে হয় এতে নৈতিকতার কিছু আসে যায় না। কিন্তু আজ বাদে কাল এরা যখন কর্মক্ষেত্রে যাবে তখন কি নৈতিকতা ধরে রাখতে সক্ষম হবে? তবে তাদের মধ্যে যদি এই অনুভূতি সৃষ্টি করা সম্ভব হতো যে, তাদের অবৈধ উপায়ে অর্জিত সনদপত্র; এই সনদপত্র মূল্যায়নে অর্জিত আয় সবটুকুই শুধু অনৈতিকই নয় মৃত্যুর পর এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে। মো: জাহিদুর রহমান লাবু শিক্ষার্থী, একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার  মূল উদ্দেশ্যই  হওয়া উচিত শিক্ষার্থীদের মাঝে  নৈতিকতার সঞ্চার ঘটিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব অনুভূতি জাগ্রত করা এবং এ উদ্দেশ্যে তাদের চরিত্রকে আদর্শ  ও পবিত্র করে গড়ে তোলা। কিন্তু আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা নৈতিকতা গঠনের প্রতি নজর দেয়া হয় না। ফলে  শিক্ষার্থীদের মাঝে চলে শুধু একটি মানসম্মত সনদপত্র অর্জনের লড়াই। কেউ একটি গুণগত সার্টিফিকেট লাভ করলে তার মাঝে উপরোক্ত নৈতিক গুণাবলির সমাবেশ না ঘটলেও তাকে সফল শিক্ষার্থী বলে মনে করা হয়। পরবর্তীতে দেখা যায় যেসকল শিক্ষার্থী দেশের দরিদ্র মানুষের কষ্টার্জিত উপার্জনের রাজস্বের টাকায় চলা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা বাবার কষ্টার্জিত টাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গুণগত সনদ উত্তোলন করে সেই সফল (!) শিক্ষার্থীদেরই অধিকাংশ বড় হয়ে চাকরিজীবনে দুর্নীতির সকল আধুনিক কলাকৌশলে তাদের শিক্ষাজীবনের চালিকাশক্তি সেই দুস্থ দেশবাসীকে শোষণ করে। যে শিক্ষার্থীর কাজ ছিল পড়াশোনার পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রীয় গঠনমূলক কাজের চিন্তাভাবনা করা, নৈতিকতার অভাবে দেখা যায় তাদের বৃহত্তর অংশের হাতে শোভা পাচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র যা তারা ব্যবহার করছে ভিন্নমতাবলম্বী তাদেরই সহছাত্রদের বিরুদ্ধে।  চাঁদাবাজির মাধ্যমে  তাদের অনেকে  দেশের অর্থনীতিকে স্থবির করে দিচ্ছে। যে শিক্ষার্থীর কাজ ছিল নারীদের সম্ভ্রম রক্ষায় এগিয়ে আসা তাদের হাতেই লাঞ্ছিত হচ্ছে তাদেরই সহছাত্রী। যার কাছে মানুষ আশা করত এবং শিখতে পারত সুন্দর ব্যবহার তার মধ্যে সামান্য ব্যাপারে তার চেহারা ভয়ানক ক্ষিপ্ত ও মারমুখী হতে দেখে সাধারণ মানুষ চুপসে যায় এবং হতাশ হয়।  এসবই হয় নৈতিকতার অভাব থেকেই। আজকে যারা শিক্ষক তারাও এক সময় ছাত্র ছিল। কিন্তু এখন কিছু শিক্ষক আছেন যারা প্রাইভেট পড়ানোর লোভে ক্লাসে ঠিকমতো পড়ান না। রেফারেন্স দেন নিজেরই পরিচালিত কোচিংয়ের।  কথামতো ছাত্ররা তার কথা না শুনলে ব্যবহারিকে নম্বর না দেয়ার হুমকি দেন। এই কারণে ক্লাসরুমেই পড়া বুঝে নেবার ব্যাপারটি এখন সোনার হরিণ হয়ে গেছে। ছাত্রদেরকে ক্লাস শেষ করে আবার ছুটতে হয় কোচিং প্রাইভেট ইত্যাদিতে। ফলে নষ্ট হচ্ছে অনেক সময় এবং ছাত্ররা এক্সট্রা কারিকুলাম বা পাঠ্যবইবহির্ভূত কোনো কার্যক্রমে সময়  দিতে পারে না। ফলে মেধার  বিকাশও ঘটেছ না। ফলে বিল গিটস, স্টিভ জবসরা বাংলাদেশে তৈরি হয় না। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠক্রম  সিলেবাস  নৈতিকতা ও ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা নেই  বললেই চলে।  নৈতিকতা ও ধর্মহীন শিক্ষা মানুষকে লাগামহীন ও অপরাধপ্রবণ করে তোলে। তাই শিক্ষাব্যবস্থায়  নৈতিকতা সংযোজন করে ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার প্রচলন সময়ের দাবি। জিয়াউল হক, ঠিকানা নেই

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির