post

শেষ রক্ষা হবে কি?

২৯ জানুয়ারি ২০১৫

রাশেদুল হাসান রানা

Countryবাংলাদেশ আজ মহাসঙ্কটের সম্মুখীন। কেউ বলছেন একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে তার অস্তিত্ব হুমকির মুখে। দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে তৈরি করার নানারকম যড়যন্ত্র চলছে। বাস্তবিক অর্থেই দেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করেছ। স্বাধীনতার ৪৩ বছরে পর্যায়ক্রমে তিনটি দল দেশ শাসন করেছেন। দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়েছে আবার পিছিয়েছেও। প্রত্যেকটি দলই নিজেদের যোগ্য আর অন্যদের অযোগ্য হিসেবে অভিহিত করেছে। সবচেয়ে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা দলটি সুযোগ পেলেই অন্যদের দেশ বিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী নানা গালাগাল করতে থাকেন। মুক্তিযুদ্ধ, ঐ একটাই পুঁজি তাদের। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা থাকলে সেটা জাতিকে তারা উপহার দিতে পারতেন। তাদের প্রিয় নেতার আফসোস ছিল ‘চোরের খনি’ নিয়ে। প্রশ্নœ হলো তা থেকে কি তারা বের হতে পেরেছেন? বিরোধী দল না পেলে নিজেদের অস্ত্র নিজেদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছেন। অস্ত্রের ভাষায় হুঙ্কার ছুড়ছেন। এ লেখাটি যখন লিখছি। তখন দেশে টানা ২১তম দিনের মতো অবরোধ কর্মসূচি চলছে ২০ দলীয় জোটের আহ্বানে। এবারের অবরোধ একটি ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া। ২০ দলীয় জোট মহাসমাবেশ ডেকেছিল ৫ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে। কারণ আগের বছর এই দিনেই গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকিয়ে দেয়া হয়েছিল দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে বাইরে রেখে দলীয় সরকারে অধীনে ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে। কিন্তু এবারো সরকার গত বছরের ন্যায় নিজ উদ্যোগে সরকারি প্রশাসন ও ব্যবহার করে ঢাকাকে অবরুদ্ধ করে যেন বিরোধীদলীয় কোন নেতা কর্মী কেউই ৫ জানুয়ারি ঢাকা আসতে না পারেন। এইবার ৩ জানুয়ারি বিকেলেই ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তার অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। অবরুদ্ধ আবাসস্থলেই ৫ জানুয়ারি বিকেলে জোট নেত্রী সরকারের দমনীতির প্রতিবাদে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কর্মসূচির আহ্বান করেন। সেই অবরোধ চলছে, সরকার প্রশ্ন তুলেছেন কেন এই অবরোধ? মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি যখন বাধার সম্মুখীন, পেশাজীবী, শ্রমজীবী আইনজীবী, বু্িদ্ধজীবীদের সভা সমাবেশও যখন করতে দেয়া হয় না এক প্রকার নিরুপায় হয়েই এই অবরোধ। দমন, নিপীড়ন, আর গুলিতেই রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধান দেখছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। কাজ যে একদম হচ্ছে না তা নয়, কিন্তু শেষ রক্ষা হবে কি? গত মাসখানেক আগে রাজধানীর একটি হাসপাতালে আমার মায়ের অপারেশন হয়েছিল হাসপাতালে বসে আছি। আমার পাশে চেয়ারে বসে আছেন সত্তরোর্ধ্ব একজন বৃদ্ধ, বারবার আমার দিকে তাকাচ্ছেন, আমার অবস্থা তখন আম্মুর চিন্তায় একেবারে বেসামাল কিন্তু তার পরও সৌজন্যতার খাতিরে জিজ্ঞাসা করলাম চাচা কি কিছু বলবেন? বৃদ্ধ বললেন না বাবা, পরক্ষণই আবার বললেন তোমার কী সমস্যা? আমি বলার পর জানতে চাইলাম আপনার কী হয়েছে? তিনি খুব বিমর্ষ ছিলেন, বললেন বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছি, আমি বললাম কেন? চাচা বললেন, বেশ কয়েক বছর ধরে হার্টের সমস্যায় ভুগছি। কয়েকবার রিং বসানো হয়েছে, ওপেন হার্ট হয়েছে, এখনো আবার সেই সমস্যা। ডায়াবেটিসও আছে ২৫-৩০ কন্টিনিউ। তার ওপর রক্তচাপ তো আছেই হার্টের ডাক্তার বললেন বেশি হাঁটা চলা ফেরা করবেন না। ডায়াবেটিস ডাক্তার বলেন বেশি করে হাঁটবেন। হাঁটলে হার্টের সমস্যা আর না হাঁটলে ডায়াবেটিস সমস্যা। কিছু না বুঝে বললাম চাচা রেস্ট নেন আর ইনসুলিন নেন। পাশে ছিলেন আমার এক কাজিন যিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহানগরী কমিটিতে আছেন। তিনি বললেন, তোদের বিরোধী দলের অবস্থাও তাই। রাস্তায় না থাকলে শোনতে হয় আন্দোলনের মুরোদ নেই, নামলেই আবার গুলি, গ্রেফতার, টিয়ার শেল, গরম পানির আপ্যায়নÑ কী করবি? ইনসুলিনই একমাত্র ভরসা। ভাই ঠিকই বলেছেন। আমার প্রশ্ন, তাহলে রাজনীতির ইনসুলিন কী? মন্ত্রী থেকে পুলিশের আইজি, র‌্যাব আর বিজিবির ডিজি মহোদয়ের গুলির হুমকির মাধ্যমে সরকারবিরোধী আন্দোলন কতটুকু দমন করা সম্ভম। সরকারের অনেক মন্ত্রীর কথা শুনে মনে হচ্ছে দেশে এখন আইনশৃঙ্খলা সমস্যা বিরাজ করছে। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু তারা কেন ভুলে যাচ্ছেন এটা একটা রাজনৈতিক সঙ্কট। ৫ জানুয়ারির ২০১৫ এর আগে তো এমন অবস্থা ছিল না। দেশে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা পুরোপুরিই রাজনৈতিক সঙ্কট। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ না নিয়ে বন্দুকের মাধ্যমে সমাধানের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তাতে দেশ এক ভয়াবহ রক্তাক্ত পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলকে গুলির নির্দেশ এবার প্রথম দিয়েছিলেন জাসদ নেতা মঈন উদ্দিন খান বাদল। মঈন উদ্দিন বাদল হচ্ছেন সেই জাসদের নেতা যে দলের হাতে বহু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ’৭২-৭৪ সালে নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে সংসদ সদস্যও ছিলেন। আবার সেই জাসদের পক্ষ থেকেও অভিযোগ তোলা হয়, মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব মুক্তিযোদ্ধাসহ জাসদের ৩০ হাজার নেতা কর্মীকে হত্যা করেছেন। সেই জাসদের এরাই এখন বিরোধী নেতাকর্মীদের বুকে গুলি করার কৌশল নির্ধারণ করছেন। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ১৮ জানুয়ারি বিবিসির সংলাপে বলেছেন অস্ত্র দিয়েই বিএনপির সন্ত্রাস দমন করা হবে। আরেকজন আমাদের সমাজকল্যাণমন্ত্রী। তার কাছ থেকে জাতি সমাজের কল্যাণ কিছু শুনতে চায়। কিন্তু তিনি শুনাচ্ছেন সমাজের অকল্যাণ চিন্তা-‘শুট অ্যাট সাইট’। মন্ত্রীরা যখন প্রকাশ্যে গুলির কথা বলছেন তখন তাদের সাথে পাল্টা দিয়ে আইন শৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রকাশ্যে রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে তা বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন বিজিবি ডিজি ১৫ জানুয়ারি। (বাংলাদেশ প্রতিদিন ১৬ জানুয়ারি ২০১৫) বিজিবির প্রধান যখন গুলির নির্দেশ দিলেন তখন পুলিশের আইজিও সাথে সাথে তার পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড জানিয়ে দিলেন। তিনি এই সরকারের পক্ষে এবং শেখ হাসিনার জন্য শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। র‌্যাবের ডিজিও স্বভাবসুলভ ভাষায় আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেছন, নির্ধারিত সময়ের আগে কোনো নির্বাচন নয়। নির্ধারিত সময়ের পরে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এর বাইরে আমরা কিছুই চাই না। (মানবজমিন ১৭ জানুয়ারি ২০১৫)। এ বক্তব্য কোন সরকারি বাহিনীর না দলীয় ক্যাডারে তা বোধ হয় পাঠক দ্বিধায় পড়ে যাবেন। এই যে সরকারি বাহিনীর সদস্যরা গুলির নির্দেশ দিলেন বা দিচ্ছেন তাতে যে নিরপরাধী নিরীহ মানুষটি গুলিবিদ্ধ হবেন তার দায় কার? ২০০৫ সালে ৭ জুলাই লন্ডনে পাতাল ট্রেনে এক বিয়োগান্তক বোমা হামলা সংঘটিত হয়। ব্রিটেনে ৭/৭ খ্যাত সেই হামলায় চার আত্মঘাতী সন্ত্রাসীসহ ৫২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। এবং সাতশতাধিক লোক আহত হয়েছিলো। কিন্তু পুলিশ আত্মঘাতীদের দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ দেবার পরপরই তাঁর বাহিনী পাতাল ট্রেনে এক নিরীহ ২৭ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান যুবক সেনা মেনজসকে হত্যা করে। তারা তার গতিবিধি দেখে সন্দেহ করেছিল যে তিনি বোমা পুঁততে এসেছেন। হত্যাকান্ডের পর স্কটল্যান্ডের ইয়ার্ড ও মিডিয়ার লড়াইটা অনেকাংশে বাংলাদেশের র‌্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের মতো হয়েছিল। নিহত মেনজেসের পরিবার একটি সফল আইনি লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন, চার বছর পর হলেও ইয়ার্ড নতি স্বীকারে বাধ্য হন। তারা মেনজেসের পরিবারকে এক লাখ পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দেয়। সবচেয়ে বড় ফল হলো লন্ডন মহানগর পুলিশের কমিশনার বলেছিলেন আমরা মেনজেসের পরিবারের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাই। তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ ছিলেন তার এসময়ে চলে যাবার পেছনে কোনো ভাবেই তাকে দায়ী করা যায় না। আমাদের লিমনের প্রতি কেউ তো এমন কথা বলেননি। বরং নিরাপত্তা বাহিনী দয়া করে তাদেরই দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে উদারতার উদাহরণ উপহার দিয়েছিল, তাই আজও আমরা নিরাপত্তা হেফাজতে নিহত নির্দোষ ব্যক্তির মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ প্রদানের রাষ্ট্রীয় কোন ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে পারিনি। ক্ষমতাসীনরা তো সকল ব্যাপারে সংবিধানের দোহাই দেন, আসুন জেনে নেই সংবিধান কি বলে। সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ বলছে, ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালতে বিচার পাবেন। নিজের বিরুদ্ধে তাকে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাবে না। কোন ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেয়া যাবে না, নিষ্ঠুর অমানবিক বা লাঞ্ছনাকর ব্যবহার করা যাবে না। ৩২ নং অনুচ্ছেদ বলছে আইনানুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হতে কোন ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাবে না। এমনকি জরুরি অবস্থার মধ্যে ৩৫ ও ৩২ অনুচ্ছেদ স্থগিত করা যাবে না। এখন সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী, জঙ্গি মন্ত্রীসহ আরও যারা বিচারকে নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে শাস্তি দেবার কথা বলছেন, নির্বিচারে রাস্তায়, বাসা-বাড়িতে বিরোধী নেতাকর্মীর বুকে সরাসরি গুলি চালানোর কথা বলছেন, ‘শুট অ্যাট সাইটে’র কথা বলছেন। কোথায় তাদের সংবিধানপ্রেম! আইনের শাসন কোথায়? জরুরি অবস্থার মধ্যে সংবিধান ১২০ দিনের বেশি সমাবেশ ও বাকস্বাধীনতা ক্ষুণœ করার কল্পনা করেনি, এটা তাদের মনে রাখতে হবে। সরকারের মন্ত্রীরা কেন নিজেদের শেষ সরকার মনে করছেন? এর পরও সরকার আসবেন মন্ত্রী হবেন নিজেদের কথাগুলোই না আবার নিজেদের জন্য ফল হয়ে দাঁড়ায় তাঁদেরকে তা ভাববার বিনীত অনুরোধ থাকবে। এ কথা বলছি এ কারণে, যাত্রাবাড়ীতে দুর্বৃত্তদের পেট্রলবোমা হামলায় অগ্নিদগ্ধ হন একই বাসের ২৯ জন যাত্রী। সে ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার এক উপপরিদর্শক বাদি হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। যাতে হুকুমের আসামি করা হয়েছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। সাংবাদিকদের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, ফৌজদারি আইনে যিনি হুকুম দেন আর যিনি অপরাধ সংঘটিত করেন উভয়ে সমান অপরাধী। আসাদুজ্জামান খান কামালের কথাকে যদি ধরে নেই। তাহলে এই প্রশ্নও উত্থাপিত হতে পারে ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পল্টনে লগি-বৈঠা নিয়ে আসতে বলেছিলেন। যার ফলে যেখানে নৃশংস হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছিল। এই হত্যাকান্ডে হুকুমের আসামি কে হবে? মন্ত্রীরা, সরকারি বহিনীর প্রধানরা যে গুলির নির্দেশ দিচ্ছেন তাতে গত ২৬ তারিখ দুপুরে মাত্র ১৭ বছর বয়সী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিটি কলেজের এক ছাত্র আসাদুল্লাহ তুহিনকে তার বাসা থেকে র‌্যাব উঠিয়ে নিয়ে যায়। এবং ২৭ তারিখ তার লাশ হাসপাতালে ফেলে রেখে চলে যায়। এই হত্যাকান্ডের হুকুমের আসামি হিসেবে কে দোষী হবেন। মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী? প্রতিমন্ত্রী? জাসদ নেতা? নাকি র‌্যারেব ডিজি? দেশে যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড গুম, বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন ও জাতীয় প্রত্যেকটি ঘটনার যদি সুনির্দিষ্ট মামলা হয় তাহলে তাতে হুকুমের আসামি কারা হবেন। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়গণ তা ভেবে দেখবেন কি? আসলে কাঁদামাটি যখন পুড়িয়ে ইট বানানো হয়। ইট বানাবার পরে তার ওপর যতই পানি ঢালা হোক না কেন কাঁদা আর নরম করা যায় না। আওয়ামী লীগ যেদিন বাকশাল হয়েছে তারপর একে যতই গণতন্ত্রের কথা বলা হোক না কেন এই আওয়ামী লীগ আর কখনোই গণতান্ত্রিক হবে না। বাকশালী মনোভাবই তাদের মধ্যে আছে, থাকবে। এখন দেখার বিষয় এত কিছু করার পরও গুলিতে তাদের শেষ রক্ষা হয় কি না? লেখক : কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির