post

আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশন সমানে সমান!

মুহাম্মদ আবদুল জব্বার

০৩ ডিসেম্বর ২০১৭
বহুল আলোচিত-সমালোচিত রকিব কমিশনের পর একই কায়দায় হুদা কমিশনও আগের পথে হাঁটছে। নির্বাচন কমিশন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের একটি সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। একজন মানুষ যেমন মেরুদন্ড ছাড়া চলাফেরা করতে পারে না, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছাড়া একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রও কল্পনা করা যায় না। এরই মধ্যে ইসির নানা কর্মকান্ডে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকান্ডে মাঝে মধ্যে বোঝা খুব মুশকিল হয়ে যায় যে, এই নির্বাচন কমিশন কি আওয়ামী লীগের দলীয় নির্বাচন কমিশন না কি একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশন! যেভাবে আওয়ামী লীগ দেশের বিরোধী জোটকে পেশিশক্তি ও প্রশাসনিক শক্তির অপব্যবহার করে নিঃশেষ করে দিতে চাইছে ঠিক নির্বাচন কমিশনও একই মিশনে নেমেছে! এ যেন নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী লীগ সমানে সমান! একেবারে উনিশ-বিশ! দেশে এখন মগের মুলুক চলছে, এখানে জোর যার রাজ্য তার! আওয়ামী লীগ সরকার সে পথ ধরে গণতন্ত্র নয়, উন্নয়নের শ্লোগান দিয়েই তৃপ্ত! যে দেশে লক্ষ কোটি শিক্ষিত বেকার যুবক চাকরির জন্য ভবঘুরে; ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা সর্বস্বান্ত হয়ে আত্মহত্যা করে! মোট জনসংখ্যার বড় একটি অংশ দরিদ্র ও দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে, সে দেশে উন্নয়নের নামে শ্লোগান দেয়া মানে নেহাত জনগণের সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। কিছু সংখ্যক ফ্লাইওভার নির্মাণ, ব্রিজ-কালভার্ট স্থাপনার উদ্বোধন, জিডিপির ঊর্ধ্ব সূচকতা আর মেধার পরিবর্তে দলীয় কোটায় চাকরি/নিয়োগ দিয়ে কোনো দেশের উন্নয়নের প্রকৃত মাপকাঠি পরিমাপ করা যায় কিনা তা আমার জানা নেই। বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্র পরিচালকদের বিরুদ্ধে জন অনাস্থা ও অসন্তোষ দেখা দিলে তারা পদত্যাগ করে, জনগণের প্রত্যাশিত নেতৃত্বের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব সমর্পণ করে। আর আমাদের দেশে যারা ক্ষমতায় সমাসীন হন তারা জোর করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে নিজেদেরকে গণতন্ত্রের ধারক-বাহক ও জনগণের সরকার বলে দাবি করে! হয়তোবা এদের নেকামি দেখে শয়তানও মুচকি হাসে। প্রকৃতপক্ষে এমন শাসকবর্গের কাছে জনগণের মতামতের কোনো গুরুত্ব নেই। এদেশে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে করায়ত্ত করে আধিপত্যবাদীরা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রেখে দিনের পর দিন জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে। এমন ক্ষমতা কুক্ষিগতকারী নেতাদেরকে জনগণ কখনো মন থেকে ভালোবাসেনি। জনগণ এ ধরনের নেতৃত্বকে তাদের ঘাড়ের বোঝা মনে করে পরিত্রাণের জন্য প্রহর গুনে। জনগণের অপছন্দ সত্ত্বেও ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রেখে ওরা কি মজা খুঁজে পায় তা আমার বুঝে আসে না! তাই যারা উক্ত কায়দায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়, তারা জনগণের মতামত ও তাদের সমস্যা সম্ভাবনাকে তোয়াক্কা না করে ধরাকে সরা জ্ঞান করে যে কোন জনবিরোধী অহরহ কর্মযজ্ঞে লিপ্ত হতে দেখা যায়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে সেইভাবেই তাদের ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছে। আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় আখের গোছাতে নানা কায়দায় রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। সর্বশেষ এই দলটি তাদের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে প্রধান বিচারপতিকেও পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছে। যেখানে দেশের প্রধান বিচারপতিও তাদের ছোবল থেকে রেহাই পাননি সেখানে আমজনতা কিভাবে তাদের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করবে? তাই বলা চলে নির্বাচন কমিশনও আওয়ামী লীগের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর বিএনপির সঙ্গে সংলাপে সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৯২ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর ২০০১ সালে তাঁর নেতৃত্বে আবারও সরকার গঠিত হয়। বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার কাজে প্রকৃত নতুন ধারার প্রবর্তন করেছে।’ জিয়াউর রহমান এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন বক্তব্যে আওয়ামী লীগ দারুণভাবে নাখোশ হয়ে তার বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছে। যদিও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে এটি নির্বাচন কমিশনের এটি একটি কৌশল মাত্র ছিল বলে অনেকে মনে করেন! অল্পতেই আওয়ামী লীগের মুখোশ খুলে গেল! থলের কালো বিড়াল বেরিয়ে পড়ল! প্রকৃত পক্ষে হুদা কমিশনের পক্ষে আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা কখনো সম্ভব হবে না। কারণ ইতোমধ্যে বুঝদার আমজনতা জেনেছেন যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদাসহ কমিশনের প্রায় সকল সদস্য কোন এক সময় আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন, এখনো আওয়ামী লীগের গুরুতর সমর্থক। তবে দেশ নিয়ে যারা ভাবেন তারা আশা করেছিলেন, যে কোন ব্যক্তি তার পছন্দের রাজনীতি করতে পারেন। কারণ কোন মানুষের পক্ষে নিরপেক্ষ হওয়া একেবারে অসম্ভব। একমাত্র পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ দাবি করতে পারে না। জনাব নূরুল হুদাও নিরপেক্ষ হবেন এটাও কেউ কখনো আশা করে না। তবে যখন কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তখন তার দায়িত্ব দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পালন না করে, বিবেক ও দায়িত্ব কর্তব্যের নিরিখে দায়িত্ব সম্পাদন করেন। যে কারণে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় না। নতুন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদকাল শুরুর পর থেকে সংসদীয় নতুন সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আহবানও কমিশনের তরফ থেকে দেয়া হয়েছে। কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করবে তা একেবারেই যুক্তিযুক্ত। তবে প্রশ্ন উঠছে তখন যখন কমিশন পুনরায় সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নতুন দলের নিবন্ধনের নামে ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে কোন দলের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তাই এহেন আশঙ্কার কারণে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাথে সংলাপে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার গঠন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান ও সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ ২০ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ইসির সাথে সংলাপে সহায়ক সরকার ও সংসদ ভেঙে নির্বাচন চায় বিএনপি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও সেনাবাহিনী মোতায়েনে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সংলাপ যেন প্রহসনে পরিণত না হয়। (সূত্র : দৈনিক নয়া দিগন্ত, ১৬ অক্টোবর ২০১৭, সোমবার) এ দিকে মাত্র কয়দিন আগে জামায়াতের আমির বয়োবৃদ্ধ মকবুল আহমাদকে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেফতারের পর তাকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় রিমান্ড দিয়ে যুদ্ধাপরাধ মামলার সাথে জুড়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এতে সরকার জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করতে চাইছে তা বুঝতে কারো বাকি নেই। কারণ ইতঃপূর্বে এই দলটির আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেলসহ বেশ কয়জন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। এ ছাড়াও লক্ষ লক্ষ কর্মীর বিরুদ্ধে হাজার হাজার বানোয়াট মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত করে সর্বস্বান্ত করেছে। এই দলটির নেতাকর্মী ও সাধারণ সমর্থকদের ওপর যেভাবে মিথ্যা মামলায় রিমান্ডের নামে অকথ্য পুলিশি নির্যাতন ও গুম-খুনের টর্নেডো বয়ে গেছে তা অস্বীকার করার কোনো জো নেই। তাই এই দলটিকে কঠিন বিপদের দিকে ঠেলে দিয়ে সরকার ২০ দলীয় জোটে ভাঙন ধরাতে চাইছে বলে অনেকের ধারণা। এ ছাড়াও জামায়াতের আমিরের রিমান্ড ও খালেদা জিয়ার গাড়িতে হামলা রাজনীতিতে অশনিসঙ্কেত বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এক দিকে আওয়ামী লীগ বিএনপি জামায়াতসহ বিরোধীদলীয় নেতাদের নির্বাচনের অযোগ্য করতে ডজন ডজন মিথ্যা মামলা দিয়ে ফেরারি আসামি করেছে। অপর দিকে উপজেলা নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন ও ইউপি নির্বাচনে প্রার্থিতা যাচাই বাছাইয়ের নামে আওয়ামী বিরোধী প্রার্থীদের নির্বাচনের অযোগ্য হিসেবে ঘোষণা করার মত নির্লজ্জতাও কমিশনে চলছে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে জামায়াতের নিবন্ধন আদালত কর্তৃক চূড়ান্তভাবে বাতিল হলেও জামায়াতের প্রার্থীরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন যেন জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত কোনো ব্যক্তিকেও সহ্য করতে পারছে না। জামায়াত বা জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের যে কোন মূল্যে ঠেকানোই যেন এই নির্বাচন কমিশনের একমাত্র অন্যতম দায়িত্ব। যা একজন নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে সহজে অনুমেয়। এ ধরনের বক্তব্যে আরো বুঝা যায় যে হুদা কমিশন কতটুকু দলনিরপেক্ষ! জামায়াতে ইসলামীর নেতৃস্থানীয়দের নির্বাচন করা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘জামায়াতের চিহ্নিত নেতাদের নির্বাচন কমিশন (ইসি) গ্রহণ করবে না। স্বতন্ত্র হিসেবেও তারা কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে, তাদের বিষয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ (১৪ নভেম্বর ২০১৭ দৈনিক প্রথম আলো)। এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম এক নিন্দা বিবৃতিতে বলেন, ‘ইসির অসাংবিধানিক ও বেআইনি বক্তব্যের দ্বারা প্রমাণিত হলো নির্বাচন কমিশন পক্ষপাত দুষ্ট ও সরকারের আজ্ঞাবহ।’ জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার পর জাতীয় সংসদে বারবার প্রতিনিধিত্বকারী একটি দল। এই দলটি দেশের সবচেয়ে পুরনো দল। রাজনৈতিক জনসমর্থনের বিবেচনায় এই দলটির অবস্থান তৃতীয়। এই দলটি দেশে নিষিদ্ধ নয়। আওয়ামী লীগ মুখের জোরে আর দলীয় মদদপুষ্ট পুলিশ প্রশাসন দিয়ে এর কার্যক্রমকে বন্ধ করে রাখার চেষ্টা করছে। নির্বাচন কমিশন এই বৈধ রাজনৈতিক দলটিকে নির্বাচনী সংলাপে আহবান করেনি। এতে স্পষ্ট বুঝা যায় আওয়ামী লীগের ছকের বাইরে তাদের পক্ষে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশনের এহেন আচরণে উষ্মা প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিচারাধীন মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পূর্বে জামায়াতকে তার নিবন্ধনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে নির্বাচন কমিশন তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে।’ তাই এহেন তামাশার নির্বাচনের আশঙ্কা থেকে জামায়াত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন বরাবর একটি প্রস্তাবনাও পেশ করেছে। গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে ১৬ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করতে এসব প্রস্তাব দিয়েছে দলটি। ইসিকে দেয়া প্রস্তাবগুলোর মধ্যে উলেখযোগ্য হচ্ছে, নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা ও এর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা, প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখা, সব দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন, নির্বাচনি এলাকার সীমানা পুনর্বিন্যাস, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা। (সূত্র : জামায়াতে ইসলামীর ওয়েবসাইট ২৫ অক্টোবর, ২০১৭) নিরপেক্ষ দৃষ্টি থেকে বিচার করলে বলতেই হয়, ইসি ও আওয়ামী লীগ মরিয়া হয়ে দেশকে বিরোধী মত ও বিরোধী দলশূন্য করতে নেমেছে যা বুঝতে কারো বাকি নেই। তবে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। অতীতেও যারা জনগণের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে ইতিহাস তাদের ক্ষমা করেনি। কালের পরিক্রমায় দেশের আজকের প্রতারক, ঠকবাজ ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। লেখক : বিশিষ্ট কলামিস্ট

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির