post

গুগলের সুপারশপ!

সালেহ মো. ফয়সাল

০১ এপ্রিল ২০১৬
ইন্টারনেটের এই যুগে গুগল হচ্ছে আমাদের সেরা বন্ধু। যেকোনো সমস্যা, যেকোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে আজ আর আমরা বসে থাকি না। বরং গুগল ব্রাউজ করে এক সেকেন্ডেই পেয়ে যাই অধিকাংশ সমস্যার সমাধান। তথ্যের ভান্ডার গুগল কেবল তথ্যই সাপ্লাই দেয় না বরং এটি অনেক প্রয়োজনীয় ও মজার সব ফিচারে ভর্তি অ্যাপ্সের সেবা দেয় যেগুলো হয়তো আমরা জানি না। দিন দিন এ সেবাগুলোর মান উন্নত হচ্ছে। যোগ হচ্ছে নতুন নতুন ফিচার। তাই আপনাদের এসব মজার তথ্য ও ফিচার জানাতে আজকের লেখা। আর এই পর্বে থাকছে গুগল সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় ও আকর্ষণীয় কয়েকটি সেবার কথা। গুগল কন্টাক্ট যেভাবে কন্টাক্ট ব্যাকআপ জীবনেও হারাবে না! এই ডিজিটাল যুগে আমরা অ্যান্ড্রয়েডের অনেক সময় কন্টাক্ট নাম্বারও অনেক সময় হারিয়ে ফেলি। পরে নানা প্রয়োজনে তা খুঁজি। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, আসলে আপনি বা আমি এই স্মার্ট ফোন ব্যবহারের পুরোপুরি উপযুক্ত নই। যদি তাই হতাম তাহলে অ্যান্ড্রয়েড ফোন হারিয়ে গেলে অন্তত ফোন নাম্বার খোঁজতাম না। কারণ যেখানে অ্যান্ড্রয়েডের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে পৃথিবীর অপর প্রান্তে থাকা যে কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব সেখানে আপনি মনে করেন কোন কন্টাক্ট নাম্বার হারিয়ে গেলে/ভুলে ডিলিট করে দিলে ভাবছেন সেটা পাওয়া সম্ভব নয়! আজ আমরা জানবো কিভাবে কন্টাক্ট নাম্বার ব্যাকআপ রাখা যায় এবং অ্যাক্সিডেন্টালি হারিয়ে গেলে কিভাবে আবার তা রিকভার করা যায়। যারা অ্যান্ড্রয়েড ইউজ করেন তাদের সবারই একটা Gmail অ্যাকাউন্ট থাকে (না থাকা মানে আপনি  Google play থেকে অ্যাপ্স নামাননি)। এই Gmail অ্যাকাউন্টেই আপনি সব কন্টাক্ট সংযুক্ত বা Sync (Synchronization) করে রাখতে পারবেন। এ পদ্ধতিতে আপনার সব কন্টাক্ট নাম্বার গুগল কন্টাক্টের (Google contact)  অনলাইন সার্ভারে সেভ থাকবে। চোর তো আর অনলাইন সার্ভার চুরি করতে পারবে না? এবার দেখি কিভাবে কন্টাক্ট নাম্বার গুগল কন্টাক্টে ব্যাক আপ রাখা যায় প্রথমে সিমের কন্টাক্ট নাম্বার সব  Gmail-এ নিতে হবে। তারপর কন্টাক্ট সেইভ করার আগে একটু খেয়াল রাখতে হবে। নাম্বার মুছে গেলে গুগল থেকে Sync করতে হবে এবং সব শেষে আছে কিছু সাবধানতার ব্যাপার। আমাদের সবারই সিম ও সেটে অনেক ফোন নাম্বার সেভ থাকে। এগুলো আগে  Gmail  অ্যাকাউন্টে আনতে হবে। গুগল কন্টাক্ট অ্যাপ্সটাতে ঢুকে মেনু থেকে কন্টাক্ট নাম্বার Import/Export করতে হবে। তারপর জিমেইল আইডি সিলেক্ট করবেন। (যেটাতে কপি করবেন) যেগুলা কপি করতে চান সেগুলো সিলেক্ট করে দিন। সব করতে চাইলে Selected-এ প্রেস করুন। অপশন পাবেন। সাকসেসফুল হলে ওপরে নোটিফিকেশন দেখাবে কতটা কন্টাক্ট নাম্বার কপি হলো। কপি তো করা হলো এখন কিভাবে শিওর হবেন যে এগুলো সার্ভার (Google contact) সেভ হলো কি না? তাই নিশ্চিত হতে-অনুসরণ করুন-Settings >Account > Google> @gmail.com-তে যেয়ে। সেখানে  Contacts-এর পাশে টিক চিহ্ন দিন। দেয়া থাকলে তুলে আবার দিন। এবারSync  হওয়া শুরু হবে। প্রথমবার হতে একটু সময় নেবে। অবশেষে ‘ÔLast Sync at…..দেখাবে। তার মানে কমপ্লিট হয়ে গেছে। যদি  Sync ঠিক মতো না হয় তাহলে Errorদেখাবে। এবার নতুন কোন নাম্বার সেইভ করার সময় Store the contact toএর জায়গায় জিমেইল আইডিতে করবেন। তাহলে নিজে নিজে Sync হবে। নতুন মোবাইল সেটে আপনার যা করতে হবে তা হলো : ঐ জিমেইল আইডিটা দিয়ে সাইন ইন করতে হবে। তারপর একইভাবে ২য় স্টেপের মতো Contact-এ টিক দেবেন। সব কন্টাক্ট আবার আপনার মোবাইল সেটে চলে আসবে। কিছু সাবধানতা নিশ্চয়ই বোঝা গেছে Gmail আইডিটা কী পরিমাণ ইম্পরটেন্ট! তাই ভুলে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকলে পাসওয়ার্ড লিখে রাখুন কোথাও। Sync এর পর গুগল কন্টাক্টের অ্যাপ্সে গিয়ে যদি আপনি কোন Contact  ডিলিট করে দেন তাহলে সেটা কিন্তু গুগল সার্ভার থেকেও ডিলিট হয়ে যাবে। মনে করবেন না যে মোবাইল থেকেই না ডিলিট করেছি, সার্ভারে তো রয়ে গেছে। না, এটা মোবাইল সেটের ভেতর দেখালেও সবসময় সার্ভারের সাথে কানেক্টেড থাকে। • Phone এর কন্টাক্টGmail  এ কপি করার পর সবগুলো একসাথে দেখায় তাই এক নাম্বার দুইবার দুইবার দেখায়। এটা থেকে বাঁচতে- Google contact> Contact To Display> আপনার জিমেইল আইডি সিলেক্ট করে দিন। তাহলেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। গুগল ট্রান্সলেটরের সাহায্যে অনুবাদ করুন ৭২টি ভাষায় সহজেই আপনি কি আরবি, হিন্দি, জার্মান ইত্যাদি ভাষা বুঝতে পারছেন না বা বিদেশি কোন ভাষা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন? এসব সমস্যার সমাধানে গুগল নিয়ে এসেছে দারুণ এক সেবা! আশা করি এই এ অংশটি ভালোভাবে পড়লে আপনি সহজেই বিশ্বের ৭২টি ভাষায় জানতে ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। গুগল ট্রান্সলেটর কী? গুগল ট্রান্সলেটর হচ্ছে গুগলের একটা অনলাইন টুলস যা দিয়ে আমরা সহজেই এক ভাষার লেখাকে অন্য ভাষায় রূপান্তর করতে পারি। গুগল বিশ্বে আধিপত্য বিস্তারের জন্য সকল ভাষার ওপর দক্ষতা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতেই এই অনলাইন টুলস তৈরি করেছে। পাশাপাশি সব গুগল ব্যবহারকারী এই টুলস ব্যবহার করছেন। ফলে গুগলের জনপ্রিয়তাও দিন দিন বাড়ছে। এটি শুধু এক ভাষার বাক্যের প্রত্যেক শব্দকে অনুবাদ করে তার নিজের সার্ভারে থাকা কিছু বাক্যের সাথে মিলিয়ে একটা বাক্য/শব্দ সাজিয়ে দেয়। বাংলাভাষা কি সমর্থন করে? গুগল ট্রান্সলেট টুলসে বাংলাভাষা যুক্ত হওয়ার ফলে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ সহজেই বাংলাভাষাকে বিশ্বের ৭২টি ভাষায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রান্সলেট করতে পারছেন। এখান থেকে সহজেই বাংলাভাষাকে হিন্দি, চায়না, স্প্যানিস, পর্তুগিজ ইত্যাদি ভাষায় রূপান্তর করতে পারবেন। অথবা সহজেই অন্য ভাষাকে বাংলায় রূপান্তর করতেও পারবেন। কিভাবে ভাষাকে ট্রান্সলেট/অনুবাদ করা যায়? যেকোনো ভাষাকে ট্রান্সলেট বা অনুবাদ করার জন্য গুগলের ট্রান্সলেট টুলসটি ওপেন করুন (translate.google.com.bd)। এখান থেকে প্রদর্শিত ফাঁকা ঘরে কিছু লিখুন ও উপরে ট্রান্সলেট মেনু থেকে ভাষা নির্বাচন করুন এবং অনুবাদ বাটনে ক্লিক করুন। এভাবে সহজেই আপনি পছন্দের ভাষায় অনুবাদ করতে পারবেন। আরো বোঝার সুবিধার জন্য নিম্নে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে ক্রমিক নম্বর অনুসারে বিষয়টি উপস্থাপন করা হলো : ১. প্রথমে গুগল ট্রান্সলেটরে যান। ২. এখানে যে বাক্যটি বা প্যারাটি ট্রান্সলেট করতে হবে তা লিখুন বা পেস্ট করুন। ৩. কোন ভাষা থেকে ট্রান্সলেট করবেন তা মেন্যু বার থেকে দেখিয়ে দিন। অপর পাশে গুগলের তালিকাভুক্ত যেকোনো ভাষা পেস্ট করলে বা লিখলে অল্প কিছুক্ষণ পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিটেক্ট করতে পারে এটি কোন ভাষা অথবা আপনার জানা থাকলে তা নির্বাচন করে দিতেও পারেন । ৪. এবার ওপরের সারির চার নম্বর বাটনে আপনি কোন ভাষায় ট্রান্সলেট বা অনুবাদ করবেন তা দেখিয়ে দিন। যেমন আপনি যদি বাংলা ভাষায় অনুবাদ করতে চান তবে বাংলা নির্বাচন করুন। ৫. পাঁচ নম্বর বাটনটি হচ্ছে অনুবাদের বাটন। এখানে ক্লিক করলে আপনার লেখাটি ট্রান্সলেট হবে এবং তা ৬ নম্বর বাটনে দেখাবে। ভাষাটি আপনার পড়তে অসুবিধা হচ্ছে? আপনি যদি চায়না ভাষা বুঝতে না পারেন তবে স্বভাবতই তা পড়তে পারবেন না। এক্ষেত্রে এই ট্রান্সলেটর আপনাকে পড়ে শুনিয়ে দেবে এর উচ্চারণটা কী। সেটা করতে প্রথমে আপনার ভাষাটিকে কপি করে ট্রান্সলেটর বক্সে পেস্ট করুন। পরে বক্সের নিচের দিকে একটি স্পিকারের আইকন লক্ষ্য করুন। সেখানে ক্লিক করুন। দেখবেন আপনার কম্পিউটার আপনার ভাষাটি পড়ে শুনাচ্ছে। গুগল ট্রান্সলেটর কি মোবাইলে ব্যবহার করা যায়? হ্যাঁ অবশ্যই। আপনি সহজেই গুগল ট্রান্সলেটর টুলসটি আপনার মোবাইলে ব্যবহার করতে পারবেন। এ জন্য আপনার ব্রাউজার থেকে ভিজিট করে ঠিক একইভাবে কাজটি করবেন। বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য গুগল ট্রান্সলেটরের বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন নির্মাণ করা হয়েছে। আপনার মোবাইল যদি এই অপারেটিং সিস্টেম সমর্থন করে তবে আপনি সহজেই তা ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা প্রথমে গুগল প্লেস্টোরে প্রবেশ করে গুগল ট্রান্সলেটর নামে অ্যাপ্স অনুসন্ধান করবেন। এরপর ডাউনলোড। ঠিক একইভাবে আইফোনের অ্যাপস্টোরে অনুসন্ধান করেও আপনি গুগল ট্রান্সলেটর ডাউনলোড করে নিতে পারেন। সংশোধন এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় পরিবর্তনের সময় বেশ কিছু ত্রুটি দেখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে নিজে নিজের ভুলগুলো সংশোধন করে নিতে পারেন। শব্দটির ওপর কার্সর নিলেই সেটি হলুদ রঙ দিয়ে হাইলাইট হয়ে যাবে। তখন সেটা ক্লিক করে নিজের শব্দটি যোগ করে দিতে পারেন। তাই আর অপেক্ষা না করে এক্ষুনি ট্রান্সলেট করতে এই লিংকটিতে ক্লিক করুন- https://translate.google.com.bd বিশেষ দ্রষ্টব্য এটির মাধ্যমে ব্যাকরণগত বিষয়গুলো ভালোভাবে ধরা পড়বে না। কারণ এটি প্রতিটি ভাষার জন্য ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। টুলসটি প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে। তাই আগামীতে নিশ্চয়ই আরো উন্নত হবে। এর মাধ্যমে পুরো বিষয়টি পুরোপুরি অর্থবোধক না হলেও আপনি শব্দক্রম অনুসারে অর্থ বুঝতে পারবেন। আশা করছি আপনি ভাষাগত দিক থেকে আগামীতে আর কোনো সমস্যায় পড়বেন না। কারণ এখন বিশ্বের ৭২টি ভাষা থাকছে আপনার নখদর্পণে। দেখি আপনি কতটুকু শিখলেন? নিচের ভাষাকে বাংলায় রূপান্তর করে বলুন তো কী লেখা আছে? “Contact number Synchronization” ছবি থেকেই অনুবাদ করতে পারে গুগল ট্রান্সলেটর অ্যাপ্স বিদেশ বিভূঁইয়ে যাত্রার সময় অচেনা ভাষাকে নিজের ভাষায় অনুবাদ করার জন্য গুগল ট্রান্সলেটর এটি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন। মূলত ওয়েবেও এর অনেক ব্যবহার রয়েছে। সাধারণত যে লেখাটি বুঝতে পারছেন না সেটি কপি করে গুগল ট্রান্সলেটরে দিলেই আপনার পছন্দের ভাষায় তা অনুবাদ হয়ে যাবে। কিন্তু যাতায়াতের সময় রাস্তা বা রেস্টুরেন্টে যখন কোনো ছাপানো লেখা অনুবাদের প্রয়োজন হয় তখন আপনি কী করবেন? ঠিক সেই সময়ের কথা ভেবেই গুগল তাদের অ্যান্ড্রয়েডের ট্রান্সলেটর অ্যাপ্লিকেশনটি আপডেট করেছে। এখন আপনার অ্যান্ড্রয়েড ক্যামেরা দিয়েই যে লেখা অনুবাদ করতে চান তার ছবি তুলে গুগল ট্রান্সলেটর অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে আপনার পছন্দের ভাষায় তা অনুবাদ করতে পারবেন। প্রক্রিয়াটা বেশ সহজ। যখনই কোন কিছুর অনুবাদ করা দরকার হবে, গুগল ট্রান্সলেটর অ্যাপ্লিকেশনটি চালু করে সেই লেখার ছবি তুলবেন। এরপর যেই লাইনটি অনুবাদ করা দরকার, তার ওপর স্পর্শ করে ব্রাশ বা সোয়াইপ করলেই কিছুক্ষণের মধ্যে গুগল লেখাটি পড়ে তার অনুবাদ করে দেবে। আর সবসময়ের মতোই আপনি এই অনূদিত লেখাটি গুগল ট্রান্সলেটর ভয়েসের মাধ্যমে শুনতেও পারবেন। গুগল ট্রান্সলেটর এই ক্যামেরার মাধ্যমে অনুবাদ করার ক্ষমতা এখনও বেশ কয়েকটি ভাষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- চেক, ডাচ, ইংরেজি, পর্তুগিজ, ফরাসি, পোলিশ, জার্মান, ইতালিয়ান, রাশান, স্প্যানিশ এবং তুর্কিশ। গুগল জানিয়েছে আরও ভাষা যোগ করার জন্য তাদের টিম অনবরত কাজ করে যাচ্ছে। গুগল ট্রান্সলেটর এই সুবিধাটি বেশি কাজে আসবে, যখন আপনি বিদেশে ভ্রমণরত অবস্থায় কোনো রেস্টুরেন্টে খাবারের অর্ডার দিতে যাবেন অথবা যখন রাস্তার কোনো সাইনবোর্ড অথবা জাদুঘরের সামগ্রীর সামনে রাখা বোর্ডের লেখা ভাষা বুঝতে পারবেন না তখন। প্রায় একই ধরনের কাজের জন্য ওয়ার্ড লেন্স নামে আরেকটি জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন থাকলেও সেটি বিনামূল্যে পাওয়া যায় না। অন্য দিকে গুগল ট্রান্সলেটর অ্যাপ্লিকেশনটি অ্যান্ড্রয়েডের ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে গুগল প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। গুগল সার্চ টিপস; দ্রুত ও নিখুঁত ফলাফলের কিছু কৌশল গুগল হচ্ছে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সার্চ ইঞ্জিন। বিশ্বের ৯০%-এরও বেশি মানুষ অনলাইন সার্চের ক্ষেত্রে ভালো ফলাফলের জন্য শুধুমাত্র গুগলের মাধ্যমে সার্চ করে থাকেন। তবে মাঝে মাঝে এই খোঁজাখুঁজিই হয়ে ওঠে মহা বিরক্তিকর। কারণ গুগলের মাধ্যমে কাক্সিক্ষত ফলাফল পাওয়া অনেক সময় দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। কিন্তু কিছু সহজ কৌশল ব্যবহার করে অনেক দ্রুত ও কম সময়ে নিখুঁত ফলাফল পাওয়া সম্ভব। নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে অনুসন্ধান গুগল সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মধ্যে অনুসন্ধান করা যায়। আর এভাবে সার্চের ফলাফল শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকেই পাওয়া যায়। ধরা যাক আপনি   dailynayadiganta.com-সাইটের মোবাইলবিষয়ক তথ্যগুলো পেতে চাচ্ছেন। তাহলে সার্চ বারে লিখুন (মোবাইলsite: dailynayadiganta.com)ফলে গুগলের রেজাল্ট পেজে শুধুমাত্র নয়া দিগন্তের মোবাইল বিষয়ক তথ্যগুলো প্রদর্শিত হবে। আপনি চাইলে নির্দিষ্ট একটি ডোমেইন গ্রুপের অনুসন্ধান করতে পারেন। যেমন (পাসপোর্টsite:gov.bd), ফলে শুধুমাত্র gov.bd ডোমেইন থেকে ফলাফল আসবে। সার্চ বারে যেভাবে লিখবেন : বিষয়:site:...(আপনার সাইটের নাম)। ওয়েবসাইটে প্রবেশ আপনি কি এমন একটি সাইটে প্রবেশ করতে চান যেটা আপনার দেশে বন্ধ হয়ে আছে? এ ক্ষেত্রে গুগল আপনাকে সাহায্য করতে পারে। এভাবে করুন : সার্চ বারে যেভাবে লিখবেন :  cache: : আপনার ডোমেইন। উদাহরণ :  cache: dailynayadiganta.com গুগল ড্রাইভ এখন থেকে পেনড্রাইভ ব্যবহার খুব প্রয়োজন নেই। ব্যবহার করুন গুগল ড্রাইভ। Google ড্রাইভ হচ্ছে Google -এর একটি বিনামূল্যে অনলাইন স্টোরেজ সেবা। যার মাধ্যমে আপনি অনলাইনে আপনার কম্পিউটার থেকে ফাইল সংরক্ষণের মাধ্যমে যে কোন জায়গা থেকে তা ব্যবহার করতে পারবেন। Google ড্রাইভ Google -এর সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্ভিসের মধ্যে অন্যতম। Google  ড্রাইভ কী? এটি একটি ক্লাউড-ভিত্তিক সংগ্রহ সিস্টেম। গুগল ২০১২ সালের গুগল ড্রাইভে ডকুমেন্ট, ফটো, ভিডিও, এবং অন্যান্য ফাইলগুলি অনলাইনে রাখার সেবা চালু করে। আপনি যখনইGoogle ড্রাইভে ফাইল আপলোড করবেন তখন গুগল তা আপনার কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভের মত করে ইন্টারনেট সার্ভারে সংরক্ষণ করে। তখন আপনার ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই যে কোনো কম্পিউটার থেকে ফাইলগুলিতে অ্যাক্সেস করতে পারবেন। গুগল ড্রাইভের মাধ্যমে আপনি আপনার পরিবার, বন্ধু এবং সহকর্মীদের সাথে ফাইল শেয়ার করতে পারেন। যেমনটি এতদিন নিজের কম্পিউটারে রাখা ডকুমেন্টস পেনড্রাইভের মাধ্যমে ব্যবহার করেছেন। কেনGoogle  ড্রাইভ ব্যবহার করবেন? Google  ড্রাইভ বিনামূল্যে অনলাইন স্টোরেজ স্পেস পনেরো যা ১৫ গিগাবাইট (১৫ জিবি) দেয় তার প্রত্যেক জি-মেইল আইডিধারীকে। লাগবে শুধু একটি গুগল অ্যাকাউন্ট। আর কিছুই না। এখানে ফাইলগুলো একটি ইন্টারনেট সংযোগের সাথে থাকায় আপনি ই-মেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে যেকোনো কম্পিউটার থেকে তা ব্যবহার করতে পারবেন। এর কারণে আগের তুলনায় অনলাইনের কাজ অনেক সহজ হয়ে গেছে। কারণ ড্রাইভ ব্যবহার করে আপনি অন্যদের সাথে কাজ করতে পারবেন, ফাইল শেয়ারও করতে পারবেন যখন ইচ্ছা তখন। আগে যা পেনড্রাইভ দিয়ে করতে হতো। Google  ড্রাইভ চালুর পর ডকুমেন্টসের গোপনীয়তার বিষয়ে কিছু কথা হচ্ছে। যদিও এড়ড়মষব ড্রাইভ ফাইল সুরক্ষিত রাখে। তারপরও ক্লাউড ফাইল সংরক্ষণের কিছু ঝুঁকি থাকতেই পারে। এটা ফাইল সার্ভার থেকে হারিয়ে যেতে পারে অথবা অন্য কেউ দেখে ফেলার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাই বিবেচনা করুন কোন ফাইলগুলো ড্রাইভে রাখবেন। লেখক : এমফিল গবেষক

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির