post

দুর্নীতি বন্ধ করলে বিদ্যুৎ চালু হবে

জিবলু রহমান

০২ জুলাই ২০১৭
রাজধানীসহ সারাদেশে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও বিভ্রাট বেড়েছে। তীব্র গরমে বিদ্যুৎ না পেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কোথাও ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়া আবার কোথাও টানা চার-পাঁচ ঘণ্টার লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনগণ। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না থাকায় শিল্প উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। ফলে একদিকে পণ্যের উৎপাদনখরচ বেড়ে যাচ্ছে অন্যদিকে ঈদকেন্দ্রিক বিভিন্ন পণ্যের বিপুল চাহিদার বিপরীতে জোগান দেয়াও ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। গ্রীষ্মের শুরুতেই বাড়ছে লোডশেডিং। গরম শুরু হওয়ায় হঠাৎ করে বিদ্যুতের চাহিদা ৭ থেকে ৮ শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। আর তা সামাল দিতে বাড়ছে লোডশেডিং। লোডশেডিং বাড়ছে রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে। গরমের মৌসুমে এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াটের মত বিদ্যুতের লোডশেডিং হতে পারে। বিদ্যুৎ বিভাগ যেন বিকলাঙ্গ হয়েই জন্ম নিয়েছে। জনগণ কেবল জানতে চায় লোডশেডিং থেকে কবে রেহাই পাবেন। বিদ্যুৎ বিভাগ কোনো সহযোগিতা করছে না। বিদ্যুতের দুরবস্থায় গ্রাহকদের ক্ষোভ বাড়ছে। বিল না দিলে লাইন কেটে দেয়। কিন্তু বিদ্যুৎ সঠিকভাবে সরবরাহ না করলে তাদের কেউ কিছু বলে না। শিক্ষার্থীরাও বিদ্যুতের কারণে ঠিকমত লেখাপড়া করতে পারছে না। যাদের আইপিএস আছে তাদের অবস্থাও একই রকম। ঘনঘন বিদ্যুৎ গেলে এই যন্ত্রটি চার্জ হওয়ার মতো সময়ও পায় না। অভিযোগের পাহাড় রয়েছে শিল্পোদ্যোক্তাদের কাছে। এ নিয়ে বিজেএমইএ’র পক্ষ থেকে গার্মেন্ট খাতকে টিকিয়ে রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি করা হয়েছে বহুবার। বিদ্যুতের দুরবস্থা রাজধানীর চেয়ে গ্রামাঞ্চলে আরও অনেক বেশি। এ নিয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আরইবির বক্তব্য হচ্ছে, চাহিদার চার ভাগের এক ভাগ বিদ্যুৎ দিয়ে আমরা কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করবো?’ তদুপরি জাতীয় লোড ডিসপাস সেন্টার (এনএলপিসি) খেয়াল-খুশি মতো ৩৩ কিলোভোল্টের যে কোন লাইন রিমোট দিয়ে বন্ধ করে দিচ্ছে, আবার যখন খুুশি চালু করছে। এতে করে অনেক জেলা ও উপজেলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এমনকি অনেক জেলায় অবস্থিত কেপিআইভুক্ত জোন টানা কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের আওতায় চলে যায়। একই অবস্থা বিরাজ করছে ডিপিডিসি, ডেসকো ও পিডিবির গ্রাহকদের ক্ষেত্রেও। সরকার ও কোম্পানি-মুখী লোকজনের মুখে শুনি, ‘বিদ্যুৎও চাইবেন আবার বেশি দামও দেবেন না, তা কী করে হয়?’ উত্তরে সহজে বলা যায়, ‘হ্যাঁ, বিদ্যুৎও চাইব আবার বেশি দামও দেবো না। কারণ, কম দামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ খুবই সম্ভব।’ তবে নিশ্চয়ই, কমিশনভোগী তৎপরতা দিয়ে এটি সম্ভব হবে না। প্রতি বছর বিদ্যুৎ চুরি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অভিনব নাম ‘সিস্টেম লস’-এর ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে আর এ জন্য বাড়ছে বিদ্যুতের দাম। আর এ মূল্য বৃদ্ধির বোঝা নিতে হচ্ছে সাধারণ গ্রাহকদের। বিদ্যুতে সিস্টেম লস কমলে মূল্য বৃদ্ধির প্রয়োজন হতো না। এমনকি কোম্পানিগুলোরও ভর্তুকির প্রয়োজন হতো না। সিবিএ নেতা, মিটার রিডার, প্রকৌশলী, কর্মকর্তা, ঠিকাদার ও কিছু গ্রাহককে নিয়ে গঠিত একটি চক্র নির্বিঘেœ বিদ্যুৎ চুরি তথা সিস্টেম লসের জন্য দায়ী। এর সঙ্গে রয়েছে অবৈধ সংযোগ ও মিটার টেম্পারিং। আর সিস্টেম লসের নামে যে চুরি হয়, পরে তা বিক্রি করা হয় নিলামে। এদিকে বিদ্যুতে সিস্টেম লসের ক্ষেত্রে সরকারের বেঁধে দেয়া লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। বিতরণ ব্যবস্থাগুলো অনুন্নত হওয়ার কারণেই এমনটি হচ্ছে। সিস্টেম লস কমাতে দীর্ঘদিন ধরে দাতা সংস্থার পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের তাগাদা দিচ্ছে বিইআরসি। তবে লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জিত না হলেও বিগত অর্থবছরগুলোতে সিস্টেম লস কিছুটা কমেছে। সিস্টেম লস শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। কিন্তু এটি অর্জন নিয়ে রয়েছে ঘোর সংশয়। কারণ গত কয়েক বছরে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি। বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রয়োজন ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ। কিন্তু আগামী বছরের মধ্যে এটি সম্ভব নয়। জানা যায়, দেশের ২০ শতাংশ বিতরণ ব্যবস্থা ওভারলোডেড (ক্ষমতার চেয়ে চাহিদা বেড়ে যাওয়া) অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়া পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অনেক এলাকার বিতরণ লাইন নাজুক অবস্থায় রয়েছে। অতিরিক্ত চাপে প্রায়ই নষ্ট হচ্ছে ট্রান্সফরমার। মূলত ত্রুটিপূর্ণ ও জীর্ণ বিতরণ ব্যবস্থার কারণেই বেড়ে যাচ্ছে সিস্টেম লস। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) দিন-রাত মিলে তাদেরকে কমপক্ষে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা লোডশেডিং করতে হচ্ছে। এতে করে গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন। পরিস্থিতি জানিয়ে বাড়তি নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে। চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুৎ না পাওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। প্রচন্ড গরমে ট্রান্সফরমার গরম হয়ে যাওয়া; মাটির নিচ দিয়ে নেয়া ক্যাবল এবং ওপর দিয়ে নেয়া বৈদ্যুতিক লাইন গরম হয়ে যাওয়ায় নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এতে করেও বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘœতার সৃষ্টি হচ্ছে। গরমের কারণে এসি, ফ্যান, পানির মটর যেভাবে চলছে; তাতে করেও বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। আর ইজিবাইকের পাশাপাশি দেশের সর্বত্র যেভাবে রিকশায় বিদ্যুৎ খেকো ব্যাটারি ব্যবহার করা হচ্ছে-তাতে করেও বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগের নামে মাঠ পর্যায়ে গ্রাহকদের প্রায় ৫’শ কোটি টাকা আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের পকেটে ঢুকেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির নিয়মানুযায়ী ২০ টাকা দিয়ে একটি আবেদন ফরম ক্রয় করার কথা থাকলেও প্রতিটি সংযোগ পেতে গ্রাহকদের নিকট থেকে লাইন প্রতি হাতিয়ে নেয়া হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা করে। অবস্থা বুঝে ২০ হাজার টাকার বেশিও হাতিয়ে নিয়েছে অনেকে। স্থানীয় পর্যায়ে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা এসব টাকা নিয়েছে। গ্রাহকদের টাকা নেয়ার পর সংযোগ দিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করছেন এসব স্থানীয় নেতারা। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে দুই লাখ ৪৬ হাজার নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছিল। লাইন প্রতি গ্রাহকদের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা করে আদায় করা হলে প্রায় ৪৯২ কোটি টাকা পকেটে ঢুকেছে সংশ্লিষ্টদের। গ্রাহকদের এ টাকা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মাধ্যমে তোলা হয়। তবে ভাগবাটোয়ারা পেয়েছেন উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের নেতারাও। (সূত্র : দৈনিক সংগ্রাম ১২ মে ২০১৫) পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগের নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অনেক অভিযোগ রয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের কাছে। এমনকি এর সাথে সমিতির কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার নামও উঠে এসেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৯ মে ২০১৫ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম সম্মেলনে সহকারী মহাব্যবস্থাপকদের উদ্দেশে বলা হয়, বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং দালাল নির্মূলের লক্ষ্যে সকলকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে কোন ধরনের রাজনীতি করা যাবে না। সম্মেলনে বলা হয়, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রতিটি গ্রাহককে সমতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সংযোগ ও বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার পদ্ধতি সহজ এবং দ্রুত করার নির্দেশনা দেয়া হয়। এ ছাড়া গ্রাহকদের সেবার মান বাড়ানোর পরামর্শও দেয়া হয়। আতঙ্কের তথ্য হচ্ছে, অরক্ষিত টঙ্গীতে পিডিবির গোডাউন। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী এক বছরে এই গোডাউন থেকে ১০০ কোটি টাকার বেশি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম খোয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভিয়েতনাম থেকে জাইকার অর্থায়নে আনা প্রায় ৩০ কোটি টাকার তার। এর আগে দুই দফায় চুরি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকার বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। গোডাউন সংশ্লিষ্ট একটি সিন্ডিকেট, পিডিবির কতিপয় দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও স্থানীয় একটি শক্তিশালী চক্র চুরির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। (সূত্র : দৈনিক যুগান্তর, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪) সংঘবদ্ধ এই চক্রটি বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মূল্যবান মালামাল গোডাউন থেকে চুরি করে অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছে। চুরি করা এসব পণ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- বৈদ্যুতিক ক্যাবল, অ্যালুমিনিয়ামের তার, ইলেকট্রনিক্স মিটার, ট্রান্সফরমার অন্যতম। রাজধানীর অদূরে টঙ্গীতে পিডিবির ভান্ডার থেকে হরহামেশা এই চুরির ঘটনা ঘটছে। এর আগে অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং কাজে গতিহীনতার কারণে বিশ্বব্যাংকসহ উন্নয়ন সহযোগীরা বিভিন্ন প্রকল্প থেকে অর্থ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকেও উন্নয়ন সহযোগীরা সরে গেছে। পিডিবি কেন্দ্রীয় ভান্ডার, পুরো এলাকাটির বিশাল অংশজুড়ে অরক্ষিত। রাতের বেলায় এমনকি দিনের বেলায়ও প্রকাশ্যে ভান্ডার এলাকায় যে কেউ ঢুকে যেতে পারে। ভান্ডার এলাকায় যত্রতত্র হাজার হাজার কোটি টাকার মালামাল অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকতে থাকতে অনেক মূল্যবান পণ্যসামগ্রীর ওপর গাছ জন্মে গেছে। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে অনেক সামগ্রী নষ্ট হয়ে গেছে। বিশাল এলাকা পাহারা দেয়ার জন্য জনবল খুবই কম। একমাত্র মূল গেটে কয়েকজন সিকিউরিটি পাহারায় থাকলেও চারদিক অরক্ষিত। সিকিউরিটি গার্ডরা সাধারণত অপরিচিত গাড়িগুলো তল্লাশি করেন। কিন্তু অনেক সময় ভান্ডারের শীর্ষ কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারের সঙ্গে ট্রাক কিংবা গাড়ি নিয়ে ভেতরে যাচ্ছে এবং বের হচ্ছে। তখন তাদের গাড়ি তল্লাশি করা সম্ভব হয় না। এ সব গাড়িতে লুকিয়ে থাকা চোর সিন্ডিকেটের মূল টার্গেট হচ্ছে বিদেশী কোম্পানির সরবরাহকৃত মালামাল। অভিযোগ এক্ষেত্রে কোনো বিদেশী কোম্পানি তাদের মালামাল ভান্ডারে প্রবেশ করার দীর্ঘদিন পরও রহস্যজনক কারণে ইন্সপেকশন করে না। মালামালগুলো ফেলে রাখে ভান্ডারের বাইরে খোলা আকাশের নিচে। এরপর রাতের অন্ধকারে কার্টন খুলে অনেক মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এরপর দোষ চাপায় সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর। পরে এ নিয়ে কিছুদিন হইচই হলেও এক পর্যায়ে সবকিছু ধামাচাপা পড়ে যায়। এভাবে প্রতিনিয়ত কোটি কোটি টাকার গুরুত্বপূর্ণ মালামাল গোডাউন থেকে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। কখনও কখনও পুরো কনটেইনার গায়েব করে দিয়ে ওই জায়গায় দেশীয় তৈরি একই ধরনের মালামাল রেখে দিচ্ছে। উপরের মহলের যোগসাজশ থাকায় বেশির ভাগ সময় এসব চুরি থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। অভিযোগ গোডাউনকেন্দ্রিক এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে ভান্ডার কর্মকর্তা (গ্রহণ), স্টোরকিপার, ভান্ডার কর্মকর্তা (ইস্যু), উপপরিচালক স্টোরের যোগসাজশ রয়েছে। টঙ্গীর কেন্দ্রীয় ভান্ডারে পোস্টিং পাওয়ার জন্য কোটি কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হয়। লোভনীয় এসব পোস্টে একবার নিয়োগ পেলে ওইসব কর্মকর্তা-কর্মচারী রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যান। পিডিবির কেন্দ্রীয় ভান্ডারের একজন পিয়ন-চাপরাশি ও সিকিউরিটি গার্ডও কোটি টাকার মালিক। [email protected]

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির