post

মদিনা তায়্যিবা : মর্যাদাপূর্ণ এক বরকতময় নগরী

যোবায়ের বিন জাহিদ

২৮ ডিসেম্বর ২০১৫
মদিনা তায়্যিবা, কী পবিত্র, কী সুন্দর একটি নাম! শোনামাত্রই হৃদয়ের আয়নায় ভেসে ওঠে এক শান্তিপূর্ণ নগরীর ছবি। অনির্বচনীয় আনন্দে এক অপূর্ব হিল্লোল দোল খেয়ে যায় হৃদয়তন্ত্রীতে। প্রেম, ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাবোধে ভরে যায় মন। আবেগের উচ্ছ্বাসে যেন হারিয়ে যাই কল্পনার রাজ্যে। কল্পপাখায় ভর করে হলেও যেন মন যেতে চায় পবিত্র সে ভূখন্ডে। স্বপ্নের সেই নগরীতে। প্রতিটি মুমিন হৃদয়েই রয়েছে মদিনার প্রতি অসীম ভালোবাসা ও গভীর শ্রদ্ধাবোধ। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর অসংখ্য সাহাবায়ে কেরামের মুবারক স্মৃতিবিজড়িত পবিত্র এ নগরীর জিয়ারত প্রতিটি মুমিনেরই স্বপ্ন ও প্রত্যাশা। তবে পবিত্র হজের এ মাসগুলোতে নবীপ্রেমিকদের হৃদয় খুব বেশি ব্যাকুল হয়ে ওঠে জিয়ারতে মদিনার জন্য। অস্থির হয়ে ছটফট করতে থাকে প্রিয়নবীর কদম মুবারকে সালাম জানানোর আশায়। তাই এ মুহূর্তে প্রিয়নবীর প্রিয় শহর মদিনা তায়্যিবার আলোচনা হতে পারে তাদের অস্থির হৃদয়ের স্বস্তি ও অশান্ত হৃদয়ের সান্ত্বনা। এ নিবন্ধে মদিনা তায়্যিবা এবং তার অতুলনীয় মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্যের মৌলিক দিকগুলো সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরার প্রয়াস পাবো। এক. প্রিয় জন্মভূমি মক্কায় যখন প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দীন প্রচারের কারণে মক্কার কাফেরদের ষড়যন্ত্রের পাত্র হলেন। পথভোলা মানুষদেরকে মুক্তির পথে আহ্বানের কারণে গোটা আরব যখন ক্ষুধার্ত নেকড়ের নগর তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্যত হলো। কোনভাবেই যখন মক্কায় দীনের দাওয়াত দেয়া সম্ভব হচ্ছিলো না। তখন আল্লাহ তাআলার আদেশে তিনি মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করেন। তখন মদিনার নাম ছিলো ইয়াসরিব। সে সময় তা এত শান্তিপূর্ণ ছিল না। ছিল না এত ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ। কিন্তু শহরটি ছিলো বড় সৌভাগ্যবান। এবং সৌভাগ্যবান ছিলো তার অধিবাসীরাও। সানন্দে গ্রহণ করে নিলো তারা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে। কচি কচি ছেলেমেয়েরাও আনন্দের তরঙ্গে দোল খেয়ে খেয়ে সমকণ্ঠে গেয়ে উঠলো অপূর্ব এক স্বাগতম সঙ্গীত। “তলা’আল বাদরু আলাইনা...” “ঐ দেখ চেয়ে, মদিনার আকাশে আজ উদিত হয়েছে পূর্ণিমার চাঁদ।” প্রিয়নবীর শুভাগমনে ধন্য হলো ইয়াসরিব নগরী। ধন্য হলো তার অধিবাসীরাও। দূর হলো সকল অন্যায়-অরাজকতা। ন্যায় ও ইনসাফের সুবাতাস ছড়িয়ে পড়লো চারিদিকে। প্রিয়নবীর পদস্পর্শে উষার মরুর তপ্ত বালুও যেন মুক্তায় পরিণত হলো। সবুজ সজীব হয়ে উঠলো চারিদিক। ফুল-ফল ও ফসলে ভরে গেলো মাঠ-প্রান্তর। তখন থেকেই ইয়াসরিব নগরীর নাম হলো সোনার মদিনা। মদিনাতুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। দুই. মদিনা তয়্যিবা অতুলনীয় মর্যাদা ও অগণিত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ নগরী। তার সবচেয়ে বড় ফজিলত ও মর্যাদা হলো, এ পুণ্যভূমিতেই সবুজ গম্বুজের ছায়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন নিখিল সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানব, আল্লাহর প্রিয় হাবিব, সায়্যিদুল মুরসালিন, রাহমাতুল্লিল আলামিন রাসূলে আরাবি হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাঁর পবিত্র দেহ মুবারক বুকে ধারণ করে মদিনা আজ চিরধন্য চির-অনন্য। তিন. প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সবচেয়ে প্রিয় ভূমি ছিলো এই মদিনা তায়্যিবা। কোন সফর থেকে প্রত্যাবর্তনকালে মদিনার কাছাকাছি পৌঁছে তিনি উটের গতি বাড়িয়ে দিতেন এবং মদিনায় পৌঁছার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়তেন। কারণ মদিনায় পৌঁছে তার হৃদয় শীতল হতো। তিনি বলতেন, আহ! কী মনোমুগ্ধকর মদিনার এই বাতাস! মদিনার যে ধুলাবালু তার মুখে এসে পড়তো তা তিনি দূর করতেন না। এতেই বুঝা যায় মদিনা তায়্যিবার প্রতি প্রিয়নবীর মুহাব্বত কত গভীর ছিলো। প্রিয়নবীর এই মুহাব্বত মদিনার ফজিলত ও মর্যাদার অন্যতম প্রধাণ কারণ। চার. প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতদের মদিনায় অবস্থানের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন। এ পবিত্র নগরীকে আবাসস্থল বানাতে এবং এতে মৃত্যু কামনা করতেও উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি বলেছে, “যে ব্যক্তি একনিষ্ঠভাবে আমার কবর জিয়ারত করবে কিয়ামতের দিন সে আমার পাশে থাকবে। আর যে ব্যক্তি মদিনাতে বসবাস করবে এবং তার বিপদাপদের ওপর ধৈর্য ধারণ করবে কিয়ামতের দিন তার জন্য আমি সাক্ষী ও সুপারিশকারী হবো। আর যে ব্যক্তি দুই পবিত্র নগরীর (মক্কা-মদিনা) যে কোন একটিতে মৃত্যুবরণ করবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকে নিশ্চিন্ত করে উঠাবেন।” (বাইহাকি, মেশকাত, পৃ. ২৪১) অন্য একটি হাদিসে বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যার পক্ষে সম্ভব হয় সে যেন মদিনায় মৃত্যুবরণ করে। কেননা যে ব্যক্তি মদিনায় মৃত্যুবরণ করবে আমি তার জন্য সুপারিশ করবো।” (সহিহ ইবনে হিব্বান : ৩১৪১) পাঁচ. পবিত্র মদিনার ফলমূলেও রয়েছে রোগ নিরাময়ের বৈশিষ্ট্য। মদিনার ধুলাবালি ও মাটি ব্যবহার করে অনেকের রোগমুক্তির ঘটনাও জানা যায়। শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলবি রহ: বলেন, আমি নিজেও মদিনার মাটি দ্বারা চিকিৎসার বিষয়টি পরীক্ষা করছি। মদিনায় অবস্থানকালে একবার আমার পা প্রচন্ড ফুলে যায়। চিকিৎসকেরা সর্বসম্মতভাবে এ রোগকে দুরারোগ্য ব্যাধি এবং মৃত্যুর কারণ বলে মন্তব্য করেন। এরপর আমি এই পবিত্র মাটি দ্বারা চিকিৎসা শুরু করি। আর অল্পদিনের মধ্যেই আমার পা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে। মদিনা তয়্যিবায় ‘আজওয়া’ নামক এক বিশেষ খেজুর রয়েছে। এ খেজুরগুলো অনেক উপকারী। হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি সকালে সাতটি ‘আজওয়া’ খেজুর ভক্ষণ করবে সেদিন কোন প্রকার বিষ ও জাদু তার ক্ষতি করতে পারবে না।” (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত : পৃ. ৩৬৪) প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনাকে জ্বরমুক্ত করার জন্য আল্লাহ তা’আলার কাছে দোয়া করেছিলেন। হাদিসে এসেছে, হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন (আমার পিতা) আবু বকর রা. ও বেলাল রা. জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়লেন। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গিয়ে জানালাম। তখন তিনি দুআ করলেন হে আল্লাহ! আপনি আমাদের অন্তরে মদিনার ভালোবাসা ঢেলে দিন মক্কার প্রতি আমাদের ভালোবাসার মত; এমনকি তার থেকেও বেশি, মদিনাকে স্বাস্থ্যকর করুন, আমাদের জন্য তার ছা ও মুদে (দু’টি পরিমাপক) বরকত দান করুন এবং তার জ্বরকে স্থানান্তরিত করে ‘জুহফায়’ পতিত করুন।” (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত : পৃ. ২৩৯) ছয়. মদিনা তায়্যিবা একটি বরকতপূর্ণ নগরী। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার বরকতের জন্য মহান আল্লাহ নিকট প্রার্থনা করে বলেছিলেন, “হে আল্লাহ! আপনি মক্কায় যে বরকত দান করেছেন তার দ্বিগুণ বরকত মদিনায় দান করুন।” (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত : পৃ. ২৪০) অন্য একটি হাদিসে এসেছে, মদিনার লোকেরা গাছে প্রথম ফল এলে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে নিয়ে আসতেন। এরপর তিনি তা হাতে নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন- হে আল্লাহ! আপনি আমাদের ফলমূলে বরকত দান করুন, আমাদের মদিনায় বরকত দান করুন, আমাদের ছায়ে বরকত দান করুন, আমাদের মুদে বরকত দান করুন। হে আল্লাহ! ইবরাহিম তোমার বান্দা, খলিল ও নবী। আমিও তোমার বান্দা ও নবী। তিনি মক্কায় বরকতের জন্য তোমার কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। আমি মদিনায় বরকতের জন্য তোমার কাছে প্রার্থনা করছি যেরূপ তিনি মক্কার জন্য করেছিলেন।” (মুসলিম, মেশকাত : পৃ. ২৩৯) সাত. আসমানের পবিত্র ফেরেশতারা সর্বদা পবিত্র এ ভূখন্ডের প্রহরায় নিয়োজিত রয়েছেন। দাজ্জালের আবির্ভাবের পর পৃথিবীবাসী যখন তার ভয়ে ভীত থাকবে। তার ফেতনা যখন ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বময়। পৃথিবীর সর্বত্র বিচরণ করতে সক্ষম হলেও তখন সে পবিত্র মদিনায় প্রবেশ করতে পারবে না। হাদিস শরিফে আছে, “মক্কা ও মদিনা ব্যতীত এমন কোন শহর নেই যা দাজ্জালের পদার্পণে বিপর্যস্ত হবে না। মক্কা-মদিনার প্রতিটি ফটকেই ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধ হয়ে পাহারা দিচ্ছেন। সুতরাং দাজ্জাল ‘সাবখায়’ অবতরণ করবে। তখন মদিনা তার অধিবাসীদেরসহ তিনবার কেঁপে উঠবে। আর সকল কাফের ও মুনাফিক মদিনা ছেড়ে দাজ্জালের দিকে চলে যাবে। (বুখারী, হাদিস : ১৮৮১, মুসলিম, হাদিস : ২৯৪৩) আর একটি হাদিসে আছে, “মদিনায় দাজ্জালের প্রভাব পৌঁছবে না। সেদিন মদিনার সাতটি ফটক থাকবে। প্রতিটি ফটকে দু’জন করে ফেরেশতা পাহারা দেবেন।” (বুখারী হা. ১৮৭৯, মুসনাদে আহমাদ : ৫/৪৭) আট. এ পবিত্র নগরীতে কোন পাপিষ্ঠ আশ্রয় পায় না। এ প্রসঙ্গে হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদিসÑ “একবার এক বেদুইন মদিনার অধিবাসী হওয়ার জন্য প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাতে বায়আত গ্রহণ করলো। এর পরেই সে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়লো। তখন সে প্রিয়নবীর কাছে এসে বললো, হে মোহাম্মদ! আমার বায়আত পত্যাহার করুন। প্রিয়নবী অস্বীকার করলেন। এরপর সে আবার এসে বললো, আমার বায়আত প্রত্যাহার করুন। প্রিয়নবী অস্বীকার করলেন। এরপর সে পুনরায় এসে বললো, আমার বায়আত প্রত্যাহার করুন। প্রিয়নবী এবারও অস্বীকার করলেন, তখন বেদুইন লোকটি মদিনা থেকে বের হয়ে গেলো। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, পবিত্র মদিনা হলো স্বর্ণকারের অগ্নিকুন্ডের মত। তা যেমন স্বর্ণের গায়ে কোন খাদ থাকতে দেয় না তেমনিভাবে মদিনাও তার মাঝে আবর্জনা (পাপিষ্ঠকে) থাকতে দেয় না। সে কেবল নির্ভেজালকেই তার বুকে আশ্রয় দেয়।” (বুখারি, হাদিস ১৮৮৩, মুসলিম হা. ১৩৮৩) নয়. পবিত্র মদিনা থেকেই বিশ্ব মানবতার শান্তি ও মুক্তির ধর্ম ইসলামের গৌরবদীপ্ত অভিযাত্রা শুরু হয়েছিলো। এখানে সর্বদা আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহ ও রহমত বর্ষিত হতে থাকে। পবিত্র এ শহরে নেক আমলের সওয়াবও অনেকগুণ বেশি। এখানে রমজানের একমাস রোজা রাখার সওয়াব অন্যান্য শহরে অবস্থান করে এক হাজার মাস রোজা রাখার সওয়াবের সমান এবং পবিত্র মদিনা শরিফে একবার রোজা রাখার সওয়াবের সমান। এবং মদিনা শরিফে একবার জুমুআর নামাজ আদায়ের সওয়াব অন্যান্য শহরে এক হাজার জুমুআর নামাজ আদায়ের সমান। এমনিভাবে এখানে যে নেক আমলই করা হোক তার প্রতিদান অন্যান্য শহরে অবস্থান করে কৃত আমলের চেয়ে এক হাজার গুণ বেশি। কোন কোন বর্ণনায় পঞ্চাশ হাজার গুণের কথাও রয়েছে। দশ. এ মদিনাতেই রয়েছে উহুদ পাহাড়ের মত ঐতিহাসিক ও বৈশিষ্ট্যময় পাহাড়। এ পাহাড়ের প্রতি প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছিল গভীর ভালোবাসা। সফরে যাওয়ার পথে এবং মদিনায় ফেরার পথে বারবার তিনি এ পাহাড়ের দিকে মহব্বতের দৃষ্টিতে তাকাতেন আর বলতেন, ‘এ পাহাড় আমাদেরকে ভালোবাসে আমরাও তাকে ভালোবাসি।’ আর প্রিয়নবীর হুজরা মুবারক ও মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থান, যাকে তিনি ‘রওজাতুম মিন রিয়াযিল জান্নাহ’ বলে ঘোষণা করেছেন, সেই জান্নাতি বাগিচার টুকরো এবং জান্নাতুল বাকির মত ফজিলতপূর্ণ কবরস্থানও রয়েছে এখানে। মদিনা তায়্যিবার এ অনন্য বৈশিষ্ট্যও অতুলনীয় মর্যাদার কারণেই যেন হযরত ওমর রা. দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! তোমার পথে আমাকে শাহাদাত দান করো এবং তোমার হাবিবের শহরে আমাকে মৃত্যু দান করো। লেখক : প্রাবন্ধিক, শিক্ষার্থী : বাইতুস সালাম মাদরাসা, উত্তরা, ঢাকা

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির