post

আশুরা : দ্বীন প্রতিষ্ঠার কর্মীদের প্রেরণাময় ইতিহাস । প্রফেসর তোহুর আহমদ হিলালী

৩১ আগস্ট ২০১৯

আশুরা : দ্বীন প্রতিষ্ঠার কর্মীদের প্রেরণাময় ইতিহাস । প্রফেসর তোহুর আহমদ হিলালীবহু ঘটনার নীরব সাক্ষী মুহাররম মাসের ১০ তারিখ অর্থাৎ আশুরা। পৃথিবীর সৃষ্টি এবং আদম (আ) থেকে শুরু করে অনেক নবী-রাসূলের স্মৃতিবিজড়িত এ আশুরার দিনটি। আবার এ সৃষ্টির লয়ও (কিয়ামত) হবে এ আশুরায়। ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের নিকট আশুরা বেশ পবিত্র। রাসূল (সা) মদীনায় হিজরত করার পর দেখেন যে ইহুদিরা আশুরাকে পবিত্র জ্ঞান করে রোযা রাখে। রাসূল (সা) বলেন, মূসা (আ) আমার ভাই এবং তোমরাও আশুরায় রোজা রাখ। তবে ইহুদিদের সাথে পার্থক্য করার জন্য আশুরার আগে বা পরে একদিন যোগ করে নাও। দ্বিতীয় হিজরিতে রমযান মাসে রোযা ফরয হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আশুরার রোযা ফরয হিসেবেই পালন করা হতো। এমনিতেই মুসলমানদের নিকট মুহাররম, রজব, জিলকদ ও জিলহজ মাস পবিত্র ছিল। এ সময়ে যুদ্ধবিগ্রহ নিষিদ্ধ। জাহেলিয়াতের সময়ও এ মাসগুলো মেনে চলা হতো। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা জেনে রাখ, এ চারটি মাস বড় ফজিলত ও বরকতপূর্ণ। তোমরা এ মাসগুলোতে পাপাচার করে নিজেদের ওপর জুলুম করো না।’ আশুরা আমাদের নিকট এত গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ হওয়ার কারণ হলো এ দিনেই (৬১ হিজরির ১০ মুহাররম) আমাদের প্রিয়তম নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রা) সপরিবারে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনী কর্তৃক নির্মমভাবে শাহাদৎ বরণ করেন। এ ঘটনা এত মর্মস্পর্শী ও হৃদয়বিদারক যে কিয়ামত পর্যন্ত মুসলমানদের অন্তরকে তা নাড়া দিবে এবং এর আবেদন কখনও ফুরিয়ে যাবে না। তিনি যুদ্ধের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলেন না, তাঁর সাথে ছিলেন তাঁর পরিবারের নারী-শিশুসহ মাত্র ৭২ জন সঙ্গী-সাথী। সেদিন একটি অসম যুদ্ধে ইমাম পরাস্ত ও শহীদ হয়েছিলেন এবং ইয়াজিদ জয়ী হয়েছিল। সত্যিই কি তাই? ইতিহাস তা বলে না, বরং ইমাম হোসাইনই সেদিন জয়ী হয়েছেন এবং তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে স্বৈরশাসনের মোকাবেলা করে জীবন দিতে হয়। শাহাদতের পর থেকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভক্তির সাথে মুসলিম উম্মাহর নিকট তিনি স্মরণীয় হয়ে আসছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত থাকবেন। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি বিপ্লবীদের প্রেরণার উৎস। কোন মুসলমান তার সন্তানদের নাম ইয়াজিদ রাখে না, বরং হোসেন বা হোসাইন নামটা সাধারণ নাম হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। ইমাম হোসাইন ও তাঁর পরিবারের সাথে নিজেকে সম্পর্কিত করা বা ভালোবাসতে পারাকে গর্বের বিষয় হিসেবে মনে করা হয়। আর করবেই বা না কেন, ইমাম হাসান ও হোসাইন তো জান্নাতের সরদার। পক্ষান্তরে সকল স্বৈরশাসনকে ইয়াজিদি শাসন হিসেবে আখ্যায়িত করে এ কথায় বুঝাতে চায় যে, এ স্বৈরাচারের পাপের একটি অংশ ইয়াজিদ ও তার সাঙ্গোপাঙ্গদেরকেও বহন করতে হবে। কারবালার এ বিয়োগান্ত ঘটনার পর সর্বত্র বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে মক্কা-মদিনার মানুষ তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করে। ইয়াজিদ মক্কা-মদিনা আক্রমণ করে অনেককে শহীদ করে এবং কাবা শরিফে আগুন ধরিয়ে দেয়। যেদিন সে কাবা শরিফে আগুন দিয়েছিল সেদিনই ইয়াজিদ এক অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে দামেস্কে মারা যায় এবং তার অনুসারীরা এক অজ্ঞাত স্থানে তাকে কবর দেয়, যার সন্ধান আজও কেউ পায়নি। তার মৃত্যুর পর তার ছেলে মুয়াবিয়া আসগর জনগণের বাইয়াত গ্রহণে রাজি হননি এবং ৪০ দিন পর তিনি মারা যান। কারবালা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী তার অনুসারীদের মধ্যে আমর বিন সাদ (সেনাপতি) ও তার ছেলের মাথা কেটে মদিনায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। হাওলা বিন ইয়াজিদকে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে শূলে চড়ানো হয়, সীমারকে দু’টুকরো করে লাশ কুকুরকে দেয়া হয়, হাকিম বিন তোফাইলের মস্তক বিচ্ছিন্ন করে বর্শার অগ্রভাবে উঠিয়ে গভর্নরের সম্মুখে আনা হয়, জায়েদ বিন রেকাতকে ধরে এনে জীবিত জ্বালিয়ে দেয়া হয়, উমর বিন সবি ও আমর বিন সবিকে তীর ও বর্শার আঘাতে হত্যা করা হয়। নরাধম ইবনে জিয়াদের (কুফার গভর্নর) সম্মুখে ইমাম হোসাইন (রা)-এর মস্তক আনা হয়েছিল। পরবর্তীতে যুদ্ধের মাধ্যমে তাকে পরাস্ত করার পর তাকে হত্যা করে মস্তক বর্শার অগ্রভাগে নিয়ে গভর্নর মুখতার সকফির সম্মুখে আনা হয় ও দেহ জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এ সবই ছিল জালেমের উপযুক্ত প্রাপ্তি। জালেমের শাস্তি অবশ্যম্ভাবী। রাসূল (সা) স্বয়ং বলে গেছেন মজলুম ও আল্লাহর মধ্যে কোনো আড়াল নেই। মজলুমের দোয়া আল্লাহর দরবারে গৃহীত হয়। কিন্তু ইতিহাসের শিক্ষা এই যে, মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। এখন প্রশ্ন- রাষ্ট্রযন্ত্রে এমন কী পরিবর্তন হতে যাচ্ছিল যাতে ইমাম হোসাইন শুধু তাঁর নিজের জীবনই নয়, সাথে থাকা নারী-শিশুসহ সকলের জীবনকে তিনি বিপন্ন করে তুললেন। ক্ষমতার লোভ বা কোন বৈষয়িক স্বার্থে তিনি এমনটি করেছেন, সর্ষেকণা ঈমান আছে এমন কোন মুসলমান তা বিশ্বাস করে না। কারণ তাঁর ও তাঁর পরিবারের তাকওয়া-পরহেজগারি সর্বজনবিদিত। ইয়াজিদের ক্ষমতারোহণ এমন একটি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়েছে যা ইমাম হোসাইনের মতো প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি মেনে নিলে সেটাই হতো নিয়ম এবং কোনো স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলাটা হতো গুনাহের কাজ। ইসলাম নিছক কোনো আচার-অনুষ্ঠানসর্বস্ব ধর্ম নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যস্থা এবং এ জীবনব্যবস্থা দাবি করে যে, সকল দ্বীন বা জীবনব্যবস্থার উপরে একে বিজয়ী করে দিতে। ফলে কে শাসক হবে বা কাকে শাসক নির্বাচন করা হবে তা ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলাম রাজতান্ত্রিক বা স্বৈরতান্ত্রিক কোনো ব্যবস্থার স্বীকৃতি দেয় না। ইসলামের দৃষ্টিতে শাসককে হতে হবে জনগণের আস্থাভাজন। বর্তমানের মতো ভোটের ব্যবস্থা না থাকলেও রাসূল (সা)-এর ইন্তেকালের পর চারজন খলিফা নির্বাচিত হয়েছেন জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে এবং বিষয়টি এতই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, রাসূল (সা)-এর ইন্তেকালের পর তাঁর দাফন-কাফনের চেয়ে পরবর্তী খলিফা নির্বাচনই ছিল সাহাবায়ে কেরামদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, আলী (রা)-এর খেলাফতের শেষের দিকে সিরিয়ার গভর্নর আমির মুয়াবিয়া (রা)-এর সাথে খলিফার মতবিরোধ দেখা দেয়, এমনকি সেখানে যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এমনি অবস্থায় আলী (রা) শাহাদৎ বরণ করলে মুয়াবিয়া (রা) নিজেকে খলিফা ঘোষণা করেন। উম্মাহর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি না করার লক্ষ্যে এবং আল্লাহর রাসূল (সা)-এর একজন নিকটতম সাহাবী ও শাসক হিসেবে যোগ্যতার কারণে ইমাম হাসান (রা)সহ মোটামুটি সবাই তাঁকে মেনে নেন। সে সময়ে একটি চুক্তিও হয় যে, তাঁর ইন্তেকালে পরবর্তী শাসক নির্বাচিত হবেন পূর্ববর্তী খলিফাদের নিয়মানুসারে। মুয়াবিয়া (রা) খলিফা হিসেবে পরিচিত না হয়ে আমির হিসেবে ইতিহাসে পরিচিতি লাভ করেন। কিন্তু আমির মুয়াবিয়া (রা) তাঁর ইন্তেকালের পূর্বে পরবর্তী খলিফা বা আমির হিসেবে তাঁর ছেলেকে মনোনীত করে যান। ইসলামের গণতান্ত্রিক ধারা ক্ষুণ্ণ হয়ে রাজতান্ত্রিক ধারা শুরু হয়। ইয়াজিদ ক্ষমতারোহণের পর জোরপূর্বক বাইয়াত গ্রহণের জন্য সচেষ্ট হন। ইমাম হোসাইন (রা)সহ মক্কা-মদিনার লোকজন বাইয়াত গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় এবং মক্কা-মদিনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ ইমাম হোসাইন (রা)-এর হাতে বাইয়াত হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। কুফাবাসীরা বাইয়াত গ্রহণের জন্য তাঁকে কুফায় আমন্ত্রণ জানালে তিনি তাঁর সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে কুফা অভিমুখে রওয়ানা হন এবং পথে কারবালায় এ বিয়োগান্ত ঘটনা ঘটে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিলুপ্তির ফলে যে সব পরিবর্তনের সম্ভাবনা ইমাম তাঁর দূরদৃষ্টির ফলে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন সেটাই সত্য হয়েছে যা আজও অব্যাহত রয়েছে। প্রথমত: ইসলামের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় শাসককে আল্লাহ ও তাঁর জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। রাসূল (সা)-এর পর পরবর্তী খলিফারা সেভাবে শাসনকার্য পরিচালনা করেছেন। তাঁরা কখনই জনগণের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে ভয় পেতেন না। উমর (রা)-এর মত খলিফা যাঁকে সবাই ভয় ও সমীহ করে চলতো তাঁকেও মসজিদে তাঁর নাগরিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে হতো। কিন্তু রাজতান্ত্রিক বা স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শাসকরা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে শাহি মসজিদে নামায আদায় করতেন। দ্বিতীয়ত: ইসলামিক ব্যবস্থাপনায় শাসনকার্য পরিচালিত হবে পরামর্শের ভিত্তিতে এবং পরামর্শ প্রদানের জন্য সমাজের যোগ্যতম লোকদেরকে জনগণ বাছাই করে দেয়। পক্ষান্তরে রাজতান্ত্রিক বা স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় শাসক চাটুকারবেষ্টিত থাকে। সেখানে স্বাধীনভাবে পরামর্শদানের কোনো সুযোগ থাকে না। তৃতীয়ত: ইসলামিক ব্যবস্থাপনায় বায়তুলমালের মালিক হয় জনগণ এবং শাসক হন রক্ষক বা পাহারাদার। পক্ষান্তরে স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বায়তুলমাল শাসক কুক্ষিগত করে এবং তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে পরিবার, বংশ বা দলীয় লোকদের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়। চতুর্থত: ইসলামিক ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্র বা সরকারের মৌলিক কাজ হলো ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের প্রতিরোধ। জনগণকে সকল প্রকার জুলুম-নির্যাতন থেকে সুরক্ষা দানই রাষ্ট্রের প্রধান কাজ। কিন্তু স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্র নিজেই উৎপীড়কের ভূমিকা পালন করে। শাসক রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ভিন্ন মতাবলম্বী বা তার প্রতিপক্ষকে জব্দ করে থাকে। পঞ্চমত: ইসলামই প্রথম একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা পেশ করে যেখানে মানুষ সব ধরনের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা ভোগ করে। তাই উমর (রা)-কে বলতে হয়েছিল- “মানুষ কেন ফোরাতের কূলে একটি কুকুরও যদি না খেয়ে মারা যায় তাহলে উমরকেই জবাবদিহি করতে হবে”। স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় শাসকের কোনো জবাবদিহিতা নেই। ষষ্ঠত: ইসলামিক ব্যবস্থাপনায় বিচারবিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। সেখানে খলিফাকেও কাজির সামনে জবাবদিহি করতে হতো। পক্ষান্তরে রাজতান্ত্রিক বা স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় শাসকের অধীন বিচারবিভাগ। তার মর্জিবিরোধী বিচার করার কোনো সুযোগ বিচারকের নেই। ইসলাম একটি রাষ্ট্রীয় দ্বীন। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত না থাকলে ইসলামের কল্যাণকারিতা থেকে মানুষ বঞ্চিতই থেকে যায়। তাই সকল নবী-রাসূলকে আল্লাহতায়ালা তাঁর দেয়া দ্বীন প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব দিয়েই দুনিয়ায় প্রেরণ করেন এবং এ ব্যাপারে মতপার্থক্য করার কোনো সুযোগ নেই। সমসাময়িক শাসকগোষ্ঠী ও তাদের তাঁবেদাররা প্রচণ্ডভাবে নবী-রাসূল ও ঈমানদারদের বিরোধিতা করেছে। তাই ইতিহাসের সাক্ষ্য হলো ইবরাহিম (আ)-এর সাথে নমরুদ, মূসা (আ)-এর সাথে ফেরাউন, মুহাম্মদ (সা)-এর সাথে আবু জেহেল-আবু লাহাব, হোসাইন (রা)-এর সাথে ইয়াজিদ-এর দ্বন্দ্ব সংগ্রাম এবং বর্তমান যুগেও এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। যেমন- মিসরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড. মুরসিকে উৎখাত করে স্বৈরশাসক জেনারেল সিসির ক্ষমতাদখল ও ঈমানদারদের প্রতি চরম জুলুম-নির্যাতন। এ নির্যাতন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বব্যাপী। এ নির্যাতনের পেছনে কারণ একটাই-আল্লাহর ভাষায়-‘তাদের অপরাধ এই যে তারা পরাক্রমশালী আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে।’ সেদিন আপাতত মনে হয়েছিল ইমাম হোসাইন (রা) পরাস্ত হয়েছেন। না, ইমাম ও তাঁর সাথীরা অমরত্ব লাভ করেছেন, আর ইয়াজিদ ধ্বংস হয়েছে ও সকল প্রকার স্বৈরশাসনের প্রতীক হয়ে অভিশাপ কুড়াচ্ছে। আর পরকালের শাস্তি তো আছেইÑ ‘যারা ঈমানদার নর ও নারীকে কষ্ট দেয়, অতঃপর তাওবা করে না, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব, আছে ভস্ম হওয়ার শাস্তি।’ এবারের আশুরার প্রাক্কালে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন আমাদেরকে ইমাম হোসাইন (রা)-এর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে সকল অপশাসন মোকাবেলার শক্তি-সাহস দান করেন। আমিন।

লেখক : প্রাবন্ধিক

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির