post

একজন সাধারণ নাগরিকের বাজেট ভাবনা । মো: কামরুজ্জামান (বাবলু)

০৮ জুলাই ২০১৯

একজন সাধারণ নাগরিকের বাজেট ভাবনা । মো: কামরুজ্জামান (বাবলু)গ্রামের এক রাস্তার পাশে ছোট্ট একটি চায়ের দোকানে বসে কয়েকজন চা পান করছেন। দুধ ছাড়া শুধু চিনি দিয়ে যে চা খাওয়া তাকে তারা রং চা বলছেন, যেমনটি দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও বলতে শোনা যায়। দোকানের মানুষগুলো সাধারণত এখানে এসে রং চায়ে শক্ত টোস্ট বিস্কুট ভিজিয়ে খান আর গ্রাম্য রাজনীতি নিয়ে আলাপ করেন, শহরের মানুষের ভাষায় যাকে বলা হয় ভিলেজ পলিটিকস। তবে, কালেভদ্রে এই মানুষগুলো জাতীয় রাজনীতি এমনকি আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়েও কথা বলেন। আর এ কারণেই এখনও গ্রামবাংলার মানুষের কাছে ‘সাদ্দাম-বুশের যুদ্ধ’ খুব একটা অপরিচিত কিছু নয়। তবে বিগত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর গ্রামের মানুষগুলোর আলোচনায়ও যেন এক ধরনের ছন্দপতন ঘটে। রাতের বেলায় ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখা, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট আগেই দেয়া হয়েছে মর্মে ঘোষণা শোনা, সবার সামনে নৌকায় সিল মারতে বাধ্য হওয়া, আবার ভোট দিতে না গেলেও কেন নৌকায় ভোট দিতে গেলেন না সেই কৈফিয়ত দেয়াসহ ২০১৮ সালের সমাপ্তিটা এ দেশের সাধারণ মানুষের কাছে ছিল একেবারেই ভিন্ন। সাধারণ মানুষের কাছে বাংলাদেশের রাজনীতির একক নিয়ন্ত্রণাবস্থা এখন এতটাই দিবালোকের মতো পরিষ্কার যে এই নিয়ে এখন আর সেই গ্রামের চায়ের দোকানেও আলোচনার ঝড় বইতে দেখা যায় না। চায়ের কাপে ঝড় তোলার বিষয়টি এখন আর শোনা যায় না। একদিকে ক্ষমতাসীনরা ভোটের আগের রাতে ও ভোটের দিনে যেই বিরাট কর্মযজ্ঞ দেখিয়েছেন তাতে তারা তাদের রাজনীতির পক্ষে মৌখিক যুক্তি প্রদানের মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন, অন্যদিকে সাধারণ মানুষও আর সরকারবিরোধী বিতর্ক থেকে কিছু শেখার আগ্রহ পাচ্ছেন না। সবই যেন পানির মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে। দেশের রাজনীতির হালচাল যখন এমনই এক পরিবেশের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে তখন এ দেশের মানুষ শুনতে পেলো ৫ লাখ কোটি টাকারও বড় আকারের এক বাজেটের গল্প। এত বেশি টাকা, এ তো রীতিমতো কারুনের ধনের গল্প। রং চায়ে টোস্ট ভিজিয়ে খাওয়া মানুষগুলো যেন অনেক দিন পর আবার দেশ নিয়ে আলোচনার একটি খোরাক পেলেন। একজন বলে ফেললেন আচ্ছা আমাদের বাজারের যেই রাস্তাটি পেজ ঢালাই করা হলো তাও কি ওই বাজেটের টাকা দিয়ে এসেছে। আরেকজন বললেন তা নয়তো কোথা থেকে আসবে? সব কিছুই ওখান থেকে আসে। কিছুটা বোকাসোকা আরেকজন বলে উঠলেন তাহলে কাজ এত খারাপ হয় কেন? রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার পর এক বছর যেতে না যেতেই দুধের সরের মতো পাতলা পেজ উঠে যায়, বিভিন্ন স্থানে গর্ত হয়ে যায়। বাজেটের এতটাকা তাহলে যায় কোথায়? আলোচনা ভালোই জমে উঠেছে অনেক দিন পর। শহরে অনেক কাজ। শহরের মানুষের খরচ বেশি। সেখানে বড় বড় রাস্তা, বড় বড় ওভারব্রিজ, বড় বড় ফ্লাইওভার, রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিশাল বিশাল সব কারুকার্য, আরো কত কী। এসব সামলাতে কি কম খরচ হয়? এর পরে গ্রাম বা মফস্বলের জন্য বাজেট থেকে কতটুকুই বা পাঠানো যায়? চায়ের দোকানের মানুষগুলোর আলোচনা হয়তো বা এমনই কোনো উপসংহারের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। কয়েকদিন পর আর এ নিয়ে আলোচনা হবে না, তারা তাদের স্বাভাবিক কাজ-কর্ম দিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। বাজেটের পর বড় বড় অর্থনীতিবিদরা কে কী বলছেন? সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বা সিপিডি, সুশাসনের জন্য নাগরিক বা সুজন এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবির মতো প্রতিষ্ঠানই বা কী বলছে? দেশের কোটি কোটি খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ তা বুঝতে পারেন না, বোঝার চেষ্টাও করেন না কিংবা বোঝার সামর্থ্যও রাখেন না। ‘যারা অর্থনৈতিক অপশাসনের সুবিধাভোগী, এই বাজেট এবারও তাদের পক্ষেই গেছে? কারণ পরিবর্তনের জন্য যে রাজনৈতিক অঙ্গীকার বা অর্থনৈতিক কৌশল প্রয়োজন, তা বাজেটে নেই, অথচ তা (ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী) ইশতেহারে ছিল? এটাই পরিতাপের বিষয়’Ñ সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের এই বক্তব্যের মমার্থ বেশির ভাগ সাধারণ মানুষের কাছেই বোধগম্য নয়; কিংবা পৌঁছায় না। বাজেটের আকার বাড়লেও জিডিপি অনুযায়ী সেটাকে যথেষ্ট মনে করছে না সিপিডি। এ প্রসঙ্গে ফেলো দেবপ্রিয় বলেন, ‘বাজেটের আকার টাকার অঙ্কে বাড়লেও জিডিপির অনুপাতে বাড়েনি। লক্ষ্যমাত্রার সাথে বাস্তবায়নের পার্থক্য বেড়ে যাচ্ছে বাজেটে ঘাটতি ৫ শতাংশের ওপরেই আছে। এবার সেটা বাড়বে কি না রাজস্ব আহরণের ওপর নির্ভর করবে।’ অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘ব্যাংক ও আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা সুদৃঢ় করার জন্য একটি ব্যাংক কমিশন প্রতিষ্ঠার কথা আমরা দীর্ঘদিন শুনে আসছি। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’ মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে দেবপ্রিয় বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতকে একটা আলোচ্য বিষয় বানিয়ে দিলো! সেটার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে আলোচনায় সময়ক্ষেপণের ভেতরে চলে গেল আর কি। পুরো জিনিস ব্যাংক কমিশনের বিষয়? কোনো সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা স্বীকৃতিতে এলো না।’ জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট পেশের পরদিন ১৩ জুন সিপিবির পক্ষ থেকে দেবপ্রিয়র দেয়া এই বক্তব্য সাধারণ মানুষ খুব একটা না বুঝলেও সরকারের তরফ থেকে এর যে জবাবটা দেয়া হয় সেটি অবশ্য সাধারণ মানুষের কাছে ছিল খুবই উপভোগ্য। বিশেষ করে গ্রামবাংলার সহজ-সরল মানুষের কাছে বিষয়টি ছিল খুবই সহজ। গত ২২ জুন বাজেট নিয়ে সিপিডির সমালোচনাকে বর্ষাকালের বিশেষ ব্যাঙের (আষাঢ় মাসের ব্যাঙের) আওয়াজ তোলার সঙ্গে তুলনা করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি সিপিডিকে জনগণের সামনে অন্তঃসারশূন্য অবস্থান প্রকাশ না করারও আহ্বান জানান। সিপিডির সমালোচনার কোনো তথ্য ও বুদ্ধিবৃত্তিক জবাব না দিয়ে এমনই এক রাজনৈতিক বালখিল্যসুলভ জবাব দিলেন খোদ তথ্যমন্ত্রী। তাও আবার কোনো রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে নয়, খোদ জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ফ্ল্যাট ও জমি কেনার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। কালো টাকাকে অর্থনীতির মূলধারায় আনার জন্যই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে শিল্প স্থাপনেও এই কালো টাকার বিনিয়োগ করা যাবে। মাত্র ১০ শতাংশ আয়কর দিলে অর্থের উৎস সম্পর্কে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কোনো প্রশ্ন করবে না। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত এ সুযোগ বহাল থাকবে। অথচ বাস্তবতা হলো যারা নিয়মিত কর দেন তাদেরকে আয়ের ধরনের ওপর নির্ভর করে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত আয়কর দিতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই এখন অনেকেই তাদের সাদা টাকাও কয়েক বছর গোপন রেখে কালো টাকা হিসেবে পেশ করার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারেন বলে অনেকেই আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। যদি সত্যিই কালো টাকাকে অর্থনীতির মূল ধারায় আনতে হয় তাহলে নিয়মিত করদাতাদের তুলনায় তাদের আয়কর কম কেন? এটা যেন দুষ্টের লালন, শিষ্টের দমনের মতো ঘটনা। এর ফলে কালো টাকাধারীর সংখ্যা বাড়বে বই কমবে না বলেই ধারণা অনেকের। জটিল ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে না গিয়ে সরল সমীকরণ করলেই দেখা যায় এসব কারণেই দেশে ক্রমেই বেড়ে চলছে দুর্নীতিবাজ, লুটেরাবাহিনীর সংখ্যা। ২২ জুন সংসদে অর্থমন্ত্রী দেশের শীর্ষ ৩০০ ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন, এমন ১৪ হাজার ৬১৭ জনের পূর্ণাঙ্গ তথ্যও দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, শীর্ষ ৩০০ ঋণখেলাপির কাছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা আছে ৫০ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ কোটি টাকার বেশি ঋণ নেয়া ১৪ হাজার ৬১৭ জনের বড় একটি অংশ ঋণখেলাপি, যাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১৮৩ কোটি টাকা। এক প্রশ্নের জবাবে সংসদে অর্থমন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত ৩৯ মাসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪৩ হাজার ২১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এ সময়ে ঋণখেলাপির সংখ্যা বেড়েছে ৫৮ হাজার ৪৩৬ জন। আসল সত্য হলো ঋণখেলাপিদের তালিকা যেমন সরকার অতি সহজেই প্রকাশ করলো, সরকার চাইলে কালো টাকার মালিকদের তালিকাও প্রকাশ করতে সক্ষম। হয়তো বা একটু কঠিন হবে তথ্য-উপাত্ত বের করা। কিন্তু সদিচ্ছা থাকলে এটা অবশ্যই করা সম্ভব, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সেই সক্ষমতা রয়েছে যা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং দুর্নীতিবাজ, লুটেরা ও কালো টাকার মালিকদের বাজেটে জামাই আদর না দিয়ে কঠোরভাবে দমনের কথা উল্লেখ থাকলেই দেশ বেশি উপকৃত হতো। বছরের পর বছর দুর্নীতি ও লুটপাটের প্রচ্ছন্ন সমর্থনের মধ্য দিয়ে দেশের বিশাল অংশের মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ও লুটপাটে ঢুকে পড়েছে। গত ২৩ জুন দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ‘জনপ্রশাসনে শুদ্ধাচার : নীতি ও চর্চা’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানায়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির ফলে দুর্নীতি হ্রাসের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। যাই হোক এবারের বাজেট নিয়ে এককালের শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতাদের একজন এবং বর্তমান নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বেশ শক্ত সমালোচনা করেছেন। গত ১৫ জুন ‘বিদ্যমান পরিস্থিতি: ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘এত ফোরটোয়েন্টি বাজেট কম আছে। সমস্ত হচ্ছে বড়লোকদের ধান্ধা। ধনী হওয়ার প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ কিন্তু তৃতীয়।’ সবকিছুর পরও বাজেটের ইতিবাচক দিকও তুলে ধরেন অনেকে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ প্রস্তাবিত বাজেটকে গণমুখী ও অর্জনযোগ্য বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটা অর্জন করা সম্ভব হবে। তবে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন ও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আয় অর্জনের ক্ষেত্রে সব সময় চ্যালেঞ্জ থাকে, তাই বছরের শুরু থেকেই যদি কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, তাহলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব। তিনি বলেন, এবারের বাজেটে অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক বিষয় হলো-আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের বড় বড় অঙ্গীকারগুলো বাজেটে প্রতিফলিত হয়েছে। যেমন তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগানোর জন্য ঋণ তহবিল গঠন এবং আমার গ্রাম, আমার শহর এই অঙ্গীকার অর্থাৎ গ্রামে শহরের সুবিধা পৌঁছে দেয়ার যে অঙ্গীকার ছিল, সেটা বাস্তবায়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পরিশেষে বলা যায়, বাজেট জনবান্ধব নাকি জনবিরোধী এই বিতর্ক সব সময়ই ছিল, হয়তো বা থাকবেও। কিন্তু বিদ্যমান দুর্নীতি ও অর্থের অপচয় থেকে শুরু করে লুটপাটের যে রাজত্ব কায়েম হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এ ব্যাপারে সরকার সুনজর দিবেন সেটা কামনা করার অধিকার নিশ্চয়ই প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে।

লেখক : সাংবাদিক

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির