post

ঘুষের ছোবলে আক্রান্ত সমাজব্যবস্থা

এইচ. এম. মুশফিকুর রহমান

২৪ অক্টোবর ২০১৫
মানবসমাজের বিষফোঁড়াগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘ঘুষ’। কেউ বলে এটি এখন সমাজের অলিখিত নিয়ম। কেউ বলে এই ঘুষ ছাড়া আমাদের অন্যথা নেই। অতি ক্ষুদ্র থেকে অতি বড় প্রতিটি স্তরেই এই ঘুষের প্রচলন। কেবল পার্থক্য স্থান-কাল-পাত্র ভেদে এর স্টাইল ও নামকরণ ইত্যাদিতে। ‘ঘুষ’কে শুধু ঘুষ বললে এর প্রকৃত ক্ষেত্র চিহ্নিত হয় না। ঘুষ নানান ক্ষেত্রে নানান রঙের রঙ বদলিয়ে নানা মূর্তি নিয়ে সমাজে বিরাজ করে। তাই একে সনাক্ত করতে এর অন্যান্য নামগুলোও জানা প্রয়োজন। যেমন : উৎকোচ, মাল, উপঢৌকন, বখশিশ, পার্সেন্টেজ, পাত্তি, টাকা, ডলার, খরচা, টুপাইস, মাসোয়ারা, চাঁদা, সাহায্য, উপরি আয়, ট্যাক্স, কন্টাক্ট, উপহার, কম্প্রেমাইজ, সম্মানী, এক্সট্রা পারিশ্রমিক, তেল, বখরা ও টিপস। সাম্প্রতিক সময়ে ঘুষ বা উৎকোচ বিহীন কোনো কাজই সমাধান হয় না। নিরীহ মানুষ যেখানে যায়, সেখানেই ঘুষ দুর্নীতির ভয়াল রূপ দেখতে পায়। কেউ ঘুষ ব্যতীত ন্যায্য কাজ উদ্ধার করতে পারে না। যে কোনো বিভাগ বা দফতরই হোক না কেন? ঘুষের দুর্দমনীয় প্রভাবে নিরীহ জনসাধারণ হাঁফিয়ে উঠছে। কোথায় যাবে, কী করবে- কিছুই ভেবে পাচ্ছে না। আমাদের সোনার বাংলার অতীত জীবন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আগ্রাসী ব্রিটিশ শাসনামলে আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার শুরু এবং সাধারণ মানুষ সরকারি আমলা ও করনিক নির্ভর হয়ে পড়ে। সে সময় হতেই এ সুশীল দেশে ঘুষ নামক মারণফাঁদের যাত্রা শুরু হয়। পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের পর ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির কলকাতার গভর্নর রোজার ড্রেককে মীর জাফর নিজ ভিত টিকিয়ে রাখার জন্য রাজকোষ থেকে তৎকালীন ২৮০০০০.০০ টাকা উৎকোচ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, পলাশীর যুদ্ধে পরাজিত হয়ে সিরাজউদ্দৌলা পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ধরে এনে রবাট ক্লাইভের নির্দেশে হত্যা করতে বলা হলে তখন কেউ তাকে হত্যা করতে রাজি না হলেও কৃজ্ঞ মোহাম্মদী বেগ মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে বাংলার শেষ নবাবকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ব্রিটিশ আগমনের আগে প্রাচুর্যময় বাংলার কেউ ঘুষ কাকে বলে জানতো না অর্থাৎ ঘুষ ছিল না বললেই চলে। সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসীদের অজানাকে জানতে অতি উৎসাহীরা সামান্যতম সময় ব্যয় করতেও সময়ক্ষেপণ করেনি। কারণ সময়ত্রয়ী মহারথীরা মহামূল্যবান সময়ের অপব্যয় পাপ জানে বলেই দ্বিরুক্তি না করে অতি সহজেই শ্রেয় নীতিবোধ ঘৃতাহুতি দিয়ে প্রাসাদোপম বাড়ি ও বহু মূল্যের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ির মালিক হয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করে। বর্তমানে প্রশাসনিক আমলারা ঘুষ ব্যতীত কোনো কাজ হাতে নিতে মোটেই রাজি নয়। কারণ তাদের কাছে অর্থের এবং সময়ের মূল্য বেশি। তাই সাধারণ মানুষ ন্যায্য কাজটির জন্য ঘুষ দিতে বাধ্য হয়। কারণ হস্ত প্রসারিণী ব্যতীত ফাইলের ওজন ভারী ও কচ্ছপগতি হয়ে যায়। তাই চলনশক্তি পেতে অর্থ ব্যতীত ফাইল নাড়াচাড়া করতে ব্যর্থ। ক্রমবর্ধমান সময়ে ঘুষ যে বহুমাত্রিক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে আমাদের সোনার দেশটি বিপর্যস্তের স্তরে ধাবিত হচ্ছে এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না। এ বেপরোয়া ঘুষের দাপটে কেউ কাউকে জমা খরচ দিচ্ছে না। তাই পাশের সৎ ব্যক্তিটিও জোচ্চোরটির জন্য পবিত্র চরিত্রটির ওপর কলঙ্ক লেপন করছে। ফলে সে নীতিবোধে থু-থু দিয়ে প্রাসাদোপম বাড়ি করতে পাপ পঙ্কিলে ডুবে মরছে এবং অন্যকে মারছে। অপর দিকে একজন প্রতিভাবান কিংবা যোগ্য প্রাপক তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে হাহুতাশ করছে। তাই বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে বলে যে প্রবাদ বাক্যটি আছে, তার দাফন কাফন হয়েছে। বর্তমান সময়ে বিচার বিভাগের অঙ্গনেও ঘুষ প্রকটাকারে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে সমাজে হতাশা, ক্ষোভ ও নানা প্রকার অপরাধ দুর্দমনীয় হয়ে উঠেছে। পত্রিকান্তরে জানা যায়, কারাগারে অপরাধীরা ঘুষের বদৌলতে রাজাসনে থাকছে। যাক ক্ষমতার রজ্জু যার হাতে সে সব কিছুই করতে পারে এবং এটাই স্বাভাবিক। অসম অর্থনীতি সমাজের যাবতীয় কল্যাণবোধগুলোকে যেমন ধ্বংস করে দিচ্ছে, তদ্রুপ ঘুষ-দুর্নীতির ফলে সৃষ্ট আবহ যুবসমাজের মনেও ক্ষোভ বিদ্রোহের অভ্যন্তরে বিত্তশালী হওয়ার উদ্রেক কামনায় পাগলপারা হয়ে উঠেছে এবং যত্রতত্র রাহাজানি হানাহানি, কালোবাজারি ও চোরাচালানি এবং মাদক ব্যবসায়ে লিপ্ত হয়ে রাতারাতি সমাজের প্রতিপত্তিশালীদের দীক্ষায়িত অঙ্ককে আরো দীর্ঘায়িত করার প্রচেষ্টায় ব্যতিব্যস্ত রয়েছে। ঘুষ শুধু গ্রহীতাকে ধ্বংস করে না বরং সমগ্র দেশ ও জাতির মূলোৎপাটন এবং জননিরাপত্তা ধ্বংস করে। যে দেশে বা বিভাগে ঘুষ চালু হয়ে পড়ে সেখানে আইনও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। অথচ আইনের ওপরই দেশ ও জাতির শান্তি নির্ভরশীল। আইন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লে কারো জান-মাল ও মান-সম্মান নিরাপদ থাকে না। ঘুষ দিন কাজ নিন। এ শ্লোগান এখন কার্যোদ্ধারের ক্ষেত্রে মামুলি বাক্য। ঘুষ দেয়া ও নেয়া সমান অপরাধ। এটা কম বেশি সবাই জানে। তবু কেন কাজ উদ্ধারকারীরা ঘুষ দেন এবং কাজ দাতারা কেন খান, এর কারণ উদঘাটন ও চি?িহ্নতকরণ প্রয়োজন। একক কোন কারণে মানুষ ঘুষ খায় না। এর পেছনে রয়েছে নানাবিধ দিক। যেমন : দরিদ্রতা : দরিদ্রতা একটি অভিশাপ। বাংলাদেশের সরকারি বা বেসরকারি চাকরির পর্যায়ে তারা যে বেতন পান তাতে সংসার পরিচালনায় অনেকেই বেসামাল। তাই বাড়তি আয়ের পন্থা খুঁঁজতে গিয়ে অনেকে ঘুষ খাওয়ার আশ্রয় নেন। প্রতিশোধ : প্রতিশোধের বসে অনেকে ঘুষ খান। কারণ ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়েছেন তাই ঐ চালান হাতে আনতে অনেকটা প্রতিশোধের মতোই ঘুষ খাওয়া শুরু করেন। বংশগতি : ঘুষখোর পিতার সন্তান পিতার গুণে গুণান্বিত হয়ে পরবর্তীতে ঘুষখোর হয় এবং কর্মক্ষেত্রে ঘুষ খায়। অভ্যাস : অনেক কর্মকর্তা, কর্মচারী আছেন ঘুষ খেতে খেতে একে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন। ফলে ঘুষ খেতে না পেলে এদের পিত্তশুল বাড়ে। পরে বাধ্য হয়েই এরা ঘুষ খায়। উপরস্থ অফিসারদের চাপ : এ দেশে এ এসপি, এসপি, সচিব, এমপি ও মন্ত্রীসহ বহু অসাধু কর্মকর্তা রয়েছেন যারা অধীনস্থ কর্মচারীদের ওপর মাসোয়ারা ধার্য করে দেন বলে অভিযোগ আছে। উপরস্থ অফিসারদের চাপে অনেকে ঘুষ খান। ব্যবসায়িক মনোভাব : এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা আছেন ঘুষ গ্রহণ তাদের নিকট ব্যবসায়িক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনুকরণ : আজকাল অনেক কর্মকর্তা, কর্মচারী অনুকরণ করে ঘুষ খায়। দেখা যাচ্ছে পাশের টেবিলের কর্তাব্যক্তি ভালোই কামাচ্ছেন। অতএব তার আর বসে থেকে কী লাভ। তার অনুকরণে সেও এক সময় নেমে পড়ে ঘুষের খুঁজে। আয়ের সাথে ব্যয়ের গরমিল : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সময়মত বেতন না পাওয়া ও স্বল্প বেতন পাওয়ার ফলে অনেক কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের আয়-ব্যয়ে গরমিল দেখা দেয়। ফলে তারা উৎকোচ গ্রহণের ধান্ধায় নেমে পড়ে। নৈতিকতার অধঃপতন : মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ দিন দিন লোপ পাচ্ছে। ফলে দিন দিন মানুষ পশুর মতো আচরণ করতেও কুণ্ঠাবোধ করছে না; লজ্জা পাচ্ছে না। ফলে বেহায়া, বেশরম হয়ে ঘুষের অর্থ গ্রহণ করছে। এ ছাড়া উচ্চাভিলাষী মনোভাব, কঠোর আইন না থাকা, আইন বাস্তবায়ন না হওয়া ও যুগের সাথে তাল মিলানোসহ নানাবিধ কারণ রয়েছে ঘুষের আদান প্রদানে। পারিবারিক চাপ : পরিবারের চাপে, বিশেষত স্ত্রী এবং সন্তানদের উচ্চাভিলাষী মনোভাবের কাছে হার মেনেও অনেকে ঘুষ গ্রহণে বাধ্য হন। ঘুষদাতা ও গ্রহীতার নিকট এটির লেনদেন সহজ বা মামুলি হলেও মানবিক দিক থেকে এটি উভয়ের জন্য একটি আঘাত ও মর্মপীড়াদায়ক। মানবতা কখনো এ ধরনের নীতিবহির্ভূত কাজকে সমর্থন করে না। বিশ্ব মানবতার পথে ঘুষ একটি প্রায় অপ্রতিরোধ্য অন্তরায়। ঘুষদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে মানবতাবোধ জাগ্রত হলে সেখানে ঘুষের প্রশ্নই ওঠে না। কারণ এটি সম্পূর্ণ মানবতাবিবর্জিত কাজ। তাই ইসলাম ঘুষের উৎসমুখ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে পদস্থ কর্মচারী ও শাসকদেরকে প্রদত্ত উপঢৌকনকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কুরআনুল কারিমে বলা হয়েছে, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না এবং মানুষের ধন-সম্পত্তির কিছু অংশ জেনে বুঝে অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে বিচারককে উৎকোচ দিও না।’ (সূরা বাকারা : ১৮৮) আবদুল্লাহ্ইবন আমর রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষদাতা এবং গ্রহীতার ওপর লানত করেছেন।’ (মোসনাদে আহমাদ : ৩৫৪২) এ ছাড়া ঘুষ গ্রহণের কঠিন শাস্তির কথা উল্লেখ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই যে অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করবে, কিয়ামতের দিন তার জন্য নির্ধারিত রয়েছে জাহান্নাম।’ (বুখারী, মিশকাত/৩৯৯৫) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, ‘হারাম খাদ্য ভক্ষণ করা শরীর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (মিশকাত/২৭৮৭) ঘুষ যেমন ঘুষগ্রহীতার চরিত্র ধ্বংস করে, তেমনি ঘুষদাতা ও জোগানদারদের চরিত্রও বিনষ্ট করে ছাড়ে। ঘুষ গ্রহণ ও ঘুষ প্রদান প্রক্রিয়ার কোনো অংশই হারামযুক্ত নয়। এই হারামি কর্মকান্ডের ফলে ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার, সমাজ এবং জাতীয় চরিত্রের সর্বত্র বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় এবং সর্বত্রই অশান্তির প্রবল বন্যা বইতে শুরু করে। এ প্রসঙ্গে ইমাম গাজ্জালী রহমাতুল্লাহ আলাইহি অত্যন্ত মূল্যবান সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘হারাম ভক্ষণে মানুষের হাত, পা, চক্ষু, কর্ণ, জিহ্বা, লজ্জাস্থান, পেট, নফস ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তার বিবেকের কথা মানে না। অর্থাৎ বিবেক কুকাজ থেকে নিবৃত্ত থাকতে এবং সৎকাজ করতে আদেশ করে। কিন্তু তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সে আদেশ পালনে মোটেই প্রস্তুত হয় না।’ (উলুমুদ্দিন) ঘুষের আদান-প্রদান প্রক্রিয়া মানুষের সহজাত স্বভাব লজ্জা ও সম্ভ্রমকে ভূলুণ্ঠিত করে এবং লজ্জাহীন কদর্য নিগড়ে আবদ্ধ করে। ঘুষ মানুষের নৈতিকতার যে দিকটাকে সমূলে উৎপাটিত করে দেয় তাহলো স্বাবলম্বন। নিজের যা আছে, তা নিয়ে কিংবা যা তার অপরিহার্য মজুরি নির্ধারিত আছে, তার ওপর একান্তভাবে নির্ভর করে জীবন চালনার পথ গ্রহণ করার নামই প্রকৃত স্বাবলম্বন। ঘুষের পয়সা হাতের নাগালে আসার পর ঘুষ গ্রহণকারীর চরিত্র থেকে এই গুণটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। ফলে এমন এক অতৃপ্তিকর তাড়না সে অনুভব করে, যার নিগড় থেকে কোনোক্রমেই নিজেকে বিমুক্ত রাখতে পারে না। পরিণামে যা হওয়ার তাই হয়। ঘুষ গ্রহণকারী ক্রমেই হয়ে ওঠে খুবই উদগ্র ও উৎসাহী। তার এই উৎসাহে কখনোই ভাটা পড়ে না। এহেন অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি ঘোলাটে ও ক্লেদাক্ত হয়ে যায়। এরই ফলে জীবনযাত্রার সকল স্তরে নেমে আসে অব্যবস্থা ও অনিয়মের ধস, যা গোটা সমাজব্যবস্থাকে কলুষিত করে তোলে। ঘুষ নামক এ ভয়াবহ সংক্রামক ব্যাধি থেকে পরিত্রাণ পেতে চাইলে জনগণের মাঝে সচেতনতা জাগ্রত করতে হবে এবং এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। আর সকল অবস্থায় ঘুষকে না বলার মাঝেই রয়েছে মুক্তি ও নিষ্কৃতির চাবিকাঠি। এই অভিযাত্রা যত দ্রুত হবে, ততই আমাদের জন্য মঙ্গল। লেখক : প্রাবন্ধিক, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির