post

ড. ইসাম আল উরইয়ান একজন নেতা ও তাঁর অধ্যয়ন

তারিক মাহমুদ

৩০ জুন ২০২১

ড. ইসাম আল উরইয়ান ২৫ জানুয়ারির বিপ্লব-পূর্ববর্তী সময়ে কয়েক বছর ইখওয়ানুল মুসলিমিনের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছেন। বারবার গ্রেফতার হয়েছেন, কারাবরণ করেছেন কিন্তু সর্বদা সামনের সারিতে থেকেছেন। ২৫ জানুয়ারির বিপ্লবের সময় ‘ক্রোধের জুমুয়া’র দিন সকালে রাজপথ থেকে প্রেসিডেন্ট মুরসীর সাথে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তিনি ইখওয়ানের অর্থায়নে পরিচালিত রাজনৈতিক দল হিজবুল হুররিয়্যাহ ওয়াল আদালাহর সহসভাপতি ছিলেন। মুহাম্মদ মুরসী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর দলটির সভাপতির পদ শূন্য হয়। তিনি দলটির সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তবে সংসদের স্পিকার সা’দ কাতাতনির কাছে হেরে যান। প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসীর উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি কিছুদিন কাজ করেন। তবে নতুন সংবিধান প্রণয়নে সময় দিতে উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট মুরসীর বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থান হলে তিনি রাবেয়া আদাবিয়ায় অভ্যুত্থান বিরোধী কর্মসূচিতে অংশ নেন। রাবেয়া-নাহদার গণহত্যার পর আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৩ সালের ৩০ আগস্ট তিনি নিউ কায়রো থেকে গ্রেফতার হন এবং ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট কারাগারে তার মৃত্যু হয়।

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি জন্ম ১৯৪৮, আম্বাবা, গিজা; মৃত্যু ২০২০ তুররা কারাগার, কায়রো। তিনি ছিলেন একজন নেতা। ছাত্রজীবনে ছাত্রনেতা, পেশাগত জীবনে পেশাজীবী নেতা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতা এবং একজন রাজনীতিবিদ বা রাজনৈতিক নেতা। ছিলেন একাধারে ডাক্তার, আইনপ্রণেতা, সমাজকর্মী, মাঠের রাজনীতিক। আমরা এ প্রবন্ধে তার অধ্যয়ন নিয়ে আলোচনা করবো। ছাত্রজীবনে তিনি ‘জামায়াহ ইসলামিয়াহ’ নামে একটি ছাত্রসংগঠনের প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত ছিলেন। যা বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে ইসলামপন্থী ছাত্রদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন ছিলো। পরে সে সংগঠনে মতপার্থক্য দেখা দিলে তিনি খায়রাত আল শাতের, আব্দুল মুনইম আবুল ফতুহসহ অনেকেই ইখওয়ানুল মুসলিমিনে সরাসরি যোগ দেন। তিনি তার জেলায় সর্বপ্রথম ইখওয়ানের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি কায়রো বিশ^বিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। তার আগে-পরে বহু জায়গায় ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। কর্মজীবনে তিনি রাজনীতির পাশাপাশি পেশাজীবী সংগঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ডাক্তারদের জাতীয় সংগঠনের অর্থ সম্পাদক এবং জয়েন্ট সেক্রেটারি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি কায়রোর পাশ্ববর্তী গিজা শহরের আমবাবা এলাকা থেকে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন সে পার্লামেন্টের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। ১৯৯৫ সালে ইখওয়ানের মজলিশে শূরার বৈঠক থেকে ৪৯ জন শীর্ষনেতাসহ গ্রেফতার হন এবং প্রায় ৫ বছর কারাগারে বন্দি থাকেন। মিশরে তিনি খুবই জনপ্রিয় হলেও আরব দুনিয়ার বাইরে তাকে খুব বেশি মানুষ চেনেন বলে মনে হয় না। তার বায়োগ্রাফিতে চোখ বুলালে তার একাডেমিক অধ্যয়নের বিষয়টি অবশ্যয় দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। সেটা নিয়েই এ প্রবন্ধ।

তিনি ভাসা ভাসা জ্ঞান যথেষ্ট মনে করেননি আজকাল আমরা অনেক মানুষকে দেখতে পাই; যারা ৩০ বা ৫০ বছর ইসলামী আন্দোলনের সাথে সময় কাটিয়েছেন। কিন্তু তারা কোরআন শরিফ শুদ্ধ করে পড়তে পারেন না। তিনি নিশ্চয় তারবিয়াহ প্রোগ্রামে হাজার ঘণ্টার উপরে সময় দিয়েছেন। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার কালাম শুদ্ধ করে পড়তে শিখেননি। ইসলামী শরিয়াহর প্রাথমিক জ্ঞানেও তাদের ঘাটতি বেশ পরিলক্ষিত হয়। অনেককে দেখা যায়, বছরের পর বছর ইসলামের পথে সময় ব্যয় করেও সীমিত কিছু ক্ষেত্র ছাড়া অন্য বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে অন্যের মুখাপেক্ষী। বিষয়টি বিস্ময়কর। যিনি ১০ বছর ইসলামী কার্যক্রমের সাথে দৈনিক কয়েক ঘণ্টা সময় কাটান এবং অন্তত এক ঘণ্টা অধ্যয়ন করেন, তার জ্ঞানগত মান অন্তত একটি ইসলামী বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারীর সমান হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ৩০-৫০ বছর ইসলামী কার্যক্রমের সাথে সময় কাটানোর পরও সীমিত কিছু বিষয় ছাড়া মৌলিক ইসলামী জ্ঞানের জায়গায় তাদের বিচরণ ঘটে না। তাদের জন্য ইসাম আল উরইয়ানের অধ্যয়নে রয়েছে আদর্শ নমুনা।

ইসাম আল উরইয়ানের অধ্যয়ন ১৯৭৭ সালে তিনি কায়রো বিশ^বিদ্যালয়ের মেডিক্যাল অনুষদ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৬ সালে একই বিশ^বিদ্যালয় থেকে ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিতে মাস্টারস ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ^বিদ্যালয়ের একই অনুষদে তিনি ডক্টরেট করছিলেন তবে বারবার কারাবরণের কারণে তিনি পিএইচডি গবেষণার কাজ সমাপ্ত করতে পারেননি। ১৯৯২ সালে তিনি কায়রো বিশ^বিদ্যালয়ের আইন অনুষদ থেকে ¯œাতক সম্পন্ন করেন। আর সেটা ছিলো ১৯৮৭ সালে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হবার ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ তিনি আইনপ্রণেতা নির্বাচিত হওয়ার সাথে সাথেই আইন বিষয়ে ¯œাতক শুরু করেন। আইনের ভাসা ভাসা জ্ঞান বা চালিয়ে দেয়ার যোগ্যতাকে যথেষ্ট মনে করেননি। ১৯৯৯ সালে তিনি আল আজহার বিশ^বিদ্যালয় থেকে ইসলামী শরিয়াহ বিভাগে ¯œাতক সমমানের ‘ইজাযাহ আলিয়া’ ডিগ্রি নেন। আর ২০০০ সালে কায়রো বিশ^বিদ্যালয়ের মানবিক অনুষদ থেকে ইতিহাসে ¯œাতক সম্পন্ন করেন। একই সালে তিনি ইলমুত তাজবিদের উপর বিশেষ কোর্স সম্পন্ন করে ইজাযাহ (অনুমতি) লাভ করেন। এখানে যে বিষয়টি লক্ষণীয়, ড. ইসাম আল উরইয়ান ৪টি বিষয়ে ¯œাতক ডিগ্রি নেন। তা হলো এমবিবিএস, আইন, ইসলামী শরিয়াহ এবং ইতিহাস। ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিতে মাস্টারস করেন এবং পিএইচডি করছিলেন। আর ইলমুত তাজবিদে বিশেষ কোর্স সম্পন্ন করে ‘ইজাযাহ’ নেন। মেডিক্যাল শিক্ষা ছিলো তার পেশাগত। আইনে ¯œাতক শুরু করেছেন আইনপ্রণেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েই। যেহেতু ইসলামী রাজনীতি করতেন, ইসলামী শরিয়াহ (ইসলামী আইন) পড়েছেন আল আজহারে। আর ইতিহাস পড়েছেন হয়তো রাজনীতিবিদ হিসেবে। মনে হচ্ছে যে বিষয়টির অধ্যয়ন তিনি পেশাগত বা দায়িত্বের কারণে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছেন, তাতে একটি ¯œাতক কোর্স করে নিয়েছেন; পেশাগত জীবনে মেডিক্যাল, রাজনীতিবিদ হিসেবে ইতিহাস, আইনপ্রণেতা হিসেবে আইন এবং ইসলামী সংগঠনের নেতা হিসেবে ইসলামী শরিয়াহ। তিনি জ্ঞানগত বিষয়ে অন্যের উপর নির্ভর করার নীতি থেকে দূরে ছিলেন। আইন ও শরিয়াহ অধ্যয়ন তাকে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি কাজ দিয়েছে বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সংবিধান প্রণয়নের কাজে। তিনি প্রেসিডেন্ট মুরসীর সময়ে প্রণীত সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে এ সংবিধানটি একটি আধুনিক ইসলামী সংবিধানের পূর্ণাঙ্গ নমুনা। আমরা তার দীর্ঘ শিক্ষাজীবন এবং ব্যক্তিগত অধ্যয়নে একনজর চোখ বুলালাম। তার শিক্ষাজীবন কি আমাদের কোনোভাবে উৎসাহ দিতে পারে? তার শিক্ষাজীবন থেকে আমরা কী কী নিতে পারি?’ আমি শুরুতে বলেছিলাম- ইসলামী আন্দোলনের সাথে দীর্ঘ সময় দেয়ার পরও আমাদের অনেককেই দেখা যায় একাডেমিক ইসলামী জ্ঞানে বেশ দুর্বল। ইসাম আল উরইয়ান কর্মঠ মানুষ। তিনি দুটি বিশ^বিদ্যালয় থেকে ৪টি অনার্স এবং একটি মাস্টার্স করতে সক্ষম হয়েছেন। আমরা কি তা পারবো? তবে আমরাতো শেখার জন্য সময় ব্যয় করছিই। দৈনিক সময় ব্যয় করছি। সপ্তাহে, মাসে অধ্যয়নের পেছনে কী পরিমাণ সময় ব্যয় করছি তা নিশ্চয় অনুমেয়। অনেকের মাঝেই জ্ঞানের পিপাসা আছে। কেউ কেউ অনলাইনে পাওয়া মধ্যম থেকে শেখার চেষ্টা করছেন। তবে আমি মনে করি, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জ্ঞানার্জন ও তারবিয়াহ পদ্ধতি একাডেমিক কাঠামোয় চলে আসা উচিত। যাতে আমাদের সময়গুলো বিচ্ছিন্ন ব্যয় না হয়ে একটি সুষ্ঠু কাঠামোর ভেতর দিয়ে পরিচালিত হয়। যারা ইসলামী আন্দোলনের জ্ঞানগত অঙ্গনে বা সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেবেন তাদের সবার ইসলামী জ্ঞান একাডেমিক মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হওয়া উচিত। কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ তো আর ইসলামী বিষয়ের স্টুডেন্ট থাকেন না। আর সবারই ড. ইসামের মতো কয়েকটি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নেয়ার সুযোগ হয় না। আর শুধু নেতৃত্ব নয়, সকল জনশক্তির জ্ঞানগত মানদণ্ডই একাডেমিক মানদণ্ডে মূল্যায়ন হওয়া জরুরি। কারণ জ্ঞানের জগতে সমৃদ্ধ হওয়া ছাড়া নিজেরাও যথাযথ ভূমিকা রাখা সম্ভব না, আবার পরবর্তী প্রজন্মকেও তৈরি করা সম্ভব নয়। তাহলে কিভাবে এ বিষয়টির সমাধান হওয়া উচিত। আমি মনে করি বিষয়টির সহজ সমাধান খুঁজতে হবে আমাদের সামর্থ্যের আলোকে। ইসলামী জ্ঞানকে আমরা সাধারণত তিনটি ভাগে ভাগ করি। ফিকহুল আকিদাহ (বিশ^াস সংক্রান্ত জ্ঞান) ফিকহুশ শরিয়াহ (কর্ম সংক্রান্ত জ্ঞান) ফিকহুল আখলাক (চরিত্র সংক্রান্ত জ্ঞান) এটার সাথে যুক্ত হতে পারে আরবী ভাষা শিক্ষাসহ অন্যান্য আরো কিছু বিষয়াবলি। এ বিষয়গুলোকে সামনে রেখে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য একাডেমিক মানদণ্ড অনুসরণ করে সিলেবাস প্রণয়ন করা উচিত। যাতে বিশ^বিদ্যালয়ে যতটুকু সময় ব্যয় করলে একটি কোর্স সম্পন্ন হয় ততটুকু সময় ব্যয় করেই একটি কোর্স সম্পন্ন হয়ে যায়। যতটুকু সময় বিশ^বিদ্যালয়ে ব্যয় করলে অনার্স কোর্স সম্পন্ন হয় ততটুকু সময় ব্যয় করলে একটি অনার্স কোর্স-ই সম্পন্ন হয়ে যায়। হয়তো দেখা যাবে একজন মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং বা সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী তার নিজের প্রাতিষ্ঠানিক কোর্স শেষ করার আগেই অবসর সময় কাজে লাগিয়ে ইসলামী শিক্ষার কোর্স সম্পন্ন করে ফেলবে। আবার কারো ক্ষেত্রে পুরো অনার্স কোর্স শেষ করতে ১০ বছর সময় লাগবে। ৩ বছর লাগবে বা ১০ বছর, পড়াশোনা হোক সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে উন্নত একটি বিশ^বিদ্যালয়ের মানদণ্ডে। এখন অনলাইন ইউনিভার্সিটির ধারণা জনপ্রিয় ও বাস্তবসম্মত হয়ে উঠেছে। কিছু কোর্স অনলাইনে হতে পারে। যা শিক্ষার্থী তার সময় সুযোগ মতো করে নেবে। আর কিছু কোর্স বিশ^বিদ্যালয় বা শিক্ষার্থীদের আবাসস্থলের কাছাকাছি গড়ে ওঠা সেন্টারে সরাসরি ক্লাসে অংশ নিয়ে হতে পারে। সাংগঠনিক দায়িত্ব/ মানোন্নয়ন হওয়ার পর কিছু কোর্স করা বাধ্যতামূলক হতে পারে। যা মানোন্নয়নের তিন মাস বা পাঁচ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হবে। ইসলামী আন্দোলন এখন একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। আন্দোলনের প্রাথমিক সময়ের রাহবাররা যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতেন, তারচেয়ে বর্তমান সময়ের গুরুত্বের জায়গা আরো প্রসারিত হয়েছে। বিশেষ করে গত শতাব্দীর শেষ চতুর্থাংশে ইসলামী আন্দোলনসমূহ একটি মজবুত ভিত তৈরি করেছে। আর এ শতাব্দীর বিশ বছরে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এ সমস্যাগুলোর যথাযথ মোকাবেলা করার জন্য ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের একটি ম্যাচিউরড মাইন্ডসেট জরুরি। আর সে মাইন্ডসেট গঠনের নিচের বিষয়গুলোতে পর্যাপ্ত জ্ঞান জরুরি শুধু নয়, বলতে গেলে আবশ্যক। আমাদের সিলেবাস শুরু হতে পারে এ বিষয়গুলোকে ঘিরে। তা হলো- ফিকহুস সুনান (আল্লাহ প্রদত্ত প্রাকৃতিক বিধান) মাকাসিদুশ শরিয়াহ (ইসলামী আইনের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য) ফিকহুল আওলাবিয়াত (অগ্রাধিকারের ফিকহ) ফিকহুল মুয়াযানাত (কল্যাণকর ও ক্ষতিকর বিষয়াদির মাঝে তুলনা সংক্রান্ত জ্ঞান) ফিকহুল ইখতেলাফ (আলেমদের মতপার্থক্য সংক্রান্ত জ্ঞান) ড. ইসাম আল উরইয়ান ছিলেন সর্বদা সক্রিয় এবং জ্ঞানের সাথে পথচলা একজন মানুষ। তার ব্যাপারে আলজাজিরার একটি সংবাদের শিরোনাম ছিলো- “ইসাম আল উরইয়ান : যার ধারাপাতে অবসর বলে কিছু নেই”। আমরা সক্রিয় লোকদের জ্ঞানের জায়গা থেকে দূরে থাকতে দেখি। আবার জ্ঞানীদের সক্রিয় সংস্কার কার্যক্রমে পিছিয়ে থেকে ঝামেলামুক্ত জীবন যাপন করতে দেখি। আমাদের ড. ইসামের কাছ থেকে প্রেরণা নেয়া উচিত। তিনি এ ক্ষেত্রে ইসলামের কর্মীদের আদর্শ হতে পারেন। আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা তিনি যেন আমাদের নেতা ও অগ্রজ মজলুম ড. ইসাম আল উরইয়ানকে জান্নাতের উচ্চতম স্থানে জায়গা করে দেন।

লেখক : প্রাবন্ধিক ও গবেষক

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির