post

মসজিদে প্রদত্ত জুমার খুতবা

১১ আগস্ট ২০১৩

বিষয় : ইসলামে নিরপরাধ লোক হত্যা হারাম খতীব : শায়খ ইসমাইল আল-হাজ আমীনআল আকসা

সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জন্য যিনি মানুষ ও জিন জাতিকে সৃষ্টি করে তাদের জন্য পরিপূর্ণ জীবন বিধান হিসেবে ইসলমাকে মনোনীত করেছেন। দরুদ ও সালাম প্রিয়নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি যিনি একটি পরিপূর্ণ সমাজব্যবস্থা হিসেবে ইসলামের বিধান তাঁর জীবদ্দশাতেই বাস্তবায়ন করে উম্মাহর জন্য একটি মডেল সমাজ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। ইসলামের বিধান অনুসারে অযথা মানুষ হত্যা সবচেয়ে গর্হিত কাজ। ও কাজটি এমনই ভয়ানক যে প্রত্যেক নবীর প্রতি এর বিধান কমবেশি বর্ণনা করা হয়েছে। পবিত্র কুরআন এ দিকে ইঙ্গিত প্রদান করতে ইরশাদ করেছে : “এ কারণেই আমি বনী ইসরাইলদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, কেউ যদি প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকে  হত্যা করে এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে। তাদের কাছে আমার পয়গম্বরগণ প্রকাশ্য নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছেন। বস্তুত এরপরও তাদের অনেক লোক পৃথিবীতে সীমাতিক্রম করে।” (সূরা মায়িদা : ৩২) মুসলিম ভ্রাতৃবৃন্দ! সীমা লঙ্ঘন, বাড়াবাড়ি, অত্যাচার ও নির্যাতনের ইতিহাস আমাদের অতীতের একটি ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করছে। যখন হযরত আদম (আ)-এর এক সন্তান অন্য সন্তানের উপর নির্যাতন করে ব্যক্তিস্বার্থ ভোগের বশবর্তী হয়ে তাকে হত্যা করেছে। তার এ ঘটনাটি হত্যা, নির্যাতন, ক্ষতিগ্রস্ত ও লাঞ্ছিতকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রতি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এ সীমা লঙ্ঘনের বিষয়টিকে সর্বদা পঠিত বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে এ পথের পথিকদের সাবধান ও সতর্ক করে মানব সমাজকে এ পথে না চলার প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করেছন। ইরশাদ হচ্ছে : “আর তাদেরকে আদমের দু’ছেলের সঠিক কাহিনীও শুনিয়ে দিন। তারা দু’জন কুরবানি করলে তাদের একজনের কুরবানি কবুল করা হলো, অন্য জনেরটা কবুল করা হলো না। সে বলল, আমি  তোমাকে মেরে ফেলব। সে জবাব দিল, আল্লাহ তো মুত্তাকীদের নজরানা কবুল করে থাকেন। তুমি আমাকে মেরে ফেলার জন্য হাত উঠালেও আমি তোমাকে মেরে ফেলার জন্য হাত উঠাব না। আমি বিশ্বজাহানের প্রভু আল্লাহকে ভয় করি। আমি চাই, আমার ও তোমার পাপের ভার তুমি একাই বহন কর এবং তুমি জাহান্নামী হয়ে যাও। জালিমদের জুলুমের এটাই সঠিক প্রতিফল। অবশেষে তার প্রবৃত্তির কুপ্ররোচনা তার ভাইকে মেরে ফেলা তার জন্য সহজ করে দিল এবং তাকে মেরে ফেলে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল। তারপর আল্লাহ একটি কাক পাঠালেন। সে মাটি খুঁড়তে লাগলো, যাতে তাকে দেখিয়ে দেয়  তার ভাইয়ের লাশ কিভাবে লুকিয়ে ফেলবে। এ দৃশ্য দেখে সে বলল, হায় আফসোস! আমি এ কাকটির মতও হতে পারলাম না যাতে নিজের ভাইয়ের লাশটিও লুকাতে পারি। এরপর নিজের কৃতকর্মের জন্য সে অনুতপ্ত হলো।” (সূরা আল মায়িদা : ২৭-৩১) উপরোক্ত আয়াতে এত কাঠোরভাবে হত্যাকারীদের বিধান সত্ত্বেও শত উপদেশ ও সাবধান বাণী উপেক্ষা করে কিছু লোকের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন করা যায় না, যখন তাদের মনে খারাপ প্রবণতা কঠোরভাবে বন্ধমূল হয়ে থাকে। তাই মহান আল্লাহ একজনের প্রাণ সংহারকে সমগ্র মানবতাকে হত্যার সমতুল্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছেন। তেমনিভাবে কোনো লোকের প্রাণ রক্ষা করার সহযোগিতাকে সমগ্র মানবজাতির প্রাণ রক্ষা করার সমতুল্য বলে গণ্য করা হয়। ইরশাদ হচ্ছে : “এ কারণেই আমি নবী ইসরাইলের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে। তাদের কাছে আমার পয়গম্বরগণ প্রকাশ্য নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছেন। বস্তুত এরপরও তাদের অনেক লোক পৃথিবীতে সীমাতিক্রম করে।” (সূরা আল মায়িদা : ৩২) সম্মানিত মুমিনগণ! প্রতিটি স্থান, কাল পাত্রভেদে অত্যাচার অবিচারে স্বভাব একই রকম হয়ে থাকে আর তা হলো খারাপ কাজের প্রতি প্রবৃত্ত হওয়া। এ সমস্ত লোক তাদের খারাপ মনোবাসনা চরিতার্থ করতে ও সীমা লঙ্ঘনে অতি বাড়াবাড়ি করে থাকে। তাদের কুচরিত্র সম্পর্কে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, “তারা মর্যাদা দেয় না কোনো মুসলমানের ক্ষেত্রে আত্মীয়তার, আর না অঙ্গীকারের। আর তারাই সীমা লঙ্ঘনকারী।” (সূরা আত তাওবাহ : ১০) সবচেয়ে বড় বাড়াবাড়ি ও দুশমনির চরম পর্যায় হলো অন্যায়ভাবে রক্তপাত করা যা মহান আল্লাহ হারাম ঘোষণা করেছেন। মুসলিম সম্প্রদায় হলো এমন জাতি যাদের অযথা রক্তপাত করা আল্লাহর পক্ষ থেকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ মর্মে হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “প্রত্যেক মুসলমানের মহান ইজ্জত, ধন-সম্পদ ও রক্ত অন্য সব মুসলমানের ওপর হারাম।” (তিরমিযী শরীফ) সুতরাং যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমকে কোনো অপরাদের শাস্তি বা কিসাস ব্যতীত অন্য কোনো কারণে হত্যা করে, সে যেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশের সাথে সরাসরি বিরোধিতায় লিপ্ত হলো ও একটি গুণাহে কবীরা করে বসল। পরিণতিতে তার ধ্বংস অবধারিত হয়ে যায় ও চিরকালের জন্য জাহান্নামের পথের পথিক হয়ে যায়। মহান আল্লাহ এ মর্মে ঘোষণা করেন : “আর যে ব্যক্তি স্বেচ্ছাক্রমে মুসলমানকে হত্যা করে, তার শাস্তি জাহান্নাম, তাতেই সে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্যে ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন।” (সূরা আন-নিসা : ৯৩) মানবতার প্রিয় নবী হযরত  রাসূল (সা) ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি একজন মু’মিনকে হত্যার ব্যাপারে সামান্য একটু কথার দ্বারা সাহায্য করবে সে মহান আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে এমতাবস্থায় যে তার দুই চোখের মাঝখানে (কপালে) লেখা থাকবেÑ  আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত।” (ইবনে মাযাহ) সম্মানিত মুমিন সম্প্রদায়! ইসলাম মানুষের অযথা রক্তপ্রবাহের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। বড় ধরনের কোনো প্রকার অপরাধ, সত্য, ন্যায়, ইনসাফ প্রতিষ্ঠা ও সমাজে শান্তি নিরাপত্তার বিষয়ে সৃষ্টি ব্যতীত অন্য কোনো কারণে এ পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাসূল (সা) ইরশাদ করেন, “ঐ মুসলমানের রক্ত হালাল নয়, যে এরূপ সাক্ষ্য প্রদান করে যে, ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর রাসূল’, তবে তিনটির মধ্যে যে কোনো একটির মধ্যে যে কোনো একটির কারণে তার রক্ত প্রবাহিত করা হালাল  : (১) যদি কেউ বিবাহ করার পর যিনা করে; ২. যদি কেউ কাউকে হত্যা করে, তবে এর বিনিময়ে হত্যা করা এবং ৩. যে ব্যক্তি দীন ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে মুসলমানের জামায়াত থেকে বেরিয়ে যায়।” (আবু দাউদ) মুসলিম ভ্রাতৃবৃন্দ! সমাজের সর্বস্তরে শান্তি নিরাপত্তা প্রসাবের লক্ষ্যে মানুষের জান মাল ও ইজ্জত আবরু হেফাজত করো একান্ত আবশ্যক। তাই কোনো লোককে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ব্যতীত অপরাধী সাব্যস্থ করা যায় না। এটিই প্রতিটি মানুষের জন্য প্রযোজ্য। মহান আল্লাহর নির্ধারিত নীতিমালায় একজনের অপরাধের কারণে অন্যজনকে দোষী সাব্যস্থ করা ও কারো বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণ ব্যতীত অভিযুক্ত করে হয়রানি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পবিত্র কুরআনে এ জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করত ইরশাদ হচ্ছে,  “কোনো ব্যক্তি কারোও গুনাহ নিজে বহন করবে না এবং মানুষ তাই পায়, যা সে করে।” (সূরা আন নজম : ৩৮-৩৯) এর উপর ভিত্তি করে বলা যায়, প্রতিটি মানুষ তার নিজ কর্মের জন্য নিজেই দায়িত্বশীল  বা কর্ম অনুযায়ী  তার হিসাব হবে, তার অপকর্মের জন্য অন্যকে জবাবদিহি করতে হবে না, তবে সে যদি কোনো অপরাধ সংঘটিত করে তা ভিন্ন কথা, তখন তার কর্ম অনুযায়ী তাকে জবাবদিহি করতে হবে। মানবরচিত বিধাানুযায়ী কিছু লোকের অপকর্মের জন্য সামষ্টিকভাবে যে শাস্তির বিধান রয়েছে ইসলামী বিধানে তা সম্পূর্ণ অবৈধ হিসেবে বিবেচিত। তাই নিকটস্থ লোক বা আত্মীয়ের অপরাধের জন্য নিরপরাধ পড়শীকে নির্যাতন বা অত্যাচার করা কখনো বৈধ নয়। সম্মানিত মুসলিমগণ! সকলে একটি বিষয়  জেনে রাখা আবশ্যক যে, নিজকে বড় মনে করা ও হিংসা বিদ্বেষ পোষণ করা এমনই এক নিকৃষ্ট স্বভাব যে, তা মানবজীবনের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে। তাই মুমিনদের উচিত তারা এ মারাত্মক স্বভাব পরিহার করে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করবে ও সৎ গুণাবলী অর্জন করবে। তেমনিভাবে মুমিনদের সমাজব্যবস্থাকেও স্বার্থপরতা, আহমিকা থেকে মুক্ত হয়ে আত্মার পরিশুদ্ধির জন্য কাজ করা আবশ্যক, যাতে সে পরিবেশ থেকে বিশৃঙ্খলা ও অপরাধ প্রবণতা মাথাচাড়া দিতে না পারে। প্রিয় নবী (সা)-এর চিন্তাধারা ও দর্শন পক্ষপাতিত্ব, স্বজনপ্রীতি থেকে সম্পুর্ণভাবে মুক্ত ছিল। তাই তিনি মানুষের বর্ণ, বংশ ও গোত্রের অহমিকা পদদলিত করে ইসলামী ধ্যান-ধারণার আলোকে সব কিছুর সমাধান করতেন। এ মহান দর্শন বাস্তবায়ন করতে তিনি ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি লক্ষ্যহীণ নেতৃত্বের পতাকাতলে যুদ্ধ করে, গোত্রপ্রীতির দিকে আহ্বান জানায় এবং গোত্রপ্রীতির কারণেই সাহায্য করে, তার মৃত্যু জাহেলিয়াতের মৃত্যু।” (মুসলিম শরীফ) রাসূল (সা)-এর এ সুন্দরতম শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো সমগ্র মানবসম্প্রায়কে ইসলামের সুমহান ও অন্যতম নীতিমালা তথা সবাইকে তাওহীদের অন্তর্ভুক্ত করা। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য শিক্ষাব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু হলো তাকওয়া। তাকওয়ার গুণ অর্জনের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করা বৈষয়িক ও ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার চাকচিক্য থেকে অনেক উত্তম। ইহকালীন জীবনে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা মৌলিক বিষয়াবলীর অন্যতম। তাই মুমিন সর্বদা অন্যকে সম্মান প্রদর্শন ও তার অধিকার সংরক্ষণে সচেষ্ট থাকে। পবিত্র কুরআন মানুষের মান-সম্মান ও জীবনের নিরাপত্তাসহ সার্বিকভাবে অন্যের অধিকার সংরক্ষণে সচেষ্টা হতে আহ্বান জানায়। এ দৃষ্টিতে ইসলামী জীবনবিধানে মানব হত্যাকে ভয়াবহ অপরাধ হিসেবে গণ্য করে। কেননা এতে অন্যের জীবন নিয়ে খেলা তামাশা করা হয়। মুসলিম ভ্রাতৃবৃন্ধ! সমাজে অযথা রক্তপাত বন্ধ করা ও মানুষের জীবনের নিরাপত্তার লক্ষ্যে ইসলাম হত্যাকৃত লোকের উত্তরাধিকারীকে হত্যার পরিমাণ মাফিক প্রতিশোধ নেয়ার বিধান প্রদান করেছে এবং প্রাণের নিরাপত্তা বিধান করা সমাজিক দায়দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তেমনিভাবে কিসাসের বিধানের মাধ্যমে সমাজে মানুষের প্রাণরক্ষার বিরাট সুযোগ রয়েছে। এ মর্মে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে : “হে বুদ্ধিমানগণ! কিসাসের মধ্যে তোমাদের জন্য জীবন রয়েছে, যাতে তোমরা সাবধান হতে পার।” (সূরা আল বাকারা : ১৭৯) মহাদয়াশীল আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মুমিনদের যেসব গুণাবলী উল্লেখ করেছেন তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো : তারা আল্লাহর নির্ধারিত অধিকার ব্যতীত কাউকে হত্যা করবে না ও তারা নানা প্রকার গুণাহ বিশেষত সীমা লঙ্ঘন থেকে নিজেকে বিরত রাখবে।  ইরশাদ হচ্ছে : “এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের ইবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না।” (সূরা আল ফুরকান : ৬৮) তাদের সম্পর্কে আরো ইরশাদ হচ্ছে : ‘‘তাদেরকে তাদের সবরের প্রতিদানে জান্নাতে কক্ষ দেয়া হবে এবং তাদেরকে তথায় দোয়া ও সালাম সহকারে অভ্যর্থনা করা হবে। তথায় তারা চিরকাল বসবাস করবে। অবস্থানস্থল বাসস্থান হিসেবে তা কত উত্তম।” (সূরা আল ফুরকান : ৭৫-৭৬) মহান আল্লাহ আমাকে ও আপনাদের পবিত্র কুরআন থেকে বরকত ও উপকৃত হবার তাওফিক দিন। আমি আমার নিজের ও আপনাদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি, আপনারাও তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল। ভাষান্তর : ড. মুহাম্মাদ ওয়ালি উল্লাহ, সহযোগী অধ্যাপক, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির