post

মানব মগজ

২৭ মার্চ ২০১২
গোলাপ মুনীর হিউম্যান ব্রেন। আমাদের ভাষায় ‘মানব মগজ’। এই মানব মগজ হচ্ছে সবচেয়ে জটিল বিষয়গুলোর একটি। যদি বলি এর চেয়ে জটিল আর কিছুই নেই, তবু মনে হয় ভুল বলা হবে না। এই একটি মাত্র মানব মগজে রয়েছে ১০,০০০ কোটি স্নায়ুকোষ বা নার্ভ সেল। আর এগুলো একটি আরেকটির সাথে সংযুক্ত রয়েছে তেমনি শত শত কোটি স্নায়ুতন্তু দিয়ে। মানুষের মগজের এই জটিলতার সাথে কম্পিউটারের জটিলতাকেও নগণ্য বলতে হবে। পুরো বিশ্বের টেলিযোগাযোগ জালক বা নেটওয়ার্কের কথাই যদি ধরি তবে দেখব, এই নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করে মাত্র ৫০০ কোটি মোবাইল ফোন। সংখ্যা বিবেচনায় বলতে পারি, ছায়াপথ বা মিল্কিওয়ে পরাজিত করতে পারে মানুষের মগজকে। কারণ, ছায়াপথে রয়েছে ২০,০০০ কোটি তারা, তবে এসব তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ১০০,০০০ আলোকবর্ষ দূরত্বজুড়ে এক মহাশূন্যে। কিন্তু আমাদের ছোট্ট পরিসরের মানব মগজে রয়েছে ১০,০০০ কোটি স্নায়ুকোষ। আর এই কোষগুলো জড়াজড়ি করে রয়েছে একটি বলের আকারের একটি মাথার খুলির ভেতর। এখানে ১০০,০০০ আলোকবর্ষ দূরত্বটুকু আন্দাজ অনুমান করার জন্য আলোকবর্ষ কতটুকু দীর্ঘ পথ তা জেনে নেয়া দরকার। আমরা জানি, আসলে আলো তার নিজস্ব গতিতে এক বছর সময়ে যে দূরত্বে গিয়ে পৌঁছুতে পারে, সে দূরত্বকে বলা হয় আলোকবর্ষ। তা হলে এ কথা স্পষ্ট, আলোকবর্ষ বা লাইট ইয়ার হচ্ছে দূরত্বের একক, সময়ের একক নয়। আমরা জানি, আলোর গতি সেকেন্ডে ২৯৯, ৯৯২, ৪৫৮ মিটার, মোটামুটি হিসাবে ৩০০,০০০,০০০ মিটার বা ৩০০,০০০ কিলেমিটার। আবার এও জানি, মাইলের হিসাবে আলোর গতি সেকেন্ডে ১,৮৬,০০০ মাইল। তাহলে মাইলের হিসাবে ১ আলোকবর্ষ = ১,৮৬,০০০´৬০´৬০´ ২৪´৩৬৫ মাইল = ৫৮৬৫৬৯৬,০০০,০০০ মাইল। আর কিলোমিটারর হিসাবে ১ আলোকবর্ষ = ৩০০,০০০´৬০´৬০´২৪´ ৩৬৫ কিলোমিটার = ৯,৪৬০,৮০০,০০০,০০০ কিলোমিটার। মানব মগজ : যতটুকু জেনেছি মানুষের মগজের ওজন গড়ে ৩ পাউন্ড। সেরিব্রাম হচ্ছে মানব মগজের সবচেয়ে বড় অংশ। পুরো মগজের ৮৫ শতাংশ ওজন এই সেরিব্রামের। আমাদের দেহের চামড়ার ওজন মগজের ওজনের দ্বিগুণ। মগজের ধূসর অংশ তৈরি নিউরন দিয়ে। এই নিউরন মগজের যাবতীয় সঙ্কেত সংগ্রহ ও সঞ্চালন করে। মগজের হোয়াইট মেটার বা শ্বেতাংশ তৈরি ডেনড্রাইটস ও অ্যাক্সন দিয়ে। এরা তৈরি করে মগজের নেটওয়ার্ক বা জালক। আর এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয় সঙ্কেত। মগজের হোয়াইট মেটার বা শ্বেতাংশ ৬০ শতাংশ আর গ্রে মেটার বা ধূসরাংশ ৪০ শতাংশ। মগজের ৭৫ শতাংশ পানি। মানুষের মগজে রয়েছে ১০০.০০ কোটি নিউরন/নার্ভ সেল/ স্নায়ুকোষ। প্রতিটি নিউরনে রয়েছে ১ হাজার থেকে ১০ হাজার সিন্যাপসি। মগজে কোনো পেইন রিসিপ্টর নেই। ফলে মগজ কোনো ব্যথা অনুভব করে না। একটি হাতির ব্রেন ভৌতভাবে মানুষের ব্রেনের চেয়ে বড় হলেও মানুষের ব্রেন তার দেহের ২ শতাংশ। কিন্তু হাতির ব্রেন এর দেহের মাত্র ০.১৫ শতাংশ। তাহলে বলা যায়, শরীরের আকারের তুলনায় মানুষের ব্রেনই সবচেয়ে বড়। মানুষের দেহাংশের মধ্যে ব্রেনেই সবচেয়ে বেশি চর্বি থাকে। মানুষের ব্রেনের ৬০ শতাংশই চর্বি। জন্মের পর থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সময়ে মানুষের ব্রেনের গঠনের কাজ চলে। এর পর ব্রেনের গঠনের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। গর্ভে আসার পর থেকে মগজে প্রতি মিনিটে ২৫০,০০০ নিউরন তৈরি হয়। মানসিক কাজে সাড়া দিতে সারা জীবনই নিউরন সৃষ্টির কাজ চলে। মানসিক কাজের ওপর নির্ভর করে মানুষের মগজে নিউরন সৃষ্টি অব্যাহত থাকে। জন্মের সময়ে শিশুর মগজের আকার একজন প্রাপ্তবয়স্কের মগজের আকারের প্রায় সমান থাকে। ব্রেনকে যত ব্যবহার করতে শিখবেন, সেরিব্রাল করটেক্স বা মগজের ধূসর অংশ আরো তত বেশি ভারী হবে। শিশুকে জোরে জোরে পড়ে শোনানো ও শিশুর সাথে জোরে জোরে কথা বলা শিশুর ব্রেন গঠনের পক্ষে সহায়ক। আনন্দ, সুখ, ভয়, লজ্জা ইত্যাদি অনুভূতির ক্ষমতা মানুষের মগজে জন্মে জন্মের সময়। শিশু যখন ৫ বছর বয়সে দ্বিতীয় কোনো ভাষা শিখে, তখন তার মগজ কাঠামো বদলে যায়। শিশুর তুলনায় বয়স্কদের মগজে আরো ঘন গ্রে মেটার থাকে। শিশুর ওপর নির্যাতন মগজের ওপর স্থায়ী বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। মগজ মানুষের শরীরের ২৫ শতাংশ অক্সিজেন খরচ করে। শরীরে সঞ্চালিত রক্তের ২০ শতাংশ ব্যবহার করে মানুষের মগজ। মগজে রক্ত সঞ্চালন ৮ থেকে ১০ সেকেন্ড বন্ধ থাকলে মানুষ সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে। মগজে তথ্য প্রক্রিয়াজাত হয় সেকেন্ডে আধা মিটার থেকে ১২০ মিটার গতিবেগে ( ঘণ্টায় ২৬৮ মাইল বেগে)। জেগে থাকা মানুষের মগজে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, তা দিয়ে ১০-২৩ ওয়াটের বাতি জ্বালানো যাবে। হাই তোলার সময় বেশি পরিমাণে অক্সিজেন পাঠানো হয় মগজে। নিও করটেক্স মানুষের মগজের ৭৬ শতাংশ। ভাষা ও চেতনার জন্য এ অংশ দায়ী। মানুষের নিও করটেক্স জন্তুর তুলনায় অনেক বেশি বড়। মগজের প্রতিটি অংশের রয়েছে নিজস্ব কাজ। অক্সিজেন ছাড়া মগজ বেঁচে থাকতে পারে ৪ থেকে ৬ মিনিট। এর পর মগজ মরতে শুরু করে। ৫ থেকে ১০ মিনিট মগজ অক্সিজেন ব্যবহার করতে না পারলে মগজ স্থায়ীভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত মানুষের শরীরের তাপমাত্রার সর্বোচ্চ রেকর্ড ১১৫.৭ ডিগ্রি। এ তাপ মাত্রায় মানুষটি বেঁচে ছিলেন। অতিমাত্রার উদ্বেগ মগজকোষ, মগজকাঠামো ও মগজের কার্যকারিতা পাল্টে দেয়। মগজে ভালোভাষার যে হরমোনটি দায়ী, তার নাম অক্সিটোসিন। যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লাখ ছাত্রের ওপর এক সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, যেসব ছাত্র কৃত্রিম স্বাদ ও রঙের খাবার পরিহার করেছে, তাদের আইকিউ অন্যদের তুলনায় ১৪ শতাংশ উন্নত। আরেক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা সমুদ্রজাত খাবার খায়, তাদের ডিমেনশিয়া বা মানসিক দুর্বলতায় পড়ার সম্ভাবনা কমে যায় ৩০ শতাংশ। মহিলারা পুরুষের তুলনায় দেরিতে সিদ্ধান্ত নেয়, তবে এরা সিদ্ধান্তে অটল থাকে বেশি। বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন নারী ও পুরুষ ব্যথা অনুভব করে আলাদা আলাদাভাবে। আপনি যতবার নতুন কিছু স্মরণ বা চিন্তার চেষ্টা করবেন, ততবার মগজে সৃষ্টি হয় নতুন সংযোগ। ইনসুলিন শরীরে ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, মগজে ইনসুলিনের উপস্থিতিও স্মরণশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ব্রেন ওয়েভ সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে স্বপ্ন দেখার সময়। মানুষ স্বপ্নের অর্ধেক ভুলে যায় স্বপ্ন দেখার ৫ মিনিট পর। আর ১০ মিনিটের মধ্যে ভুলে যায় ৯০ শতাংশ স্বপ্ন। অতএব স্বপ্ন মনে রাখতে চাইলে তা ডায়েরিতে লিখে রাখুন। অন্ধজনও স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দৃশ্যমান বিষয়। অন্ধ মানুষের স্বপ্ন ছবির মতো দৃশ্যমান হতে পারে। তবে তা নির্ভর করে লোকটি দৃষ্টিহীন হয়েছেন জন্মের আগেই, না জন্মের পর। ১২ শতাংশ মানুষ স্বপ্ন দেখেন সাদা-কালো চিত্রে। বাকিরা রঙিন চিত্রে। আরো জানতে হবে আমরা জানি আজকের দিনের আধুনিক হাসপাতালগুলোতে আমাদের ব্রেন স্ক্যান করে দেখার জন্য ব্যবহার হচ্ছে এমআরআইÑ ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং। এর উত্তরসূরি হিসেবে আমরা পেয়েছি আরো আধুনিক নতুন ব্রেন ইমেজিং টেকনোলজি। এর মাধ্যমে এখন আমরা মানুষের জীবিত সচল মগজের ভেতরটা দেখতে পারি। মানুষের মগজ সম্পর্কে আরো বেশি করে জানার জন্য কাজ করছে ‘হিউম্যান কানেকটোম প্রজেক্ট’। এটি বিশ্বের নানা দেশের বিজ্ঞানীদের একটি কনসোর্টিয়াম। এ প্রকল্পের নেতৃত্বে আছে সেন্ট লুইয়ের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় আর মিনিসোটা বিশ্ববিদ্যালয়। এই প্রকল্পে সহযোগিতা জোগায় যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ। এর লক্ষ্য ব্রেনের প্রধান প্রধান কানেকশনগুলো চিহ্নিত করা। আর এই কানেকশনগুলোতে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে কী ধরনের পার্থক্য থাকে, তা জানা। তা ছাড়া এ প্রকল্পের মাধ্যমে এও জানার চেষ্টা চলবে, মগজের কোন কোন অংশ এক সাথে মিলে একটি নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করে একযোগে কাজ করে। বিজ্ঞানীরা এখানে  ব্রেনের এমন কিছু দেখার চেষ্টা করবেন, যা এর আগে অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি। এই প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে স্ক্যানারকে ফাইন টিউনড করা হয়েছে, এর সাথে এমন প্রোগ্রাম সংযোজন করা হয়েছে, যা ব্রেন কানেকশনগুলো প্রদর্শন করবে এবং এ সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্ত রেকর্ড করবে। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে এ ক্ষেত্রে অবাক করা কিছু বিষয় আমরা প্রথমবারের মতো দেখতে পাব, জানতে পারব। তখন ১২০০ স্বেচ্ছাসেবনের ব্রেন স্ক্যান করা হবে অত্যাধুনিক মেশিনে ঢুকিয়ে। এ বছরের শুরুতে প্রথম ১০০ জনের ব্রেন স্ক্যানের তথ্য-উপাত্ত সাধারণ মানুষের জন্য প্রকাশ করা হবে। মনের মূল সড়ক নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্দেশ্য নয় প্রতিটি স্নায়ুকোষ ও এর সংযোগের হতবুদ্ধিকর মানচিত্র তৈরি করা। তবে অন্যান্য বিজ্ঞানীরা প্রাণীর ব্রেনের আণুবীক্ষণিক ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে সফল হয়েছেন। একদিন এসব বিজ্ঞানী মানুষের মগজের বেলায়ও এ ধরনের সফলতা পাবেন। কানেকশন ম্যাপ থেকে এক ঘন মিলিমিটার আয়তনের ব্রেনের সম্পর্কে অবাক করা নানা তথ্য জানা যাবে। এ সমাধান থেকে পাওয়া যাবে ব্রেনের বোধগম্য ‘ম্যাক্রোইকোনমিক’ ভিউ, যার ফলে সম্ভব হবে মগজের মুখ্য ভাগগুলো চিহ্নিত করা। সম্ভব হবে বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করার মহাসড়কগুলো সম্পর্কে জানা। ঠিক যেমনি বিশ্ব মানচিত্র থেকে পৃথিবীর প্রত্যেক কর্মী মানুষকে চিহ্নিত করতে না পারলেও আমরা জানতে পারি বিশ্ব অর্থনীতি ও শিল্পকেন্দ্রসহ ট্রেডরুটগুলোর সংযোগ সম্পর্কে। সম্ভাবনা আছে নতুন অনেক কিছু জানার। সেরিব্রাল করটেক্স হচ্ছে গুরু মগজের বাইরের দিকের ধূসর অংশ। মগজের এই অংশে রয়েছে প্রায় ৫০টি উপাংশ। এগুলোর মানচিত্রও ভালোভাবেই তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এ মানচিত্র করটেক্সের মাত্র এক-তৃতীয়াংশের জন্য। পুরো করটেক্সের মানচিত্র তৈরি এখনো সম্ভব হয়নি। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞানী ড্যাভিড ভ্যান এসেন বলেন, ‘আমাদের উদঘাটনের বিষয়টি যদি হতো একটি মহাদেশ, তবু এর ভালো একটি মানচিত্রের প্রান্তিক ভৌগোলিক উপবিভাগগুলোর কিছু অজানা বিষয় থেকে যেত। ব্রেনের বেলায় এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই অনুদঘাটিত অংশটিতেই হয়ত দেখা যাবে সবচেয়ে বড় ধরনের কাজটি সম্পন্ন হচ্ছে।’ আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, হিউম্যান কানেকটোম প্রজেক্টের আওতায় ১২০০ স্বেচ্ছাসেবকের ব্রেন স্ক্যান করা হবে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবকের ব্রেন ম্যাপের মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণ। অনেক স্বেচ্ছাসেবক এসেছেন একই পরিবার গোষ্ঠী থেকে। এমনকি এদের মধ্যে আছেন যমজরাও। কিংবা অন্য সহোদরেরাও। ড. ভ্যান এসেন বলেন, ‘আমরা মানব মগজের শুধু আদর্শ নমুনার সংযোগগুলোই উদঘাটন করতে পারি না, বরং এর নাটকীয় বিভিন্নতাও উদঘাটন করতে পারি। এক ব্যক্তির মগজের মানচিত্র থেকে আরেক ব্যক্তির মগজের মানচিত্রের পার্থক্যও করতে পারি। আর তা থেকে আমরা মগজের নানা বিষয় নিয়ে নানাভাবে ভাবতে পারি। এর ফলে মগজের নানা গোলমাল সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা যাবে। এরই মধ্যে জানা গেছে, অটিজম আর সিজোফ্রেনিয়ার জন্য দায়ী ব্রেন সার্কিটের অস্বাভাবিকতা।’ স্ক্যানার ব্যবহারের পরিবর্তে ব্রেন কানেকশনের ওপর আলোকপাত করার অর্থ এটুকু জানা, আমরা যখন বিভিন্ন কাজ করি তখন মগজের কোন অংশ সক্রিয় হয় কিভাবে। আসলে বিজ্ঞানীরা জানতে চান ব্রেন নামের জটিল ব্যবস্থাটি সম্পর্কেÑ এই ব্রেন ইকোনমি না সোসাইটি। ব্রেন নামের এই জটিল ব্যবস্থা সম্পর্কে আমাদের সর্বোত্তম জানা হচ্ছে, এটি একটি মিথষ্ক্রিয় ও গতিশীল (ইন্টারেকটিভ ডাইনামিক) নেটওয়ার্ক, যা কাজ করে সামগ্রিকভাবে। ওলাফ স্পর্নস একজন তাত্ত্বিক স্নায়ুবিজ্ঞানী। কাজ করেন ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনিই প্রথম প্রস্তাব করেন, হিউম্যান কানেকটোমের মানচিত্র তৈরি করতে হবে। তিনি মনে করেন, এই প্রকল্প মগজ সম্পর্কিত ভাবনার সম্পূর্ণ নতুন উপায় উন্মোচন করবে। তিনি বলেন, ‘হতে পারে, আমরা মগজের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানার প্রায় শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছে গেছি। তখন মগজ কাঠামো চলে আসবে আমাদের বোধের ও উপলব্ধির গণ্ডির ভেতর।’ লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির