post

মাহে রমজান : খোদাদ্রোহী শক্তির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার মাস

০৮ আগস্ট ২০১১
মুহাম্মাদ লুৎফুর রহমান বছর ঘুরে আমাদের দ্বারে আবার ফিরে এসেছে রহমত, বরকত, নাজাতের মাস মাহে রমজান। বছরে ১২টি মাস। তন্মধ্যে রমজান মাস পৃথিবীর প্রতিটি মুসলমানের নিকট উৎসবের মাস। এ মাসেই নাজিল হয়েছে মানবতার মুক্তির মহান সংবিধান আল কুরআন। তাই মহান আল্লাহ তায়ালা রমজান মাসের অধিক গুরুত্বের কারণ বর্ণনা করে বলেছেন, ‘রমজান মাস, এ মাসেই কুরআন নাজিল করা হয়েছে, যা মানুষের জন্য হেদায়েত ও সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন এবং সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে রোজা রাখে।” (সূরা বাকারা : ১৮৫) নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত এ চারটি মৌলিক ইবাদাতের মধ্যে নামাজ ও রোজা সার্বজনীন অর্থাৎ সকলের জন্য প্রযোজ্য। সালাত প্রতিদিনের জন্য আর সাওম বছরে এক মাসের জন্য। আমাদের আত্মগঠন ও আত্মসংযমের জন্য সালাত ও সাওম দু’টিই মৌলিক ইবাদাত হলেও কুরআনি হেদায়াত অনুসরণের ক্ষেত্রে যে তাকওয়ার প্রয়োজন স্বয়ং মহান আল্লাহর বক্তব্য অনুযায়ী তিনি তা সাওমের মাধ্যমে আমাদের মাঝে সৃষ্টি করতে চান। তাই মহান আল্লাহ বলেন, “হে মু’মিনগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হলো, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।” (সূরা বাকারা : ১৮৩) রমজানের নিয়ম-কানুন, সেহেরি, ইফতারের ফজিলত আমাদের কম-বেশি সকলেরই জানা। কিন্তু মুসলিম মিল্লাতের অতীত ইতিহাস অনুযায়ী রমজান যে শুধু উপবাস, সেহেরি ইফতার আর তারাবিহর আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং ইহা যে কায়েমি স্বার্থবাদী তাগুতি শক্তির বিরুদ্ধে মুসলমানদের রণহুঙ্কারে গর্জে ওঠার ও বিজয়ের মাস তা কি আমাদের জানা আছে? এ মাসে দান খয়রাত করলে, নফল ইবাদাত করলে অন্যান্য মাসের চেয়ে সত্তর গুণ বেশি সওয়াব আমরা জানি। কিন্তু এ মাসে যে কুফরি শক্তিকে পরাজিত, পরাভূত করে বদরের ময়দানে ইসলামের বিজয়ের ঝাণ্ডা উচ্চকিত হয়েছে তা কি জানি? আর জানলেও বা কী করার আছে আমাদের? এক মাস রোজা শেষে আমরা নতুন জামা, সেমাই, পায়েস, ফিরনি, ঈদের নামাজ, কোলাকুলি, গলাগলির মাধ্যমে ঈদের আনন্দ উপভোগ করবো। কিন্তু এ রোজার মাসেও ইহুদিদের মোকাবেলায় আফগান-ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জীবন দিতে হচ্ছে। ভারতীয় হায়েনাদের গুলির মুখে নিরস্ত্র কাশ্মিরিদের রক্ত দিতে হচ্ছে, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তরে মুসলমানেরা শহীদ হচ্ছে, আহত-নিহত হচ্ছে অগণিত বনি আদম। দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আপসহীন নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে যুগের জঘন্যতম মিথ্যাচার আর মানবতাবিরোধী নির্যাতনের কশাঘাতে কারাগারে নিষ্পেষিত-অবরুদ্ধ ইসলামী আন্দোলনের অকুতোভয় নেতৃত্ব। এমনকি আমরা যখন ঈদের নামাজ পড়ে আনন্দ উল্লাস করবো তখন তারা ঈদের দিনেও আপনজনকে হারিয়ে জানাজার নামাজ আদায় করে বুকফাটা আহাজারি আর চোখের অশ্রু সাগরে সাঁতরিয়ে আনন্দঘন মুহূর্তগুলো কাটাবে। ইসলামে রোজার তিনটি উদ্দেশ্য নির্দেশ করা হয়েছে- তাকওয়া, তাকবির ও শোকর। বান্দা রোজার মাধ্যমে তাকওয়ার গুণে ভূষিত হবে, ঐ তাকওয়ার বলিষ্ঠতা নিয়ে জাহেলিয়াতের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করত বাতিল মতাদর্শের উত্তপ্ত উনুন দলিত মথিত করে বিশ্বব্যাপী আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করবে। আর মহান আল্লাহর নিয়ামতের শোকর আদায় করার জন্য তার নির্দেশ মেনে চলবে। কিন্তু আজ বিশ্ব মুসলমানগণ রোজার মূল উদ্দেশ্য হতে আত্মবিস্মৃত। রোজার তথাকথিত আধুনিকায়নে (?) তা উপবাসের ফ্যাশন, ইফতারিতে হরেক রকম আয়োজনই যেন তার মূল লক্ষ্য। ‘শাহরু রমাদান’ আজ যেন ‘শাহরুন নাওম’ বা নিদ্রার মাস এবং ‘শাহরুত তায়াম’ বা খাওয়া দাওয়ার মাস। রোজার নামে উপবাসের ফ্যাশন হিসেবে পুরাকালে কেল্ট, রোমান, আসিরীয় ও বেবিলনীয়দের মধ্যে রোজার প্রচলন ছিল। ইহুদি, খ্রিষ্টান, জরথুস্থ, কনফুসিয়াস, বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মেও রোজা বা উপবাসব্রত পালিত হয়। ভারতের হিন্দু ব্রাহ্মণরা একাদশীর দিন উপবাস ও কার্তিক মাসের প্রতি সোমবার রোজা রাখে। জৈন ধর্মাবলম্বীরা হিন্দু যোগীদের ন্যায় ৪০ দিন পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকত। ইহুদিরা হজরত মূসা (আ)-এর তুর পাহাড়ে ৪০ দিন পানাহার ছাড়া অতিবাহিত করাকে স্মরণ করে ৪০ দিন উপবাস থাকে। অতএব মুসলমানদের রোজা নিছক উপবাস নয়, নয় কোন আনুষ্ঠানিকতা। কুরআন নাজিলের মাস হিসেবে কুরআনি সমাজ বিনির্মাণের প্রশিক্ষণ তথা শপথ গ্রহণই এর মূল লক্ষ্য। আল্লামা ইকবাল বলেছিলেন- “কাফের কি ইহ্ পহ্চান কি আফাক মে গুম হা, মুমিন কি ইহ্ পহ্চান কি গুম উসমে হায় আফাক” অর্থাৎ কাফেরের পরিচয় সে পৃথিবীর মধ্যে হারিয়ে যায়, আর মু’মিনের পরিচয় তার মধ্যে পৃথিবীই হারিয়ে যায়। রমজান মাস জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের, শোষণের বিরুদ্ধে শোষিতের, অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলোর, অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের বিজয়ের মাস। ইসলামের ইতিহাসে ১৭ রমজান ‘বদর দিবস’ অর্থাৎ এ রমজান মাসেই তাগুতের বিরুদ্ধে ইসলামের জয়-যাত্রার অভিষেক হয়। বদর প্রান্তরে এক হাজার রক্ত মাতাল আবু জেহেলের নেতৃত্বে চকচকে ধারালো তলোয়ার হাতে ক্ষুধিত ব্যাঘ্রের মত মুসলিম মুজাহিদদের রক্ত দিয়ে মনের আনন্দে স্নান করার জন্য একত্রিত হয়। আর বিশ্ব সমর সেনাপতি মাত্র তিনশত তের জন মুজাহিদ সংগঠিত করে রমজান মাসে যাদের না আছে  সেহেরি-ইফতারের ব্যবস্থা, না আছে পর্যাপ্ত রণসামগ্রী। এতদসত্ত্বেও কাফেরগোষ্ঠীর অহমিকার হুঙ্কার তরবারির ঝনঝনানি ইসলাম নির্মূলের আস্ফালন নিমেষেই রহমতে বারি তা’য়ালার অপূর্ব শক্তি সাহস ও মনোবলের জোগানে স্তিমিত করে দেন। রমজানের ইফতারিতে খুরমা খেয়ে রাসূলুল্লাহর (সা) সুন্নাত আদায়ে মুসলমানরা সচেষ্ট। কিন্তু এ রমজানে যে তাওহিদের তাকবির ধ্বনি উচ্চকিত করতে সাহাবীগণ বদর প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেছেন এবং কাফেরদের সত্তরজন রক্ত-মাতালকে দুনিয়া  থেকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিয়েছেন সে সুন্নাতের ব্যাপারে গাফেল। মূলত রমজান মাস হচ্ছে মুমিন হৃদয়ে, ধমনীতে বিপ্লবের নব স্পন্দন সৃষ্টির মাস। রমজান মাস মক্কা বিজয়ের মাস, মুসলিম মিল্লাতের সামরিক বিজয়ের মাস। ইবলিশের শিকড় উপড়ে ফেলে আল্লাহর বিধান বিজয়ী করার নিমিত্তে জিহাদের বজ্রকঠিন শপথ নেয়ার মাস মাহে রমজান। তাই ইসলামের সকল ইবাদাতের শীর্ষে জিহাদের স্থান। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, “জান্নাত তরবারির ছায়াতলে।” তিনি আরো বলেছেন, “যে ব্যক্তি জিহাদে অংশ গ্রহণ করে না, অন্তরে জিহাদের তামান্না পোষণও করল না তার মৃত্যু হচ্ছে মুনাফেকির মৃত্যু।” কিন্তু মুসলমান আজ এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকেই সর্বাধিক গৌণ বিষয়ে পরিণত করেছে। মনে হয় যেন, আল্লাহপাক নিতান্ত রসিকতাচ্ছলে কুরআনুল কারিমের শত শত জায়গায় জিহাদের অপরিহার্যতার কথা উল্লেখ করেছেন। এবং রাসূল (সা) ও ইসলামের কারণে নয় নেহাতই ব্যক্তিগত বীরত্ব প্রদর্শন ও ভূমি দখলের জন্য বদর-উহুদে রক্তাপ্লুত হয়েছেন। (নাউজুবিল্লাহ) আমাদের বড় দুর্ভাগ্য, আমরা তথাকথিত  চেতনাহীন ব্যাধিতে এমনভাবে আক্রান্ত যে, রাসূল (সা) এর প্রায় সব নির্দেশই আমাদের নিকট অত্যন্ত লঘু ও তাৎপর্যহীন। তিনি যে রোজা রেখেছেন আবার সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বদর-উহুদসহ ছোট বড় ২৩টি যুদ্ধে অকুতোভয় সিপাহসালার ছিলেন। তিনি যে জিহাদের নবী, তিনিই যে সকল আদর্শের একমাত্র আলোকবর্তিকা এ সহজ কথাগুলো বিস্মৃত হয়ে আমরা তাঁকে নিছক নিষ্ক্রিয় ধরনের ও আনুষ্ঠানিক ইবাদাত বন্দেগির মুর্শিদ রূপে গ্রহণ করেছি মাত্র। রমজানে ইফতার, সেহেরি, মেসওয়াক ব্যবহার কি অতিরিক্ত তাসবিহ তাহলিল সুন্নাত অথবা নফল কিন্তু দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সাহসী মুজাহিদ হয়ে অবিচল দাঁড়িয়ে থাকা ফরজ। রমজানে যাবতীয় হারাম কাজ থেকে বিরত থাকা ইবাদত বটে, কিন্তু জিহাদের ময়দান থেকে বিরত থাকা গুরুতর হারাম। ইহাই ঈমান ও ইহতিসাবের রোজা পালন। মুসলমান আজ এমন এক আত্মঘাতী অপরিণামদর্শী অবোধ বালকে পরিণত তাকে এ কথা বুঝানো কষ্টকর যে, নিদ্রাহীন বন্দেগির নাম ইসলাম নয়, ইসলাম কোন মারেফাতি গুপ্ত বিদ্যার নাম নয়, আমরা কেহ ইসলামের অনুসরণ করে তার প্রতি করুণা করছি না। ১৯৩০ সালে এলাহাবাদে অনুষ্ঠিত মুসলিম লীগের বার্ষিক সম্মেলনে তাই আল্লামা ইকবাল বলেছিলেন- “মুসলমান ইসলামকে রক্ষা করেনি বরং বিপদে সঙ্কটে ইসলামই মুসলমানকে রক্ষা করেছে।” তাই আমাদের অস্তিত্বের স্বার্থেই স্বীয় আত্মোপলব্ধি প্রয়োজন। পাশ্চাত্যের দ্বিধা বিভক্ত জীবনবোধের সাথে লীন হওয়ার সুযোগ মুসলমানদের নেই। যাদের শ্লোগান হচ্ছে- “Reder unto caesar what is caesar's and to God what is God's” অর্থাৎ “যা রাজার প্রাপ্য তা রাজাকে দাও এবং যা ঈশ্বরের প্রাপ্য তা ঈশ্বরকে দাও” অথচ মুসলিম জীবন সাঁকোতে থাকবে ইসলামের সুসামঞ্জস্যপূর্ণ অভেদ্য সমন্বয়। বর্তমান মুসলিম মিল্লাত এক চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। কেন আমাদের রক্ত নিয়ে হোলি খেলায় মেতে উঠেছে অমুসলিম বিশ্ব? আমাদের লাশ নিয়ে কেন ওদের আনন্দ উল্লাসের মিছিল? আসলে আজ আমরা ইসলামের মূল আদর্শচ্যুত হয়েছি। আমাদের হৃদয় থেকে উঠে গেছে ঈমানের সঠিক ¯পৃহা। আল্লাহর ইবাদাত নিরেট তাঁর গোলামির জন্য হয় না এখন তা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম মুসলমানদের যথার্থ আত্মোপলব্ধি না থাকায় ক্ষোভে দুঃখে বলেছেন- “যে বলে সে মুসলিম জিভ ধরে টান তার বেঈমান জানে শুধু জানটা বাঁচানো তার আনোয়ার ধিক্কার/কাঁধে ঝুলি ভিক্ষার তলোয়ারে শুরু যার স্বাধীনতা শিক্ষার যারা ছিল দুর্দম আজ তারা দিকদার।” রোজা আসে রোজা যায় অথচ এ রোজাতেই ইসলামের বিজয় কেতন উড়িয়েছে বদরের ময়দানে শাহাদাতের অমিয় পেয়ালা পান করে কাফেরদের মোকাবেলায় চৌদ্দজন সাহসী মর্দে মুজাহিদ। তাই আজ আর জেগে জেগে ঘুমিয়ে দুস্যু তস্করকে খুশি রাখার সুযোগ নেই। ভয়ের কোন কারণ নেই বাতিলের রক্তচুকে। আর কতোই বা ভয় পাবো আমরা মুসলিম? ৮৭ ভাগ মুসলমানের দেশে সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা-বিশ্বাস কয়েকটি শব্দ পর্যন্ত সহ্য করেনি খোদাদ্রোহী শক্তি। বিসমিল্লাহ, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আজ গুটিকয়েক মুশরিক-মুরতাদের কাছে ভিক্ষা চেতে হচ্ছে আমাদের। সুযোগ নেই রমজানে আপসহীন জিহাদে ভূমিকা রাখতে সম্পদ ও রক্তের নজরানা পেশের আতঙ্কে তসবিহ ও জায়নামাজকে নাজাতের শ্রেষ্ঠ অবলম্বন বানানোর। আফসোস করে তাই বলতে হয়- ‘‘শের কি সের পে বিল্লি খেল রহি / ক্যায়সা হায় মুসলমাঁ কা বদনসিব শাহাদাত কি তামান্না মরগয়ি / তসবিহ কা দানো মে জান্নাত ঢুঁঢ রহি।” অর্থাৎ ব্যাঘ্রের মাথায় বসে বিড়াল খেলা করছে, কি বদনসিব এ মুসলমানের? নিঃশেষ হয়েছে শাহাদাতের তামান্না, জান্নাত খুঁজে ফিরছে তসবিহর দানার মধ্যে। সুতরাং আজ প্রয়োজন গতানুগতিক উপবাসের অক্টোপাস থেকে বেরিয়ে মাহে রমজানের পূর্ণ মর্যাদা রক্ষার্থে খালিদ বিন ওয়ালিদ, উক্ববা ইবনে নাফে, তারেক বিন যিয়াদ, মুসা বিন নুসায়ির, মাহমুদ গজনবী, মুহাম্মদ বিন কাশিম, জওহার দুদায়েভ, আহমাদ শাহ আবদালী, আর সালাহ উদ্দিন আয়ুবী (রহ), সাইয়েদ কুতুব, হাসান আল বান্না, বদিউজ্জামান নুরসী, মাওলানা মওদূদী (র)-এর মতে বিশ্ব কাঁপানো শহীদ গাজীদের ন্যায় অসম সাহস নিয়ে বাতিলের তখতে তাউস গুঁড়িয়ে দিয়ে বাস্তব জিহাদে অবতীর্ণ হওয়া। তাহলেই মুক্তি পাবে মজলুম মানবতা। মুক্তি পাবে বিশ্ব মুসলমান। বিজয়ী হবে মুসলিম মিল্লাত। মুক্তি পাবো আমরা ষোল কোটি বাংলাদেশী। তথ্যসূত্র ক্স    ইসলাম ও আত্মঘাতী মুসলমান- আবু জাফর ক্স    নামাজ রোজার হাকিকাত- মাওলানা মওদুদী (র) ক্স    পাক্ষিক পালাবদল- নভেম্বর ২০০০ ক্স    সিয়াম স্মারকগ্রন্থ- আল মুনির পাবলিকেশন্স ক্স    আল কুরআনের বিপ্লবী অবদান- জিল্লুর রহমান নদভী লেখক : সেক্রেটারি, আইবিডব্লিউএফ, ঢাকা মহানগরী

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির