post

মীর নিসার আলী তিতুমীর বিপ্লবের সাহসী সেনাপতি

ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ

২৩ জানুয়ারি ২০২২

পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার গানে যাঁরা সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন তাঁদের অন্যতম সিপাহসালার মীর নিসার আলী। তিতুমীর নামে তিনি সকলের কাছেই পরিচিত এবং সমাদৃত। সাইয়েদ আহমদ ব্রেলভী রহ.-এর রেখে যাওয়া আদর্শ ও জিহাদ পরিচালনা করে তিনি ত্যাগ এবং সাহসের প্রতীক হয়ে আছেন। শুধুমাত্র গান কবিতা কিংবা সাহিত্য-ইতিহাসের পাতায় নয়, প্রতিটি স্বাধীনতাকামী বিশ্বাসী মানুষের হৃদয়ে তিনি একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে অনুপ্রেরণার জায়গায় আসীন। কবি সাজজাদ হোসাইন খানের ভাষায়- ‘এক যে ছিল বীর, নামটি তিতুমীর, বাঁশের লাঠি দিয়ে ভাঙত সে জিঞ্জির।’ শিকল ভাঙার গানে তিনি আজও আমাদের অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। মীর নিসার আলী তিতুমীর ১৭৮২ সালে পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত জেলার চাঁদপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালে তিনি গ্রামের এক মাদরাসায় লেখাপড়া করেন এবং গ্রামের এক ব্যায়ামাগারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে একজন কুস্তিগির হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। ১৮১৫ সালে তিনি কলকাতায় একজন পেশাদার কুস্তিগির হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান। সারা ভারতবর্ষে কুস্তিগির হিসেবে তিনি খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান করেন।

মীর নিসার আলী তাঁর সংস্কার আন্দোলনের প্রারম্ভে নদীয়ার এক জমিদারের অধীনে লাঠিয়াল হিসেবে চাকরি গ্রহণ করেন। লাঠিয়ালের চাকরিতে থাকাকালে একবার এক দাঙ্গা-হাঙ্গামায় তিনি ধৃত হন এবং বিচারে তিনি কিছুকাল জেলে আবদ্ধ থাকেন। অতঃপর তিনি দিল্লির রাজপরিবারের এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন এবং তাঁর সঙ্গে তিনি মক্কায় হজ্জব্রত পালন করতে যান। মক্কায় হজ্জ পালনে আগত সাইয়েদ আহমদ ব্রেলভীর সাথে তিতুমীরের পরিচয় হয় এবং তিনি তাঁর মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ সংস্কার আন্দোলনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিন-চার বছর পর তিনি দেশে ফিরে কলকাতাসহ বাংলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান করেন। শেষ পর্যন্ত নারকেলবাড়িয়ার কাছাকাছি হায়দরপুরে বসতি স্থাপন করে তিনি একজন ধর্মীয় নেতা ও সংস্কারক হিসেবে কাজ আরম্ভ করেন। এই সংস্কার আন্দোলনের ফলে তিনি এক বিরাট জনসংখ্যার নেতা হন, যার অধিকাংশই ছিল মুসলমান কৃষক ও তাঁতী। ক্রমশ তিনি বেশ সুনাম অর্জন করেন এবং পূর্ববর্তী পেশা ত্যাগ করে পুরোপুরি নিজেকে ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলনে আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর নেতৃত্বে ২৪ পরগনা, নদীয়া ও যশোর-এ তিন জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে সংস্কার আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে সেখানে স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এ কাজে তিনি মিসকিন শাহ নামক এক আধ্যাত্মিক ব্যক্তির সহায়তা লাভ করেন। তিতুমীরের আন্দোলনের প্রধানত তিনটি ধারা ছিল। প্রথমত; মুসলমানদেকে ধর্মহীনতার কবল থেকে উদ্ধার করে ইসলামের প্রকৃত শরিয়তি বিধান মোতাবেক পরিচালনা করা। দ্বিতীয়ত; ইংরেজ শাসকদের ধ্বজাধারী অত্যাচারী জমিদারদের হাত থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নির্যাতিত মানুষকে রক্ষা করা।

তৃতীয়ত; ইংরেজদের শাসন শোষণ থেকে স্বাধীনতা লাভের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা। তিতুমীরের আন্দোলনের বিশেষত্ব হলো ইসলামের মৌলিক বিষয়াদি অতি নিষ্ঠার সাথে পালন করা। ব্রিটিশ কর্তৃক পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মের সংমিশ্রণে লোকজ এবং ধর্মীয় কুসংস্কার মুসলিম সমাজে প্রবেশ করে। তিনি এগুলো পরিহার করার উপায় অনুসন্ধান করেন। এজন্য তিনি মাজার জিয়ারত করা, মাজার তৈরি করা, পীরপূজা, মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে কিছু দান করা এবং মহররম উৎসবে যোগদান করা মুসলমানদের জন্য হারাম বলে ঘোষণা করেন। এই ঘোষণা দেয়ার সাথে সাথে তিতুমীরের অনুসারী ও ভিন্ন মতাবলম্বী মুসলমানদের সঙ্গেও তাদের বিরোধ উপস্থিত হয়। তবে এর চেয়ে তীব্র হয়েছিল হিন্দু জমিদারদের প্রতিক্রিয়া। তিতুমীরের নেতৃত্বে রায়তদেরকে সংগঠিত হতে দেখে বিরোধীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং এ সংগঠন ভেঙে দেয়ার পন্থা অন্বেষণ করতে থাকে। তিতুমীর অনুসারীগণকে নিয়ে নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের ময়জুদ্দীন বিশ্বাসের বাড়িতে তাঁদের সদর দফতর স্থাপন করেন। তিতুমীর এ বাড়ির সকলকে তাঁর সংস্কার আন্দোলনের নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে পান। ময়জুদ্দীন বিশ্বাসের নিকটতম আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে ছিলেন বলাই জোলা, ডাকু কারিগর, দায়েস কারিগর, কেদার বক্স কারিগর, পূজতি মল্লিক প্রমুখ। এঁরা প্রত্যেকে ছিলেন নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের জোলা ও রায়ত। ফকির মিসকিন শাহ এবং আরও অনেক স্বাধীনতাকামী ফকির তাঁদের অনুগামী দলসহ তিতুমীরের সঙ্গে মিলিত হন ও একত্রে বসবাস শুরু করেন। তিন বছরের ব্যবধানে তাদের দলবল ও শক্তি সমর্থন প্রচুর বেড়ে যাওয়ায় ক্রমশ তাঁরা রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেন। উত্তরোত্তর নবদীক্ষিতদের মধ্যে চাষি ও জোলাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এঁদের কার‌্যাবলিতে চাষি ও জোলাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি স্থান পেতে থাকে এবং কালক্রমে প্রজাবিদ্রোহের রূপ নেয়।

তিতুমীরের এ সংস্কার আন্দোলন দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তারাগুনিয়ার জমিদার রামনারায়ণ ও পুঁড়ার জমিদার কৃষ্ণদেব রায়ের নেতৃত্বে তিতুমীরের অনুসারীদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার শুরু হয়। জমিদারগণ কর্তৃক দায়েরকৃত রায়তদের দাড়ির উপর বসানো অন্যায় ও জবরদস্তিমূলক কর দিতে রায়তরা অস্বীকার করে। ফলে জমিদাররা তাদের উপর লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে হামলা করে এবং তাদের মসজিদ জ্বালিয়ে দেয়। প্রজারা থানায় নালিশ দিয়েও কোন ফল পায়নি। কলভিন বলেন যে, ১৮৩০ সালের ৭ আগস্ট বারাসাতের ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে জমিদারদের এ ধরনের দুর্ব্যবহারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেও সেটা পরিচালিত না হয়ে বরং সে মামলাটি এক বছর পর খারিজ করে দেয়া হয়। তিতুমীর ও তাঁর অনুসারীরা বুঝতেন যে, বিদেশী শাসকদের প্রবর্তিত আইন আসলে মজলুমদের বিপক্ষে, ইংরেজ সরকার চাষি ও জোলাদের কল্যাণে সম্পূর্ণ উদাসীন। কাজেই তারা আরো উপলব্ধি করলো যে, অন্যায়, অত্যাচার, অবিচারের পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে প্রতিশোধ গ্রহণই তাদের কাছে একমাত্র বিকল্প পথ। মুজাহিদদের এ ধরনের প্রতিশোধ গ্রহণের ফলশ্রুতিতে নওঘাটায় এক সংঘর্ষ হয়। সেখানে জমিদার দেবনাথ রায় নিহত হয় এবং আরও দুটি শক্তি পরীক্ষায় মুজাহিদদের জয়লাভের ফলে তাঁদের আত্মবিশ্বাস আরো বেড়ে যায়। অতঃপর তাঁরা দেশে ইংরেজ রাজত্বের অবসান এবং মুসলিম শাসনের পুনঃপ্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেন।

১৮৩১ সালের ১৫ নভেম্বর বারাসাতের জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট আলেকজান্ডার ১২৫ জনের এক পুলিশ বাহিনী নিয়ে নারিকেলবাড়িয়ায় তিতুমীরের অনুসারীদের উপর হামলা করে পরাজিত হন এবং আলেকজান্ডার তাঁর ১০ জন সিপাহি ও তিনজন বরকন্দাজকে ঘটনাস্থলেই হারান। নারিকেলবাড়িয়ার আশপাশে যে সকল নীলকুঠি সাহেবরা আলেকজান্ডারের বাহিনীকে সহায়তা করেছিল তাদের সবকটি কুঠি লুট করা হয় এবং কুঠি তত্ত্বাবধায়ক ও তাদের পরিবারবর্গের সকল সদস্যকে বন্দী করা হয়। এদের মধ্যে যারা তিতুমীরের কাছে নতি স্বীকার করেছিল তাদেরকে তিতুমীর সসম্মানে মুক্তি দেন।

তিতুমীরের অনুসারীদের এ ধরনের বিজয়ের পর তাদের আত্মবিশ্বাস বহুগুণে বেড়ে গেল। দলে দলে লোক তিতুমীরের দলে যোগ দিতে থাকল। তিতুমীর এবার সরাসরি ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন এবং ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন। আসন্ন যুদ্ধের আশঙ্কায় তিতুমীর আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে লাগলেন। স্থির করা হলো যে, নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে একটি বাঁশের কেল্লা তৈরি করা হবে। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাঁশ ও মাটি দিয়ে তৈরি করা হলো এক অপূর্ব দুর্গ। এ দুর্গই ইতিহাসে বাঁশের কেল্লা নামে পরিচিত। এদিকে সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশব্যাপী তিতুমীরের আন্দোলন ও বিদ্রোহ এবং আলেকজান্ডারের পরাজয় প্রভৃতি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড বেন্টিংক বিশেষভাবে চিন্তিত হয়ে পড়েন। তিনি নদীয়ার কালেক্টরকে অবিলম্বে তিতুমীরের আন্দোলন ও বিদ্রোহকে দমন করার জন্য আদেশ দেন। এ আদেশের ফলে তিনি নদীয়ার বহু সৈন্য নিয়ে নদী ও স্থলপথে নারিকেলবাড়িয়ায় উপস্থিত হন। কিন্তু বাঁশের কেল্লার নিকটবর্তী হওয়ার আগেই তিতুমীরের সহকারী গোলাম মাসুম তাঁর দলবল নিয়ে কালেক্টরের সৈন্যবাহিনীর উপর আক্রমণ করলো। তিতুমীরের অনুসারীদের প্রবল আক্রমণে ইংরেজ বাহিনী পরাজিত হয় এবং কালেক্টর প্রাণ নিয়ে পলায়ন করেন।

এ ঘটনার পরে ইংরেজ গভর্নর জেনারেল লর্ড বেন্টিংক বড়ই বিচলিত হয়ে পড়েন। তিতুমীরের বিদ্রোহ চূর্ণ করার উদ্দেশ্যে এবার একজন কর্নেলের নেতৃত্বে দু’টি কামানসহ একশ গোরা সৈন্য, তিনশত দেশীয় সিপাহি পাঠানো হয়। এছাড়াও দেশীয় পদাতিক বাহিনীর ১১টি রেজিমেন্ট, কয়েকটি কামান সহকারে গোলোন্দাজ বাহিনীর সেনাদল এবং দেহরক্ষী বাহিনীর সৈনিকেরা মেজর স্কটের অধীনে বারাসাত অভিমুখে রওয়ানা হন। ১৮৩১ সালের ১৭ নভেম্বর তারা বারাসাতের ভারপ্রাপ্ত জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট আলেকজান্ডারের সাথে মিলিত হন। ১৮৩১ সালের ১৯ নভেম্বর মেজর স্কট ও আলেকজান্ডারের সম্মিলিত বাহিনী তিতুমীরের বাঁশের কেল্লায় হামলা করে। তিতুমীরের অনুসারীগণ কেল্লার বাইরে বীর বিক্রমের সাথে ইংরেজদের হামলার বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করে ইট, বেল ও তীর বর্ষণে তাদের বহু সৈন্য হতাহত করেন। এমতাবস্থায় ইংরেজ কর্নেল কামান দাগার হুকুম দেন। ইংরেজ সেনাবাহিনীর প্রচণ্ড গোলাবর্ষণে তিতুমীর বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। কামানের গোলার আঘাতে বাঁশের কেল্লা চুরমার হয়ে যায়। পঞ্চাশজন অনুসারীসহ তিতুমীর যুদ্ধক্ষেত্রে শাহাদাতবরণ করেন এবং প্রায় ৩০ জন আহত হন। এ ছাড়া প্রায় ২৫০ জন ইংরেজ বাহিনীর হাতে বন্দী হন। হিংস্র ও উন্মত্ত ইংরেজ বাহিনী তিতুমীর ও তাঁর সহযোগীদের মৃতদেহ তাৎক্ষণিক জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। ব্রিটিশ বাহিনী পরে তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার অভ্যন্তরস্থ সমস্ত দ্রব্যসামগ্রী লুট করে। পরে কলকাতায় বিচার নামক প্রহসনের মাধ্যমে সংস্কার আন্দোলনের অনুসারীদেরকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। সেনাপতি গোলাম মাসুমকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

যে জমিদার মহাজন এবং নীলকরদের শোষণ-পীড়ন ও অত্যাচারে সমগ্র বাংলার কৃষক জনসাধারণ লাঞ্ছনা ভোগ করেছিল, প্রাণ দিয়েছিল অনেক হতভাগ্য কৃষক সন্তান, সেই জমিদার আর নীলকরদের চক্রান্তে আবদ্ধ হয়েই তিতুমীরের মতো একজন আদর্শ মুজাহিদ শহীদ হলেন। তিতুমীর শহীদ হলেও তাঁর অনুসৃত পথ ও প্রেরণার অনুসরণেই পরবর্তীকালে এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ত্বরান্বিত হয়েছিল। ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের ঘরে ঘরে তিতুমীর নামটি এখন সত্যপথের সাহসী প্রতীক। স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী। জাতিসত্তার অস্থিমজ্জার ফুয়েল। সেইসাথে সারা বিশ্বের কাছে তিতুমীর আন্দোলনের একজন সাহসী অগ্নিপুরুষ হিসেবে সমাদৃত। সত্যিকার অর্থে তিতুরা কখনো মরে না। ‘জীবনের চেয়ে দৃপ্ত মৃত্যু তখনি জানি, শহীদি রক্তে হেসে ওঠে যবে জিন্দেগানী’ কবি ফররুখ আহমদ যথার্থই বলেছেন। লেখক : প্রফেসর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির