post

লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজন পরিকল্পিতভাবে সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুতি

মোবারক হোসাইন

১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
বর্তমান প্রতিযোগিতার যুগে পরিকল্পিতভাবে সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুতি অর্জন না করতে পারলে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছানো খুবই দুরূহ ব্যাপার। তাই গ্লোবাল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যোগ্যতা, দক্ষতা, বিজ্ঞতা ও উত্তম কৌশলের মাধ্যমে সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুতি অর্জন করা দরকার। সংগঠন সংগঠনের ইংরেজি প্রতিশব্দ Organization, Organ-Body (অঙ্গ ও শরীর)। সংগঠনের আরবি প্রতিশব্দ তানজিম। সংগঠন শব্দের সাধারণ অর্থ সংঘবদ্ধকরণ। এর বিশেষ অর্থ দলবদ্ধ বা সংঘবদ্ধ জীবন। মানবদেহের ভিন্ন ভিন্ন Organ-গুলোর গ্রন্থায়ন ও একীভূতকরণের রূপটাই সংগঠন বাOrganization-এর একটা জীবন্ত রূপ। কিছু সংখ্যক মানুষের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এক দেহ এক প্রাণ রূপে কাজ করার সামষ্টিক কাঠামোকেই বলা হয় সংগঠন বা Organization.. কোন একটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে একজন নেতার নেতৃত্বে কিছু লোকের একত্রিত হওয়াকে সংগঠন বলে। একটি সাধারণ লক্ষ্য অর্জনের জন্য যখন একাধিক ব্যক্তি সমবেত হয় এবং ধারাবাহিকভাবে সেই লক্ষ্য অর্জনের কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থাকে তাকে সংগঠন বলে। Organization is a systematic arrangement of people to accomplish some specific purposes. সংগঠনের উপাদান ষ নেতৃত্ব ষ কর্মীবাহিনী ষ পরিচালনা বিধি ষ কর্মসূচি ইসলামী সংগঠন যে সংগঠন আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে তাকে ইসলামী সংগঠন বলে। ইকামতে দ্বীনের কাজ আঞ্জাম দেয় যে সংগঠন তাকেই বলা হয় ইসলামী সংগঠন। ইসলামী সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত হয়ে ইকামতে দ্বীনের সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য ফরজ। হযরত উমর (রা) বলেন, No Islam except organization, No organization except leadership, No leadership except obedience. সংগঠন সম্পর্কিত কুরআনের আয়াত ষ সূরা আলে ইমরান : ১০১, ১০৩, ১০৪, ১০৫, ১১০ ষ সূরা নিসা : ১৪৬, ১৭৫ ষ সূরা হজ : ৭৮ ষ সূরা মুমিনুন : ৫২ ষ সূরা আশ-সূরা : ১৩ ষ সূরা আস সা’দ : ৪ ষ সূরা সফ : ৪ সংগঠন সম্পর্কিত হাদিস ষ হারিসুল আশয়ারি (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন; রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আমি তোমাদেরকে পাঁচটি কাজের নির্দেশ দিচ্ছি! আল্লাহ আমাকে যে পাঁচটি কাজের নির্দেশ দিয়েছেন। তা হচ্ছেÑ ১. জামায়াতবদ্ধ হবে ২. নেতার আদেশ মন দিয়ে শুনবে ৩. তার আদেশ মেনে চলবে ৪. আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজ বর্জন করবে এবং ৫. আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। যে ব্যক্তি ইসলামী সংগঠন ত্যাগ করে এক বিঘত পরিমাণ দূরে সরে গেলো, সে নিজের গর্দান থেকে ইসলামের রশি খুলে ফেললো, যতক্ষণ না সে সংগঠনে ফিরে আসবে। আর যে ব্যক্তি জাহেলিয়াতের নিয়ম-নীতির দিকে (লোকদেরকে) আহবান জানাবে, সে জাহান্নামের জ্বালানি হবে। যদিও সে রোজা রাখে, নামাজ পড়ে এবং নিজেকে মুসলমান বলে দাবি করে। (আহমদ, তিরমিজি) ষ আবু যার গিফারি (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন; রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি জামায়াত (সংগঠন) ত্যাগ করে এক বিঘত পরিমাণ দূরে সরে গেলো, সে যেন ইসলামের রশি তার গর্দান থেকে খুলে ফেললো। (আহমদ ও তিরমিজি) ষ আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন; আমি রাসূলুল্লাহ (সা)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি নেতার (আমিরের) আনুগত্য পরিহার করে জামায়াত থেকে পৃথক হয়ে যায় এবং সেই অবস্থায় মারা যায়, তবে সে জাহেলিয়াতের মৃত্যুবরণ করবে। (মুসলিম) ষ আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা আমার উম্মতকে অথবা বলেছেন, মুহাম্মদ (সা) এর উম্মতকে কখনও ভুল সিদ্ধান্তের ওপর দলবদ্ধ করবেন না। আর জামায়াতের ওপরই আল্লাহর রহমত। সুতরাং যে জামায়াত হতে বিচ্ছিন্ন হবে সে জাহান্নামে পতিত হবে। (জামে তিরমিজি) ষ যে ব্যক্তি জান্নাতে আনন্দ উপভোগ করেতে চায় সে যেন সংগঠনকে আঁকড়ে ধরে। (সহীহ মুসলিম) ষ যে ব্যক্তি জামায়াত থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তার মৃত্যু হবে জাহিলিয়াতের মৃত্যু। (সহীহ মুসলিম) ষ জামায়াতের প্রতি আল্লাহর রহমতের হাত প্রসারিত থাকে, যে জামায়াত ছাড়া একা চলে সে তো একাকী দোজখের পথেই ধাবিত হয়। (তিরমিজি) ইসলামী সংগঠনের লক্ষ্য ইসলামী সংগঠনের লক্ষ্য হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত জীবনবিধান ও রাসূল (সা)-এর পন্থায় মানবসমাজে কায়েম করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। সংগঠন সম্প্রসারণ ষ সংগঠন সম্প্রসারণ বলতে সকল পাড়া-মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনের নেটওয়ার্ক বিস্তৃতকরণ বোঝায়। ষ তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনের নেটওয়ার্ক বিস্তৃতকরণ বলতে বোঝায় ছাত্র/স্কুল/কলেজ/মাদরাসা/ বিশ্ববিদ্যালয়/ অভিভাবক/ সুধী/শুভাকাক্সক্ষী/শিক্ষাবিদ/আলেম ওলামা/বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি/ যুবক/অছাত্র/ক্লাব/সামাজিক/ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান/সংস্থার মাঝে কাজের বিস্তৃতি। ষ স্বাভাবিকভাবেই নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি বলতে সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের একক উপশাখা-ইউনিট বৃদ্ধিকে বোঝায়। ষ মূলত উপশাখা-ইউনিট বৃদ্ধির মাধ্যমেই ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা শাখা, সাথী শাখা ইত্যাদি বৃদ্ধি হয়ে সংগঠন সম্প্রসারিত হয়। ষ কোনো এলাকায় দাওয়াত সম্প্রসারণের পর দাওয়াত প্রাপ্তদের ধরে রাখার জন্য নতুন সংগঠন কায়েমের কোনো বিকল্প নেই। সংগঠন সম্প্রসারণে করণীয় ষ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া। নিম্নোক্ত বিষয়ের প্রতি নজর রাখতে হবে। ষ জনশক্তির শ্রেণীবিন্যাস ষ কর্মীদের মান ষ কাজের পরিধি ও পরিসংখ্যানমূলক তথ্য। ষ অর্থনৈতিক অবস্থা ষ পারিপার্শিক অবস্থা ষ বিরোধী শক্তির তৎপরতা ষ এলাকা চিহ্নিতকরণ ষ দায়িত্বশীল নির্ধারণ ষ সময়সীমা নির্ধারণ ষ জনশক্তির দায়ী ইলাল্লাহর মেজাজ ও চরিত্র গড়ে তোলা * উত্তম ও আকর্ষণীয় চরিত্র * চরম ধৈর্যশীল * সাহসিকতা * হিকমত অবলম্বন * ত্রুটিমুক্ত রাখা * মানবতার প্রতি ভালোবাসা * মৌলিক ও মানবীয় গুণাবলি থাকতে হবে ষ পরিকল্পিত দাওয়াতি কাজে অংগ্রহণ করানো * ব্যক্তিগত দাওয়াতি কাজ * টার্গেটভিত্তিক দাওয়াতি কাজ * নিয়মিত দাওয়াতি কাজ * গ্রুপভিত্তিক দাওয়াতি কাজ * দাওয়াতি অভিযান * আধুনিক উপকরণ কাজে লাগানো * সত্যের সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপন সর্বস্তরের জনশক্তির সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা * মানোন্নয়নোর জন্য ধারাবাহিক প্রোগ্রাম * সমর্থক > কর্মী > সাথী> সদস্য মানোন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা। * নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম। * সাংগঠনিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করানো। * ব্যক্তিগত সাহচর্য দান। * মৌলিক জ্ঞান প্রদানের ব্যবস্থা। * মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে ধারণা দান * ত্রুটি দূরীকরণ, সংশোধন ও পরিশুদ্ধি * ইউনিটগুলোকে শক্তিশালী করা। * ইউনিটগুলোর যথাযথ তত্ত্বাবধান করা। * জনশক্তির ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা বৃদ্ধির কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ। * চেইন অব লিডারশিপ। * আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন করা। * সমাজের যারা চালিকাশক্তি তাদেরকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে হবে সংগঠনের নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি * উপশাখার বিস্তৃতি * একটি কলেজে উপশাখা কতটি হতে পারে? * একটি স্কুলে উপশাখা কতটি হতে পারে? * একটি মাদরাসায় উপশাখা কতটি হতে পারে? * একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপশাখা কতটি হতে পারে? * একটি আবাসিক এলাকায় উপশাখা কতটি হতে পারে? আমাদের বর্তমান অবস্থা কী? * প্রতিটি উপশাখা এলাকায় কতটি উপশাখা করা সম্ভব বা কতটি আছে। * প্রতিটি ব্লকে কতটি উপশাখা করা সম্ভব। * একটি ওয়ার্ডে কতগুলো উপশাখা করা সম্ভব। * একটি ওয়ার্ডকে কতটি সাংগঠনিক ওয়ার্ড করা যায়। * একটি মেসে কতটি উপশাখা করা সম্ভব। * একটি ডিপার্টমেন্টে কতটি ব্যাচ, সেকশন, ইয়ার। মজবুতি অর্জন কোনো সংগঠন সাংগঠনিক দুর্বলতাগুলো পরিহার করে ক্রমশ শক্তি অর্জন করে গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হলেই তাকে মজবুত সংগঠন বলা যায়। একটি মজবুত সংগঠনের পরিচয় আদর্শিক ভিত্তিতে কোনো ভূখণ্ডের সমাজব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করতে হলে একটি শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক। বলিষ্ঠ সংগঠিত উদ্যোগ ছাড়া কায়েমি স্বার্থবাদের অক্টোপাস থেকে সমাজকে মুক্ত করা কিছুতেই সম্ভব নয়। সেই জন্যই আদর্শিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে দীর্ঘ সময় ধরে একটি শক্তিশালী বা মজবুত সংগঠন গড়ে তোলার জন্য অহর্নিশ প্রচেষ্টা চালাতে হবে। কোনো সংগঠন ক্রমশ শক্তি অর্জন করে গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হলেই কাক্সিক্ষত পরিবর্তনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। নিম্নে একটি মজবুত সংগঠনের পরিচয় পয়েন্ট আকারে উপস্থাপন করা হলো : * সুযোগ্য নেতৃত্বের সমাবেশ। * নবীনদেরকে সম্পৃক্ত করার সক্ষমতা। * ব্যবস্থাপনার যোগ্য ব্যক্তিদের সমাবেশ। * প্রয়োজনীয় ও উন্নততর উপকরণের সমাবেশ। * শিকড় পর্যায় পর্যন্ত সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ। * নেতৃত্ব ও কর্মীদের সুসম্পর্ক। * কর্মীদের পারস্পরিক সুসম্পর্ক। * ভারসাম্যপূর্ণ বহুমুখী তৎপরতা। * আর্থিক স্বয়ংসম্পূর্ণত। * কর্ম এলাকায় নেতা ও কর্মীদের ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি। * বৈরী শক্তিগুলোর চক্রান্ত নস্যাৎ করার ক্ষমতা। একটি মজবুত সংগঠনের বৈশিষ্ট্য ষ A set of leadership ষ গণমুখী নেতৃত্ব ও মজবুত গণভিত্তি ষ সাহসী দক্ষ আদর্শের অনুসারী কর্মী বাহিনী ষ চিন্তার ঐক্য ষ সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ষ সমৃদ্ধ পাঠাগার ষ ক্যাম্পাস ও পার্শ¦বর্তী এলাকায় গণভিত্তি ষ টিম স্পিরিট তৈরি করা। ষ শৃঙ্খলা যথাযথভাবে মেনে চলা হবে ষ মানোন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকবে ষ সংগঠনের Network বিস্তৃত করার শক্তি থাকবে। ষ ব্যাপকভিত্তিক দাওয়াত সম্প্রসারণ করার শক্তি থাকবে। ষ সচ্ছল আর্থিক ব্যবস্থাপনা ষ জনশক্তির মানের ক্রমবৃদ্ধি ষ অভ্যন্তরীণ পরিচ্ছন্ন ও জান্নাতি পরিবেশ সংগঠন মজবুতির জন্য দায়িত্বশীলদের করণীয় ষ ব্যাপকভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ ষ Well plan is half done. ষ পরিকল্পনার objective কি হবে তা নির্ধারণ করতে হবে। ষ পারিপার্শ্বিক অবস্থার সঠিক মূল্যায়ন। ষ কাজের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা কী কী? উত্তরণের কী ব্যবস্থা। ষ সম্ভাবনা কী। এগুলোকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়। ষ নেতৃত্ব ও কর্মীবাহিনীর মান ও যোগ্যতা। ষ পরিকল্পনা গ্রহণের পূর্বে সার্বিক অবস্থার ওপর জরিপ। ষ একটি দীর্ঘমেয়াদি ও একটি স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা। * SWOT Analysis করা। যথাযথভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন * Executive Plan * Work Distribution * Supervision * Review * Reporting ষ প্রভাবশালী ছাত্র শিক্ষক ও অভিভাবক বিশেষ করে সমাজের চালিকাশক্তি হিসেবে ভূমিকা পালনকারীদের সংগঠনের প্রভাববলয়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ। ষ চৌকস নেতা ও কর্মী গঠনে পরিকল্পিত টার্গেটভিত্তিক দাওয়াত। ষ জনশক্তির মানোন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ। ষ জনশক্তির মৌলিক মানবীয় গুণাবলি ও প্রতিভা বিকাশে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। ষ জনশক্তিকে সামাজিক কাজে ও প্রতিষ্ঠানে সম্পৃক্ত করা। ষ গতিশীল নেতৃত্ব তৈরি। ষ নেতৃত্বের সঙ্কট পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। ষ রুট লেভেল পর্যন্ত সংগঠন বিস্তৃতির কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ। ষ ক্যাম্পাসের ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী এলাকার সংগঠন মজবুতির পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ। উপশাখা মজবুতিই সংগঠনের মজবুতি * আদর্শ ও মজবুতি উপশাখার বৈশিষ্ট্য অর্জন। * পরিকল্পনা অনুযায়ী সংগঠন পরিচালনা করবে। * ৪টি প্রোগ্রাম নিয়মিত নিশ্চিত করবে। * আথির্কভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। * মানোন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকবে। * নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। * নতুন উপশাখা জন্ম নেবে। * সুন্দর অফিস ব্যবস্থাপনা। * যথাযথ তত্ত্বাবধান ও সফর সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুতি অর্জনে প্রতিবন্ধকতা * যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণের অভাব। * সর্বস্তরেরর জনশক্তির পেরেশানির অভাব। * দক্ষ জনশক্তির সঙ্কট। * আগ্রহ ও উদ্দীপনার অভাব । * দাওয়াতি চরিত্র তৈরি না হওয়া। সুতরাং সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুতি অর্জন একে অপরের পরিপূরক। একটির সাথে অপরটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অভ্যন্তরীণ মজবুতি ও বাহ্যিকগত ভিত্তির সমন্বয়ে তৈরি হয় একটি শক্তিশালী ও মজবুত সংগঠন। লেখক : সম্পাদক, মাসিক প্রেরণা

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির