post

স্বচক্ষে দেখা ২৮ অক্টোবর

মু. আব্দুর রহিম মজুমদার

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫
২৮ অক্টোবর ২০০৬ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। দিনটি শুধু ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে এক রক্তভেজা ইতিহাসের জন্ম দিয়ে গেলো। ঐ দিনটির কথা মনে পড়লে আজও শিহরিত হই। এই পৃথিবীতে মানুষ হত্যার ঘটনা অনেক দেশেই ঘটেছে। কিন্তু খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে পাশবিক কায়দায় মানুষ হত্যার পর লাশের ওপর উঠে ‘নৃত্যোল্লাস’ করার মত পাশবিকতা প্রদর্শনীর এমন ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে আর দ্বিতীয়টা ঘটেনি। আজ ঘটনার ৯ বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ২৮ অক্টোবরের পৈশাচিকতার বিচার হওয়াতো দূরের কথা, বরং বর্তমান এই অবৈধ সরকার ২০০৯ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর পরই ২৮ অক্টোবরের সকল মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত চারদলীয় জোট সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের কয়েক দিন আগ থেকেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কে এম হাসানকে মানি না বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে এক যোগে সারাদেশে লগি-বৈঠার তান্ডব শুরু করে। তারা সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের অফিস, বাড়িঘর ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আর এই হামলা ছিল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রেডিও- টেলিভিশনে ভাষণের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ অক্টোবর চারদলীয় জোট সরকারের ক্ষমতার ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে জামায়াত-বিএনপি আলাদা আলাদা কর্মসূচি প্রদান করে। বিএনপি তাদের নয়াপল্টনস্থ পার্টি অফিসের সামনে আর জামায়াত বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে বিকেল ৩টায় সমাবেশের আয়োজন করে। পাশাপাশি ১৪ দল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের নামে লগি-বৈঠার সমাবেশ ঘটায় এবং জামায়াতের সমাবেশে হামলার পরিকল্পনা করে। জামায়াতের সমাবেশে আওয়ামী লীগ হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কায় ঢাকা মহানগরীর সকল থানা ও ওয়ার্ডের জামায়াত-শিবিরের সকল নেতাকর্মীকে সকাল ৮টার মধ্যেই সমাবেশস্থলে আসার নির্দেশ দেয়া হয়। এক দিকে ঈদের ছুটি, অন্য দিকে সারাদেশব্যাপী আওয়ামী লীগের তান্ডবের কারণে রাজধানীসহ পুরো দেশেই থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল এমনকি সকল ধরনের যান-বাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় সংগঠনের নির্দেশের আলোকে প্রত্যেক জনশক্তি নিজ নিজ এলাকা থেকে পায়ে হেঁটেই বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে উপস্থিত হতে থাকে। তখন আমার দায়িত্ব ছিল ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের শ্যামপুর থানার স্কুল ওয়ার্ডের সভাপতি, আমি ও আমার ওয়ার্ডের সেক্রেটারি শামীম ভাইসহ সকাল সাড়ে ৭টায় জুরাইন থেকে রিকশা করে রওয়ানা হয়ে রাজধানী সুপার মার্কেটের সামনে এলে রিকশা ড্রাইভার আমাদের বলে সামনে গন্ডগোল চলছে, আমি আর যেতে পারব না, আপনারা নেমে যান। আমরা বাধ্য হয়ে রিকশা থেকে নেমে হাঁটতে থাকি। এর মধ্যে আমাদের (শ্যামপুর) থানা সভাপতি সাজেদুর রহমান শিবলী ভাই মোবাইলে কল দিয়ে জানালেন যে, একসাথে না গিয়ে একজন একজন করে খুব সাবধানে যেতে হবে। তো বাধ্য হয়ে সঙ্গী শামীম ভাই থেকে আলাদা হয়ে একা একা হাঁটতে থাকি। একটু সামনে গিয়ে দেখি বঙ্গভবনের দক্ষিণ পাশের রাস্তায় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে, সামনে কাউকেই যেতে দিচ্ছে না। তারপরও বিভিন্ন অলি-গলি অতিক্রম করে সকাল সাড়ে ৮টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে এসে উপস্থিত হই। এখানে এসে দেখি আমরা মাত্র ৭০-৮০ জন!। আরো কিছু সময় অতিক্রান্ত হলে অর্থাৎ বেলা যখন ১০টা তখন আমাদের উপস্থিতির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫০-২০০ জনের মত। এ অবস্থায় উপস্থিত ভাইদের মধ্যে থেকে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন ও আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য হামলা মোকাবেলার জন্য শাখাভিত্তিক এরিয়া ভাগ করে দেয়া হলো। যতটুকু মনে পড়ে, ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণকে দায়িত্ব দেয়া হলো দৈনিক বাংলার মোড় থেকে মঞ্চ পর্যন্ত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেয়া হলো বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে ওভার ব্রিজ পর্যন্ত, ঢাকা মহানগরী পূর্ব ও উত্তরকে কেন্দ্রীয় অফিস থেকে পল্টন মসজিদের গলি পর্যন্ত এবং পল্টন মোড় থেকে পল্টন মসজিদের গলি পর্যন্ত দেয়া হলো সম্ভবত মহানগরী পশ্চিম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে। প্রত্যেক শাখার সাথে সংশ্লিষ্ট এলাকার জামায়াতের ভাইদেরকেও দায়িত্ব দেয়া হলো। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আমাদের ভাইদের হাতে দেয়া হলো রান্না করার কিছু লাকড়ির লাঠি আর বাকিদের হাত ছিল খালি। স্বেচ্ছাসেবক ভাইদের সকালের নাশতার জন্য দেয়া হলো কিছু চিঁড়া-গুড় ও কলা-রুটি। নাশতার পরিমাণ এতই অপ্রতুল ছিল যে অনেককে নাশতা না করেই দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। আমাকে শিবিরের ১০-১২ জনের একটা গ্রুপের এবং জামায়াত যাত্রাবাড়ী থানার দায়িত্বশীল বোরহান ভাইয়ের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একটা গ্রুপের দায়িত্ব দিয়ে বলা হলো, আপনারা দৈনিক বাংলার মোড়ে (এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ারের সামনে) থাকবেন। তবে কোনোভাবেই এই স্থান ত্যাগ করতে পারবেন না। ঐ (পল্টন মোড়) এলাকায় আমাদের সকল ভাইও যদি শহীদ হয়ে যায় তারপরও আপনারা আপনাদের স্থান ত্যাগ করবেন না। দায়িত্বশীলরা আমাদের সর্বশেষ ওহুদ যুদ্ধের গিরিপথে দায়িত্ব পালনরত তীরন্দাজ বাহিনীর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। আওয়ামী লীগের হামলার সম্ভাবনা বেশি ছিল পল্টন মোড় ও দৈনিক বাংলার মোড় দিয়ে। এদিকে সকাল থেকেই মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল আর সাইমুমের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করছিল। হঠাৎ করেই বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠা ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা উত্তর গেট দিয়ে সমাবেশস্থলে হামলা চালায়। তাদের পৈশাচিক হামলায় অনেক ভাই মারাত্মকভাবে আহত হয়ে পড়েন। তাদের এই আক্রমণ ছিল সুপরিকল্পিত ও ভয়াবহ। তারা একযোগে বিজয়নগর, তোপখানা রোড, মুক্তাঙ্গন থেকে পল্টন মোড় ও পল্টন মসজিদের গলি দিয়ে আক্রমণ চালায়। একপর্যায়ে তারা পল্টনের বিভিন্ন গলিতে ঢুকে আমাদের নিরস্ত্র ভাইদের আহত করতে থাকে। সন্ত্রাসীদের লগি-বৈঠা, গুলি ও বোমার আঘাতে একের পর এক আহত হতে থাকে আমাদের নিরস্ত্র ভাইয়েরা। তাদের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হন তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম বুলবুল, মজিবুর রহমান মঞ্জু, ড. রেজাউল করীম (তৎকালীন কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক) ভাইসহ সহ¯্রাধিক নেতাকর্মী। সাপের মতো পিটিয়ে, গুলি করে হত্যা করা হয় শিবির নেতা শহীদ মুজাহিদুল ইসলাম, সাইফুল্লাহ মো: মাসুম, গোলাম কিবরিয়া শিপন, জামায়াতকর্মী জসিম উদ্দিন-১, জসিম উদ্দিন-২ ও হাবিবুর রহমানকে। আর ঐদিন পুলিশ বাহিনী ছিল নীরব দর্শকের ভূমিকায়। বদর-ওহুদের যুদ্ধ সরাসরি দেখার সুযোগ হয়নি, কিন্তু সেদিন পল্টনকে মনে হয়েছিল বদর ও ওহুদের ময়দান। ওহুদের ময়দানে যেমনিভাবে আল্লাহর রাসূল (সা:)-সহ অসংখ্য সাহাবী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন এবং আহত অবস্থায়ই যুদ্ধ করে কাফিরদের অপতৎপরতা রুখে দিয়েছিলেন। তেমনি সেদিন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ ভাইয়ের হাত ভেঙে যাওয়া, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বুলবুল ভাইয়ের মাথা ফেটে যাওয়া এবং অধিকাংশ নেতাকর্মীর আহত হওয়ার পরও দৃঢ়প্রত্যয়ে ময়দানে টিকে থাকার সাহসিকতাকে আমাদের বদর-ওহুদের কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল। দায়িত্বশীলদের কঠোর নির্দেশনা থাকার কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পল্টন মোড়ের দিকে না গিয়ে আমরা আমাদের জায়গায় খুব শক্তভাবেই অবস্থান করছিলাম। তার পরও আমাদের কিছু ভাই পল্টন মোড়ের দিকে যাওয়ার জন্য ছটফট করছিল। এই অবস্থায় আমরা শুধু বারবার স্বেচ্ছাসেবক ভাইদের ওহুদ যুদ্ধের গিরিপথের কথা স্মরণ করে দিচ্ছিলাম আর বলছিলাম আমরা যদি এখান থেকে সরে পড়ি তাহলে এই অংশটুকু পুরেটাই ফাঁকা হয়ে যাবে এবং যেকোনো মুহূর্তে লগি-বৈঠা বাহিনী হামলা করে মঞ্চ তছনছ করে দেবে। কারণ, মতিঝিল শাপলা চত্বর দিয়ে যাত্রাবাড়ী-শ্যামপুরের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবীবুর রহমান মোল্লার নেতৃত্বে কয়েক হাজার লগি- বৈঠাধারী মিছিল করতে করতে দৈনিক বাংলার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। এখানে আমাদের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৫-৩০ জন। আমরা দুই সারি হয়ে লাঠিগুলোকে উঁচু করে ধরে স্লোগান দিচ্ছিলাম যাতে করে তারা দূর থেকে বুঝতে পারে আমাদের সংখ্যা অনেক। কিন্তু আল্লাহর কি মহিমা, সারিবদ্ধভাবে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে থাকা আমাদের দৃশ্য দেখে মোল্লা বাহিনী এদিকে হামলা না করে শাপলা চত্বরেই অবস্থান করতে থাকে। সমাবেশস্থলের এদিকটাই আওয়ামী সন্ত্রসীদের হামলা থেকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হেফাজত করেছিলেন। এক দিকে সমাবেশের প্রস্তুতি, অন্য দিকে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাথে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, এবং আহত ভাইদের নিয়ে ছোটাছুটির মধ্য দিয়েই নির্ধারিত সময়ে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। সমাবেশে দায়িত্বশীলরাসহ প্রধান অতিথি আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাহেব বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এমন সময় পল্টনের বিভিন্ন বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা একের পর এক বোমা নিক্ষেপ করতে থাকলো। আর বোমাগুলো একেবারে মঞ্চের আশপাশে এসে পড়ছিল। এভাবে বোমা হামলার মধ্য দিয়েই সমাবেশের কার্যক্রম শেষ হয়। সমাবেশ শেষ হলেও তাদের সাথে আমাদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া সন্ধ্যা পর্যন্ত চলতে থাকে। এসকল হামলা থেকে বোঝা যায় আওয়ামী লীগের টার্গেট ছিল জামায়াতের মঞ্চ জ্বালিয়ে দেয়ার মাধ্যমে এক সাথে সকল নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করা। কিন্তু আমাদের ভাইদের রক্তের বিনিময়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেন। সেদিন আমরা দেখেছি ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের আত্মত্যাগ ও আনুগত্যের চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শনী এবং ময়দান থেকে পালিয়ে না গিয়ে ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে লগি- বৈঠাধারী সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করে সমাবেশকে সফল করে তুলতে। সংঘর্ষ চলাকালীন সময় সকল নেতাকর্মী ছিলেন পানির পিপাসায় ক্লান্ত। এ অবস্থায় যার কাছেই পানি নিয়ে যাওয়া হতো সে পানি পান না করে অপর ভাইকে দেয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে যেত। আমার কাছে তখন মনে হয়েছিল আমরা কি মুতার যুদ্ধের ময়দানে আছি? আসলে এ ধরনের কর্মী যে দলে থাকে সে দলকে কখনই হামলা করে কিংবা শহীদ করে শেষ করা যায় না। অথচ সেদিন তাদের পরিকল্পনা ছিল সারা দেশে একযোগে হামলা করে জামায়াত-শিবিরকে শেষ করে দিতে। কিন্তু তারা তা পারেনি, ইনশাআল্লাহ পারবেও না। কারণ পবিত্র কুরআনে আল্লাহ-ই তো বলেছেন, “তারা মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে (ইসলামী আন্দোলনকে) নিভিয়ে দিতে চায়। কিন্তু আল্লাহ তার নূরকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।” ২৮ অক্টোবরের পৈশাচিকতা বিশ্ববিবেককে আঘাত দিয়েছিল, নাড়া দিয়েছিল বিবেকবান সকল মানুষকে। শত শত মানুষের সামনে সাপের মতো পিটিয়ে মানুষ হত্যা, হত্যার পর মৃত্যু নিশ্চিত জেনে লাশের ওপর উঠে নারকীয় উল্লাসের ঘটনা বিরল, যা এখনো হাজার হাজার মানুষকে কাঁদায়। এ লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় রাজপথে প্রকাশ্যে কুপিয়ে কুপিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যা, ফেনীর উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হককে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে কাবাব বানিয়ে দেয়া, সিলেটের শিশু রাজন হত্যার মতো অসংখ্য ঘটনা আজ অহরহ ঘটছে। তাই আবারও ঘটনার ৯ বছর পর আমরা এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই। লেখক : সাবেক সভাপতি, ঢাকা জেলা দক্ষিণ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির