post

অভিমত

২৩ আগস্ট ২০১৩

এর জন্য দায়ী কে? বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন মহাসচিব ও বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ জন আবেদনকারী ২০০৯ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও সংবিধান পরিপন্থী বলে নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেয়া নিবন্ধনকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয় ইসি। বর্তমানে কমিশনে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৩৮। সে সময় সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস, বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের কথা ছিল। তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নিবন্ধন দেয়া হয় দলটিকে। গত মার্চে গঠনতন্ত্রের সর্বশেষ সংশোধনী পর্যালোচনা করে ৬টি ধারা সংবিধান ও আরপিও বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করে ইসি। এরপর কমিশন বৈঠকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়টি আলোচনায় উঠে এলেও মামলার কারণে নিবন্ধন বহাল রাখে কমিশন। কোন্ কারণে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তা গেজেট প্রকাশিত হওয়ার আগে স্পষ্ট বলা যাচ্ছে না। তবে অনুমান করা যায় ইসি কর্তৃক জামায়াতের গঠনতন্ত্রের কিছু ধারা সংশোধনের জন্য চিহ্নিত করার কারণে। গত মার্চে সংশোধিত গঠনতন্ত্রে অন্তত ৬টি ধারা সংবিধান ও আরপিও’র সঙ্গে সাংঘর্ষিক হিসেবে চিহ্নিত করে ইসি। পাঠকের উদ্দেশে ধারাগুলো তুলে ধরা হলো : জামায়াতের গঠনতন্ত্রের মৌলিক আকিদা বিভাগের ২ (৫) ধারায় লেখা হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যতীত অপর কাহাকেও বাদশাহ, রাজাধিরাজ ও সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক মানিয়া লইবে না, কাহাকেও নিজস্বভাবে আদেশ ও নিষেধ করিবার অধিকারী মনে করিবে না, কেননা স্বীয় সমগ্র রাজ্যের নিরঙ্কুশ মালিকানা ও সৃষ্টিলোকের সার্বভৌমত্বের অধিকার আল্লাহ ব্যতীত অপর কাহারও নাই।’ ২ (২) ধারার বিষয়েও আপত্তি রয়েছে ইসির। ২ (২) ধারায় লেখা হয়েছে, ‘...সকল প্রকার ক্ষমতা ও এখতিয়ার একমাত্র আল্লাহরই।’ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অনুচ্ছেদের ধারা ৩-এ লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা এবং মহান আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন।’ দাওয়াত অনুচ্ছেদের ৫ (৩) ধারায় লেখা হয়েছে, ‘সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সুবিচারপূর্ণ শাসন কায়েম করিয়া সমাজ হইতে সকল প্রকার জুলুম, শোষণ, দুর্নীতি ও অবিচারের অবসান ঘটানোর আহ্বান।’ স্থায়ী কর্মসূচি অনুচ্ছেদের ধারা ৬ (৪)-এ লেখা হয়েছে, ‘গণতান্ত্রিক পন্থায় সরকার পরিবর্তন এবং সমাজের সর্বস্তরে সৎ ও চরিত্রবান লোকের নেতৃত্ব কায়েমের চেষ্টা করা।’ রোকন হওয়ার শর্তাবলি সম্পর্কে ৭ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘ব্যক্তিগত জীবনে ফরজ ও ওয়াজিবসমূহ আদায় করেন এবং কবিরা গুনাহ হইতে বিরত থাকেন।’ জামায়াতের গঠনতন্ত্রে এ সকল ধারা থাকায় হাইকোর্ট দলটির নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে। পাঠকদের বোঝার সুবিধার্থে পবিত্র কুরআনের সূরা আলে ইমরানের ২৬ নম্বর আয়াত তুলে ধরছি, ঐ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা রাসূল (সা)-কে উদ্দেশ করে বলেন, “বলুন ইয়া আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করো আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।” এ আয়াতের আলোকে জামায়াতের গঠনতন্ত্রে যা আছে একজন মুসলিম হিসেবে তাতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়, বরং সে খুশিই হবে। কিন্তু বাংলাদেশের সংবিধানতো কুরআনের আলোকে রচিত হয়নি। সংবিধানে উল্লেখ আছে সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ। সার্বভৌমত্বের মালিক জনগণ। যার কারণে আজ হাইকোর্টের তিনজন বিচারকের মধ্য থেকে দু’জন ঐ সকল ধারার কারণে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করেন। কুরআনে উল্লেখিত সৃষ্টিকর্তার বাণী আইনজীবীরা জানেন নাÑ এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। কিন্তু সংবিধানের কারণে তারা এমন রায় দিতে বাধ্য হয়েছেন। এ দিকে আল্লাহর যে কয়েকজন বান্দা সৃষ্টিকর্তার ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট দায়ের করেন তারাও হয়তো আল্লাহর এ বাণী জানেন। তারপরও কেন তারা এমনটি করলেন তা বোধগম্য নয়। বোধকরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এমনটি তারা করে থাকবেন। যাইহোক, আদালতের এ রায়ের মধ্য দিয়ে সৃষ্টির কাছে স্্রষ্টা হেরে গেছেন এমনটি বলার স্পর্ধা আমাদের নেই, তাতে তো আল্লাহর বিশালত্বের অবমাননা হয়। কিন্তু ৯০ ভাগ মুসলমানের এ দেশে সৃষ্টিকর্তাকে এহেনভাবে অপমানিত করার দুঃসাহস দেখানোর সুযোগ যারা করে দিল তাদেরকে ধিক শতবার। এসএম মিজানুর রহমান লেখক ও সাংবাদিক আল্লাহর নূর চির অম্লান : বিজয় তার অবশ্যম্ভাবী আল হামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন। মহান আল্লাহর প্রশংসা যার একান্ত মেহেরবানিতে ইসলামী ছাত্রশিবির একদেশদর্শী, স্বৈরাচারী, তাগুতি সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করে লক্ষ্য পানে এখনো অবিচল। আর কেনই বা শিবির পিছপা হবে? কেনইবা ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হবে? এ শিবির কাফেলায় যারা আছে তাদের একমাত্র অভিভাবক তো হলেন মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন। “যদি তারা সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে তোমরা যেনে রেখো, আল্লাহ তায়ালাই হচ্ছেন তোমাদের অভিভাবক, কতো উত্তম অভিভাবক আল্লাহ তায়ালা, কতো উত্তম সাহায্যকারী। (আনফাল- ৪০), আকাশম-লী ও পৃথিবীর সার্বভৌম ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার হাতেই; তিনিই জীবন দেন, তিনিই মৃত্যু ঘটান, আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক নেই, নেই কোন সাহায্যকারীও। (তওবা- ১১৬), তোমরা আসমান ও জমিনে কোথায়ও আল্লাহ তায়ালাকে অক্ষম করে দিতে পারবে না, বস্তুত আল্লাহ তায়ালা ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক নেই, নেই কোন সাহায্যকারীও (আনকাবুত- ২২, আশ শুরা-৩১)।” ইসলামী আন্দোলনের কর্মীগণ তো ঈমান এনেছে কালিমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা)” এর ওপর। আর ঈমানদারগণ তাদের জান মাল সবই আল্লাহর নিকট বিক্রি করে দিয়েছে। “আমি তোমাদের জান এবং মাল কিনে নিয়েছি জান্নাতের বিনিময়ে।” (সূরা তাওবা )। তারাতো মানব রচিত ভঙুর কোন আদর্শে বিশ্বাসী নয় যে তারা ব্যর্থ হবে। আল্লাহ তায়ালাই বিপদে আপদে সর্বাবস্থায় একমাত্র সাহায্যকারী। “আল্লাহ তায়ালাই তোমাদের রক্ষক ও সাহায্যকারী ( আলে ইমরান - ১৫০), যদি আল্লাহ তায়ালা তোমাদের সাহায্য করেন তাহলে কোন শক্তিই তোমাদের পরাজিত করতে পারবে না। (আলে ইমরান-১৬০)” আর এ কারণেই ইসলামী আন্দোলনের সকল নেতাকর্মী সর্বাবস্থায় একমাত্র আল্লাহ তায়ালার কাছেই সাহায্য কামনা করে থাকে। যারা আল্লাহর শিখানো পন্থায় ডাকে তারাই হলো আল্লাহর দলের লোক। “তোমরা নামাজ এবং ধৈর্যের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর (আল বাকারা- ১৫৩), তোমরা বিনয়ের সাথে ও চুপিসারে তোমাদের প্রতিপালককে ডাক, নিশ্চয়ই তিনি সীমালংঘনকারীকে পছন্দ করেন না।.... তোমরা ভয় ও আশা নিয়ে আল্লাহ তায়লাকেই ডাক, অবশ্যই আল্লাহর রহমত নেক লোকদের নিকটেই রয়েছে (আরাফ- ৫৫, ৫৬), হে রাসূল, আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছে এমন কোন সম্প্রদায়কে তুমি পাবে না যে, তারা এমন লোকদের ভালবাসে যারা আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে, যদি সে আল্লারহ বিরোধী লোকেরা তাদের পিতা, ছেলে, ভাই কিংবা নিজেদের জাতি গোত্রের লোকও হয়, এই ব্যক্তিরাই হচ্ছে সেসব লোক যাদের অন্তরে আল্লাহ তায়ালা ঈমান এঁকে দিয়েছেন, এবং নিজস্ব গায়েবি মদদ দিয়ে তিনি তাদের শক্তি বৃদ্ধি করেছেন .... এরাই হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার নিজস্ব বাহিনী, আর হ্যাঁ আল্লাহর বাহিনীই বিজয়ী হয় (মুজাদালা ২২)।” যারা আল্লাহর দলের লোক হয়ে আল্লাহর দিকে মানুষদের আহ্বান করে তারা কখনো হতাশ হয় না। “তোমরা হতাশ হয়ো না, চিন্তিত হয়ো না, তোমরাই বিজয়ী হবে যদি তোমরা মুমিন হও (আলে ইমরান-১৩৯)।” এই সমস্ত লোরোই আল্লাহর অনুগ্রহ পাওয়ার উপযুক্ত লোক। “অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা তাদের সাথে রয়েছেন যারা আল্লাহকে ভয় করে চলে, সর্বোপরি তারা হবে সৎকর্মশীল (নাহল ১২৮), যারা সৎ পথে চলবে আল্লাহ তায়ালা তাদের সৎ পথে চলার তৌফিক আরো বাড়িয়ে দেন এবং অন্তরে তাকওয়া দান করেন (মুহাম্মাদ- ১৭).... কিয়ামতের দিন তাদের এমন এক জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাদ্বারা প্রবাহিত, তারা সেখানে চিরকাল থাকবে..... (মুজাদালাহ-২২)।” আর যারা আল্লাহর দেয়া বিধান অবহেলা করে বা অস্বীকার করে মানবরচিত বিধান বাস্তবায়নের জন্য নিজেদের জানমাল খরচ করে আল্লাহ তাদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন “কাফেররা যেন এটা মনে না করে, আমি তাদেরকে যে ঢিল দিয়ে রেখেছি এটা তাদের জন্য কল্যাণকর হবে, আমিতো তাদের অবকাশ দিয়েছি যেন তারা গুণাহর বোঝা আরো বাড়িয়ে নিতে পারে আর তাদের জন্যই রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি (আলে ইমরান-১৭৮), তুমি কখনো মনে করো না এ জালেমরা যা কিছু করছে তা থেকে আল্লাহ তায়ালা গাফিল রয়েছেন, আসলে তিনি তাদের সেদিন আসা পর্যন্ত অবকাশ দিয়ে রেখেছেন যেদিন তাদের চক্ষু স্থির হয়ে যাবে (ইবরাহিম ৪২)।” আবার দয়াময় আল্লাহ তায়ালা সাথে বিদ্রোহ ঘোষণা করার পরও বান্দাদেরকে সঠিক পথ চেনার, বোঝার জন্য অবকাশ দিয়েছেন। “আল্লাহ তায়ালা মানুষদের নাফরমানির জন্য যদি সাথে সাথেই পাকরাও করতেন, তাহলে এ জমিনে বিচরণশীল কোন একটি প্রাণীকেও তিনি ছেড়ে দিতেন না, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাদের এক বিশেষ সময় পর্যন্ত অবকাশ দেন, অতঃপর যখন সে সময় এসে হাজির হয়, তখন তারা মুহূর্তকালও বিলম্ব করতে পাওে না, তারা তাকে একটুখানি এগিয়েও আনতে পারে না (আন নাহল ৬১)।” এই সুযোগ পাওয়ার পরও যখন হিদায়াত অনুসরণ না করে বরং আল্লাহ ও তার বিধান বাস্তবায়নকারীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়, আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের লাঞ্ছিত, অপমানিত করার চেষ্টার চেষ্টা করে, তখন আল্লাহ পাকও তাদেরকে দুনিয়া থেকে লাঞ্ছিত, অপমানিত, অপদস্ত করে বিদায় করার জন্য কৌশল অবলম্বন করেন। “তারাও যখন ষড়যন্ত্র করল আল্লাহ তায়ালাও কৌশল অবলম্বন করলেন, আর আল্লাহর কৌশলই উত্তম কৌশল (আলে ইমরান ৫৪), যারা এর আগে অতিবাহিত হয়ে গেছে তারা বড় বড় ধোঁকা প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিল, কিন্তু যাবতীয় কলা-কৌশলতো আল্লাহ তায়ালার জন্যই, তিনিই জানেন প্রতিটি ব্যাক্তি কি অর্জন করে (আর রা’দ-৪২), সে শহরে ছিল নেতা গোছের এমন নয়জন লোক, যারা আমার জমিনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়াতো, সংশোধনমূলক কোন কাজই তারা করত না। একদিন তারা একজন আর একজনকে বললো তোমরা সবাই আল্লাহর নামে কসম কর যে, আমরা রাতের বেলায় তাকে ও তার ঈমানদার সাথীদেরকে মেরে ফেলব, অতঃপর তদন্তে এলে আমরা তার উত্তরাধিকারীকে বলব, তার পরিবার পরিজনকে হত্যা করার সময়তো আমরা সেখানে উপস্থিত ছিলাম না, আমরা অবশ্যই সত্য কথা বলছি। তারা যখন সালেহকে আ: হত্যা করার জন্য এই চক্রান্ত করছিল, তখন আমিও তাকে রক্ষা করার জন্য এমন এক কৌশল বের করলাম, যা তারা বিন্দুমাত্রও বুঝতে পারেনি। তুমি দেখ তাদের কী পরিণাম হয়েছে, আমি তাদের ও তাদের জাতির সবাইকে ধ্বংস করে দিয়েছি (আন নামল ৪৮-৫১) এরা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। আমিও একটি কৌশল অবলম্বন করেছি। অতএব তুমি সেই কৌশল দেখার জন্য কাফিরদেরকে কিছুকাল অবকাশ দিয়ে রাখো (আত তারিক ১৫-১৭)।” এবং তার প্রিয় বান্দাদের মাধ্যমে আল কুরআনের বিধানকেই চূড়ান্ত বিজয় দান করেন। “এ লোকেরা আল্লাহর নূরকে ফুৎকার দিয়ে নিভিয়ে দিতে চায়, অথচ আল্লাহ তায়ালা এ নূর পূর্ণ বিকাশ ছাড়া অন্য কিছুই চান না, যদিও কাফিরদের কাছে এটা অপ্রীতিকর। তিনিই মহান আল্লাহ যিনি সুস্পষ্ট হেদায়াত ও সঠিক জীবন বিধান সহকারে তার রাসূলকে পাঠিয়েছেন, যেন সে এই বিধানকে দুনিয়ার সকল মতবাদের ওপরে বিজয়ী করে দিতে পারেন, মুশরিকেরা এ বিজয়কে যত দুঃসহই মনে করুক না কেন (আত তাওবা ৩২,৩৩/আস সফ : ৮, ৯)।” অকুতোভয় আল্লাহর এই সৈনিকেরাই দুনিয়া ও আখিরাতে সফলকাম। “হে ইমানদারগণ তোমরা আল্লাহর দরবারে তওবা কর, একান্ত খাঁটি তাওবা, আশা করা যায় তোমাদের মালিক তোমাদের গুনাহখাতা মাফ কওে দেবেন, এবং এর বিনিময়ে তিনি তোমাদের প্রবেশ করাবেন এমন এক জান্নাতে যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হবে, সেদিন আল্লাহ তায়ালা নবী ও ঈমানদারদের অপমানিত করবেন না, .... (সূরা আত তাহরিম : ৮)।” মো : রফিকুল ইসলাম সেক্রেটারি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির টাঙ্গাইল জেলা শাখা

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির