post

আধুনিক ব্যবস্থাপনায় দাওয়াতি কাজের কৌশল

২৪ মার্চ ২০১২
মোবারক হোসাইন প্রকৃত দাওয়াত দানকারী তিনিই-যিনি মানুষকে দাওয়াত দেয়ার আগে নিজেকে আল্লাহর কাছে বিক্রি করে দেন, অর্থাৎ “First you sell yourself”. আধুনিক যুগে দাওয়াতি কাজে সফলতা লাভ করতে হলে দাওয়াতের পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে। সাধারণত প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের চিন্তা ও চেতনা দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে। আজকের যুগে দাওয়াতি কাজ করা মানে হাতের তালুতে আগুনের স্ফুলিঙ্গ রাখা যেমন কঠিন তার চেয়েও বেশি কঠিন বর্তমান মানুষের কাছে। কারণ যুগের পরিবর্তনে মানুষের অনেক পরিবর্তন হয়েছে, মানুষ তার বয়সের তুলনায় অনেক বেশি অগ্রসর হচ্ছে। তাই আধুনিক যুগে দাওয়াতি কাজ করতে হলে T.C বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। Target people customer solution- লক্ষ জনগণের সমাধানে জনগণকে সবসময় সহজভাবে তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। তাদের কোনো প্রকার সমস্যা থাকলে সমাধানের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। জনগণই সব কিছুর ঊর্ধ্বে, তাদের সেইভাবে যথার্থ মূল্যায়ন করে কাজ করতে হবে। Convenienus জনগণ বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে তাদের ইসলামে কী কী সুবিধা আছে তা বলে বুঝাতে প্রয়োজন Communication. Communication  একটা মানুষকে সুন্দরভাবে পরিচালিত করে। মানুষের মধ্যে সম্পর্ক হলে মানুষ তাকে মূল্যায়ন করে। বিখ্যাত মনীষী রুশো বলেছেন, ‘মানুষ স্বাধীনভাবে কাজগুলো করে কিন্তু সকলে শৃঙ্খলাবদ্ধ, মানুষ তার জীবন অতিবাহিত করে সব মানুষের সম্পর্কের মাধ্যমেই।’ প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে পরিবর্তনের ধারা একটি চলমান প্রক্রিয়া। আজকের যুগে যে দাওয়াত মানুষের নিকট অত্যন্ত আকর্ষণীয় পরবর্তীতে তার চাহিদা নাও থাকতে পারে। মানুষের চাহিদা, মানুষের গতিশীলতা, মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হওয়ার কারণে দাওয়াতের কৌশলও পরিবর্তন হতে পারে, সে কারণে সর্বদা সতর্কতার সাথে দাওয়াতি কাজ করতে হবে। আচার ব্যবহার জীবনকে ১০০% পরিপূর্ণ করতে পারে, যদি, A=1, B=2… Z=26  হলে- Hard Work = (H+A+R+D+W +O+R+K)=8+1+8+4+23+15+18+ 11= 98%, Knowledge = (K+N+O+ W+L+E+D+G+E)=11+14+15+23+ 12+5+4+7+5 = 89%, Attitude = (A+T+T+I+T+U+D+E)= 1+20+20+9+20+21+4+5 = 100% হয়। শুধুমাত্র Attitude (আচরণ) আপনার জীবনকে ১০০% করতে পারে। খারাপ আচরণ দিয়ে কখনোই ইতিবাচক ফল করা যায় না। Education is need to relationship KSA=Knowledge+Skill+ Attitude প্রকতপক্ষে শিক্ষা হলো Knowledge+Skill+ Attitude এর সমন্বয় সাধন Prospect মানে প্রাথমিকভাবে যারা দাওয়াত গ্রহণ করার বিন্দুমাত্র আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, আদর্শ Prospect হলো অঅঘ= AAN= Ability+Authority+Need এর যোগ্যতা, ক্ষমতা, সর্বোপরি চাহিদা আছে। দাওয়াত দান কারীদেরকে অপমান ও মানুষিক যন্ত্রণা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখতে হবে। কারণ আপনাকে নানা ধরনের মানুষের সাথে মিশতে হবে। তাদের মেজাজও বিচিত্র কিন্তু দাওয়াত গ্রহণকারী নির্বাচনে আপনাকে তো বাছ-বিচার করলে চলবে না, আর মানুষের সাহায্য ছাড়া এ পথে এক পা-ও এগোনো মুশকিল, তাই মানুষের সঙ্গে একবার দুইবার মিশেই তাকে পরিত্যাগ করবেন না। Prospect খোঁজার কৌশল আপনজনের মাঝে সন্ধান, পরিচিত কোনো সূত্র ধরে কারোর কাছে সন্ধান, গণজমায়েত (Public Forum)-এর সুযোগ নিয়ে সন্ধান, সরাসরি ই-মেইল-এ Direct Mail-এর মাধ্যমে প্রচার, টেলিফোনের মাধ্যমে সন্ধান, পর্যবেক্ষণ (Telemarketing)-এর মাধ্যমে প্রচার, সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সন্ধান, সর্বোপরি সামনা সামনি (Visiting Face to Face) অনুসন্ধান। তবে বণিত পদ্ধতিগুলোর বিশেষ কোনো একটির ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। একটি পদ্ধতিতে সুফল না পেলে সঙ্গে সঙ্গে কৌশল বদলে ফেলুন। মানুষ কখন দাওয়াত গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয় সেটা জানা থাকলে দাওয়াত দানকারীর কাজটা সহজ হয়ে যাবে। দাওয়াত গ্রহণকারী যেভাবে দাওয়াত গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয় তার নাম AIDAS তত্ত্ব অর্থাৎ Attention (মনোযোগ), Interest (আগ্রহ), Desire (ইচ্ছা), Action (ক্রিয়া) কার্যকরীভাব প্রকাশের প্রথম নীতিসূত্র (LAW)-কে ভুলে গেলে চলবে না। Look  (দর্শন), Action (চলন) এবং Word বা বলন বা বাচনভঙ্গি। দাওয়াত গ্রহণকারীর প্রতিটি কথা হাসিমুখে গ্রহণ করতে হবে এবং বাকি কথা হাস্যরস দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে তাকে কথার জালে নিজের দিকে টানতে হবে। কথা বলার সময় KISS নীতি (Keep it short is simple) অনুসরণ করবেন। সাহস এবং চিন্তার গভীরতা না থাকলে জীবন লক্ষ্যহীন হয়ে পড়ে। সঙ্কীর্ণচিত্ত দুর্বল এবং অলসমনা ব্যক্তিরা সবসময় নির্বোধতার পথই বেছে নেয়। চিন্তা হলো কাজের প্রাণ। আপনি যদি আপনার মনকে সাফল্যের শর্ত চাপিয়ে দেন তাহলে সাফল্যের কার্য সাধন অবশ্যই তাকে অনুসরণ করতে চাইবে। যারা মন প্রাণ দিয়ে বিশ্বাস করেন যে তারা পারেন, সঙ্কটের মুখেও তারা টিকে থাকার বিরল যোগ্যতা অর্জন করেন। প্রতিযোগিতার সঙ্গে পার্থক্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করুন, আপনি কোথায় শক্তিশালী আর প্রতিযোগী কোথায় শক্তিশালী সেটা বুঝতে পারলে আপনিই জয়ী হবেন। না বলবেন না, বলবেন- ১.  আপনি বুড়ো মানুষ বা আপনি প্রবীণ ব্যক্তি আপনি অভিজ্ঞ ব্যক্তি।  ২.  আপনি যখন বলছেন চেষ্টা করবো, এই বয়সে আমার পক্ষে আর বলানো সম্ভব না। এটা না হওয়ার কারণ নাই, আমার যথেষ্ট বয়স হয়েছে বলেই বুঝতে পারি কেন বদলানোর প্রয়োজন।  ৩.  এটা অসম্ভব হবে না অসম্ভব বলব না, তবে কাজটা বেশ শক্ত।  ৪.  এ ব্যাপারে আমার কিছু করার নেই। আমি নিজে কিছু করতে না পারলেও কিছু করানো যায় কিনা দেখছি।  ৫.  এটা আমার দোষ নয়।  দেখা যাক, আপনার সুবিধাতে আমি কী করতে পারি।  ৬.  আমি জানি না  দেখি কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি।  ৭.  এটা আমার কাজ বা দায়িত্ব নয় আপনাকে সঠিক ব্যক্তির কাছে পাঠাচ্ছি, যিনি যথার্থই আপনাকে সাহায্য করতে পারবে।  পৃথিবীতে তিন ধরনের মানুষ আছে, ১। যারা ঘটনা ঘটান, ২। যারা ঘটনা ঘটতে দেখেন ও ৩। যারা ঘটনা ঘটতে দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। সমাজে তিন ধরনের মানুষ বসবাস করে তাই তাদের দাওয়াত দিতে হলেও তিন ধরনের কৌশল গ্রহণ করতে হবে। এই তিন ধরনের ব্যক্তিরা হলেন ১. First Moner     ২. First Flower    ৩. Late Moner ১.    First Moner যারা তারা প্রথম শ্রেণীর লোক। তারা সবকিছু আগে শুনে করে। তাদের কাছে দাওয়াত দিতে হলে দায়ীকে সেভাবেই চিন্তা করতে হবে। ২.    First Flower যারা কোনো কিছু আবিষ্কার হওয়ার সাথে সাথে অনুসরণ করে। ৩.    Late Moner যারা তারা সবকিছু ধীরে ধীরে গ্রহণ করে। পর্যায়ক্রমে তাদের দাওয়াত দিতে হবে। রাসূল (সা) বলেন, মানুষের মনে দুই ধরনের প্রেরণা আসে- একটি আসে ফেরেশতার পক্ষ থেকে, আর সেটা হলো সৎ কাজের আগ্রহ এবং সত্যের স্বীকৃতি ও উপলব্ধি, এটা যার মনে অনুভূত হবে তার জানা দরকার যে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকেই এসেছে এবং আল্লাহর শোকর আদায় করা উচিত। আর একটা প্রেরণা শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। আর তা হলো খারাপ কাজের আগ্রহ, সত্যকে অস্বীকার এবং ভালো কাজ রোধ করার প্রবৃত্তি। যার মনে এ প্রবৃত্তি অনুভূত হবে তার উচিত বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাওয়া। দাওয়াতি কাজের মাধমে আল্লাহকে সহজে স্মরণ করা যায় এবং ভালো কাজের আগ্রহ সৃষ্টি হয়। রাসূল (সা) এক হাদিসে বলেন, জান্নাতের বাগানগুলোতে তোমরা ফলমূল আহরণ করো। সাহাবীগণ বললেন, জান্নাতের বাগান কোথায়? তিনি বললেন, যে সব বৈঠকে আল্লাহকে স্মরণ করা হয়। ইসলামী আন্দোলনের কাজ এক ব্যক্তি পাহাড়ে গিয়ে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকতো। তাকে রাসূল (সা)-এর নিকট নিয়ে আসা হলে রাসূল (সা) তাকে বললেন, তুমি ও অন্যকেও যেন এ কাজ না করে। ইসলামের কোনো যুদ্ধের ময়দানে সবর করা এ ধরনের কোনো ব্যক্তির ৪০ বছরে ইবাদতের চেয়ে উত্তম। দাওয়াত গ্রহণকারীর মন জয় করার ৬টি বিশেষ পদ্ধতি ১.    দাওয়াত গ্রহণকারীর সামনে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলুন বা ভালোভাবে উপস্থাপন করুন। ২.    মানুষের নাম তার নিজের কাছে সবচেয়ে প্রিয়। তাই যথাসম্ভব মানুষের নাম মনে রাখার চেষ্টা করুন। ৩.    আপনি যাকে দাওয়াত দেবেন তাকে গুরুত্ব দিন ও এটা মন থেকেই করুন। ৪.    দাওয়াত গ্রহণকারী যে বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী, সে বিষয়ে আলোচনা করুন। ৫.    ভালো শ্রোতা হোন, দাওয়াত গ্রহণকারীকে কথা বলতে দিন। ৬.    বিজয়ী তিনিই যিনি কখনও হাল ছাড়েন না। মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যা দেখে তা স্বপ্ন নয়, স্বপ্ন সেটাই যা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না, স্বপ্নই আপনাকে দিন রাত কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করবে। অন্যের হৃদয়ের ভেতরে ঢোকার সহজ পথ বিনয় ও সততা। আপনি বিনয়ী এবং সৎ। এই বিশ্বাস আপনাকে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। মানুষ তার চলার পথে নানাভাবে শিখে- নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে শিখে, বুদ্ধি দিয়ে শিখে, বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, শিক্ষক, বন্ধু-বান্ধব, প্রকৃতি, বইপত্র সব কিছু থেকেই শিক্ষা নেয়, কিন্তু সবচেয়ে বড় শিক্ষক সে নিজে। নিজে শিখতে না চাইলে অন্য কেউ তাকে শেখাতে পারে না। মানুষের সাফল্য সবটুকু করতে পারায় নয়, সাধ্যমতো করতে পারায়। সফল দাওয়াত দানকারীর ব্যক্তিত্ব গঠনের কৌশল *    সুন্দরভাবে কথা বলা। *    নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করা। *    বিশ্বাসী হতে হবে। *    দাওয়াত দানকারীর মূলধন কঠোর পরিশ্রম। *    সহিষ্ণু হতে হবে সহিষ্ণু ব্যক্তিরাই শেষ পযর্ন্ত টিকে থাকে tough time does not last but only tough people do)। *    সময়ানুবর্তিতা অবলম্বন করুন। দাওয়াতি কাজে সফল হওয়ার সাতটি বিশেষ কৌশল *    লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। যে জানে তার জীবনের লক্ষ্য-পৃথিবী তাকে সেখানে পৌঁছানোর পথ তৈরি করে দেয়। লক্ষ্য অর্জনে সদা সচেষ্ট থাকুন। *    কৌশলী হোন; কারণ যোগ্যতম ব্যক্তিরাই শেষ পযর্ন্ত টিকে থাকে। কোনো কিছুই অসম্ভব নয়, যদি আপনি মনে করেন পারবেন, নিশ্চয়ই পারবেন। *    চিন্তা করুন, অবশ্যই ভালো উপায় খুঁজে পাবেন। *    আগে দর্শনধারী, পরে গুণবিচারী, আচার ও আচরণ যেন ইতিবাচক হয়। *    সবসময় হাসুন, তাহলে সমগ্র পৃথিবী আপনাকে দেখে হাসবে। *    সৃজনশীল ও উদ্যমী হোন। *    অন্যকে ভালোবাসুন, আপনিও ভালোবাসা পাবেন। দাওয়াতি কাজে কার্যকরী যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা *   কখনোই আশা করবেন না যে, দাওয়াত গ্রহণকারী আপনার কাছে এসে ধরনা দেবে। *    ভাববেন না প্রথম সাক্ষাতেই দাওয়াত গ্রহণ করে ফেলবে। *    সুসংগঠিতভাবে নিয়মিত ফলোআপ করুন। *    প্রতি সপ্তাহে নতুন কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করুন। *    যাদের সাথে পরিচিত হচ্ছেন, তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব আপনারই। *   মনে রাখবেন, কিছু পেতে হলে, কিছু দিতে হবে। কেননা দিন আপনার আমার সবার জন্যই ২৪ ঘণ্টা। শুধু লক্ষ্য রাখবেন, ত্যাগের চাইতে প্রাপ্তি যেন সবসময় ভারি থাকে। জীবনে চলার পথে ধ্রুব সত্য স্বার্থবাদী এক অক্ষর বিশিষ্ট শব্দ I এড়িয়ে চলুন,  সন্তুষ্টজনক দুই  We সর্বদা ব্যবহার করুন,  তিন অক্ষর বিশিষ্ট দূষিত শব্দ Ago ধ্বংস করুন,  বহুল ব্যবহৃত চার অক্ষর বিশিষ্ট শব্দ Love মুল্যায়ন করুন,  আনন্দদায়ক পাঁচ অক্ষর বিশিষ্ট শব্দ Smile সর্বদা ধারণ করুন,  দ্রুতবেগে ছড়ানো ছয় অক্ষর বিশিষ্ট শব্দ  Rumour অবজ্ঞা করুন,  শ্রমসাধ্য সাত অক্ষর বিশিষ্ট শব্দ Success  অর্জন করুন, ঈর্ষা উদ্রেককারী আট অক্ষর বিশিষ্ট শব্দ Jealousy থেকে দূরে থাকুন,  সবচেয়ে শক্তিশালী নয় অক্ষর বিশিষ্ট শব্দ  Knowledge অধিকার করুন,  সবচেয়ে দরকারি দশ অক্ষর বিশিষ্ট শব্দ Confidencকে  বিশ্বাস করুন।  দাওয়াতি কাজ সহজ কাজ নয় বা দাওয়াত হল যুদ্ধ ক্ষেত্র, এখানে যে যত বেশি কৌশলী হবেন, তিনি তত সফলকাম হবেন। এক বালতি পানি পাহাড়ের ওপর থেকে নিচে ফেলে দেয়া সহজ কিন্তু এক বালতি পানি পাহাড়ের ওপর উঠান সহজ কাজ নয়। জ্ঞানের ক্ষেত্রে একজন দায়ীর/ দাওয়াত দানকারীর যোগ্যতা ১. কুরআন ও তাফসীরের জ্ঞান ২. হাদিসের জ্ঞান ৩. ইলমুল ফিকহ ৪. সিরাতুন্নবী (সা) ৫. ইলমুত তাওহিদ ও আকায়েদের জ্ঞান ৬. দাওয়াহ বিষয়ে জ্ঞান ৭. ইসলামী ব্যবস্থা সম্পর্কিত জ্ঞান ৮. ইতিহাসের জ্ঞান চারিত্রিক যোগ্যতা ১. ইসলাম ২. উত্তম আদর্শ ৩. সত্যনিষ্ঠ ৪. আমানতদার ৫. সহনশীলতা ও কোমলতা ৬. বিনয়ী ও সহানুভূতিশীল হওয়া ৭. বীরত্ব ৮. ধীর-স্থিরতা ৯. দানশীলতা ও বদান্যতা ১০. মিষ্টভাষী ও হাসিমুখ চেহারা ১১. মানবসেবা ও তাদের প্রয়োজনে এগিয়ে আসা ১২. মানুষকে যথার্থ মর্যাদা প্রদান ১৩. উত্তম আচরণ ১৪. দাওয়াতের ক্ষেত্রে সহজনীতি গ্রহণ করা ১৫. মজলুম মানুষের পাশে দাঁড়ানো ১৬. ধৈর্য। সুতরাং আগামী দিনে ইসলামী বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করতে হলে মানুষের মেজাজ বুঝে দাওয়াতি কাজ করতে হবে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক অনেক ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির