post

একটি সাংগঠনিক সেশনে সংগঠন পরিচালনায় দায়িত্বশীলের যত কাজ । ড. মোবারক হোসাইন

০৩ মার্চ ২০১৯

সংগঠনের শাখা প্রশাখাগুলোকে লক্ষ্যানুযায়ী কাজে নিয়োজিত রাখাকে সংগঠন পরিচালনা বলে। সুন্দর পরিচালনার ওপর কাজের সফলতা নির্ভর করে। সংগঠনকে সকলের নিকট ভালোভাবে উপস্থাপনের জন্য দায়িত্বশীলদের কতগুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। পরিচালনার সাধারণ নীতি সংগঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলদের কয়েকটি মৌলিক নিয়মের ওপর দৃষ্টিপাত করা প্রয়োজন। সেগুলো হলো- হ ডবষষ চষধহ হ চৎড়ঢ়বৎ ফরংঃৎরনঁঃরড়হ হ ঝঁঢ়বৎারংরড়হ হ চৎড়ঢ়বৎ অহধষুংরং ্ জবঢ়ড়ৎঃরহম হ এড়ড়ফ ৎবংঁষঃ = এড়ড়ফ ঢ়ষধহ-ডবষষ উরংঃৎরনঁঃরড়হ-চৎড়ঢ়বৎ গড়ঃরাধঃরড়হ কর্মপদ্ধতি-সংবিধান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখা সংগঠনের ইতিহাস জানা : ইতিহাস হলো জাতির দর্পণস্বরূপ। এর মাধ্যমে মানুষ জানতে পারে বিগত দিনের সাফল্য ও ব্যর্থতার ইতিকথা। তাই মানুষ ইতিহাস পাঠে সাবধানী হয়, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বিচক্ষণতার পরিচয় দেয়, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সচেষ্ট, উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হয়। ইতিহাসকে জাতির বিবেক বলা চলে। এটা একটা জাতির দিকদর্শন যন্ত্রের মতও কাজ করে। সংগঠনের ঐতিহ্য জানা : ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় সংঘটিত যে ঘটনা কালের পরিক্রমায় অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় হয়ে যায় তাই ঐতিহ্য। অর্থাৎ, সময়ের আবর্তনে যেসব বিষয় শিক্ষণীয় হিসেবে পরিণত হয়েছে। কষ্টসহিষ্ণুতা ও কষ্টপ্রিয়তা দায়িত্বশীলদের অলঙ্কার : কষ্টসহিষ্ণুতা ও কষ্টপ্রিয়তা ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের বিশেষ করে দায়িত্বশীলদের অলঙ্কার। ‘৬২ থেকে ‘৬৬-এ পর্যায়ে ছাত্র ইসলামী আন্দোলনে কষ্টসহিষ্ণুতা ও কষ্টপ্রিয়তার বহু নজির লক্ষ্য করা যায়। তখন কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলদের থাকা এবং খাওয়ার স্থানগুলো সাধারণত বর্তমান ঢাকা আগাসাদেক রোড, হোসনী দালান রোড ও বকশিবাজার এলাকাতেই ছিল। তখন ঢাকা বিমানবন্দর ছিল বর্তমান তেজগাঁও পুরতান বিমানবন্দর। এই সময়ের এক ঘটনা ইতিহাস হয়ে আছে। ছাত্র ইসলামী আন্দোলনের জন্য বাইরে থেকে মেহমান আসার কথা। বিমানবন্দরে তাঁকে রিসিভ করতে হবে। তদানীন্তন কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল বকশিবাজার এলাকায় থাকেন। তাঁর পকেটে মাত্র চার আনা পয়সা। বিমানবন্দরে তাঁর সাথে যারা যাবেন তাদের পকেটেও পয়সা নেই। তারা ত্রিসংকটে পড়লেন। ঐ চার আনা পয়সা দিয়ে নাস্তা করলে বিমানবন্দরে যাতায়াতের খরচ থাকে না। আবার বিমানবন্দরে গেলে নাস্তা খাওয়া যায় না। খরচ করে ফেললে পকেট শূন্য হয়ে যায়। ফলে মেহমানকে নিয়ে আসবে কিভাবে? তাই তারা সিদ্ধান্ত নিলেন নাস্তা না খেয়ে বকশিবাজার থেকে হেঁটে তারা বিমানবন্দরে যাবেন। অভুক্ত অবস্থায় তারা হেঁটে হেঁটেই বিমানবন্দরে পৌঁছলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে ঐদিন বিমান বিলম্ব করল। ফলে অভুক্ত অবস্থায়ই তাদেরকে মেহমানের জন্য অপেক্ষা করতে হলো। অবশেষে মেহমান এলেন। মেহমান অবশ্য খুবই বিচক্ষণ ছিলেন। তিনি উপস্থিত দায়িত্বশীলদের দেখে বুঝতে পারলেন যে, তারা অভুক্ত। অতঃপর তিনি নিজ খরচে নাস্তা করালেন। এ ঘটনা তীব্র আর্থিক সঙ্কটেও দায়িত্ব পালনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে তুলে ধরে। কাজ না হওয়ার কারণ দু’টি: ক) অলসতা ও খ) কাজ না বুঝা। একটি সাংগঠনিক সেশনে যত কাজ ঢ় সেটআপ সম্পন্ন করা: ষ দ্রুত সময়ে সেটআপ সম্পন্ন করা। সেটআপ প্রস্তাবনা/পদ্ধতি: ষ আগে নিজে চিন্তা করা ষ সেক্রেটারি ভাইয়ের সাথে সমন্বয় করা ষ ঊর্ধ্বতনের অনুমতি নেয়া ষ পরামর্শ সভায় উপস্থাপন ষ সদস্য বৈঠকে উপস্থাপন ষ ইনসাফ করা। ষ দু’জন পারফেক্টের মাঝে সিনিয়রকে অগ্রাধিকার দেয়া। ষ স্বজনপ্রীতি না করা। ষ যাকে দায়িত্বশীল বানাচ্ছেন তার খোঁজ-খবর রাখা (লেনদেন, নৈতিকতা ও আনুগত্য)। ষ ভালো মানের সেকেন্ডম্যান দেয়া। ষ থানা/ওয়ার্ড/উপশাখা পর্যায়ে সেটআপ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা। ঢ় পরিকল্পনা প্রণয়ন: ষ সক্ষমতা অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ। ষ কর্মপদ্ধতি নির্দেশিত পরিকল্পনার দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ: ষ কাজের পরিধি ও পরিসংখ্যানমূলক তথ্য: ষ প্রতিষ্ঠানের তালিকা ও ছাত্রদের পরিসংখ্যান ষ আবাসিক এলাকার তালিকা ষ প্রশাসনিক ওয়ার্ড ইউনিয়ন ষ ওয়ার্ড ও উপশাখার শ্রেণীবিন্যাস ঢ় মানোন্নয়ন: ষ বিভিন্ন রেশিও (কমপক্ষে) নিশ্চিতকরণ: ষ মানোন্নয়ন রেশিও- ৩:২:১ ষ সমর্থকবৃদ্ধির রেশিও- ১২:১০:৫ ষ বন্ধুবৃদ্ধির রেশিও- ২০:১৫:১০ ষ টার্গেটকৃত ছাত্রের ৫টি গুণাবলির দিকে লক্ষ্য রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ। ষ মানোন্নয়নের জন্য প্রত্যেক জনশক্তি কমপক্ষে তিনজনকে টার্গেট নিবেন (মেধাবী, প্রভাবশালী ও সাধারণ)। ষ থানা ওয়ার্ড ও উপশাখাভিত্তিক পরিকল্পনা নিশ্চিত করা। ষ জনশক্তির তালিকা ধরে, বৈঠকের পূর্বেই সভাপতি পরিকল্পনা তৈরি করবেন। ষ ধারাবাহিক তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করা। এক্ষেত্রে প্রত্যেক বৈঠকে পর্যালোচনা প্রয়োজন। ষ মান নিশ্চিত করে মানোন্নয়ন (জ্ঞান, আমল, ময়দান): ঢ় জ্ঞানগত যোগ্যতা: ষ সহীহ কুরআন তিলাওয়াত ষ দারস ১৫+১৫টি। নোটবই ১৫টি + আলোচনা ১৫টি। মুখস্থÑআয়াত ৮০টি ও হাদিস ৩৫টি। ষ ধারাবাহিকভাবে সিলেবাস শেষ করা। ষ মাসিক সাহিত্য অধ্যয়নের রেশিও- ৩০০: ২০০: ১০০ (সদস্য: সাথী: কর্মী)। ষ মৌলিক বইসমূহ বুঝে পড়া ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মুখস্থ করা। ষ সাংগঠনিক সকল বিষয়ে ক্লিয়ার ধারণা নেয়া। ষ জনশক্তির পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি। রাসূল (সা:)-এর আদর্শ ও সাহাবীদের জীবনচরিত অধ্যয়ন করা। ষ ভাষা, প্রযুক্তি ও কারিগরি দক্ষতা অর্জন করা। ঢ় আমল: ষ নামাজসহ মৌলিক ইবাদত (নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ, নফল রোজা)। ষ পর্দা (৩য় শ্রেণীর ওপর ছাত্রী না পড়ানো)। ষ আনুগত্য। ষ মুয়ামেলাত। ষ পরীক্ষায় নকল না করা। ঢ় ময়দানে ভূমিকা: ষ নিয়মিত মানোন্নয়ন। ষ দাওয়াতি কাজ। ষ কাজ করা ও করানোর যোগ্যতা। ষ আর্থিক ও অফিসিয়াল হিসাবে সংরক্ষণে পারদর্শী হওয়া। ঢ় সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের কাজ বুঝিয়ে দেয়া: ষ থানা, ওয়ার্ড, উপশাখা দায়িত্বশীল টিএস। ষ হাতে-কলমে কাজ শেখানো। ষ রিপোর্ট বুঝানো। ষ ভাউচার করা শেখানো। ষ লেজার মেন্টেইন শেখানো। ষ দাওয়াতি কাজ সাথে থেকে শেখানো। ষ বিভাগগুলোর কাজ বুঝিয়ে দেয়া (বিএম, শিক্ষা, সাহিত্য, প্রকাশনা, অফিস, স্কুল)। ষ কেন্দ্রের নিদের্শনা যথাযথভাবে উপস্থাপনা। ষ প্রোগ্রামের শেষে ১০-১৫ মিনিট বক্তব্য শুধু নয়, বৈঠকের শুরু থেকেই থাকার চেষ্টা করা। সাংগঠনিক দশক: ঢ় উদ্দেশ্য: ষ সংগঠন গোছানো। ষ ময়দানের অবস্থা চিহ্নিত করা। ষ সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করা। ষ জনশক্তির অবস্থা চিহ্নিত করা। ষ সংগঠনের সকল স্তরে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে কাজ সৃষ্টি। ঢ় কাজ: ষ পূর্বেই সার্কুলার দেয়া। ষ টিম গঠন করে থানায় প্রেরণ (শাখা + পরামর্শ সভা+ সেক্রেটারিয়েট + ভালো মানের কয়েকজন থানা সভাপতির সমন্বয়ে)। ষ প্রত্যেক ওয়ার্ডে একজন করে দায়িত্বশীল নির্ধারণ। ষ সকল জনশক্তির সাথে রিপোর্টসহ কন্টাক্ট করা (রিপোর্ট দেখবে ও প্রশ্নের উত্তর দিবে)। ষ ভালো মানের সমর্থককে কর্মী ঘোষণা দেয়া। ষ বিএম ও পাঠাগার দশক পালন করা (বিএম বাড়ানো, বইপুস্তক ও পাঠাগার বৃদ্ধি, সুধী যোগাযোগ)। ষ বিএম, সাহিত্য হিসাব ও অফিসিয়াল ফাইল দেখা। ষ পর্যালোচনা সমাবেশ করা (ওয়ার্ড ও থানা দায়িত্বশীলদের নিয়ে, সম্ভব হলে সাথী সমাবেশ করা)। ষ সমাবেশে রিপোর্ট পেশ করা (সমস্যা, সম্ভাবনা, পরামর্শ)। ঢ় প্রশিক্ষণমূলক প্রোগ্রাম: ষ কাজ শেখানোর লক্ষ্যে শুরুতেই দায়িত্বশীল টিএস করা: ক) থানা দায়িত্বশীল, খ) ওয়ার্ড/ইউনিয়ন দায়িত্বশীল, গ) উপশাখা দায়িত্বশীল। সকল জনশক্তিকে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা। ষ মার্চ মাসে সদস্য-সদস্য প্রার্থী, এপ্রিল মাসে সাথী-সাথীপ্রার্থী, মে মাসে কর্মী টিসি সম্পন্ন করা। ষ টিসি করতে না পারলে টিএস বা অন্য যে কোন উপায়ে উদ্দেশ্য হাসিল করা। ষ শব্বেদারির আয়োজন করা। কুরআন তালিম, কুরআন ক্লাস নিশ্চিত করা। ষ ওয়ার্ড/ ইউনিয়নে প্রতি ২ মাসে কমপক্ষে ১টি টিএস করা। ষ মানসম্মত স্টাডি সার্কেল ও কুরআন স্টাডি ক্লাসের আয়োজন করা। ষ মানসম্মত আলোচনা চক্র ও পাঠচক্র করা। ঢ় সাংগঠন সম্প্রসারণ ও উপশাখা মজবুতিকরণ: ষ কোথায়, কোন মাসে, কার তত্ত্বাবধানে সংগঠন বৃদ্ধি ও মজবুতি হবে তা ঠিক করা। ষ বৈঠকে পর্যালোচনা করা। ষ দুর্বল উপশাখা চিহ্নিত করা। ষ উপশাখার মৌলিক ৪টি প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন নিশ্চিতে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা: ক) ১ম সপ্তাহে কুরআন তালিম, খ) ২য় সপ্তাহে সামষ্টিক পাঠ, গ) ৩য় সপ্তাহে সাধারণ সভা, ঘ) ৪র্থ সপ্তাহে কর্মী বৈঠক ঢ় তত্ত্বাবধান ও সফর: ষ নিয়মিত সফরের বাইরে অনিয়মিত সফর বেশি করা। ষ শুধু প্রোগ্রামকেন্দ্রিক সফর নয় বরং সুধী, শহীদ পরিবার, মেধাবী ছাত্র ও প্রভাবশালী পরিবারের সন্তানদের সাথে সাক্ষাৎ। ষ টার্গেটকৃত জনশক্তির সাথে কন্টাক্ট : ক) সিঙ্গেল ডিজিট, খ) জিপিএ-৫, গ) প্লেসধারী, ঘ) প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। ষ প্রোগ্রাম ও ইস্যুভিত্তিক তথ্যসমৃদ্ধ বক্তব্য। আয়াত-হাদিস ও ইসলামী রেনেসাঁর উদ্ধৃতি প্রদান। ষ ময়দানের সমস্যার আলোকে কথা বলা। ষ বক্তব্যের আগেই সভাপতির কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে ময়দানের অবস্থা জেনে তার আলোকে বক্তব্য দেয়া। ষ তত্ত্ব¡াবধানকৃত শাখার সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ে মূল দায়িত্বশীলকে জানানো। ষ সংগঠন সম্প্রসারণ, মজবুতি ও দাওয়াতি কাজের খোঁজ-খবর রাখা। ঢ় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন: ষ অর্থ হলো সংগঠনের ব্লাড। জনশক্তির ৯০%, সুধীদের ৮০% বিএম আদায় নিশ্চিত করা। ষ অপচয় ও অপব্যয় না করা। ষ রসিদে আয় ও ভাউচারে ব্যয় করা, হাতে লিখা ভাউচার পরিহার করা। অপ্রদর্শিত আয় না করা। ষ সভাপতি নিজ হাতে ভাউচার না করা। ষ ঋণ না দেয়া। মানবিক কারণে যেকোন সহযোগিতা করতে হলে ঊর্ধ্বতন সংগঠনের অনুমতি নেয়া। ষ দায়িত্বশীল পরিবর্তনের সাথে সাথে অডিটের ব্যবস্থা করা। ষ অধস্তন শাখায় আয়ের ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়া। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ আয়ের ব্যবস্থা করা। ষ ঊর্ধ্বতন কোটা পরিশোধ ও নিজ শাখার সমৃদ্ধি অর্জনে উদ্যোগ নেয়া। ষ ইস্যুভিত্তিক কালেকশন (শিক্ষা সফর, স্কুল ছাত্রদের নিয়ে প্রশিক্ষণমূলক প্রোগ্রাম, সিলেবাসভিত্তিক বই ক্রয়, কুরআন হাদিসের সেট, সাইকেল ক্রয় ইত্যাদি)। ঢ় সহযোগী সংগঠনের সাথে সমন্বয় করা: ষ সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ। ষ সম্মান করা, দোয়া নেয়া। ষ সহযোগিতা না করলে অসদাচরণ না করা, প্রকাশ্যে বা বাইরে আলোচনা সমালোচনা না করা ঊর্ধ্বতনে জানানো। ষ অভিভাবকদের/সাবেকদের থেকে পরামর্শ গ্রহণ করা যাবে, তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সংগঠনের নীতির আলোকে করা। ঢ় দাওয়াতি কাজ (২০: ১৫: ১০ ও ১২: ১০: ৫): ষ প্রত্যেক জনশক্তি ১০০ জনকে দাওয়াত পৌঁছাবে। ষ ব্যক্তিগত দাওয়াতকে জোরদার করা। নিজ আত্মীয় প্রতিবেশী ছাত্রদের বিশেষ গুরুত্ব দেয়া। ষ যে কোন বৈঠকে ব্যক্তিগত দাওয়াতের খোঁজখবর নেয়া। ষ বিভিন্ন দাওয়াতি অভিযান ভালোভাবে পালন করা। ষ দশক শেষে ব্যাপকভাবে চা-চক্র, বনভোজন, খেলা-ধুলার আয়োজন করা। ষ স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও প্রতিষ্ঠানে আলাদা করে দাওয়াতি কাজ দেয়া। ষ যত মাঠ তত টিম শ্লোগানকে বাস্তবায়ন করা। ষ সোমবারকে দাওয়াতি বার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। ষ সমর্থক ফরম পূরণ করেই সমর্থক বানানো। ষ দায়িত্বশীল ভাইয়েরা একেক দিন একেক এলাকায় দাওয়াতি দশকে সরাসরি অংশ নিবেন। ষ প্রত্যেক মাসে দাওয়াতি সপ্তাহ, দশক অথবা ৩/৪ দিন নির্ধারিত করা ঢ় পার্শ্ব/সাইড সংগঠন পরিচালনায় গুরুত্ব দেয়া: ষ প্রত্যেক সাইড সংগঠনকে সমান গুরুত্ব দেয়া। ষ ভালো মানের জনশক্তি দেয়া। ষ অর্থনৈতিক সাপোর্ট দেয়া। ষ নতুন নতুন সাইড সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা। ঢ় সমাজসেবা: ষ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা ও সামাজিক সমস্যাসমূহ সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ। ষ ব্যনারসর্বস্ব প্রোগ্রাম না করে ঊর্ধ্বতন সংগঠনের সার্কুলারের যথাযথ আনুগত্য করা। ষ ছাত্র রিলেটেড সামাজিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা। ষ বাছাইকরা মেধাবী ছাত্রদের মাঝে গাছের চারা এবং দরিদ্র ছাত্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা। ঢ় কিছু দৃষ্টিভঙ্গি: ষ রিপোর্ট প্রেরণের ক্ষেত্রে আমানতদারিতা ও সময়সচেতনতা বজায় রাখা। ষ প্রতিটি কর্মসূচি পালন করা, না পারলে ঊর্ধ্বতন সংগঠনের অনুমতি নেয়া। ষ যে কোন মূল্যে ঊর্ধ্বতন কোটা ফিলাপ করা এক্ষেত্রে মওকুফ চাওয়ার মানসিকতা পরিহার করা। ষ কম হোক বেশি হোক প্রতি মাসেই সাহিত্য বিভাগে টাকা জমা দেয়া। ষ ঈদকার্ড, ক্যালেন্ডারসহ যে কোন প্রকাশনা সাময়িকী বের করতে কেন্দ্রের অনুমতি নেয়া। ঈদকার্ড বের করতে হলে শাখা সভাপতি-সেক্রেটারি আলাদা না করে একটি করা। ষ জনশক্তি এবং শাখাবৃদ্ধি-ঘাটতিতে অনুমতি নেয়া। ষ সেটাপ কিংবা সেটাপ পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে অনুমোদন নেয়া। ষ সফর: ষ ঊর্ধ্বতন মেহমানকে রিসিভ করার ক্ষেত্রে শাখা সভাপতি যাওয়া। ষ সভাপতি যেতে না পারলে মেহমানের কাছ থেকে অনুমতি নেয়া। ষ নিরাপত্তা ও সফর খরচের ব্যাপারে সচেতনতা দেখানো। ষ বছরের মাঝামাঝি সময় শাখায় কেন্দ্রের সাংগঠনিক সফর নিশ্চিত করা। ষ নেতৃত্ব: ষ চেইন অব লিডারশিপ নিশ্চিত করা। ষ কয়েক সেট দায়িত্বশীল তৈরি করা। ষ নেতৃত্ব বাছাই (কর্মী, সাথী ও সদস্যদের মাঝে)। ষ প্রতি বর্ষে দায়িত্বশীল তৈরি করা। ষ নেতৃত্বের উপযোগী করে তৈরি করা। ষ সহযোগিতা প্রদান ও কাজ শিখানো। ষ টেবিল ওয়ার্ক: ষ আদর্শের মধ্য থেকে নতুন নতুন চিন্তা নিয়ে। ষ নিয়মিত প্রোগ্রাম, অধস্তন সংগঠন, জনশক্তির সমস্যা নিয়ে। ষ নতুন নতুন প্রোগ্রাম চালু করা নিয়ে। ষ প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগানো নিয়ে। ষ রিপোর্টিং: ষ পরিশীলিতভাবে রিপোর্টিং। ষ ঊর্ধ্বতন কোঠাসমূহ যথাসময়ে পরিশোধ। ষ যথাসময়ে রিপোর্ট জমার ব্যবস্থা করা। ষ যে শাখায যথাসময়ে রিপোর্ট জমা দেয় না সে শাখায় আগেই তত্ত্বাবধায়ক যাওয়া। ঢ় পরবর্তী দায়িত্বশীল গড়ে তোলা যায় কিভাবে? ষ যথার্থ লোক বাছাই ষ প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দান ষ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান লাভে উদ্বুদ্ধ করা ষ সাংগঠনিক প্রজ্ঞা সৃষ্টি ষ দায়িত্বশীলের প্যানেল বা চেইন তৈরি করা ষ কাজ দিয়ে তত্ত্বাবধান ষ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে গড়ে তোলা ষ পরিশ্রমপ্রিয় হিসাবে গড়ে তোলা ষ কর্মীদের একেবারে কাছে অবস্থান ষ দক্ষতা অর্জনের বাস্তব পদ্ধতি গ্রহণ ঢ় সংগঠন শৃঙ্খলার উপাদানসমূহ: ষ আনুগত্য ষ পরামর্শ ষ এহ্তেসাব ষ পারস্পরিক সম্পর্ক ঢ় সাংগঠনিক সেশনে পরিকল্পনা গ্রহণে লক্ষণীয় বিষয়সমূহ: ষ সংগঠন পরিচালনা আরো একধাপ নিয়ে যাওয়ার জন্য কতগুলো দিক আমাদেরকে বিবেচনা করতে হবে, যা সংগঠনকে আলোকিত এবং সুন্দর করতে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে হবে। ঢ় গঙঝঞ গ= গরংংরড়হ (ডযবৎব ঃযব ড়ৎমধহরুধঃরড়হ রহঃবহফং ঃড় মড়) ঙ=ঙনলবপঃরাবং (ঞযব শবু মড়ধষ যিরপয রিষষ যবষঢ় ধপযরবাব ঃযব সরংংরড়হ) ঝ=ঝঃৎধঃবমরবং (ড়ঢ়ঃরড়হং ভড়ৎ সড়ারহম ভড়ৎধিৎফ) ঞ=ঞধপঃরপং (যড়ি ঝঃৎধঃবমরবং ধৎব ঢ়ঁঃ রহঃড় ধপঃরড়হ) ঢ় ঝডঙঞ ঝ=ঝঃৎবহমঃযং, ড= ডবধশহবংং, ঙ= ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃরবং, ঞ= ঞযৎবধঃং ঢ় গড়ঝঈড়ড ঞবপযহরয়ঁবং ফলো করতে হবে- ১. গঁংঃ যধাব, ২. ঝযড়ঁষফ যধাব, ৩.ঈড়ঁষফ যধাব, ৪.ডড়হ’ঃ ঐধাব ঃযরং ঃরসব. সংগঠন পরিচালনার জন্য সংগঠনের সমগ্র বিষয় সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকতে হবে এবং সংগঠনের লক্ষ্য মিটানোর জন্য নি¤েœাক্ত বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। ষ ঈৎবধঃরহম ধহফ সধরহঃধরহরহম ঃযব ড়ৎমধহরুধঃরড়হ ধৎপযরঃবপঃঁৎব. ষ ঈড়হফঁপঃরহম ংবহংরনরষরঃু ংঃঁফু. ষ ওফবহঃরভুরহম ড়ৎমধহরুধঃরড়হধষ ড়ঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃরবং. ষ চৎবঢ়ধৎরহম ঃযব ড়ৎমধহরুধঃরড়হ পধংব. ষ ঈড়হফঁপঃরহম ঃযব রহরঃরধষ ৎরংশ ধংংবংংসবহঃ. ৩চ = চঁৎঢ়ড়ংব, চৎড়পবংং, চৎড়ফঁপঃ ৩জ = জবধফ, জবভষবপঃরড়হ, জবভড়ৎসবফ ৩ঐ = ঐবধফ ঃড় ঁহফবৎংঃধহফ, ঐবধৎঃ ঃড় ধপপবঢ়ঃ, ঐধহফ ঃড় ধপঃ ৭ঝ = ঝঃৎধঃবমু, ঝঃৎঁপঃঁৎব, ঝুংঃবস, ঝঃুষব, ঝঃধভভ, ঝশরষষ, ঝযধৎবাধষঁবং চঙঝউঈঙজই =চষধরহরহম, ঙৎমধহরুরহম, ঝঃধভভরহম, উরৎবপঃরহম, ঈড়ড়ৎফরহধঃরহম, জবঢ়ড়ৎঃরহম, ইঁফমবঃরহম বর্তমান পরিস্থিতি ইসলামী আন্দোলনের জন্য পরীক্ষা, প্রত্যেক জনশক্তিকে চারটি বিষয়ে অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে- ষ নিয়মিত কুরআন অধ্যয়ন ও সহীহ তেলাওয়াত, হাদিস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন। ষ জামায়াতে নামাজ (নফল ইবাদত সহ- তারাবিহ ও শববেদারি)। ষ ব্যক্তিগত দাওয়াতি কাজ- কুরআন বিতরণ, বই বিতরণ ও উপহার সামগ্রী বিতরণ। ষ নিয়মিত ছাত্রকল্যাণ ও সমাজ কল্যাণমূলক কাজ। শত শত শহীদের স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব আমাদের। তাই আমাদেরকে কয়েকটি বিষয়ের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে- ষ আমাদের নৈতিক মান এমন পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে যাতে জনগণ আমাদের ওপর আস্থাশীল হয়। এককথায় আমাদের হতে হবে ইসলামের প্রতীক। ষ মেধাবী ও নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পন্ন ছাত্রদেরকে বিশেষ টার্গেট করে এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। এককথায় পরিমাণের চেয়ে গুণাবলির দিকে বেশি নজর দিতে হবে। কাজের মানদণ্ড শুধু জনশক্তি বৃদ্ধি নয় বরং সমাজ বিনির্মাণে পরিমিত লোক সাপ্লাই অন্যতম মানদণ্ড। ষ এখন থেকে কর্মীদেরকে গাইডলাইনের মাধ্যমে কর্মীদের ক্যারিয়ার তৈরিতে সহযোগিতা করা। ষ আমাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক, তাই শত শত শহীদের স্বপ্ন আমাদেরকে পূরণ করতে হবে। ষ তৃণমূল পর্যায়ে- ইসলামী জাগরণ সৃষ্টি ও ইসলামের প্রতি বলিষ্ঠ আস্থা সৃষ্টিতে আমাদেরকে আরও বাস্তবমুখী ও গঠনমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। ষ ‘ঞযব ড়িৎফ রং ধ মষড়নধষ ারষষধমব হড়’ি এ গ্রামের নীতি নির্ধারণে আমাদেরকে সক্ষম, সুযোগ্য ও বলিষ্ঠ বাসিন্দা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। ষ ‘ডব ধৎব ভধপরহম ধ াবৎু ফবপরংরাব ধিৎ ধহফ ঃযরং ধিং ধ ঃৎঁষু রহঃবষষবপঃঁধষ ধিৎ’ এ যুদ্ধে বিজয়ী হতে হলে জ্ঞান বুদ্ধি ও দক্ষতার অস্ত্রে পূর্ণরূপে সজ্জিত হতে হবে। ষ জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তির অতুল ভাণ্ডার কুরআন ও হাদিসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হতে হবে। দুনিয়াকে জানা, বুঝা এবং এর চ্যালেঞ্জ মুকাবিলা করতে হবে। ষ বিবেক ও বাস্তবতার নিরিখে আবেগকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে দূরদর্শিতার সাথে পথ চলা। ষ মনে রাখতে হবে জ্ঞান ও বুদ্ধির অস্ত্রে সজ্জিত গতিশীল ও ভিশনারি লোকেরাই বিশ^কে নেতৃত্ব দেবে। ষ আমাদের যোগ্যতা ও প্রস্তুতির তুলনায় চ্যালেঞ্জ হলো পর্বত পরিমাণ। তাই সময়োপযোগী জ্ঞান ও যোগ্যতার কোন বিকল্প নেই। ষ জাতির কল্যাণকামী এবং শক্তিশালী এক ছাত্রসংগঠন হিসেবে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। ষ জ্ঞান ও চিন্তার জগতে আমাদেরকে দিকনির্দেশনার কথা ভাবতে হবে। চিন্তার জগৎকে যেমন একদিকে প্রসারিত করতে হবে, অন্যদিকে বাস্তবমুখীও করতে হবে। ষ যোগ্যতার সুউচ্চ চূড়ায় আরোহণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে ‘যোগ্যতমের বেঁচে থাকা’। দ্বীনের ব্যাপারে যেমন পাগলপারা হতে হবে তেমনি দুনিয়াবি যোগ্যতার বেখেয়াল হলে চলবে না। ষ আমরা পেশিশক্তি দিয়ে নয়, চারিত্রিক সুষমা দিয়ে বিশ^ জয় করতে চাই। সততা ও চরিত্রের অনন্য সুষমায় অভিষিক্ত হতে হবে। ষ আমাদেরকে পরিকল্পিত জীবনগঠনে প্রত্যয়ী হতে হবে। পরিকল্পনাহীন জীবনে সাফল্য অনিশ্চিত। ষ সময়ের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের কোন আগামীকাল নেই। ‘এখন নয় তো কখনই নয়’, এটাই বিবেকীদের স্লোগান। মনে রাখতে হবে একটি দিন শুধু একবারই আসে। ষ আখেরাতমুখী জিন্দেগি গঠন করতে হবে। তাহলেই অর্জিত হবে প্রকৃত সাফল্য। ষ সর্বোৎকৃষ্ট জান্নাতি সাংগঠনিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ষ আমাদের উন্নত আখলাক, উত্তম আচরণ দাওয়াতি কাজের অন্যতম হাতিয়ার। লেখক : বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষকসংগঠনের শাখা প্রশাখাগুলোকে লক্ষ্যানুযায়ী কাজে নিয়োজিত রাখাকে সংগঠন পরিচালনা বলে। সুন্দর পরিচালনার ওপর কাজের সফলতা নির্ভর করে। সংগঠনকে সকলের নিকট ভালোভাবে উপস্থাপনের জন্য দায়িত্বশীলদের কতগুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।

পরিচালনার সাধারণ নীতি সংগঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলদের কয়েকটি মৌলিক নিয়মের ওপর দৃষ্টিপাত করা প্রয়োজন। সেগুলো হলো- ⇒ Well Plan ⇒ Proper distribution ⇒ Supervision ⇒ Proper Analysis & Reporting ⇒ Good result = Good plan-Well Distribution-Proper Motivation

কর্মপদ্ধতি-সংবিধান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখা

সংগঠনের ইতিহাস জানা : ইতিহাস হলো জাতির দর্পণস্বরূপ। এর মাধ্যমে মানুষ জানতে পারে বিগত দিনের সাফল্য ও ব্যর্থতার ইতিকথা। তাই মানুষ ইতিহাস পাঠে সাবধানী হয়, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বিচক্ষণতার পরিচয় দেয়, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সচেষ্ট, উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হয়। ইতিহাসকে জাতির বিবেক বলা চলে। এটা একটা জাতির দিকদর্শন যন্ত্রের মতও কাজ করে।

সংগঠনের ঐতিহ্য জানা : ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় সংঘটিত যে ঘটনা কালের পরিক্রমায় অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় হয়ে যায় তাই ঐতিহ্য। অর্থাৎ, সময়ের আবর্তনে যেসব বিষয় শিক্ষণীয় হিসেবে পরিণত হয়েছে।

কষ্টসহিষ্ণুতা ও কষ্টপ্রিয়তা দায়িত্বশীলদের অলঙ্কার : কষ্টসহিষ্ণুতা ও কষ্টপ্রিয়তা ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের বিশেষ করে দায়িত্বশীলদের অলঙ্কার। ‘৬২ থেকে ‘৬৬-এ পর্যায়ে ছাত্র ইসলামী আন্দোলনে কষ্টসহিষ্ণুতা ও কষ্টপ্রিয়তার বহু নজির লক্ষ্য করা যায়। তখন কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলদের থাকা এবং খাওয়ার স্থানগুলো সাধারণত বর্তমান ঢাকা আগাসাদেক রোড, হোসনী দালান রোড ও বকশিবাজার এলাকাতেই ছিল। তখন ঢাকা বিমানবন্দর ছিল বর্তমান তেজগাঁও পুরতান বিমানবন্দর। এই সময়ের এক ঘটনা ইতিহাস হয়ে আছে। ছাত্র ইসলামী আন্দোলনের জন্য বাইরে থেকে মেহমান আসার কথা। বিমানবন্দরে তাঁকে রিসিভ করতে হবে। তদানীন্তন কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল বকশিবাজার এলাকায় থাকেন। তাঁর পকেটে মাত্র চার আনা পয়সা। বিমানবন্দরে তাঁর সাথে যারা যাবেন তাদের পকেটেও পয়সা নেই। তারা ত্রিসংকটে পড়লেন। ঐ চার আনা পয়সা দিয়ে নাস্তা করলে বিমানবন্দরে যাতায়াতের খরচ থাকে না। আবার বিমানবন্দরে গেলে নাস্তা খাওয়া যায় না। খরচ করে ফেললে পকেট শূন্য হয়ে যায়। ফলে মেহমানকে নিয়ে আসবে কিভাবে? তাই তারা সিদ্ধান্ত নিলেন নাস্তা না খেয়ে বকশিবাজার থেকে হেঁটে তারা বিমানবন্দরে যাবেন। অভুক্ত অবস্থায় তারা হেঁটে হেঁটেই বিমানবন্দরে পৌঁছলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে ঐদিন বিমান বিলম্ব করল। ফলে অভুক্ত অবস্থায়ই তাদেরকে মেহমানের জন্য অপেক্ষা করতে হলো। অবশেষে মেহমান এলেন। মেহমান অবশ্য খুবই বিচক্ষণ ছিলেন। তিনি উপস্থিত দায়িত্বশীলদের দেখে বুঝতে পারলেন যে, তারা অভুক্ত। অতঃপর তিনি নিজ খরচে নাস্তা করালেন। এ ঘটনা তীব্র আর্থিক সঙ্কটেও দায়িত্ব পালনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে তুলে ধরে। কাজ না হওয়ার কারণ দু’টি: ক) অলসতা ও খ) কাজ না বুঝা।

একটি সাংগঠনিক সেশনে যত কাজ

♣ সেটআপ সম্পন্ন করা: ⇒ দ্রুত সময়ে সেটআপ সম্পন্ন করা। সেটআপ প্রস্তাবনা/পদ্ধতি: ⇒ আগে নিজে চিন্তা করা ⇒ সেক্রেটারি ভাইয়ের সাথে সমন্বয় করা ⇒ ঊর্ধ্বতনের অনুমতি নেয়া ⇒ পরামর্শ সভায় উপস্থাপন ⇒ সদস্য বৈঠকে উপস্থাপন ⇒ ইনসাফ করা। ⇒ দু’জন পারফেক্টের মাঝে সিনিয়রকে অগ্রাধিকার দেয়া। ⇒ স্বজনপ্রীতি না করা। ⇒ যাকে দায়িত্বশীল বানাচ্ছেন তার খোঁজ-খবর রাখা (লেনদেন, নৈতিকতা ও আনুগত্য)। ⇒ ভালো মানের সেকেন্ডম্যান দেয়া। ⇒ থানা/ওয়ার্ড/উপশাখা পর্যায়ে সেটআপ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা।

♣ পরিকল্পনা প্রণয়ন: ⇒ সক্ষমতা অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ। ⇒ কর্মপদ্ধতি নির্দেশিত পরিকল্পনার দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ: ⇒ কাজের পরিধি ও পরিসংখ্যানমূলক তথ্য: ⇒ প্রতিষ্ঠানের তালিকা ও ছাত্রদের পরিসংখ্যান ⇒ আবাসিক এলাকার তালিকা ⇒ প্রশাসনিক ওয়ার্ড ইউনিয়ন ⇒ ওয়ার্ড ও উপশাখার শ্রেণীবিন্যাস

♣ মানোন্নয়ন: ⇒ বিভিন্ন রেশিও (কমপক্ষে) নিশ্চিতকরণ: ⇒ মানোন্নয়ন রেশিও- ৩:২:১ ⇒ সমর্থকবৃদ্ধির রেশিও- ১২:১০:৫ ⇒ বন্ধুবৃদ্ধির রেশিও- ২০:১৫:১০ ⇒ টার্গেটকৃত ছাত্রের ৫টি গুণাবলির দিকে লক্ষ্য রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ। ⇒ মানোন্নয়নের জন্য প্রত্যেক জনশক্তি কমপক্ষে তিনজনকে টার্গেট নিবেন (মেধাবী, প্রভাবশালী ও সাধারণ)। ⇒ থানা ওয়ার্ড ও উপশাখাভিত্তিক পরিকল্পনা নিশ্চিত করা। ⇒ জনশক্তির তালিকা ধরে, বৈঠকের পূর্বেই সভাপতি পরিকল্পনা তৈরি করবেন। ⇒ ধারাবাহিক তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করা। এক্ষেত্রে প্রত্যেক বৈঠকে পর্যালোচনা প্রয়োজন। ⇒ মান নিশ্চিত করে মানোন্নয়ন (জ্ঞান, আমল, ময়দান):

♣ জ্ঞানগত যোগ্যতা: ⇒ সহীহ কুরআন তিলাওয়াত ⇒ দারস ১৫+১৫টি। নোটবই ১৫টি + আলোচনা ১৫টি। মুখস্থÑআয়াত ৮০টি ও হাদিস ৩৫টি। ⇒ ধারাবাহিকভাবে সিলেবাস শেষ করা। ⇒ মাসিক সাহিত্য অধ্যয়নের রেশিও- ৩০০: ২০০: ১০০ (সদস্য: সাথী: কর্মী)। ⇒ মৌলিক বইসমূহ বুঝে পড়া ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মুখস্থ করা। ⇒ সাংগঠনিক সকল বিষয়ে ক্লিয়ার ধারণা নেয়া। ⇒ জনশক্তির পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি। রাসূল (সা:)-এর আদর্শ ও সাহাবীদের জীবনচরিত অধ্যয়ন করা। ⇒ ভাষা, প্রযুক্তি ও কারিগরি দক্ষতা অর্জন করা।

♣ আমল: ⇒ নামাজসহ মৌলিক ইবাদত (নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ, নফল রোজা)। ⇒ পর্দা (৩য় শ্রেণীর ওপর ছাত্রী না পড়ানো)। ⇒ আনুগত্য। ⇒ মুয়ামেলাত। ⇒ পরীক্ষায় নকল না করা।

♣ ময়দানে ভূমিকা: ⇒ নিয়মিত মানোন্নয়ন। ⇒ দাওয়াতি কাজ। ⇒ কাজ করা ও করানোর যোগ্যতা। ⇒ আর্থিক ও অফিসিয়াল হিসাবে সংরক্ষণে পারদর্শী হওয়া।

♣ সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের কাজ বুঝিয়ে দেয়া: ⇒ থানা, ওয়ার্ড, উপশাখা দায়িত্বশীল টিএস। ⇒ হাতে-কলমে কাজ শেখানো। ⇒ রিপোর্ট বুঝানো। ⇒ ভাউচার করা শেখানো। ⇒ লেজার মেন্টেইন শেখানো। ⇒ দাওয়াতি কাজ সাথে থেকে শেখানো। ⇒ বিভাগগুলোর কাজ বুঝিয়ে দেয়া (বিএম, শিক্ষা, সাহিত্য, প্রকাশনা, অফিস, স্কুল)। ⇒ কেন্দ্রের নিদের্শনা যথাযথভাবে উপস্থাপনা। ⇒ প্রোগ্রামের শেষে ১০-১৫ মিনিট বক্তব্য শুধু নয়, বৈঠকের শুরু থেকেই থাকার চেষ্টা করা।

সাংগঠনিক দশক:

♣ উদ্দেশ্য: ⇒ সংগঠন গোছানো। ⇒ ময়দানের অবস্থা চিহ্নিত করা। ⇒ সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করা। ⇒ জনশক্তির অবস্থা চিহ্নিত করা। ⇒ সংগঠনের সকল স্তরে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে কাজ সৃষ্টি।

♣ কাজ: ⇒ পূর্বেই সার্কুলার দেয়া। ⇒ টিম গঠন করে থানায় প্রেরণ (শাখা + পরামর্শ সভা+ সেক্রেটারিয়েট + ভালো মানের কয়েকজন থানা সভাপতির সমন্বয়ে)। ⇒ প্রত্যেক ওয়ার্ডে একজন করে দায়িত্বশীল নির্ধারণ। ⇒ সকল জনশক্তির সাথে রিপোর্টসহ কন্টাক্ট করা (রিপোর্ট দেখবে ও প্রশ্নের উত্তর দিবে)। ⇒ ভালো মানের সমর্থককে কর্মী ঘোষণা দেয়া। ⇒ বিএম ও পাঠাগার দশক পালন করা (বিএম বাড়ানো, বইপুস্তক ও পাঠাগার বৃদ্ধি, সুধী যোগাযোগ)। ⇒ বিএম, সাহিত্য হিসাব ও অফিসিয়াল ফাইল দেখা। ⇒ পর্যালোচনা সমাবেশ করা (ওয়ার্ড ও থানা দায়িত্বশীলদের নিয়ে, সম্ভব হলে সাথী সমাবেশ করা)। ⇒ সমাবেশে রিপোর্ট পেশ করা (সমস্যা, সম্ভাবনা, পরামর্শ)।

♣ প্রশিক্ষণমূলক প্রোগ্রাম: ⇒ কাজ শেখানোর লক্ষ্যে শুরুতেই দায়িত্বশীল টিএস করা: ক) থানা দায়িত্বশীল, খ) ওয়ার্ড/ইউনিয়ন দায়িত্বশীল, গ) উপশাখা দায়িত্বশীল। সকল জনশক্তিকে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা। ⇒ মার্চ মাসে সদস্য-সদস্য প্রার্থী, এপ্রিল মাসে সাথী-সাথীপ্রার্থী, মে মাসে কর্মী টিসি সম্পন্ন করা। ⇒ টিসি করতে না পারলে টিএস বা অন্য যে কোন উপায়ে উদ্দেশ্য হাসিল করা। ⇒ শব্বেদারির আয়োজন করা। কুরআন তালিম, কুরআন ক্লাস নিশ্চিত করা। ⇒ ওয়ার্ড/ ইউনিয়নে প্রতি ২ মাসে কমপক্ষে ১টি টিএস করা। ⇒ মানসম্মত স্টাডি সার্কেল ও কুরআন স্টাডি ক্লাসের আয়োজন করা। ⇒ মানসম্মত আলোচনা চক্র ও পাঠচক্র করা।

♣ সাংগঠন সম্প্রসারণ ও উপশাখা মজবুতিকরণ: ⇒ কোথায়, কোন মাসে, কার তত্ত্বাবধানে সংগঠন বৃদ্ধি ও মজবুতি হবে তা ঠিক করা। ⇒ বৈঠকে পর্যালোচনা করা। ⇒ দুর্বল উপশাখা চিহ্নিত করা। ⇒ উপশাখার মৌলিক ৪টি প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন নিশ্চিতে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা: ক) ১ম সপ্তাহে কুরআন তালিম, খ) ২য় সপ্তাহে সামষ্টিক পাঠ, গ) ৩য় সপ্তাহে সাধারণ সভা, ঘ) ৪র্থ সপ্তাহে কর্মী বৈঠক

♣ তত্ত্বাবধান ও সফর: ⇒ নিয়মিত সফরের বাইরে অনিয়মিত সফর বেশি করা। ⇒ শুধু প্রোগ্রামকেন্দ্রিক সফর নয় বরং সুধী, শহীদ পরিবার, মেধাবী ছাত্র ও প্রভাবশালী পরিবারের সন্তানদের সাথে সাক্ষাৎ। ⇒ টার্গেটকৃত জনশক্তির সাথে কন্টাক্ট : ক) সিঙ্গেল ডিজিট, খ) জিপিএ-৫, গ) প্লেসধারী, ঘ) প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। ⇒ প্রোগ্রাম ও ইস্যুভিত্তিক তথ্যসমৃদ্ধ বক্তব্য। আয়াত-হাদিস ও ইসলামী রেনেসাঁর উদ্ধৃতি প্রদান। ⇒ ময়দানের সমস্যার আলোকে কথা বলা। ⇒ বক্তব্যের আগেই সভাপতির কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে ময়দানের অবস্থা জেনে তার আলোকে বক্তব্য দেয়া। ⇒ তত্ত্বাবধানকৃত শাখার সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ে মূল দায়িত্বশীলকে জানানো। ⇒ সংগঠন সম্প্রসারণ, মজবুতি ও দাওয়াতি কাজের খোঁজ-খবর রাখা।

♣ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন: ⇒ অর্থ হলো সংগঠনের ব্লাড। জনশক্তির ৯০%, সুধীদের ৮০% বিএম আদায় নিশ্চিত করা। ⇒ অপচয় ও অপব্যয় না করা। ⇒ রসিদে আয় ও ভাউচারে ব্যয় করা, হাতে লিখা ভাউচার পরিহার করা। অপ্রদর্শিত আয় না করা। ⇒ সভাপতি নিজ হাতে ভাউচার না করা। ⇒ ঋণ না দেয়া। মানবিক কারণে যেকোন সহযোগিতা করতে হলে ঊর্ধ্বতন সংগঠনের অনুমতি নেয়া। ⇒ দায়িত্বশীল পরিবর্তনের সাথে সাথে অডিটের ব্যবস্থা করা। ⇒ অধস্তন শাখায় আয়ের ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়া। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ আয়ের ব্যবস্থা করা। ⇒ ঊর্ধ্বতন কোটা পরিশোধ ও নিজ শাখার সমৃদ্ধি অর্জনে উদ্যোগ নেয়া। ⇒ ইস্যুভিত্তিক কালেকশন (শিক্ষা সফর, স্কুল ছাত্রদের নিয়ে প্রশিক্ষণমূলক প্রোগ্রাম, সিলেবাসভিত্তিক বই ক্রয়, কুরআন হাদিসের সেট, সাইকেল ক্রয় ইত্যাদি)।

সংগঠনের শাখা প্রশাখাগুলোকে লক্ষ্যানুযায়ী কাজে নিয়োজিত রাখাকে সংগঠন পরিচালনা বলে। সুন্দর পরিচালনার ওপর কাজের সফলতা নির্ভর করে। সংগঠনকে সকলের নিকট ভালোভাবে উপস্থাপনের জন্য দায়িত্বশীলদের কতগুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। পরিচালনার সাধারণ নীতি সংগঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলদের কয়েকটি মৌলিক নিয়মের ওপর দৃষ্টিপাত করা প্রয়োজন। সেগুলো হলো- হ ডবষষ চষধহ হ চৎড়ঢ়বৎ ফরংঃৎরনঁঃরড়হ হ ঝঁঢ়বৎারংরড়হ হ চৎড়ঢ়বৎ অহধষুংরং ্ জবঢ়ড়ৎঃরহম হ এড়ড়ফ ৎবংঁষঃ = এড়ড়ফ ঢ়ষধহ-ডবষষ উরংঃৎরনঁঃরড়হ-চৎড়ঢ়বৎ গড়ঃরাধঃরড়হ কর্মপদ্ধতি-সংবিধান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখা সংগঠনের ইতিহাস জানা : ইতিহাস হলো জাতির দর্পণস্বরূপ। এর মাধ্যমে মানুষ জানতে পারে বিগত দিনের সাফল্য ও ব্যর্থতার ইতিকথা। তাই মানুষ ইতিহাস পাঠে সাবধানী হয়, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বিচক্ষণতার পরিচয় দেয়, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সচেষ্ট, উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হয়। ইতিহাসকে জাতির বিবেক বলা চলে। এটা একটা জাতির দিকদর্শন যন্ত্রের মতও কাজ করে। সংগঠনের ঐতিহ্য জানা : ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় সংঘটিত যে ঘটনা কালের পরিক্রমায় অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় হয়ে যায় তাই ঐতিহ্য। অর্থাৎ, সময়ের আবর্তনে যেসব বিষয় শিক্ষণীয় হিসেবে পরিণত হয়েছে। কষ্টসহিষ্ণুতা ও কষ্টপ্রিয়তা দায়িত্বশীলদের অলঙ্কার : কষ্টসহিষ্ণুতা ও কষ্টপ্রিয়তা ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের বিশেষ করে দায়িত্বশীলদের অলঙ্কার। ‘৬২ থেকে ‘৬৬-এ পর্যায়ে ছাত্র ইসলামী আন্দোলনে কষ্টসহিষ্ণুতা ও কষ্টপ্রিয়তার বহু নজির লক্ষ্য করা যায়। তখন কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলদের থাকা এবং খাওয়ার স্থানগুলো সাধারণত বর্তমান ঢাকা আগাসাদেক রোড, হোসনী দালান রোড ও বকশিবাজার এলাকাতেই ছিল। তখন ঢাকা বিমানবন্দর ছিল বর্তমান তেজগাঁও পুরতান বিমানবন্দর। এই সময়ের এক ঘটনা ইতিহাস হয়ে আছে। ছাত্র ইসলামী আন্দোলনের জন্য বাইরে থেকে মেহমান আসার কথা। বিমানবন্দরে তাঁকে রিসিভ করতে হবে। তদানীন্তন কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল বকশিবাজার এলাকায় থাকেন। তাঁর পকেটে মাত্র চার আনা পয়সা। বিমানবন্দরে তাঁর সাথে যারা যাবেন তাদের পকেটেও পয়সা নেই। তারা ত্রিসংকটে পড়লেন। ঐ চার আনা পয়সা দিয়ে নাস্তা করলে বিমানবন্দরে যাতায়াতের খরচ থাকে না। আবার বিমানবন্দরে গেলে নাস্তা খাওয়া যায় না। খরচ করে ফেললে পকেট শূন্য হয়ে যায়। ফলে মেহমানকে নিয়ে আসবে কিভাবে? তাই তারা সিদ্ধান্ত নিলেন নাস্তা না খেয়ে বকশিবাজার থেকে হেঁটে তারা বিমানবন্দরে যাবেন। অভুক্ত অবস্থায় তারা হেঁটে হেঁটেই বিমানবন্দরে পৌঁছলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে ঐদিন বিমান বিলম্ব করল। ফলে অভুক্ত অবস্থায়ই তাদেরকে মেহমানের জন্য অপেক্ষা করতে হলো। অবশেষে মেহমান এলেন। মেহমান অবশ্য খুবই বিচক্ষণ ছিলেন। তিনি উপস্থিত দায়িত্বশীলদের দেখে বুঝতে পারলেন যে, তারা অভুক্ত। অতঃপর তিনি নিজ খরচে নাস্তা করালেন। এ ঘটনা তীব্র আর্থিক সঙ্কটেও দায়িত্ব পালনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে তুলে ধরে। কাজ না হওয়ার কারণ দু’টি: ক) অলসতা ও খ) কাজ না বুঝা। একটি সাংগঠনিক সেশনে যত কাজ ঢ় সেটআপ সম্পন্ন করা: ষ দ্রুত সময়ে সেটআপ সম্পন্ন করা। সেটআপ প্রস্তাবনা/পদ্ধতি: ষ আগে নিজে চিন্তা করা ষ সেক্রেটারি ভাইয়ের সাথে সমন্বয় করা ষ ঊর্ধ্বতনের অনুমতি নেয়া ষ পরামর্শ সভায় উপস্থাপন ষ সদস্য বৈঠকে উপস্থাপন ষ ইনসাফ করা। ষ দু’জন পারফেক্টের মাঝে সিনিয়রকে অগ্রাধিকার দেয়া। ষ স্বজনপ্রীতি না করা। ষ যাকে দায়িত্বশীল বানাচ্ছেন তার খোঁজ-খবর রাখা (লেনদেন, নৈতিকতা ও আনুগত্য)। ষ ভালো মানের সেকেন্ডম্যান দেয়া। ষ থানা/ওয়ার্ড/উপশাখা পর্যায়ে সেটআপ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা। ঢ় পরিকল্পনা প্রণয়ন: ষ সক্ষমতা অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ। ষ কর্মপদ্ধতি নির্দেশিত পরিকল্পনার দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ: ষ কাজের পরিধি ও পরিসংখ্যানমূলক তথ্য: ষ প্রতিষ্ঠানের তালিকা ও ছাত্রদের পরিসংখ্যান ষ আবাসিক এলাকার তালিকা ষ প্রশাসনিক ওয়ার্ড ইউনিয়ন ষ ওয়ার্ড ও উপশাখার শ্রেণীবিন্যাস ঢ় মানোন্নয়ন: ষ বিভিন্ন রেশিও (কমপক্ষে) নিশ্চিতকরণ: ষ মানোন্নয়ন রেশিও- ৩:২:১ ষ সমর্থকবৃদ্ধির রেশিও- ১২:১০:৫ ষ বন্ধুবৃদ্ধির রেশিও- ২০:১৫:১০ ষ টার্গেটকৃত ছাত্রের ৫টি গুণাবলির দিকে লক্ষ্য রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ। ষ মানোন্নয়নের জন্য প্রত্যেক জনশক্তি কমপক্ষে তিনজনকে টার্গেট নিবেন (মেধাবী, প্রভাবশালী ও সাধারণ)। ষ থানা ওয়ার্ড ও উপশাখাভিত্তিক পরিকল্পনা নিশ্চিত করা। ষ জনশক্তির তালিকা ধরে, বৈঠকের পূর্বেই সভাপতি পরিকল্পনা তৈরি করবেন। ষ ধারাবাহিক তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করা। এক্ষেত্রে প্রত্যেক বৈঠকে পর্যালোচনা প্রয়োজন। ষ মান নিশ্চিত করে মানোন্নয়ন (জ্ঞান, আমল, ময়দান): ঢ় জ্ঞানগত যোগ্যতা: ষ সহীহ কুরআন তিলাওয়াত ষ দারস ১৫+১৫টি। নোটবই ১৫টি + আলোচনা ১৫টি। মুখস্থÑআয়াত ৮০টি ও হাদিস ৩৫টি। ষ ধারাবাহিকভাবে সিলেবাস শেষ করা। ষ মাসিক সাহিত্য অধ্যয়নের রেশিও- ৩০০: ২০০: ১০০ (সদস্য: সাথী: কর্মী)। ষ মৌলিক বইসমূহ বুঝে পড়া ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মুখস্থ করা। ষ সাংগঠনিক সকল বিষয়ে ক্লিয়ার ধারণা নেয়া। ষ জনশক্তির পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি। রাসূল (সা:)-এর আদর্শ ও সাহাবীদের জীবনচরিত অধ্যয়ন করা। ষ ভাষা, প্রযুক্তি ও কারিগরি দক্ষতা অর্জন করা। ঢ় আমল: ষ নামাজসহ মৌলিক ইবাদত (নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ, নফল রোজা)। ষ পর্দা (৩য় শ্রেণীর ওপর ছাত্রী না পড়ানো)। ষ আনুগত্য। ষ মুয়ামেলাত। ষ পরীক্ষায় নকল না করা। ঢ় ময়দানে ভূমিকা: ষ নিয়মিত মানোন্নয়ন। ষ দাওয়াতি কাজ। ষ কাজ করা ও করানোর যোগ্যতা। ষ আর্থিক ও অফিসিয়াল হিসাবে সংরক্ষণে পারদর্শী হওয়া। ঢ় সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের কাজ বুঝিয়ে দেয়া: ষ থানা, ওয়ার্ড, উপশাখা দায়িত্বশীল টিএস। ষ হাতে-কলমে কাজ শেখানো। ষ রিপোর্ট বুঝানো। ষ ভাউচার করা শেখানো। ষ লেজার মেন্টেইন শেখানো। ষ দাওয়াতি কাজ সাথে থেকে শেখানো। ষ বিভাগগুলোর কাজ বুঝিয়ে দেয়া (বিএম, শিক্ষা, সাহিত্য, প্রকাশনা, অফিস, স্কুল)। ষ কেন্দ্রের নিদের্শনা যথাযথভাবে উপস্থাপনা। ষ প্রোগ্রামের শেষে ১০-১৫ মিনিট বক্তব্য শুধু নয়, বৈঠকের শুরু থেকেই থাকার চেষ্টা করা। সাংগঠনিক দশক: ঢ় উদ্দেশ্য: ষ সংগঠন গোছানো। ষ ময়দানের অবস্থা চিহ্নিত করা। ষ সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করা। ষ জনশক্তির অবস্থা চিহ্নিত করা। ষ সংগঠনের সকল স্তরে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে কাজ সৃষ্টি। ঢ় কাজ: ষ পূর্বেই সার্কুলার দেয়া। ষ টিম গঠন করে থানায় প্রেরণ (শাখা + পরামর্শ সভা+ সেক্রেটারিয়েট + ভালো মানের কয়েকজন থানা সভাপতির সমন্বয়ে)। ষ প্রত্যেক ওয়ার্ডে একজন করে দায়িত্বশীল নির্ধারণ। ষ সকল জনশক্তির সাথে রিপোর্টসহ কন্টাক্ট করা (রিপোর্ট দেখবে ও প্রশ্নের উত্তর দিবে)। ষ ভালো মানের সমর্থককে কর্মী ঘোষণা দেয়া। ষ বিএম ও পাঠাগার দশক পালন করা (বিএম বাড়ানো, বইপুস্তক ও পাঠাগার বৃদ্ধি, সুধী যোগাযোগ)। ষ বিএম, সাহিত্য হিসাব ও অফিসিয়াল ফাইল দেখা। ষ পর্যালোচনা সমাবেশ করা (ওয়ার্ড ও থানা দায়িত্বশীলদের নিয়ে, সম্ভব হলে সাথী সমাবেশ করা)। ষ সমাবেশে রিপোর্ট পেশ করা (সমস্যা, সম্ভাবনা, পরামর্শ)। ঢ় প্রশিক্ষণমূলক প্রোগ্রাম: ষ কাজ শেখানোর লক্ষ্যে শুরুতেই দায়িত্বশীল টিএস করা: ক) থানা দায়িত্বশীল, খ) ওয়ার্ড/ইউনিয়ন দায়িত্বশীল, গ) উপশাখা দায়িত্বশীল। সকল জনশক্তিকে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা। ষ মার্চ মাসে সদস্য-সদস্য প্রার্থী, এপ্রিল মাসে সাথী-সাথীপ্রার্থী, মে মাসে কর্মী টিসি সম্পন্ন করা। ষ টিসি করতে না পারলে টিএস বা অন্য যে কোন উপায়ে উদ্দেশ্য হাসিল করা। ষ শব্বেদারির আয়োজন করা। কুরআন তালিম, কুরআন ক্লাস নিশ্চিত করা। ষ ওয়ার্ড/ ইউনিয়নে প্রতি ২ মাসে কমপক্ষে ১টি টিএস করা। ষ মানসম্মত স্টাডি সার্কেল ও কুরআন স্টাডি ক্লাসের আয়োজন করা। ষ মানসম্মত আলোচনা চক্র ও পাঠচক্র করা। ঢ় সাংগঠন সম্প্রসারণ ও উপশাখা মজবুতিকরণ: ষ কোথায়, কোন মাসে, কার তত্ত্বাবধানে সংগঠন বৃদ্ধি ও মজবুতি হবে তা ঠিক করা। ষ বৈঠকে পর্যালোচনা করা। ষ দুর্বল উপশাখা চিহ্নিত করা। ষ উপশাখার মৌলিক ৪টি প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন নিশ্চিতে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা: ক) ১ম সপ্তাহে কুরআন তালিম, খ) ২য় সপ্তাহে সামষ্টিক পাঠ, গ) ৩য় সপ্তাহে সাধারণ সভা, ঘ) ৪র্থ সপ্তাহে কর্মী বৈঠক ঢ় তত্ত্বাবধান ও সফর: ষ নিয়মিত সফরের বাইরে অনিয়মিত সফর বেশি করা। ষ শুধু প্রোগ্রামকেন্দ্রিক সফর নয় বরং সুধী, শহীদ পরিবার, মেধাবী ছাত্র ও প্রভাবশালী পরিবারের সন্তানদের সাথে সাক্ষাৎ। ষ টার্গেটকৃত জনশক্তির সাথে কন্টাক্ট : ক) সিঙ্গেল ডিজিট, খ) জিপিএ-৫, গ) প্লেসধারী, ঘ) প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। ষ প্রোগ্রাম ও ইস্যুভিত্তিক তথ্যসমৃদ্ধ বক্তব্য। আয়াত-হাদিস ও ইসলামী রেনেসাঁর উদ্ধৃতি প্রদান। ষ ময়দানের সমস্যার আলোকে কথা বলা। ষ বক্তব্যের আগেই সভাপতির কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে ময়দানের অবস্থা জেনে তার আলোকে বক্তব্য দেয়া। ষ তত্ত্ব¡াবধানকৃত শাখার সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ে মূল দায়িত্বশীলকে জানানো। ষ সংগঠন সম্প্রসারণ, মজবুতি ও দাওয়াতি কাজের খোঁজ-খবর রাখা। ঢ় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন: ষ অর্থ হলো সংগঠনের ব্লাড। জনশক্তির ৯০%, সুধীদের ৮০% বিএম আদায় নিশ্চিত করা। ষ অপচয় ও অপব্যয় না করা। ষ রসিদে আয় ও ভাউচারে ব্যয় করা, হাতে লিখা ভাউচার পরিহার করা। অপ্রদর্শিত আয় না করা। ষ সভাপতি নিজ হাতে ভাউচার না করা। ষ ঋণ না দেয়া। মানবিক কারণে যেকোন সহযোগিতা করতে হলে ঊর্ধ্বতন সংগঠনের অনুমতি নেয়া। ষ দায়িত্বশীল পরিবর্তনের সাথে সাথে অডিটের ব্যবস্থা করা। ষ অধস্তন শাখায় আয়ের ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়া। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ আয়ের ব্যবস্থা করা। ষ ঊর্ধ্বতন কোটা পরিশোধ ও নিজ শাখার সমৃদ্ধি অর্জনে উদ্যোগ নেয়া। ষ ইস্যুভিত্তিক কালেকশন (শিক্ষা সফর, স্কুল ছাত্রদের নিয়ে প্রশিক্ষণমূলক প্রোগ্রাম, সিলেবাসভিত্তিক বই ক্রয়, কুরআন হাদিসের সেট, সাইকেল ক্রয় ইত্যাদি)। ঢ় সহযোগী সংগঠনের সাথে সমন্বয় করা: ষ সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ। ষ সম্মান করা, দোয়া নেয়া। ষ সহযোগিতা না করলে অসদাচরণ না করা, প্রকাশ্যে বা বাইরে আলোচনা সমালোচনা না করা ঊর্ধ্বতনে জানানো। ষ অভিভাবকদের/সাবেকদের থেকে পরামর্শ গ্রহণ করা যাবে, তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সংগঠনের নীতির আলোকে করা। ঢ় দাওয়াতি কাজ (২০: ১৫: ১০ ও ১২: ১০: ৫): ষ প্রত্যেক জনশক্তি ১০০ জনকে দাওয়াত পৌঁছাবে। ষ ব্যক্তিগত দাওয়াতকে জোরদার করা। নিজ আত্মীয় প্রতিবেশী ছাত্রদের বিশেষ গুরুত্ব দেয়া। ষ যে কোন বৈঠকে ব্যক্তিগত দাওয়াতের খোঁজখবর নেয়া। ষ বিভিন্ন দাওয়াতি অভিযান ভালোভাবে পালন করা। ষ দশক শেষে ব্যাপকভাবে চা-চক্র, বনভোজন, খেলা-ধুলার আয়োজন করা। ষ স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও প্রতিষ্ঠানে আলাদা করে দাওয়াতি কাজ দেয়া। ষ যত মাঠ তত টিম শ্লোগানকে বাস্তবায়ন করা। ষ সোমবারকে দাওয়াতি বার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। ষ সমর্থক ফরম পূরণ করেই সমর্থক বানানো। ষ দায়িত্বশীল ভাইয়েরা একেক দিন একেক এলাকায় দাওয়াতি দশকে সরাসরি অংশ নিবেন। ষ প্রত্যেক মাসে দাওয়াতি সপ্তাহ, দশক অথবা ৩/৪ দিন নির্ধারিত করা ঢ় পার্শ্ব/সাইড সংগঠন পরিচালনায় গুরুত্ব দেয়া: ষ প্রত্যেক সাইড সংগঠনকে সমান গুরুত্ব দেয়া। ষ ভালো মানের জনশক্তি দেয়া। ষ অর্থনৈতিক সাপোর্ট দেয়া। ষ নতুন নতুন সাইড সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা। ঢ় সমাজসেবা: ষ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা ও সামাজিক সমস্যাসমূহ সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ। ষ ব্যনারসর্বস্ব প্রোগ্রাম না করে ঊর্ধ্বতন সংগঠনের সার্কুলারের যথাযথ আনুগত্য করা। ষ ছাত্র রিলেটেড সামাজিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা। ষ বাছাইকরা মেধাবী ছাত্রদের মাঝে গাছের চারা এবং দরিদ্র ছাত্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা। ঢ় কিছু দৃষ্টিভঙ্গি: ষ রিপোর্ট প্রেরণের ক্ষেত্রে আমানতদারিতা ও সময়সচেতনতা বজায় রাখা। ষ প্রতিটি কর্মসূচি পালন করা, না পারলে ঊর্ধ্বতন সংগঠনের অনুমতি নেয়া। ষ যে কোন মূল্যে ঊর্ধ্বতন কোটা ফিলাপ করা এক্ষেত্রে মওকুফ চাওয়ার মানসিকতা পরিহার করা। ষ কম হোক বেশি হোক প্রতি মাসেই সাহিত্য বিভাগে টাকা জমা দেয়া। ষ ঈদকার্ড, ক্যালেন্ডারসহ যে কোন প্রকাশনা সাময়িকী বের করতে কেন্দ্রের অনুমতি নেয়া। ঈদকার্ড বের করতে হলে শাখা সভাপতি-সেক্রেটারি আলাদা না করে একটি করা। ষ জনশক্তি এবং শাখাবৃদ্ধি-ঘাটতিতে অনুমতি নেয়া। ষ সেটাপ কিংবা সেটাপ পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে অনুমোদন নেয়া। ষ সফর: ষ ঊর্ধ্বতন মেহমানকে রিসিভ করার ক্ষেত্রে শাখা সভাপতি যাওয়া। ষ সভাপতি যেতে না পারলে মেহমানের কাছ থেকে অনুমতি নেয়া। ষ নিরাপত্তা ও সফর খরচের ব্যাপারে সচেতনতা দেখানো। ষ বছরের মাঝামাঝি সময় শাখায় কেন্দ্রের সাংগঠনিক সফর নিশ্চিত করা। ষ নেতৃত্ব: ষ চেইন অব লিডারশিপ নিশ্চিত করা। ষ কয়েক সেট দায়িত্বশীল তৈরি করা। ষ নেতৃত্ব বাছাই (কর্মী, সাথী ও সদস্যদের মাঝে)। ষ প্রতি বর্ষে দায়িত্বশীল তৈরি করা। ষ নেতৃত্বের উপযোগী করে তৈরি করা। ষ সহযোগিতা প্রদান ও কাজ শিখানো। ষ টেবিল ওয়ার্ক: ষ আদর্শের মধ্য থেকে নতুন নতুন চিন্তা নিয়ে। ষ নিয়মিত প্রোগ্রাম, অধস্তন সংগঠন, জনশক্তির সমস্যা নিয়ে। ষ নতুন নতুন প্রোগ্রাম চালু করা নিয়ে। ষ প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগানো নিয়ে। ষ রিপোর্টিং: ষ পরিশীলিতভাবে রিপোর্টিং। ষ ঊর্ধ্বতন কোঠাসমূহ যথাসময়ে পরিশোধ। ষ যথাসময়ে রিপোর্ট জমার ব্যবস্থা করা। ষ যে শাখায যথাসময়ে রিপোর্ট জমা দেয় না সে শাখায় আগেই তত্ত্বাবধায়ক যাওয়া। ঢ় পরবর্তী দায়িত্বশীল গড়ে তোলা যায় কিভাবে? ষ যথার্থ লোক বাছাই ষ প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দান ষ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান লাভে উদ্বুদ্ধ করা ষ সাংগঠনিক প্রজ্ঞা সৃষ্টি ষ দায়িত্বশীলের প্যানেল বা চেইন তৈরি করা ষ কাজ দিয়ে তত্ত্বাবধান ষ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে গড়ে তোলা ষ পরিশ্রমপ্রিয় হিসাবে গড়ে তোলা ষ কর্মীদের একেবারে কাছে অবস্থান ষ দক্ষতা অর্জনের বাস্তব পদ্ধতি গ্রহণ ঢ় সংগঠন শৃঙ্খলার উপাদানসমূহ: ষ আনুগত্য ষ পরামর্শ ষ এহ্তেসাব ষ পারস্পরিক সম্পর্ক ঢ় সাংগঠনিক সেশনে পরিকল্পনা গ্রহণে লক্ষণীয় বিষয়সমূহ: ষ সংগঠন পরিচালনা আরো একধাপ নিয়ে যাওয়ার জন্য কতগুলো দিক আমাদেরকে বিবেচনা করতে হবে, যা সংগঠনকে আলোকিত এবং সুন্দর করতে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে হবে। ঢ় গঙঝঞ গ= গরংংরড়হ (ডযবৎব ঃযব ড়ৎমধহরুধঃরড়হ রহঃবহফং ঃড় মড়) ঙ=ঙনলবপঃরাবং (ঞযব শবু মড়ধষ যিরপয রিষষ যবষঢ় ধপযরবাব ঃযব সরংংরড়হ) ঝ=ঝঃৎধঃবমরবং (ড়ঢ়ঃরড়হং ভড়ৎ সড়ারহম ভড়ৎধিৎফ) ঞ=ঞধপঃরপং (যড়ি ঝঃৎধঃবমরবং ধৎব ঢ়ঁঃ রহঃড় ধপঃরড়হ) ঢ় ঝডঙঞ ঝ=ঝঃৎবহমঃযং, ড= ডবধশহবংং, ঙ= ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃরবং, ঞ= ঞযৎবধঃং ঢ় গড়ঝঈড়ড ঞবপযহরয়ঁবং ফলো করতে হবে- ১. গঁংঃ যধাব, ২. ঝযড়ঁষফ যধাব, ৩.ঈড়ঁষফ যধাব, ৪.ডড়হ’ঃ ঐধাব ঃযরং ঃরসব. সংগঠন পরিচালনার জন্য সংগঠনের সমগ্র বিষয় সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকতে হবে এবং সংগঠনের লক্ষ্য মিটানোর জন্য নি¤েœাক্ত বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। ষ ঈৎবধঃরহম ধহফ সধরহঃধরহরহম ঃযব ড়ৎমধহরুধঃরড়হ ধৎপযরঃবপঃঁৎব. ষ ঈড়হফঁপঃরহম ংবহংরনরষরঃু ংঃঁফু. ষ ওফবহঃরভুরহম ড়ৎমধহরুধঃরড়হধষ ড়ঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃরবং. ষ চৎবঢ়ধৎরহম ঃযব ড়ৎমধহরুধঃরড়হ পধংব. ষ ঈড়হফঁপঃরহম ঃযব রহরঃরধষ ৎরংশ ধংংবংংসবহঃ. ৩চ = চঁৎঢ়ড়ংব, চৎড়পবংং, চৎড়ফঁপঃ ৩জ = জবধফ, জবভষবপঃরড়হ, জবভড়ৎসবফ ৩ঐ = ঐবধফ ঃড় ঁহফবৎংঃধহফ, ঐবধৎঃ ঃড় ধপপবঢ়ঃ, ঐধহফ ঃড় ধপঃ ৭ঝ = ঝঃৎধঃবমু, ঝঃৎঁপঃঁৎব, ঝুংঃবস, ঝঃুষব, ঝঃধভভ, ঝশরষষ, ঝযধৎবাধষঁবং চঙঝউঈঙজই =চষধরহরহম, ঙৎমধহরুরহম, ঝঃধভভরহম, উরৎবপঃরহম, ঈড়ড়ৎফরহধঃরহম, জবঢ়ড়ৎঃরহম, ইঁফমবঃরহম বর্তমান পরিস্থিতি ইসলামী আন্দোলনের জন্য পরীক্ষা, প্রত্যেক জনশক্তিকে চারটি বিষয়ে অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে- ষ নিয়মিত কুরআন অধ্যয়ন ও সহীহ তেলাওয়াত, হাদিস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন। ষ জামায়াতে নামাজ (নফল ইবাদত সহ- তারাবিহ ও শববেদারি)। ষ ব্যক্তিগত দাওয়াতি কাজ- কুরআন বিতরণ, বই বিতরণ ও উপহার সামগ্রী বিতরণ। ষ নিয়মিত ছাত্রকল্যাণ ও সমাজ কল্যাণমূলক কাজ। শত শত শহীদের স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব আমাদের। তাই আমাদেরকে কয়েকটি বিষয়ের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে- ষ আমাদের নৈতিক মান এমন পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে যাতে জনগণ আমাদের ওপর আস্থাশীল হয়। এককথায় আমাদের হতে হবে ইসলামের প্রতীক। ষ মেধাবী ও নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পন্ন ছাত্রদেরকে বিশেষ টার্গেট করে এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। এককথায় পরিমাণের চেয়ে গুণাবলির দিকে বেশি নজর দিতে হবে। কাজের মানদণ্ড শুধু জনশক্তি বৃদ্ধি নয় বরং সমাজ বিনির্মাণে পরিমিত লোক সাপ্লাই অন্যতম মানদণ্ড। ষ এখন থেকে কর্মীদেরকে গাইডলাইনের মাধ্যমে কর্মীদের ক্যারিয়ার তৈরিতে সহযোগিতা করা। ষ আমাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক, তাই শত শত শহীদের স্বপ্ন আমাদেরকে পূরণ করতে হবে। ষ তৃণমূল পর্যায়ে- ইসলামী জাগরণ সৃষ্টি ও ইসলামের প্রতি বলিষ্ঠ আস্থা সৃষ্টিতে আমাদেরকে আরও বাস্তবমুখী ও গঠনমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। ষ ‘ঞযব ড়িৎফ রং ধ মষড়নধষ ারষষধমব হড়’ি এ গ্রামের নীতি নির্ধারণে আমাদেরকে সক্ষম, সুযোগ্য ও বলিষ্ঠ বাসিন্দা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। ষ ‘ডব ধৎব ভধপরহম ধ াবৎু ফবপরংরাব ধিৎ ধহফ ঃযরং ধিং ধ ঃৎঁষু রহঃবষষবপঃঁধষ ধিৎ’ এ যুদ্ধে বিজয়ী হতে হলে জ্ঞান বুদ্ধি ও দক্ষতার অস্ত্রে পূর্ণরূপে সজ্জিত হতে হবে। ষ জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তির অতুল ভাণ্ডার কুরআন ও হাদিসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হতে হবে। দুনিয়াকে জানা, বুঝা এবং এর চ্যালেঞ্জ মুকাবিলা করতে হবে। ষ বিবেক ও বাস্তবতার নিরিখে আবেগকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে দূরদর্শিতার সাথে পথ চলা। ষ মনে রাখতে হবে জ্ঞান ও বুদ্ধির অস্ত্রে সজ্জিত গতিশীল ও ভিশনারি লোকেরাই বিশ^কে নেতৃত্ব দেবে। ষ আমাদের যোগ্যতা ও প্রস্তুতির তুলনায় চ্যালেঞ্জ হলো পর্বত পরিমাণ। তাই সময়োপযোগী জ্ঞান ও যোগ্যতার কোন বিকল্প নেই। ষ জাতির কল্যাণকামী এবং শক্তিশালী এক ছাত্রসংগঠন হিসেবে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। ষ জ্ঞান ও চিন্তার জগতে আমাদেরকে দিকনির্দেশনার কথা ভাবতে হবে। চিন্তার জগৎকে যেমন একদিকে প্রসারিত করতে হবে, অন্যদিকে বাস্তবমুখীও করতে হবে। ষ যোগ্যতার সুউচ্চ চূড়ায় আরোহণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে ‘যোগ্যতমের বেঁচে থাকা’। দ্বীনের ব্যাপারে যেমন পাগলপারা হতে হবে তেমনি দুনিয়াবি যোগ্যতার বেখেয়াল হলে চলবে না। ষ আমরা পেশিশক্তি দিয়ে নয়, চারিত্রিক সুষমা দিয়ে বিশ^ জয় করতে চাই। সততা ও চরিত্রের অনন্য সুষমায় অভিষিক্ত হতে হবে। ষ আমাদেরকে পরিকল্পিত জীবনগঠনে প্রত্যয়ী হতে হবে। পরিকল্পনাহীন জীবনে সাফল্য অনিশ্চিত। ষ সময়ের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের কোন আগামীকাল নেই। ‘এখন নয় তো কখনই নয়’, এটাই বিবেকীদের স্লোগান। মনে রাখতে হবে একটি দিন শুধু একবারই আসে। ষ আখেরাতমুখী জিন্দেগি গঠন করতে হবে। তাহলেই অর্জিত হবে প্রকৃত সাফল্য। ষ সর্বোৎকৃষ্ট জান্নাতি সাংগঠনিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ষ আমাদের উন্নত আখলাক, উত্তম আচরণ দাওয়াতি কাজের অন্যতম হাতিয়ার। লেখক : বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষক♣ সহযোগী সংগঠনের সাথে সমন্বয় করা: ⇒ সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ। ⇒ সম্মান করা, দোয়া নেয়া। ⇒ সহযোগিতা না করলে অসদাচরণ না করা, প্রকাশ্যে বা বাইরে আলোচনা সমালোচনা না করা ঊর্ধ্বতনে জানানো। ⇒ অভিভাবকদের/সাবেকদের থেকে পরামর্শ গ্রহণ করা যাবে, তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সংগঠনের নীতির আলোকে করা।

♣ দাওয়াতি কাজ (২০: ১৫: ১০ ও ১২: ১০: ৫): ⇒ প্রত্যেক জনশক্তি ১০০ জনকে দাওয়াত পৌঁছাবে। ⇒ ব্যক্তিগত দাওয়াতকে জোরদার করা। নিজ আত্মীয় প্রতিবেশী ছাত্রদের বিশেষ গুরুত্ব দেয়া। ⇒ যে কোন বৈঠকে ব্যক্তিগত দাওয়াতের খোঁজখবর নেয়া। ⇒ বিভিন্ন দাওয়াতি অভিযান ভালোভাবে পালন করা। ⇒ দশক শেষে ব্যাপকভাবে চা-চক্র, বনভোজন, খেলা-ধুলার আয়োজন করা। ⇒ স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও প্রতিষ্ঠানে আলাদা করে দাওয়াতি কাজ দেয়া। ⇒ যত মাঠ তত টিম শ্লোগানকে বাস্তবায়ন করা। ⇒ সোমবারকে দাওয়াতি বার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। ⇒ সমর্থক ফরম পূরণ করেই সমর্থক বানানো। ⇒ দায়িত্বশীল ভাইয়েরা একেক দিন একেক এলাকায় দাওয়াতি দশকে সরাসরি অংশ নিবেন। ⇒ প্রত্যেক মাসে দাওয়াতি সপ্তাহ, দশক অথবা ৩/৪ দিন নির্ধারিত করা

♣ পার্শ্ব/সাইড সংগঠন পরিচালনায় গুরুত্ব দেয়া: ⇒ প্রত্যেক সাইড সংগঠনকে সমান গুরুত্ব দেয়া। ⇒ ভালো মানের জনশক্তি দেয়া। ⇒ অর্থনৈতিক সাপোর্ট দেয়া। ⇒ নতুন নতুন সাইড সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা।

♣ সমাজসেবা: ⇒ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা ও সামাজিক সমস্যাসমূহ সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ। ⇒ ব্যনারসর্বস্ব প্রোগ্রাম না করে ঊর্ধ্বতন সংগঠনের সার্কুলারের যথাযথ আনুগত্য করা। ⇒ ছাত্র রিলেটেড সামাজিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা। ⇒ বাছাইকরা মেধাবী ছাত্রদের মাঝে গাছের চারা এবং দরিদ্র ছাত্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা।

♣ কিছু দৃষ্টিভঙ্গি: ⇒ রিপোর্ট প্রেরণের ক্ষেত্রে আমানতদারিতা ও সময়সচেতনতা বজায় রাখা। ⇒ প্রতিটি কর্মসূচি পালন করা, না পারলে ঊর্ধ্বতন সংগঠনের অনুমতি নেয়া। ⇒ যে কোন মূল্যে ঊর্ধ্বতন কোটা ফিলাপ করা এক্ষেত্রে মওকুফ চাওয়ার মানসিকতা পরিহার করা। ⇒ কম হোক বেশি হোক প্রতি মাসেই সাহিত্য বিভাগে টাকা জমা দেয়া। ⇒ ঈদকার্ড, ক্যালেন্ডারসহ যে কোন প্রকাশনা সাময়িকী বের করতে কেন্দ্রের অনুমতি নেয়া। ঈদকার্ড বের করতে হলে শাখা সভাপতি-সেক্রেটারি আলাদা না করে একটি করা। ⇒ জনশক্তি এবং শাখাবৃদ্ধি-ঘাটতিতে অনুমতি নেয়া। ⇒ সেটাপ কিংবা সেটাপ পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে অনুমোদন নেয়া। ♣ সফর: ⇒ ঊর্ধ্বতন মেহমানকে রিসিভ করার ক্ষেত্রে শাখা সভাপতি যাওয়া। ⇒ সভাপতি যেতে না পারলে মেহমানের কাছ থেকে অনুমতি নেয়া। ⇒ নিরাপত্তা ও সফর খরচের ব্যাপারে সচেতনতা দেখানো। ⇒ বছরের মাঝামাঝি সময় শাখায় কেন্দ্রের সাংগঠনিক সফর নিশ্চিত করা। ♣ নেতৃত্ব: ⇒ চেইন অব লিডারশিপ নিশ্চিত করা। ⇒ কয়েক সেট দায়িত্বশীল তৈরি করা। ⇒ নেতৃত্ব বাছাই (কর্মী, সাথী ও সদস্যদের মাঝে)। ⇒ প্রতি বর্ষে দায়িত্বশীল তৈরি করা। ⇒ নেতৃত্বের উপযোগী করে তৈরি করা। ⇒ সহযোগিতা প্রদান ও কাজ শিখানো। ♣ টেবিল ওয়ার্ক: ⇒ আদর্শের মধ্য থেকে নতুন নতুন চিন্তা নিয়ে। ⇒ নিয়মিত প্রোগ্রাম, অধস্তন সংগঠন, জনশক্তির সমস্যা নিয়ে। ⇒ নতুন নতুন প্রোগ্রাম চালু করা নিয়ে। ⇒ প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগানো নিয়ে। ♣ রিপোর্টিং: ⇒ পরিশীলিতভাবে রিপোর্টিং। ⇒ ঊর্ধ্বতন কোঠাসমূহ যথাসময়ে পরিশোধ। ⇒ যথাসময়ে রিপোর্ট জমার ব্যবস্থা করা। ⇒ যে শাখায যথাসময়ে রিপোর্ট জমা দেয় না সে শাখায় আগেই তত্ত্বাবধায়ক যাওয়া।

♣ পরবর্তী দায়িত্বশীল গড়ে তোলা যায় কিভাবে? ⇒ যথার্থ লোক বাছাই ⇒ প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দান ⇒ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান লাভে উদ্বুদ্ধ করা ⇒ সাংগঠনিক প্রজ্ঞা সৃষ্টি ⇒ দায়িত্বশীলের প্যানেল বা চেইন তৈরি করা ⇒ কাজ দিয়ে তত্ত্বাবধান ⇒ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে গড়ে তোলা ⇒ পরিশ্রমপ্রিয় হিসাবে গড়ে তোলা ⇒ কর্মীদের একেবারে কাছে অবস্থান ⇒ দক্ষতা অর্জনের বাস্তব পদ্ধতি গ্রহণ

♣ সংগঠন শৃঙ্খলার উপাদানসমূহ: ⇒ আনুগত্য ⇒ পরামর্শ ⇒ এহ্তেসাব ⇒ পারস্পরিক সম্পর্ক

♣ সাংগঠনিক সেশনে পরিকল্পনা গ্রহণে লক্ষণীয় বিষয়সমূহ: ষ সংগঠন পরিচালনা আরো একধাপ নিয়ে যাওয়ার জন্য কতগুলো দিক আমাদেরকে বিবেচনা করতে হবে, যা সংগঠনকে আলোকিত এবং সুন্দর করতে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে হবে।

♣ MOST M= Mission (Where the organization intends to go) O=Objectives (The key goal which will help achieve the mission) S=Strategies (options for moving forward) T=Tactics (how Strategies are put into action) ♣ SWOT S=Strengths, W= Weakness, O= Opportunities, T= Threats

♣ MoSCoW Techniques ফলো করতে হবে- 1. Must have, 2. Should have, 3.Could have, 4.Won’t Have this time.

সংগঠন পরিচালনার জন্য সংগঠনের সমগ্র বিষয় সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকতে হবে এবং সংগঠনের লক্ষ্য মিটানোর জন্য নিম্নোক্ত বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। Creating and maintaining the organization architecture. Conducting sensibility study. Identifying organizational opportunities. Preparing the organization case. Conducting the initial risk assessment. 3P = Purpose, Process, Product 3R = Read, Reflection, Reformed 3H = Head to understand, Heart to accept, Hand to act 7S = Strategy, Structure, System, Style, Staff, Skill, Sharevalues POSDCORB =Plaining, Organizing, Staffing, Directing, Coordinating, Reporting, Budgeting

সংগঠনের শাখা প্রশাখাগুলোকে লক্ষ্যানুযায়ী কাজে নিয়োজিত রাখাকে সংগঠন পরিচালনা বলে। সুন্দর পরিচালনার ওপর কাজের সফলতা নির্ভর করে। সংগঠনকে সকলের নিকট ভালোভাবে উপস্থাপনের জন্য দায়িত্বশীলদের কতগুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। পরিচালনার সাধারণ নীতি সংগঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলদের কয়েকটি মৌলিক নিয়মের ওপর দৃষ্টিপাত করা প্রয়োজন। সেগুলো হলো- হ ডবষষ চষধহ হ চৎড়ঢ়বৎ ফরংঃৎরনঁঃরড়হ হ ঝঁঢ়বৎারংরড়হ হ চৎড়ঢ়বৎ অহধষুংরং ্ জবঢ়ড়ৎঃরহম হ এড়ড়ফ ৎবংঁষঃ = এড়ড়ফ ঢ়ষধহ-ডবষষ উরংঃৎরনঁঃরড়হ-চৎড়ঢ়বৎ গড়ঃরাধঃরড়হ কর্মপদ্ধতি-সংবিধান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখা সংগঠনের ইতিহাস জানা : ইতিহাস হলো জাতির দর্পণস্বরূপ। এর মাধ্যমে মানুষ জানতে পারে বিগত দিনের সাফল্য ও ব্যর্থতার ইতিকথা। তাই মানুষ ইতিহাস পাঠে সাবধানী হয়, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বিচক্ষণতার পরিচয় দেয়, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সচেষ্ট, উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হয়। ইতিহাসকে জাতির বিবেক বলা চলে। এটা একটা জাতির দিকদর্শন যন্ত্রের মতও কাজ করে। সংগঠনের ঐতিহ্য জানা : ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় সংঘটিত যে ঘটনা কালের পরিক্রমায় অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় হয়ে যায় তাই ঐতিহ্য। অর্থাৎ, সময়ের আবর্তনে যেসব বিষয় শিক্ষণীয় হিসেবে পরিণত হয়েছে। কষ্টসহিষ্ণুতা ও কষ্টপ্রিয়তা দায়িত্বশীলদের অলঙ্কার : কষ্টসহিষ্ণুতা ও কষ্টপ্রিয়তা ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের বিশেষ করে দায়িত্বশীলদের অলঙ্কার। ‘৬২ থেকে ‘৬৬-এ পর্যায়ে ছাত্র ইসলামী আন্দোলনে কষ্টসহিষ্ণুতা ও কষ্টপ্রিয়তার বহু নজির লক্ষ্য করা যায়। তখন কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলদের থাকা এবং খাওয়ার স্থানগুলো সাধারণত বর্তমান ঢাকা আগাসাদেক রোড, হোসনী দালান রোড ও বকশিবাজার এলাকাতেই ছিল। তখন ঢাকা বিমানবন্দর ছিল বর্তমান তেজগাঁও পুরতান বিমানবন্দর। এই সময়ের এক ঘটনা ইতিহাস হয়ে আছে। ছাত্র ইসলামী আন্দোলনের জন্য বাইরে থেকে মেহমান আসার কথা। বিমানবন্দরে তাঁকে রিসিভ করতে হবে। তদানীন্তন কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল বকশিবাজার এলাকায় থাকেন। তাঁর পকেটে মাত্র চার আনা পয়সা। বিমানবন্দরে তাঁর সাথে যারা যাবেন তাদের পকেটেও পয়সা নেই। তারা ত্রিসংকটে পড়লেন। ঐ চার আনা পয়সা দিয়ে নাস্তা করলে বিমানবন্দরে যাতায়াতের খরচ থাকে না। আবার বিমানবন্দরে গেলে নাস্তা খাওয়া যায় না। খরচ করে ফেললে পকেট শূন্য হয়ে যায়। ফলে মেহমানকে নিয়ে আসবে কিভাবে? তাই তারা সিদ্ধান্ত নিলেন নাস্তা না খেয়ে বকশিবাজার থেকে হেঁটে তারা বিমানবন্দরে যাবেন। অভুক্ত অবস্থায় তারা হেঁটে হেঁটেই বিমানবন্দরে পৌঁছলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে ঐদিন বিমান বিলম্ব করল। ফলে অভুক্ত অবস্থায়ই তাদেরকে মেহমানের জন্য অপেক্ষা করতে হলো। অবশেষে মেহমান এলেন। মেহমান অবশ্য খুবই বিচক্ষণ ছিলেন। তিনি উপস্থিত দায়িত্বশীলদের দেখে বুঝতে পারলেন যে, তারা অভুক্ত। অতঃপর তিনি নিজ খরচে নাস্তা করালেন। এ ঘটনা তীব্র আর্থিক সঙ্কটেও দায়িত্ব পালনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে তুলে ধরে। কাজ না হওয়ার কারণ দু’টি: ক) অলসতা ও খ) কাজ না বুঝা। একটি সাংগঠনিক সেশনে যত কাজ ঢ় সেটআপ সম্পন্ন করা: ষ দ্রুত সময়ে সেটআপ সম্পন্ন করা। সেটআপ প্রস্তাবনা/পদ্ধতি: ষ আগে নিজে চিন্তা করা ষ সেক্রেটারি ভাইয়ের সাথে সমন্বয় করা ষ ঊর্ধ্বতনের অনুমতি নেয়া ষ পরামর্শ সভায় উপস্থাপন ষ সদস্য বৈঠকে উপস্থাপন ষ ইনসাফ করা। ষ দু’জন পারফেক্টের মাঝে সিনিয়রকে অগ্রাধিকার দেয়া। ষ স্বজনপ্রীতি না করা। ষ যাকে দায়িত্বশীল বানাচ্ছেন তার খোঁজ-খবর রাখা (লেনদেন, নৈতিকতা ও আনুগত্য)। ষ ভালো মানের সেকেন্ডম্যান দেয়া। ষ থানা/ওয়ার্ড/উপশাখা পর্যায়ে সেটআপ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা। ঢ় পরিকল্পনা প্রণয়ন: ষ সক্ষমতা অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ। ষ কর্মপদ্ধতি নির্দেশিত পরিকল্পনার দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ: ষ কাজের পরিধি ও পরিসংখ্যানমূলক তথ্য: ষ প্রতিষ্ঠানের তালিকা ও ছাত্রদের পরিসংখ্যান ষ আবাসিক এলাকার তালিকা ষ প্রশাসনিক ওয়ার্ড ইউনিয়ন ষ ওয়ার্ড ও উপশাখার শ্রেণীবিন্যাস ঢ় মানোন্নয়ন: ষ বিভিন্ন রেশিও (কমপক্ষে) নিশ্চিতকরণ: ষ মানোন্নয়ন রেশিও- ৩:২:১ ষ সমর্থকবৃদ্ধির রেশিও- ১২:১০:৫ ষ বন্ধুবৃদ্ধির রেশিও- ২০:১৫:১০ ষ টার্গেটকৃত ছাত্রের ৫টি গুণাবলির দিকে লক্ষ্য রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ। ষ মানোন্নয়নের জন্য প্রত্যেক জনশক্তি কমপক্ষে তিনজনকে টার্গেট নিবেন (মেধাবী, প্রভাবশালী ও সাধারণ)। ষ থানা ওয়ার্ড ও উপশাখাভিত্তিক পরিকল্পনা নিশ্চিত করা। ষ জনশক্তির তালিকা ধরে, বৈঠকের পূর্বেই সভাপতি পরিকল্পনা তৈরি করবেন। ষ ধারাবাহিক তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করা। এক্ষেত্রে প্রত্যেক বৈঠকে পর্যালোচনা প্রয়োজন। ষ মান নিশ্চিত করে মানোন্নয়ন (জ্ঞান, আমল, ময়দান): ঢ় জ্ঞানগত যোগ্যতা: ষ সহীহ কুরআন তিলাওয়াত ষ দারস ১৫+১৫টি। নোটবই ১৫টি + আলোচনা ১৫টি। মুখস্থÑআয়াত ৮০টি ও হাদিস ৩৫টি। ষ ধারাবাহিকভাবে সিলেবাস শেষ করা। ষ মাসিক সাহিত্য অধ্যয়নের রেশিও- ৩০০: ২০০: ১০০ (সদস্য: সাথী: কর্মী)। ষ মৌলিক বইসমূহ বুঝে পড়া ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মুখস্থ করা। ষ সাংগঠনিক সকল বিষয়ে ক্লিয়ার ধারণা নেয়া। ষ জনশক্তির পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি। রাসূল (সা:)-এর আদর্শ ও সাহাবীদের জীবনচরিত অধ্যয়ন করা। ষ ভাষা, প্রযুক্তি ও কারিগরি দক্ষতা অর্জন করা। ঢ় আমল: ষ নামাজসহ মৌলিক ইবাদত (নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ, নফল রোজা)। ষ পর্দা (৩য় শ্রেণীর ওপর ছাত্রী না পড়ানো)। ষ আনুগত্য। ষ মুয়ামেলাত। ষ পরীক্ষায় নকল না করা। ঢ় ময়দানে ভূমিকা: ষ নিয়মিত মানোন্নয়ন। ষ দাওয়াতি কাজ। ষ কাজ করা ও করানোর যোগ্যতা। ষ আর্থিক ও অফিসিয়াল হিসাবে সংরক্ষণে পারদর্শী হওয়া। ঢ় সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের কাজ বুঝিয়ে দেয়া: ষ থানা, ওয়ার্ড, উপশাখা দায়িত্বশীল টিএস। ষ হাতে-কলমে কাজ শেখানো। ষ রিপোর্ট বুঝানো। ষ ভাউচার করা শেখানো। ষ লেজার মেন্টেইন শেখানো। ষ দাওয়াতি কাজ সাথে থেকে শেখানো। ষ বিভাগগুলোর কাজ বুঝিয়ে দেয়া (বিএম, শিক্ষা, সাহিত্য, প্রকাশনা, অফিস, স্কুল)। ষ কেন্দ্রের নিদের্শনা যথাযথভাবে উপস্থাপনা। ষ প্রোগ্রামের শেষে ১০-১৫ মিনিট বক্তব্য শুধু নয়, বৈঠকের শুরু থেকেই থাকার চেষ্টা করা। সাংগঠনিক দশক: ঢ় উদ্দেশ্য: ষ সংগঠন গোছানো। ষ ময়দানের অবস্থা চিহ্নিত করা। ষ সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করা। ষ জনশক্তির অবস্থা চিহ্নিত করা। ষ সংগঠনের সকল স্তরে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে কাজ সৃষ্টি। ঢ় কাজ: ষ পূর্বেই সার্কুলার দেয়া। ষ টিম গঠন করে থানায় প্রেরণ (শাখা + পরামর্শ সভা+ সেক্রেটারিয়েট + ভালো মানের কয়েকজন থানা সভাপতির সমন্বয়ে)। ষ প্রত্যেক ওয়ার্ডে একজন করে দায়িত্বশীল নির্ধারণ। ষ সকল জনশক্তির সাথে রিপোর্টসহ কন্টাক্ট করা (রিপোর্ট দেখবে ও প্রশ্নের উত্তর দিবে)। ষ ভালো মানের সমর্থককে কর্মী ঘোষণা দেয়া। ষ বিএম ও পাঠাগার দশক পালন করা (বিএম বাড়ানো, বইপুস্তক ও পাঠাগার বৃদ্ধি, সুধী যোগাযোগ)। ষ বিএম, সাহিত্য হিসাব ও অফিসিয়াল ফাইল দেখা। ষ পর্যালোচনা সমাবেশ করা (ওয়ার্ড ও থানা দায়িত্বশীলদের নিয়ে, সম্ভব হলে সাথী সমাবেশ করা)। ষ সমাবেশে রিপোর্ট পেশ করা (সমস্যা, সম্ভাবনা, পরামর্শ)। ঢ় প্রশিক্ষণমূলক প্রোগ্রাম: ষ কাজ শেখানোর লক্ষ্যে শুরুতেই দায়িত্বশীল টিএস করা: ক) থানা দায়িত্বশীল, খ) ওয়ার্ড/ইউনিয়ন দায়িত্বশীল, গ) উপশাখা দায়িত্বশীল। সকল জনশক্তিকে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা। ষ মার্চ মাসে সদস্য-সদস্য প্রার্থী, এপ্রিল মাসে সাথী-সাথীপ্রার্থী, মে মাসে কর্মী টিসি সম্পন্ন করা। ষ টিসি করতে না পারলে টিএস বা অন্য যে কোন উপায়ে উদ্দেশ্য হাসিল করা। ষ শব্বেদারির আয়োজন করা। কুরআন তালিম, কুরআন ক্লাস নিশ্চিত করা। ষ ওয়ার্ড/ ইউনিয়নে প্রতি ২ মাসে কমপক্ষে ১টি টিএস করা। ষ মানসম্মত স্টাডি সার্কেল ও কুরআন স্টাডি ক্লাসের আয়োজন করা। ষ মানসম্মত আলোচনা চক্র ও পাঠচক্র করা। ঢ় সাংগঠন সম্প্রসারণ ও উপশাখা মজবুতিকরণ: ষ কোথায়, কোন মাসে, কার তত্ত্বাবধানে সংগঠন বৃদ্ধি ও মজবুতি হবে তা ঠিক করা। ষ বৈঠকে পর্যালোচনা করা। ষ দুর্বল উপশাখা চিহ্নিত করা। ষ উপশাখার মৌলিক ৪টি প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন নিশ্চিতে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা: ক) ১ম সপ্তাহে কুরআন তালিম, খ) ২য় সপ্তাহে সামষ্টিক পাঠ, গ) ৩য় সপ্তাহে সাধারণ সভা, ঘ) ৪র্থ সপ্তাহে কর্মী বৈঠক ঢ় তত্ত্বাবধান ও সফর: ষ নিয়মিত সফরের বাইরে অনিয়মিত সফর বেশি করা। ষ শুধু প্রোগ্রামকেন্দ্রিক সফর নয় বরং সুধী, শহীদ পরিবার, মেধাবী ছাত্র ও প্রভাবশালী পরিবারের সন্তানদের সাথে সাক্ষাৎ। ষ টার্গেটকৃত জনশক্তির সাথে কন্টাক্ট : ক) সিঙ্গেল ডিজিট, খ) জিপিএ-৫, গ) প্লেসধারী, ঘ) প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। ষ প্রোগ্রাম ও ইস্যুভিত্তিক তথ্যসমৃদ্ধ বক্তব্য। আয়াত-হাদিস ও ইসলামী রেনেসাঁর উদ্ধৃতি প্রদান। ষ ময়দানের সমস্যার আলোকে কথা বলা। ষ বক্তব্যের আগেই সভাপতির কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে ময়দানের অবস্থা জেনে তার আলোকে বক্তব্য দেয়া। ষ তত্ত্ব¡াবধানকৃত শাখার সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ে মূল দায়িত্বশীলকে জানানো। ষ সংগঠন সম্প্রসারণ, মজবুতি ও দাওয়াতি কাজের খোঁজ-খবর রাখা। ঢ় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন: ষ অর্থ হলো সংগঠনের ব্লাড। জনশক্তির ৯০%, সুধীদের ৮০% বিএম আদায় নিশ্চিত করা। ষ অপচয় ও অপব্যয় না করা। ষ রসিদে আয় ও ভাউচারে ব্যয় করা, হাতে লিখা ভাউচার পরিহার করা। অপ্রদর্শিত আয় না করা। ষ সভাপতি নিজ হাতে ভাউচার না করা। ষ ঋণ না দেয়া। মানবিক কারণে যেকোন সহযোগিতা করতে হলে ঊর্ধ্বতন সংগঠনের অনুমতি নেয়া। ষ দায়িত্বশীল পরিবর্তনের সাথে সাথে অডিটের ব্যবস্থা করা। ষ অধস্তন শাখায় আয়ের ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়া। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ আয়ের ব্যবস্থা করা। ষ ঊর্ধ্বতন কোটা পরিশোধ ও নিজ শাখার সমৃদ্ধি অর্জনে উদ্যোগ নেয়া। ষ ইস্যুভিত্তিক কালেকশন (শিক্ষা সফর, স্কুল ছাত্রদের নিয়ে প্রশিক্ষণমূলক প্রোগ্রাম, সিলেবাসভিত্তিক বই ক্রয়, কুরআন হাদিসের সেট, সাইকেল ক্রয় ইত্যাদি)। ঢ় সহযোগী সংগঠনের সাথে সমন্বয় করা: ষ সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ। ষ সম্মান করা, দোয়া নেয়া। ষ সহযোগিতা না করলে অসদাচরণ না করা, প্রকাশ্যে বা বাইরে আলোচনা সমালোচনা না করা ঊর্ধ্বতনে জানানো। ষ অভিভাবকদের/সাবেকদের থেকে পরামর্শ গ্রহণ করা যাবে, তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সংগঠনের নীতির আলোকে করা। ঢ় দাওয়াতি কাজ (২০: ১৫: ১০ ও ১২: ১০: ৫): ষ প্রত্যেক জনশক্তি ১০০ জনকে দাওয়াত পৌঁছাবে। ষ ব্যক্তিগত দাওয়াতকে জোরদার করা। নিজ আত্মীয় প্রতিবেশী ছাত্রদের বিশেষ গুরুত্ব দেয়া। ষ যে কোন বৈঠকে ব্যক্তিগত দাওয়াতের খোঁজখবর নেয়া। ষ বিভিন্ন দাওয়াতি অভিযান ভালোভাবে পালন করা। ষ দশক শেষে ব্যাপকভাবে চা-চক্র, বনভোজন, খেলা-ধুলার আয়োজন করা। ষ স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও প্রতিষ্ঠানে আলাদা করে দাওয়াতি কাজ দেয়া। ষ যত মাঠ তত টিম শ্লোগানকে বাস্তবায়ন করা। ষ সোমবারকে দাওয়াতি বার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। ষ সমর্থক ফরম পূরণ করেই সমর্থক বানানো। ষ দায়িত্বশীল ভাইয়েরা একেক দিন একেক এলাকায় দাওয়াতি দশকে সরাসরি অংশ নিবেন। ষ প্রত্যেক মাসে দাওয়াতি সপ্তাহ, দশক অথবা ৩/৪ দিন নির্ধারিত করা ঢ় পার্শ্ব/সাইড সংগঠন পরিচালনায় গুরুত্ব দেয়া: ষ প্রত্যেক সাইড সংগঠনকে সমান গুরুত্ব দেয়া। ষ ভালো মানের জনশক্তি দেয়া। ষ অর্থনৈতিক সাপোর্ট দেয়া। ষ নতুন নতুন সাইড সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা। ঢ় সমাজসেবা: ষ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা ও সামাজিক সমস্যাসমূহ সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ। ষ ব্যনারসর্বস্ব প্রোগ্রাম না করে ঊর্ধ্বতন সংগঠনের সার্কুলারের যথাযথ আনুগত্য করা। ষ ছাত্র রিলেটেড সামাজিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা। ষ বাছাইকরা মেধাবী ছাত্রদের মাঝে গাছের চারা এবং দরিদ্র ছাত্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা। ঢ় কিছু দৃষ্টিভঙ্গি: ষ রিপোর্ট প্রেরণের ক্ষেত্রে আমানতদারিতা ও সময়সচেতনতা বজায় রাখা। ষ প্রতিটি কর্মসূচি পালন করা, না পারলে ঊর্ধ্বতন সংগঠনের অনুমতি নেয়া। ষ যে কোন মূল্যে ঊর্ধ্বতন কোটা ফিলাপ করা এক্ষেত্রে মওকুফ চাওয়ার মানসিকতা পরিহার করা। ষ কম হোক বেশি হোক প্রতি মাসেই সাহিত্য বিভাগে টাকা জমা দেয়া। ষ ঈদকার্ড, ক্যালেন্ডারসহ যে কোন প্রকাশনা সাময়িকী বের করতে কেন্দ্রের অনুমতি নেয়া। ঈদকার্ড বের করতে হলে শাখা সভাপতি-সেক্রেটারি আলাদা না করে একটি করা। ষ জনশক্তি এবং শাখাবৃদ্ধি-ঘাটতিতে অনুমতি নেয়া। ষ সেটাপ কিংবা সেটাপ পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে অনুমোদন নেয়া। ষ সফর: ষ ঊর্ধ্বতন মেহমানকে রিসিভ করার ক্ষেত্রে শাখা সভাপতি যাওয়া। ষ সভাপতি যেতে না পারলে মেহমানের কাছ থেকে অনুমতি নেয়া। ষ নিরাপত্তা ও সফর খরচের ব্যাপারে সচেতনতা দেখানো। ষ বছরের মাঝামাঝি সময় শাখায় কেন্দ্রের সাংগঠনিক সফর নিশ্চিত করা। ষ নেতৃত্ব: ষ চেইন অব লিডারশিপ নিশ্চিত করা। ষ কয়েক সেট দায়িত্বশীল তৈরি করা। ষ নেতৃত্ব বাছাই (কর্মী, সাথী ও সদস্যদের মাঝে)। ষ প্রতি বর্ষে দায়িত্বশীল তৈরি করা। ষ নেতৃত্বের উপযোগী করে তৈরি করা। ষ সহযোগিতা প্রদান ও কাজ শিখানো। ষ টেবিল ওয়ার্ক: ষ আদর্শের মধ্য থেকে নতুন নতুন চিন্তা নিয়ে। ষ নিয়মিত প্রোগ্রাম, অধস্তন সংগঠন, জনশক্তির সমস্যা নিয়ে। ষ নতুন নতুন প্রোগ্রাম চালু করা নিয়ে। ষ প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগানো নিয়ে। ষ রিপোর্টিং: ষ পরিশীলিতভাবে রিপোর্টিং। ষ ঊর্ধ্বতন কোঠাসমূহ যথাসময়ে পরিশোধ। ষ যথাসময়ে রিপোর্ট জমার ব্যবস্থা করা। ষ যে শাখায যথাসময়ে রিপোর্ট জমা দেয় না সে শাখায় আগেই তত্ত্বাবধায়ক যাওয়া। ঢ় পরবর্তী দায়িত্বশীল গড়ে তোলা যায় কিভাবে? ষ যথার্থ লোক বাছাই ষ প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দান ষ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান লাভে উদ্বুদ্ধ করা ষ সাংগঠনিক প্রজ্ঞা সৃষ্টি ষ দায়িত্বশীলের প্যানেল বা চেইন তৈরি করা ষ কাজ দিয়ে তত্ত্বাবধান ষ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে গড়ে তোলা ষ পরিশ্রমপ্রিয় হিসাবে গড়ে তোলা ষ কর্মীদের একেবারে কাছে অবস্থান ষ দক্ষতা অর্জনের বাস্তব পদ্ধতি গ্রহণ ঢ় সংগঠন শৃঙ্খলার উপাদানসমূহ: ষ আনুগত্য ষ পরামর্শ ষ এহ্তেসাব ষ পারস্পরিক সম্পর্ক ঢ় সাংগঠনিক সেশনে পরিকল্পনা গ্রহণে লক্ষণীয় বিষয়সমূহ: ষ সংগঠন পরিচালনা আরো একধাপ নিয়ে যাওয়ার জন্য কতগুলো দিক আমাদেরকে বিবেচনা করতে হবে, যা সংগঠনকে আলোকিত এবং সুন্দর করতে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে হবে। ঢ় গঙঝঞ গ= গরংংরড়হ (ডযবৎব ঃযব ড়ৎমধহরুধঃরড়হ রহঃবহফং ঃড় মড়) ঙ=ঙনলবপঃরাবং (ঞযব শবু মড়ধষ যিরপয রিষষ যবষঢ় ধপযরবাব ঃযব সরংংরড়হ) ঝ=ঝঃৎধঃবমরবং (ড়ঢ়ঃরড়হং ভড়ৎ সড়ারহম ভড়ৎধিৎফ) ঞ=ঞধপঃরপং (যড়ি ঝঃৎধঃবমরবং ধৎব ঢ়ঁঃ রহঃড় ধপঃরড়হ) ঢ় ঝডঙঞ ঝ=ঝঃৎবহমঃযং, ড= ডবধশহবংং, ঙ= ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃরবং, ঞ= ঞযৎবধঃং ঢ় গড়ঝঈড়ড ঞবপযহরয়ঁবং ফলো করতে হবে- ১. গঁংঃ যধাব, ২. ঝযড়ঁষফ যধাব, ৩.ঈড়ঁষফ যধাব, ৪.ডড়হ’ঃ ঐধাব ঃযরং ঃরসব. সংগঠন পরিচালনার জন্য সংগঠনের সমগ্র বিষয় সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকতে হবে এবং সংগঠনের লক্ষ্য মিটানোর জন্য নি¤েœাক্ত বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। ষ ঈৎবধঃরহম ধহফ সধরহঃধরহরহম ঃযব ড়ৎমধহরুধঃরড়হ ধৎপযরঃবপঃঁৎব. ষ ঈড়হফঁপঃরহম ংবহংরনরষরঃু ংঃঁফু. ষ ওফবহঃরভুরহম ড়ৎমধহরুধঃরড়হধষ ড়ঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃরবং. ষ চৎবঢ়ধৎরহম ঃযব ড়ৎমধহরুধঃরড়হ পধংব. ষ ঈড়হফঁপঃরহম ঃযব রহরঃরধষ ৎরংশ ধংংবংংসবহঃ. ৩চ = চঁৎঢ়ড়ংব, চৎড়পবংং, চৎড়ফঁপঃ ৩জ = জবধফ, জবভষবপঃরড়হ, জবভড়ৎসবফ ৩ঐ = ঐবধফ ঃড় ঁহফবৎংঃধহফ, ঐবধৎঃ ঃড় ধপপবঢ়ঃ, ঐধহফ ঃড় ধপঃ ৭ঝ = ঝঃৎধঃবমু, ঝঃৎঁপঃঁৎব, ঝুংঃবস, ঝঃুষব, ঝঃধভভ, ঝশরষষ, ঝযধৎবাধষঁবং চঙঝউঈঙজই =চষধরহরহম, ঙৎমধহরুরহম, ঝঃধভভরহম, উরৎবপঃরহম, ঈড়ড়ৎফরহধঃরহম, জবঢ়ড়ৎঃরহম, ইঁফমবঃরহম বর্তমান পরিস্থিতি ইসলামী আন্দোলনের জন্য পরীক্ষা, প্রত্যেক জনশক্তিকে চারটি বিষয়ে অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে- ষ নিয়মিত কুরআন অধ্যয়ন ও সহীহ তেলাওয়াত, হাদিস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন। ষ জামায়াতে নামাজ (নফল ইবাদত সহ- তারাবিহ ও শববেদারি)। ষ ব্যক্তিগত দাওয়াতি কাজ- কুরআন বিতরণ, বই বিতরণ ও উপহার সামগ্রী বিতরণ। ষ নিয়মিত ছাত্রকল্যাণ ও সমাজ কল্যাণমূলক কাজ। শত শত শহীদের স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব আমাদের। তাই আমাদেরকে কয়েকটি বিষয়ের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে- ষ আমাদের নৈতিক মান এমন পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে যাতে জনগণ আমাদের ওপর আস্থাশীল হয়। এককথায় আমাদের হতে হবে ইসলামের প্রতীক। ষ মেধাবী ও নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পন্ন ছাত্রদেরকে বিশেষ টার্গেট করে এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। এককথায় পরিমাণের চেয়ে গুণাবলির দিকে বেশি নজর দিতে হবে। কাজের মানদণ্ড শুধু জনশক্তি বৃদ্ধি নয় বরং সমাজ বিনির্মাণে পরিমিত লোক সাপ্লাই অন্যতম মানদণ্ড। ষ এখন থেকে কর্মীদেরকে গাইডলাইনের মাধ্যমে কর্মীদের ক্যারিয়ার তৈরিতে সহযোগিতা করা। ষ আমাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক, তাই শত শত শহীদের স্বপ্ন আমাদেরকে পূরণ করতে হবে। ষ তৃণমূল পর্যায়ে- ইসলামী জাগরণ সৃষ্টি ও ইসলামের প্রতি বলিষ্ঠ আস্থা সৃষ্টিতে আমাদেরকে আরও বাস্তবমুখী ও গঠনমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। ষ ‘ঞযব ড়িৎফ রং ধ মষড়নধষ ারষষধমব হড়’ি এ গ্রামের নীতি নির্ধারণে আমাদেরকে সক্ষম, সুযোগ্য ও বলিষ্ঠ বাসিন্দা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। ষ ‘ডব ধৎব ভধপরহম ধ াবৎু ফবপরংরাব ধিৎ ধহফ ঃযরং ধিং ধ ঃৎঁষু রহঃবষষবপঃঁধষ ধিৎ’ এ যুদ্ধে বিজয়ী হতে হলে জ্ঞান বুদ্ধি ও দক্ষতার অস্ত্রে পূর্ণরূপে সজ্জিত হতে হবে। ষ জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তির অতুল ভাণ্ডার কুরআন ও হাদিসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হতে হবে। দুনিয়াকে জানা, বুঝা এবং এর চ্যালেঞ্জ মুকাবিলা করতে হবে। ষ বিবেক ও বাস্তবতার নিরিখে আবেগকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে দূরদর্শিতার সাথে পথ চলা। ষ মনে রাখতে হবে জ্ঞান ও বুদ্ধির অস্ত্রে সজ্জিত গতিশীল ও ভিশনারি লোকেরাই বিশ^কে নেতৃত্ব দেবে। ষ আমাদের যোগ্যতা ও প্রস্তুতির তুলনায় চ্যালেঞ্জ হলো পর্বত পরিমাণ। তাই সময়োপযোগী জ্ঞান ও যোগ্যতার কোন বিকল্প নেই। ষ জাতির কল্যাণকামী এবং শক্তিশালী এক ছাত্রসংগঠন হিসেবে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। ষ জ্ঞান ও চিন্তার জগতে আমাদেরকে দিকনির্দেশনার কথা ভাবতে হবে। চিন্তার জগৎকে যেমন একদিকে প্রসারিত করতে হবে, অন্যদিকে বাস্তবমুখীও করতে হবে। ষ যোগ্যতার সুউচ্চ চূড়ায় আরোহণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে ‘যোগ্যতমের বেঁচে থাকা’। দ্বীনের ব্যাপারে যেমন পাগলপারা হতে হবে তেমনি দুনিয়াবি যোগ্যতার বেখেয়াল হলে চলবে না। ষ আমরা পেশিশক্তি দিয়ে নয়, চারিত্রিক সুষমা দিয়ে বিশ^ জয় করতে চাই। সততা ও চরিত্রের অনন্য সুষমায় অভিষিক্ত হতে হবে। ষ আমাদেরকে পরিকল্পিত জীবনগঠনে প্রত্যয়ী হতে হবে। পরিকল্পনাহীন জীবনে সাফল্য অনিশ্চিত। ষ সময়ের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের কোন আগামীকাল নেই। ‘এখন নয় তো কখনই নয়’, এটাই বিবেকীদের স্লোগান। মনে রাখতে হবে একটি দিন শুধু একবারই আসে। ষ আখেরাতমুখী জিন্দেগি গঠন করতে হবে। তাহলেই অর্জিত হবে প্রকৃত সাফল্য। ষ সর্বোৎকৃষ্ট জান্নাতি সাংগঠনিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ষ আমাদের উন্নত আখলাক, উত্তম আচরণ দাওয়াতি কাজের অন্যতম হাতিয়ার। লেখক : বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষকবর্তমান পরিস্থিতি ইসলামী আন্দোলনের জন্য পরীক্ষা, প্রত্যেক জনশক্তিকে চারটি বিষয়ে অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে- ⇒ নিয়মিত কুরআন অধ্যয়ন ও সহীহ তেলাওয়াত, হাদিস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন। ⇒ জামায়াতে নামাজ (নফল ইবাদত সহ- তারাবিহ ও শববেদারি)। ⇒ ব্যক্তিগত দাওয়াতি কাজ- কুরআন বিতরণ, বই বিতরণ ও উপহার সামগ্রী বিতরণ। ⇒ নিয়মিত ছাত্রকল্যাণ ও সমাজ কল্যাণমূলক কাজ।

শত শত শহীদের স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব আমাদের। তাই আমাদেরকে কয়েকটি বিষয়ের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে- ⇒ আমাদের নৈতিক মান এমন পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে যাতে জনগণ আমাদের ওপর আস্থাশীল হয়। এককথায় আমাদের হতে হবে ইসলামের প্রতীক। ⇒ মেধাবী ও নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পন্ন ছাত্রদেরকে বিশেষ টার্গেট করে এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। এককথায় পরিমাণের চেয়ে গুণাবলির দিকে বেশি নজর দিতে হবে। কাজের মানদণ্ড শুধু জনশক্তি বৃদ্ধি নয় বরং সমাজ বিনির্মাণে পরিমিত লোক সাপ্লাই অন্যতম মানদণ্ড। ⇒ এখন থেকে কর্মীদেরকে গাইডলাইনের মাধ্যমে কর্মীদের ক্যারিয়ার তৈরিতে সহযোগিতা করা। ⇒ আমাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক, তাই শত শত শহীদের স্বপ্ন আমাদেরকে পূরণ করতে হবে। ⇒ তৃণমূল পর্যায়ে- ইসলামী জাগরণ সৃষ্টি ও ইসলামের প্রতি বলিষ্ঠ আস্থা সৃষ্টিতে আমাদেরকে আরও বাস্তবমুখী ও গঠনমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। ⇒ ‘The word is a global village now’ এ গ্রামের নীতি নির্ধারণে আমাদেরকে সক্ষম, সুযোগ্য ও বলিষ্ঠ বাসিন্দা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। ⇒ ‘We are facing a very decisive war and this was a truly intellectual war’ এ যুদ্ধে বিজয়ী হতে হলে জ্ঞান বুদ্ধি ও দক্ষতার অস্ত্রে পূর্ণরূপে সজ্জিত হতে হবে। ⇒ জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তির অতুল ভাণ্ডার কুরআন ও হাদিসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হতে হবে। দুনিয়াকে জানা, বুঝা এবং এর চ্যালেঞ্জ মুকাবিলা করতে হবে। ⇒ বিবেক ও বাস্তবতার নিরিখে আবেগকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে দূরদর্শিতার সাথে পথ চলা। ⇒ মনে রাখতে হবে জ্ঞান ও বুদ্ধির অস্ত্রে সজ্জিত গতিশীল ও ভিশনারি লোকেরাই বিশ^কে নেতৃত্ব দেবে। ⇒ আমাদের যোগ্যতা ও প্রস্তুতির তুলনায় চ্যালেঞ্জ হলো পর্বত পরিমাণ। তাই সময়োপযোগী জ্ঞান ও যোগ্যতার কোন বিকল্প নেই। ⇒ জাতির কল্যাণকামী এবং শক্তিশালী এক ছাত্রসংগঠন হিসেবে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। ⇒ জ্ঞান ও চিন্তার জগতে আমাদেরকে দিকনির্দেশনার কথা ভাবতে হবে। চিন্তার জগৎকে যেমন একদিকে প্রসারিত করতে হবে, অন্যদিকে বাস্তবমুখীও করতে হবে। ⇒ যোগ্যতার সুউচ্চ চূড়ায় আরোহণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে ‘যোগ্যতমের বেঁচে থাকা’। দ্বীনের ব্যাপারে যেমন পাগলপারা হতে হবে তেমনি দুনিয়াবি যোগ্যতার বেখেয়াল হলে চলবে না। ⇒ আমরা পেশিশক্তি দিয়ে নয়, চারিত্রিক সুষমা দিয়ে বিশ^ জয় করতে চাই। সততা ও চরিত্রের অনন্য সুষমায় অভিষিক্ত হতে হবে। ⇒ আমাদেরকে পরিকল্পিত জীবনগঠনে প্রত্যয়ী হতে হবে। পরিকল্পনাহীন জীবনে সাফল্য অনিশ্চিত। ⇒ সময়ের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের কোন আগামীকাল নেই। ‘এখন নয় তো কখনই নয়’, এটাই বিবেকীদের স্লোগান। মনে রাখতে হবে একটি দিন শুধু একবারই আসে। ⇒ আখেরাতমুখী জিন্দেগি গঠন করতে হবে। তাহলেই অর্জিত হবে প্রকৃত সাফল্য। ⇒ সর্বোৎকৃষ্ট জান্নাতি সাংগঠনিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ⇒ আমাদের উন্নত আখলাক, উত্তম আচরণ দাওয়াতি কাজের অন্যতম হাতিয়ার।

লেখক : বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষক

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির