post

ছাত্রশিবিরের জাতীয় সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতা ২০১১ অনুষ্ঠিত

০৯ অক্টোবর ২০১১
নিশ্চয়ই রাসূল (সা)-এর জীবনেই রয়েছে তোমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। আল কুরআনের এই ঘোষণাকে সামনে রেখে রাসূল (সা)-এর জীবন থেকে শিক্ষা নেয়ার মাধ্যমে একটি আদর্শ জাতি গঠনের জন্য তরুণ ছাত্রসমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে রাসূল (সা)- এর জীবনী অধ্যয়নের বিকল্প নেই। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজন করেছে ‘জাতীয় সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতা-২০১১’। এ বছরের জুন-জুলাই-আগস্ট এই তিন মাসের রেজিস্ট্রেশন ক্রিয়া শেষে জাতীয় সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতার প্রথম পর্বের পরীক্ষা শাখাভিত্তিক অনুষ্ঠিত হয় ১৬ সেপ্টেম্বর-২০১১। রাসূল (সা)-এর সিরাত প্রায় তিন মাস অধ্যয়ন শেষে সারা দেশের সব শাখায় একযোগে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় প্রায় এক লাখ প্রতিযোগী ৩ গ্র“পে বিভক্ত হয়ে অংশগ্রহণ করেন। ক- গ্র“পে ষষ্ঠ-দশম শ্রেণীর প্রতিযোগীদের বিষয় ছিল : আবু সলিম মুহাম্মদ আব্দুল হাই লিখিত সিরাত গ্রন্থ ‘রাসূলুল্লাহ্র (সা) বিপ্লবী জীবন’, খ- গ্র“পে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর  প্রতিযোগীদের বিষয় ছিলো ইবনে হিশাম লিখিত সিরাতগ্রন্থ ‘সিরাত ইবনে হিশাম’ এবং গ গ্র“পে স্নাতক-স্নাতকোত্তর শ্রেণীর প্রতিযোগীদের বিষয় ছিলো নঈম সিদ্দিকী লিখিত সিরাত গ্রন্থ ‘মানবতার বন্ধু মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ্ (সা)’। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ সারা দেশের সকল পরীক্ষা কেন্দ্রে শিবিরের সাবেক ও বর্তমান দায়িত্বশীলদের পাশাপাশি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ঢাকার কেন্দ্রসমূহ পরিদর্শন করেনÑ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রফিকুল ইসলাম খান, সেক্রেটারি জেনারেল মো. দেলাওয়ার হোসেনসহ কার্যকরী পরিষদ সদস্যবৃন্দ। জাতীয় সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতা-২০১১ এর প্রথম পর্বের পরীক্ষার ফলাফল গত ২৮ সেপ্টেম্বর সারাদেশে একযোগে প্রকাশিত হয়। প্রথম পর্বের পরীক্ষায় প্রত্যেক শাখা থেকে গ্র“পভিত্তিক তিনজন করে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা আগামী ২৮ অক্টোবর সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য প্রথম পর্বের সিলেবাসের সাথে আরো একটি করে বই যোগ হবে। ক গ্র“পের জন্য ‘রাহে আমল’ (প্রথম খণ্ড), খ গ্র“পের জন্য ‘হাদিসের আলোকে মানবজীবন’ (প্রথম খণ্ড) এবং গ গ্র“পের জন্য ‘এনতেখাবে হাদিস’ (প্রথম খণ্ড)। উল্লেখ্য জাতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে গ্র“পভিত্তিক ১৩ জনকে নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৩৫ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার ২০ হাজার টাকা। এ ছাড়া গ্র“পভিত্তিক ১০ জনকে বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করা হবে। ইসলামী সংঘ নেপাল-এর জেনারেল সেক্রেটারির নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ছাত্রশিবিরের শোক ইসলামী সংঘ নেপালের জেনারেল সেক্রেটারি ফাইজান আহমদ ফালাহীর নৃশংস মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে যুক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. মুহাম্মদ ফখরুদ্দীন মানিক ও সেক্রেটারি জেনারেল দেলাওয়ার হোসেন। নেতৃদ্বয় বলেন, ফাইজান আহমদ ফালাহী (৩৫) ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক, তরুণ সংগঠক, সমাজসেবক ও ইসলামের মহান আদর্শের প্রচারক। তার মৃত্যুতে নেপালের ইসলামী আন্দোলন অপূরনীয় ক্ষতির মধ্যে পড়ল। শিবির সভাপতি ও সেক্রেটারি জেনারেল আরো বলেন, ৫৬৮২৭ বর্গমাইলের নেপাল মূলত একটি স্যাকুলার রাষ্ট্র। জনসংখ্যা ২,৮৬,১৮,৬৬৮ জন। তার মধ্যে মুসলমান মাত্র ৯,৭১,০৫৬ জন। যা মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪.২%। কাজেই সংখ্যালঘু ণড়ঁহম গঁংষরস ঈড়সসঁহরঃু খবধফবৎকে অতর্কিত গুলি করে হত্যাকে আমরা বিশ্ব মুসলিম কমিউনিটির উপর একটি আঘাত বলে মনে করছি। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। শিবির নেতৃবৃন্দ মরহুম ফাইজান আহমদ ফালাহীর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং তাকে শহীদ হিসেবে কবুলের জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে নেপালের মুসলমানদের জন্য দোয়া ও পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। কেন্দ্রীয় মাদরাসা বিভাগের সাংগঠনিক সফর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদরাসা ছাত্রদের ভর্তির ক্ষেত্রে বৈষম্য করে কর্তৃপক্ষ সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। মাদরাসা ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি না মানা হলে পরিষদ সাধারণ ছাত্র ও তাওহিদী জনতাকে সাথে নিয়ে এর সমুচিত জবাব দেবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ মাদরাসা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বরিশাল ও কুমিল্লা অঞ্চলের আটটি শাখায় সাংগঠনিক সফরে  এসব কথা বলেন। বরিশাল অঞ্চলের বরিশাল মহানগরী, বরিশাল জেলা পশ্চিম, বরিশাল জেলা পূর্ব, ঝালকাঠি জেলা, পিরোজপুর জেলা এ পাঁচটি শাখায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ মুহিউদ্দীন মাসুমের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ ছাত্র সমাবেশ, দায়ী সমাবেশ, মতবিনিময়সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। উপর্যুক্ত কর্মসূচিগুলোতে আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মহানগরীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক মাওলানা কাজী সাইফুল ইসলাম, হাফেজ আব্দুল আলিম, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল্লাহ আল মামুন, তাজদীদ বিন ওয়াদুদ প্রমুখ। অন্য দিকে কুমিল্লা অঞ্চলের কুমিল্লা মহানগরী, কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ, কুমিল্লা জেলা উত্তর শাখাগুলোতে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। কর্মসূচিগুলোতে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগরীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক জনাব কামরুজ্জামান সোহেল, আবুল হাসেম মোল্লা, লুৎফর রহমান খান মাসুম, জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির