post

সম্পাদকীয়

২৮ অক্টোবর ২০১৫
শহীদ আবদুল মালেক শুধু বাংলাদেশের ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের অগ্রনায়কই নন; তিনি বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। তাঁর জীবন ছিলো বড়ই সংগ্রামের। তবে তিনি ছিলেন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন মানুষ। তিনি নিজেই যেন একটি সংগঠন; ব্যবহারিক জীবনাচরণে খুব সহজেই পৌঁছে যেতেন মানুষের হৃদয়ে। সবসময় দাওয়াতি চরিত্র নিয়ে কাজ করতেন তিনি। তাঁর আমানতদারিতা এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রতি একাগ্রতা স্মরণযোগ্য। কথা ও কাজের অপূর্ব সমন্বয়ের এক আদর্শিক নেতা ছিলেন তিনি। আজকের এই সময়ে দাঁড়িয়ে শহীদ আবদুল মালেককে পাঠ করা খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। আসুন এই দুর্যোগে-দুর্ভোগে আমরা প্রত্যেকেই হয়ে উঠি একেকজন মালেক। আমাদের বিশ্বাস, এ আকাশ আজীবন মেঘে ঢাকা রবে না। আর সেই নতুন আলোর দীপ্ত ভোর আনতেই আমাদেরকে ভাবতে হবে নতুন করে। জেগে উঠতে হবে আবার। ২. আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও মৃত্যু সবকিছু আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জন্য। (সূরা আল আনআম : ১৬২) জীবন ও মৃত্যুকে আল্লাহর সন্তÍষ্টির জন্য সঁপে দেয়ার মাঝেই তো সার্থকতা এবং পরম পাওয়া। তবে এ পথে টিকে থাকাও কিন্তু খুব বেশি সহজ নয়। ঈদুল আজহা মানেই কিন্তু শুধু পশু কোরবানি নয়। আত্মত্যাগের একটি ইতিহাস কেমন হয় সেটি উপলব্ধি করার এবং নিজেকে চেনা ও জানার একটি মোক্ষম সময়। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রতি হযরত ইবরাহিম আ.-এর ভালোবাসার নিদর্শন এবং আমাদের বাস্তব জীবনে নিজেদের জীবনাচরণ পর্যালোচনা সময়ের দাবি। আমাদের সামনে আরো কঠিন পরীক্ষা; চূড়ান্ত সেই পরীক্ষায় যেন হযরত ইবরাহিম আ.-এর মতো দৃঢ়তা প্রদর্শন করতে পারি এবং জাহিলিয়াতের অন্ধকার মাড়িয়ে ছিনিয়ে আনতে পারি সত্যদ্বীনের বিজয় । ৩. বায়তুল্লাহ শরিফ জিয়ারতের উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আল্লাহর প্রিয় বান্দারা যাত্রা শুরু করেছেন। সবার মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে আল্লাহর একত্ববাদ। আর হজের মাধ্যমেই বিশ্বমুসলিম ভ্রাতৃত্বের এক মহাসম্মিলন ও সমাবেশ ঘটে। সত্য ও সুন্দরের আহবানকে স্বাগত এবং অসুন্দরের প্রতি ঘৃণার দৃষ্টান্ত যেন এ সমাবেশে শেষ না হয়। আমরা যেন সীসাঢালা প্রাচীরের মতো অটুট থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাজ করতে পারি- সেই প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির