post

আন্তর্জাতিক ঘটনা

২৮ জানুয়ারি ২০১৪

মোহাম্মদ আবু জাফর

Antorjaticভারত : আমআদমি ও নরেন্দ্রমোদি ভারতে সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির জনপ্রিয়তা বাড়ছে এবং গুজরাটে মুসলিম গণহত্যার হোতা নরেন্দ্রমোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সর্বাগ্রে- এমন খবর দেশজুড়ে আলোচ্য বিষয়। তেমনি দেশবাসীর নজর কেড়েছে নতুন দলের নতুন রাজনীতিক অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কর্মকা-। রাজধানীকেন্দ্রিক দিল্লি প্রদেশের নবনির্বাচিত এই মুখ্যমন্ত্রী গণদাবি নিয়ে মিছিল করতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে রাজপথে শুধু বসেই পড়েনি, একরাত সেখানেই কাঁথা মুড়ি দিয়ে কাটালেন দারুণ শীতের মাঝে। তিনি ‘ধরনা’ দিতে রাস্তায় অবস্থানও নিয়েছেন। রাজ্য সরকারের প্রধান হয়েও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানাতে ‘ধরনা’ দেয়া নিয়ে নিজ দলের ভেতর বাইরে আর মিডিয়ায় কেজরিওয়াল বিষম সমালোচনার মুখে পড়েন। ফলে এ কর্মসূচি থেকে তাকে পিছু হটতে হয়। তবে তিনি প্রজাতন্ত্র দিবসের (২৬ জানুয়ারি) ভাষণে সাফ জানিয়ে দেন, ‘ভারতীয় সংবিধানের কোথাও লেখা নেই যে, কোনো মুখ্যমন্ত্রী ধরনায় বসতে পারবেন না।’ তার অভিযোগ, একটি দলের সাথে মিলে মিডিয়া এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এ দিকে তার ধরনা কর্মসূচি যেসব দাবিদাওয়া আদায়ের জন্য, সেগুলো কেন্দ্রীয় সরকার মানেনি। তদুপরি ধরনা ইস্যুতে মিডিয়ার সাথে বিতণ্ডায় জড়িয়ে কেজরিওয়াল রাজনীতিতে নিজের সমস্যা বাড়িয়ে তুলেছেন। তিনি অভিযোগ আনলেন বিজেপির সাথে মিডিয়ার যোগসাজশের। একই দিন দিল্লির আইনমন্ত্রী এবং এএপি নেতা সোমনাথ ভারতী আরো এগিয়ে বললেন, মিডিয়ার একটি অংশ নরেন্দ্রমোদির টাকা খেয়ে ধরনা নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অথচ পরে এই মন্ত্রী এ কথা বলার জন্য মাফ চেয়েছেন। এমনকি অরবিন্দ কেজরিওয়াল পর্যন্ত স্বীকার করেছেন, আইনমন্ত্রীর মন্তব্যটি ভুল। কেজরিওয়াল জানান, ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশ্য ময়দানে ‘জনলোকপাল বিল’ গৃহীত হবে। বহুল আলোচিত বিলটি আইনে পরিণত ও কার্যকর হলে কেজরিওয়াল জনগণের প্রশংসা পাবেন। যা হোক, অনেকেই মনে করেন, আমআদমি রাস্তাঘাটে যা করতে পারে, আমআদমি পার্টির (এএপি) নেতা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তা করতে পারেন না। তাই রাজপথে ধরনা দেয়া এবং সেখানেই রাত কাটানো তার জন্য বেমানান। উল্লেখ্য, এএপি সম্প্র্রতি দিল্লি প্রদেশ নির্বাচনে কংগ্রেস ও বিজেপিকে হারিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। রাজনীতিতে আনাড়ি ও অপরিচিত অরবিন্দ কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী হওয়াও বিস্ময়কর! নরেন্দ্রমোদি এখন ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতির চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন নিজ দলে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা অস্বাভাবিক নয়। কারণ তাকে কেবল বিজেপি কিংবা সঙ্ঘপরিবার নয়, এর বাইরেও বহু লোক দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভাবতে শুরু করেছেন। মোদির উত্থান ঘটেছে লালকৃষ্ণ আদভানির মতো প্রধান ও শীর্ষস্থানীয় নেতার জোর আপত্তি সত্ত্বেও। এখন আদভানি দলের কেন্দ্রবিন্দু থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারি বাজপেয়ি তো বহুদিন অসুস্থ। যশোবন্ত সিংকে কোণঠাসা করা হয়েছে সত্যকথনের জন্য। দলীয় সভাপতি রাজনাথ সিং দলের ভেতর নরেন্দ্রমোদির মতো প্রভাবশালী নন। এই প্রেক্ষাপটে মোদি লোকসভা নির্বাচন পরিচালনা টিমের প্রধান হয়েছেন। কার্যত তাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে এ নির্বাচনে জয়ী হয়ে গঠিতব্য সরকার পরিচালনা টিমের প্রধান হিসেবে। মোদি তার সাম্প্রদায়িক এবং ইসলামবিরোধী ইমেজ বদলাতে নানা কৌশল আঁটছেন। তিনি সুশাসনকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেছেন। ‘শিল্প ও বিনিয়োগবান্ধব’ বলে উন্নয়ন তার নেতৃত্বে সম্ভবÑ এমন প্রচারণা চলছে। তার মুখ্যমন্ত্রিত্বে গুজরাট শিল্পয়ানের মডেল হয়েছে বলে প্রচার করে মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকের ব্যর্থতাগুলো ঢাকার প্রয়াস পেয়েছে বিজেপি। সেই সাথে চলছে মুসলমানদের ভোট বাগানোর ফন্দিফিকির। এ জন্য পুরুষদের টুপি এবং মহিলাদের বোরখা পর্যন্ত বিলানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আশি বছরের বেশি বয়সী বৃদ্ধ। শারীরিক কারণেই তিনি নির্বাচনের পরে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না যদি কংগ্রেস ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার সুযোগ পায়, তবুও। তার জায়গায় রাহুল গান্ধী ছাড়া কারো কথা ভাবা যায় না। রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধী গতবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা থাকলেও বিজেপির অপপ্রচারের মুখে এ পদ নেননি। আগামী দিনেও নেয়ার সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। নরেন্দ্রমোদির নেতৃত্বে বিজেপি রাহুলের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালালেও রাহুল শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হতে রাজি হয়েছেন। এ যাবৎ তিনি অনীহা প্রকাশ করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে। কিন্তু নেহরু পরিবার যে শেষ ভরসা ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়া কংগ্রেসের। ২৩ জানুয়ারি রাহুল গান্ধী বলেছেন, তার দল এবং নির্বাচিত এমপিরা চাইলে কেন্দ্রীয় সরকারের নেতৃত্ব দিতে তিনি সম্মত আছেন। এর আগে তিনি ‘দলের যেকোনো দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে রাজি আছি’ বললেও প্রধানমন্ত্রিত্ব প্রসঙ্গ তোলেননি। উল্লেখ করা প্রয়োজন, মোদি যেখানে তার দলের নির্বাচনী টিম-প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী পদে দলের প্রার্থী, সেখানে রাহুলকে শুধু নির্বাচনী টিমের প্রধান করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হয়নি। এ সুযোগে মোদি কটূক্তি করেন, ‘পরাজয় নিশ্চিত জেনেই সোনিয়া ছেলেকে এগিয়ে দিতে চাচ্ছিলেন না।’ এটা শুনে রাহুল চুপ করে থাকতে পারেননি। জবাব দিলেন, নির্বাচনে জিতলে যদি সংসদ সদস্যরা আমাকে মনোনীত করেন, ‘তাহলে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবো।’ বিজেপির দিকে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বললেন, পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী নির্বাচন করার রীতি কংগ্রেসে নেই। কারণ এটা ব্যক্তিপূজা এবং অগণতান্ত্রিক। থাইল্যান্ড : বিরোধী দলের আন্দোলন ও একতরফা নির্বাচন থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক সঙ্কট চলছে কয়েক মাস ধরে। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডÑ দুই দেশেই সম্প্রতি সমানে চলেছে বিরোধী দলের গরম আন্দোলন এবং সরকারের দমননীতি। বাংলাদেশের মতো সেখানেও আন্দোলনটা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ দেশের মতো থাইল্যান্ডেও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকারের জোর দাবি জানানো হয়েছে। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো থাই প্রধানমন্ত্রীও তার নিজের অধীনে নির্বাচন সম্পন্ন করার ব্যাপারে অনমনীয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাও ‘সংবিধান মোতাবেক’ দেশ চলবে বলে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলকে। সুদর্শনা ইংলাক রাজনীতিতে ছিলেন অপরিচিত। ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রা বিদেশে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। থাকসিন প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। তখন বিদেশে অবস্থান করছিলেন তিনি। ক্ষমতা হারিয়ে আর দেশে ফেরেননি। থাকসিন গ্রামাঞ্চলে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন এবং জাতীয় অর্থনীতির অগ্রতিতে তার অবদান উল্লেখযোগ্য। কিন্তু তার বিরুদ্ধে দুর্র্নীতির অভিযোগ ওঠে এবং শহুরে মধ্যবিত্ত ও অভিজাত শ্রেণী তাকে পছন্দ করতো না। ফলে সহজেই রাজনৈতিক বিক্ষোভ প্রতিবাদ জমে ওঠে এবং থাকসিন ক্ষমতা হারান। বিগত নির্বাচনে তার পক্ষে অংশ নেয়া অসম্ভব বিধায় বোন ইংলাক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে জিতে তিনি সরকার গঠন করে দেশ চালাচ্ছিলেন। তবে সম্প্রতি বিরোধী দল প্রচার করে যে, ‘অনভিজ্ঞ ইংলাক তার প্রবাসী ভাই থাকসিনের কথামতো সরকার পরিচালনা করছেন। ভাই বোনকে সলাপরামর্শ দিয়ে সাহায্য করছেন।’ এই ইস্যুতে অচিরেই আন্দোলন দানা বেঁধে এক পর্যায়ে প্রবল আকার ধারণ করে। রাজধানী ব্যাংকক সমাবেশ, মিছিল, শ্লোগান ও প্রতিবাদে হয়ে ওঠে উত্তাল। শত শত বিক্ষোভকারী সেনাসদরে ঢুকে পড়ে এবং একদিন প্রধানমন্ত্রীর অফিসে প্রবেশ করে। দিনের পর দিন রাজপথে আন্দোলন চলছে একনাগাড়ে। সারাদেশের হাজার হাজার মানুষ সম্প্রতি এসে ব্যাংককে বিক্ষোভ র‌্যালিতে শামিল হয়। আন্দোলনের তহবিল সংগ্রহ করা হয় সমবেত জনতা থেকে। বিরোধী দলের এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুথেপ থাগসুবান। শহুরে সচেতন মধ্যবিত্তরাই রাজনৈতিক আন্দোলনে নেতা ও সংগঠকের ভূমিকা পালন করে থাকেন। থাইল্যান্ডে এই শ্রেণীটি আগে থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল থাকসিন সিনাওয়াত্রার ওপর। তদুপরি তাকে দুর্নীতির মামলায় এক প্রকার দায়মুক্তি দেয়ার প্রয়াসে অসন্তোষ অনেক বেড়ে যায়। আর ভাই থাকসিনের প্রক্সি দিয়ে বোন ইংলাক প্রধানমন্ত্রিত্ব করছেনÑ এমন বিশ্বাস প্রতিপক্ষের ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। গত বছর সরকার অ্যামনেস্টি বিল আনে যার প্রতিপাদ্য ছিল, থাকসিন সিনাওয়াত্রা দেশে ফিরলে তাকে দুর্র্নীতির দায়ে শাস্তি পেতে হবে না। যদিও বিলটি পাস হয়নি, কিন্তু একে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সঙ্কট শুরু হয়। বিরোধী দল প্রধানমন্ত্রী ইংলাকের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখে। তিনি এক পর্যায়ে পার্লামেন্ট বাতিল করে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন। কিন্তু বিক্ষোভ থামেনি। এ নির্বাচন হওয়ার কথা দোসরা ফেব্রুয়ারি। বিরোধী দল তা স্থগিত করার দাবি জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশন পার্লামেন্ট নির্বাচন স্থগিত করার বিষয়ে রুলিং দিতে আবেদন জানিয়েছিল সাংবিধানিক আদালতের কাছে। আদালত বলেছে, ‘জাতীয় স্বার্থে এ নির্বাচন স্থগিত করা অবৈধ হবে না।’ তবে এটা করার ক্ষমতা শুধু প্রধানমন্ত্রীর আছে। তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে আলোচনা করে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে রুলিংয়ে উল্লেখ করা হয়। জনদুর্ভোগ ও জাতির ক্ষতি রোধ করতে আইনের আওতায় নির্বাচন স্থগিত করার পক্ষে মত দিয়েছে আদালত। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ইংলাকের বক্তব্য সাথে সাথে জানা যায়নি। এদিকে বিরোধী দল বলেছে, যদি আগাম নির্বাচন ঘোষণামাফিক নির্ধারিত দিনে হয়, তা হলে প্রতিরোধমূলক হস্তক্ষেপ না করলেও তারা ভোটকেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ করে ভোট না দিতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবেন। বিরোধীদলীয় নেতা সুথেপ স্বয়ং এটা জানিয়েছেন। তারা বলে আসছেন, এই প্রধানমন্ত্রী বহাল থাকলে এবং নির্বাচনপদ্ধতির সংস্কার আনা না হলে নির্বাচন বর্জন করা হবে। এ দিক দিয়ে বাংলাদেশের সাথে মিল রয়েছে। আর বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন হলে পার্লামেন্টের চেহারা হতে পাবে বাংলাদেশের বর্তমান সংসদের মতো। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২২ জানুয়ারি দুই মাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে থাইল্যান্ড সরকার। থাইল্যান্ডে এ যাবৎ বহুবার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে। তবে রাজা ভূমিবল আদুল্যায়েজ দীর্ঘদিন বহাল আছেন রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে। এখনো সরকার ও বিরোধী দলÑ উভয়ই রাজার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ২০০৬ সালে সর্বশেষ সেনা অভ্যুত্থানে থাকসিন ক্ষমতাচ্যুত হন। তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ছিল এটা যেমন সত্য, তেমনি এ কথাও ঠিক যে, ওই সামরিক অভ্যুত্থানের পর থাই রাজনীতিতে এমন বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে যার জের ধরে রাজনীতির অঙ্গন চরম অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে গত নভেম্বর থেকে লাগাতার বিক্ষোভের সময় সরকারের হামলা ও সংঘর্ষে ৮ জন নিহত এবং সাড়ে ৪ শ’ মানুষ আহত হয়েছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির