post

ইসলামী বিপ্লবে সাহিত্য

সংস্কৃতি । ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান

১৫ নভেম্বর ২০১৯

জীবনবিধান হিসেবে ইসলামের পরিধি ব্যাপক ও সর্বব্যাপী। জীবনের সব ক্ষেত্রে এর সৌরভ ছড়ানো। এ ধারা থেকে সাহিত্য-সংস্কৃতি বাদ যায়নি। জীবনের অন্য সব ক্ষেত্রের মতো সাহিত্য-সংস্কৃতিও এক অপরিহার্য বিষয়। সাহিত্য মানবজীবনের প্রতিচ্ছবি। মানুষের শুভবুদ্ধির উজ্জীবনী শক্তি। সংস্কৃতি বলতে কুরআন সুন্নাহভিত্তিক মানুষেরই সামষ্টিক জীবনের চিন্তা-চেতনা, আবেগ-অনুভূতি, অনুরাগ, মূল্যবোধ ক্রিয়াকাণ্ড সৌজন্যমূলক আচরণ; পরিমার্জিত ও পরিশোধিত সৎকর্মশীলতা, উন্নত নৈতিকতা তথা জীবনের সকল কর্মকাণ্ডকে বুঝায়, মানুষের পরিপূর্ণ জীবন ধারাই ইসলামী সংস্কৃতির আওতাধীন। মাওলানা মওদূদী (র) রচিত ইসলামী সংস্কৃতির মর্মকথা বইয়ে তিনি বলেছেন, ‘ইসলামী সংস্কৃতির লক্ষ্য হলো, মানুষকে সাফল্যের চূড়ান্ত লক্ষ্যে উপনীত হবার জন্যে প্রস্তুত করা। এ সংস্কৃতি একটি ব্যাপক জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের চিন্তা-কল্পনা, স্বভাব চরিত্র, আচার ব্যবহার, পারিবারিক ও সামাজিক কাজকর্ম, রাজনৈতিক কর্মধারা, সভ্যতা ও সামাজিকতা সবকিছুর ওপরই পরিব্যাপ্ত।

ইসলামী সাহিত্য সংস্কৃতির উদ্দেশ্য ও বৈশিষ্ট্য: পৃথিবীর সব জিনিসের মত সংস্কৃতিরও একটা উদ্দেশ্য লক্ষ্য রয়েছে। লক্ষ্যহীন উদ্দেশ্যের আদলে তৈরি করা সাহিত্য ও সংস্কৃতি মূলত কোন আদর্শবান সংস্কৃতি নয়; তা নিতান্ত তামাসা বা ছেলেখেলা। ইসলাম যেহেতু একটি পূর্ণাঙ্গ আদর্শ; একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, মানবতার কল্যাণ সাধনই যেহেতু এর উদ্দেশ্য। তাই অন্যান্য সকল ক্রিয়াকর্মের মতো এটির একটি শাখা হচ্ছে সাহিত্য-সংস্কৃতি।

সংস্কৃতি কী? সংস্কৃতির ব্যাপারে আলোচনার শুরুতেই প্রশ্ন জাগে ‘সংস্কৃতি কী?’ এ ব্যাপারে বহু গুণীজন বহু কথা বলেছেন। সংস্কৃতির কাছাকাছি সমার্থক শব্দ ইংরেজিতে ঈঁষঃঁৎব, আরবিতে ‘তমদ্দুন ও সাকাফাত’। সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চায় রাসূল সা.-এর যুগ: মহানবী সা. ইসলামী আন্দোলনের প্রথম দিকেও যখন ইসলামে চরম বিরোধিতা ও নির্যাতন ঐ কঠিন মুহূর্তেও মসজিদে নববীতে প্রায় সত্তর জন সাহাবীকে ইসলামের জ্ঞান চর্চায় নিয়োজিত রেখেছিলেন। যাদের এক মাত্র কাজ ছিল ইসলামের জ্ঞান ও সাহিত্য চর্চা করা। যখন অল্পসংখ্যক সাহাবী বিপুল পরিমাণ মুশরিকদের মোকাবেলা করতেন। তখনও আসহাবে সুফফার এসব সাহাবিরা মসজিদে নববীতে জ্ঞানও সাহিত্যচর্চায় নিজেদের মশগুল রাখতেন। আরেকটি ঘটনা মুজাহিদগণ যখন জিহাদ থেকে বিজয়ী হয়ে ফিরে আসে। বিশ্বনবীর কাছে গনিমতের মাল বণ্টনের তালিকা জমা দেন। সেখানে একজন কবি সাহাবী জিহাদে অংশগ্রহণ না করায় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তখন রাসূলুল্লাহ সা. ঐ সাহাবীর নাম অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ প্রদান করেন। এবং বলেন তোমরা কি তার কবিতা শুনে জিহাদের অনুপ্রেরণা পাওনি।

খোলাফায়ে রাশেদার যুগে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন: ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর (রা) থেকে শুরু করে চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রা) পর্যন্ত প্রত্যেকের সময়েই কম বেশি সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা হয়। এছাড়াও সাহাবীদের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন সাহাবি কবি হজরত হাসসান বিন সাবিত (রা), হজরত আবদুল্লাহ বিন রাওয়াহা (রা), হজরত কাব বিন মালিক (রা), হজরত লবিদ বিন রাবিয়া (রা) প্রমুখ। তখনকার সাহিত্য সাংস্কৃতির চর্চার জন্য ইরাকের রাজধানী বাগদাদে বিরাট পাঠাগার গড়ে তোলা হয়। যা পৃথিবীর ইতিহাসে সর্ববৃহৎ পাঠাগার হিসাবে সমৃদ্ধি রয়েছে।

আব্বাসী খেলাফতের সময় সাহিত্য সাংস্কৃতিকচর্চা: আব্বাসীয় খলিফাদের শাসন আমলেও সাহিত্য সাংস্কৃতির প্রতি মানুষের অনেক আগ্রহ দেখা যায়। দজলা নদীর তীরে বাগদাদ শহর অবস্থিত। সে বাগদাদ শহরেই ছিল তৎকালীন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম শিল্প-সাহিত্য জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রাণকেন্দ্র। মহান দার্শনিক ইমাম গাজ্জালী (র) ছিলেন তৎকালীন সাহিত্য-সংস্কৃতি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমান পারদর্শী। আব্বাসীয় খলিফা আল- মানসুরের শাসন আমলে ঐতিহাসিক গ্রন্থ সমূহের ব্যাপক অনুবাদ শুরু হয়। এছাড়াও অনেক বিদেশি সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক বই পুস্তক অনুবাদের নির্দেশ দেন।

উসমানী খেলাফতের সময়ও সাহিত্য সংস্কৃতি ব্যাপক চর্চা: উসমানী খেলাফতের প্রারম্ভিক সোলোমান শাহ থেকে শুরু করে শেষ সুলতান আবদুল আজিজসহ সকল গোত্র প্রধানরাই তাদের সকল মজলিসে সাহিত্য সাংস্কৃতির চর্চা করতেন। এমনকি খলিফা আব্দুল আজিজ নিজেই একজন চিত্রশিল্পী ছিলেন। একজন সাহিত্যিকের কাজ মানুষের সুপ্রবৃত্তিকে জাগিয়ে তোলা। মানব মনকে কল্যাণের দিকে উদ্দীপ্ত করা ও মানব-উদ্দীপনার আবহ তৈরি করা। সাহিত্য মানে কল্পলোকের বিস্তার বা সম্মোহনের স্বপ্নজাল নয়। যে সাহিত্য তার সম্মোহনী জালে আত্মবিলীনতার বীজ রোপণ করে, সে সাহিত্য সৎ ও প্রকৃত সাহিত্য নয়।

বাংলাদেশে সাহিত্য সাংস্কৃতিক আন্দোলনে ইসলামপন্থীদের ভূমিকা: ইসলামে যে সাহিত্য সংস্কৃতি আছে তা বাংলার মুসলমান প্রায় ভুলেই গিয়েছিল। বাংলা মুসলমানেরা যখন বিধর্মীয় তথা পশ্চিমা সংস্কৃতির জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিয়ে এ অপসংস্কৃতিকে নিজেদের সংস্কৃতি হিসাবে গ্রহণ করে নেয়। ঠিক তখনই ইসলামী সাহিত্য সংস্কৃতির ধারণা দিতে কলম ধরেন ষাটের দশকের আলোচিত কবি আল মাহমুদ। তার লেখনীর মাধ্যমে সাহিত্য সাংস্কৃতির পুনঃজাগরণ সৃষ্টি হয়। তারই ধারাবাহিকতা আশির দশকে এসে তা আরো বেগমান করেন ইসলামী সংস্কৃতির পুরোধা কবি মতিউর রহমান মল্লিক। তিনি এক ঝাঁক তরুণ কবিদের নিয়ে শুরু করেন সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক আন্দোলন। তাঁরা তাঁদের জীবনের মিশন-ভিশন হিসাবে সাহিত্য সংস্কৃতিকে বেঁছে নেয়। এদের মূলে ছিল মরহুম কবি মতিউর রহমান মল্লিক, মোস্তফা জামান আব্বসী, আবুল কাসেম মিঠুন, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি মোশাররফ হোসেন খান, কবি আসাদ বিন হাফিজ, কবি সোলাইমান আহসান প্রমুখ তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আলহামদুলিল্লাহ আজ বাংলাদেশে একটি সুস্থ ধারার সাহিত্য সংস্কৃতির পরিমণ্ডল গড়ে উঠেছে।

ব্যক্তিজীবনে সুস্থ সাহিত্য সাংস্কৃতির প্রভাব সংস্কৃতি তো জীবনের ক্ষেত্রে আরও ব্যাপক, আরও গভীর ও অতলস্পর্শী। শোভনীয়তা ও ঔদার্যে বিভূষিত। জীবনের সাফল্য ও ব্যর্থতার মাপকাঠি। মানুষ কিভাবে আল্লাহ ও তার রাসূল সা.-এর নির্দেশিত পথে জীবনের সাফল্য অর্জন করবে, তার চূড়ান্ত লক্ষ্য ‘ইনসানে কামিল’ হওয়ার পথে অগ্রসর হবে; সংস্কৃতি সেই পথের নির্দেশক। এককথায়, সংস্কৃতি হচ্ছে মানবজীবনের চূড়ান্ত সাফল্যের পাথেয়। দ্বীন ও দুনিয়ার মহত্তম সমন্বয়। এর ব্যাপকতাও জীবনের সব ক্ষেত্রে পরিব্যাপ্ত। যে যতো বেশি সংস্কৃতিমনা, সে ততই পরিশুদ্ধ, পরিচ্ছন্ন ও সফল মানুষ।

মানবজাতির মধ্যে পরম বিশুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন মানুষ হচ্ছেন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল হজরত মুহাম্মদ সা.। তিনি ছিলেন এক নয়া সংস্কৃতির নির্মাতা। শুদ্ধতা ও পরিচ্ছন্নতার এক দুর্লভ মহিমায় বিভূষিত। অথচ তার সমাজ ও সময়, তার যুগ ও প্রতিবেশ ছিল পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত। হজরত ঈসা (আ)কে আসমানে তুলে নেয়ার পর থেকে তার নবুওয়ত প্রাপ্তির আগ পর্যন্ত দীর্ঘদিনব্যাপী মানবসমাজ নিষ্পিষ্ট ছিল; পঙ্কিলতা, নির্মমতা, অস্বচ্ছতা, অসততা, অসাধুতা, পৌত্তলিকতা ও পেশিশক্তিমত্তার এক অসহনীয় অনাচার ও দুর্বৃত্তপরায়ণতায়। এ যুগসন্ধিক্ষণে তাঁর আগমন ঘটে। গোটা মানবমণ্ডলীর কল্যাণকামী হয়ে তিনি যখন দ্বীন প্রচারে লিপ্ত, শত বাধা-বিঘ্নের মধ্যেও তিনি ছিলেন অবিচল ও সুদৃঢ়। অথচ তার কোনো শিক্ষক ছিল না। তিনি জাগতিক কোনো পাঠ গ্রহণ করেননি। নবুওয়তের আগে প্রকৃতিই ছিল তার শিক্ষক। তার প্রজ্ঞা, তার বিচক্ষণতা, তার ঔদার্য, তার বিবেচনাবোধ তার সময় ও পরিবেশ থেকে তাকে স্বাতন্ত্র্য দিয়েছে। সেই সমাজের সম্মানিত ও মর্যাদাবান পুরুষ হিসেবে, পরিশুদ্ধ ও পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে দুর্লভ সম্মানে তিনি সম্মানিত হয়েছেন। ভাষার শুদ্ধতা, সাংস্কৃতিক পরিচ্ছন্নতা ও মানসিক ঔজ্জ্বল্যে তিনি ছিলেন এক মহিমান্বিত মানুষ। নবুওয়ত লাভের পর স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার শিক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সে ক্ষেত্রেও তিনি এক প্রজ্ঞাবান, দূরদর্শী, সুবিবেচক, ভারসাম্যপূর্ণ ও পরিপূর্ণ মানুষ। জীবনের কোনো কালিমা তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। পৃথিবীর অগ্নিকুণ্ড থেকে তার মতো এমন অক্ষত অবস্থায় মুক্ত থাকা জীবন মানব ইতিহাসে বিরল। তাই সাহিত্য-সংস্কৃতির মতো জীবনবোধে নিবিষ্ট ও মানুষের সহজাত এবং আত্মলগ্ন জীবনাচরণের সমন্বয়ক উপাদান দুটিও তার স্পর্শে পল্লবিত হয়েছে। তিনি বলতেন, ‘আমি শুদ্ধতম আরব, কেননা কোরাইশদের ভেতর আমার জন্ম। কিন্তু আমি আমার শৈশব কাটিয়েছি সাদ বিন বকর গোত্রে। তার যুগও ছিল কবিতার ছন্দ-উপমা, শব্দ-উৎপ্রেক্ষা ও বাণী-রূপকল্পে প্লাবিত।

সমাজজীবনে সুস্থ ধারার সাহিত্য সাংস্কৃতির প্রভাব: সাহিত্য সংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে সমাজ গড়ে ওঠে। মানুষের চালচলন, আচার ব্যবহার, কথাবার্তা, খাওয়া দাওয়া, পোশাক পরিচ্ছদ সবই তাদের সাহিত্য সাংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। আরবদের জীবন ও জীবিকা, স্বপ্ন ও বাস্তবতা, আশা ও আনন্দ, শত্রুতা ও মিত্রতার বাহন ছিল কবিতা। কবিতা ছিল তাদের ইতিহাস, তাদের বিজ্ঞান, তাদের সংস্কৃতি ও তাদের সভ্যতা। এক কথায় তৎকালীন আরবে কবি ও কবিতা বহুল প্রচলিত ও চর্চিত একটি বিষয় ছিল। আরবের মানুষের মন ও মনন, আরবের পথ ও প্রান্তর কবি ও কবিতার দ্বারা মেঘমালার মতো আবৃত ছিল। সেই কাব্যপ্লাবী সমাজের একজন প্রাগ্রসর ও শুদ্ধভাষী মানুষ হয়েও রাসূলুল্লাহ সা. নবুওয়তের আগে কোনো কবিতার আসরে যোগ দেননি। যে দু’একবার যোগ দিতে আগ্রহী হয়েছেন, অলৌকিকভাবে পথিমধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছেন বা অন্যভাবে ফিরে এসেছেন। তারপরও যখন তার ওপর নবুওয়তের আসমানি গুরুদায়িত্ব অর্পিত হলো, তখন তাকে শত্রুপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হলো ‘কবি’ এবং তার ওপর নাজিলকৃত কিতাব আল-কোরআনকে বলা হলো ‘কবিতা।’ আল কোরআনই এর প্রতিবাদে সোচ্চার হলো। বলা হলো, ‘আমি রাসূলকে কাব্য রচনা করতে শিখাইনি এবং তা তার জন্য শোভনীয়ও নয়। এ তো কেবল এক উপদেশ এবং সুস্পষ্ট কোরআন।’ (সূরা ইয়াসিন : ৬৯) এরপরও ইসলামের সৌন্দর্য ও মহিমার বিরুদ্ধে প্রচারে আরও অনেক কিছুর মতোই কাফের-মুশরিকরাও সাহিত্য সাংস্কৃতিকে ব্যবহার শুরু করেছে। কাফের মুশরিকদের বিখ্যাত কবি আবু সুফিয়ান, ইবনুল হারিস, আব্দুল্লাহ প্রমুখ তাদের কবিতার মাধ্যমে তারা ইসলামের অপপ্রচার চালাতেন। এবং সৈন্যদেরকে যুদ্ধের জন্য অনুপ্রাণিত করতেন। মুসলমানদের বিরুদ্ধে জেগে ওঠার জন্য কবিতার মাধ্যমে জাগিয়ে তুলতেন।

সাহিত্য সংস্কৃতি মানুষের মনে আলোড়ন সৃষ্টি করে, দোলা দেয়, দেয় অজানাকে জানার আগ্রহ, অচেনা চেনার আগ্রহ, নিজেকে চেনার স্পৃহা। সাহিত্য-সংস্কৃতির গুরুত্ব বুঝাতে একটি উপমা আপনাদের সামনে পেশ করতে চাই। আপনি যদি কোন বদ্ধ জলাশয়ে ছোট এক টুকরো পাথর নিক্ষেপ করেন দেখবেন ঐ ছোট পাথর টুকরোটি পুরো জলাশয়টিকে নাড়িয়ে দিল। ঠিক তেমনি একটি ছোট ছড়া বা কবিতা একটা জাতিকে নাড়িয়ে দিতে পারে, জাতিকে পৌঁছে দিতে পারে জাতির আশা আকাক্সক্ষার সর্বোচ্চ মনজিলে। তাই বলতে চাই একটি আদর্শিক বিপ্লবের জন্য একটি আদর্শিক সাহিত্যভাণ্ডার অত্যন্ত জরুরি।

লেখক : সহকারী সম্পাদক, প্রেরণা

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির