post

গোলাম আযম উত্তর বাংলাদেশ, সন্তানের দোয়া ও একটি বহুমাত্রিক বিশ্লেষণ

৩০ অক্টোবর ২০১৪

 মুজিবুর রহমান মঞ্জু

Golam-Azomমগবাজারস্থ কাজী অফিস লেন মসজিদের পারিবারিক কবরস্থানে গোলাম আযম এখন স্থায়ী অধিবাসী। তিনি যতদিন জীবিত ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতির আলোচনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ হিসেবেই বেঁচে ছিলেন। তাঁর প্রস্থান তাঁকে বাংলাদেশের রাজনীতির আরও বেশি মৌলিক অবস্থানে স্থান করে দিয়েছে যা আজ ইতিহাসের অংশ। গোলাম আযম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) জিএস ছিলেন, ভাষা আন্দোলনের তাঁর ঐতিহাসিক ভূমিকা ছিল (রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে তাঁর স্বাক্ষরে প্রথম স্মারকলিপি দেয়া হয়), ভাষা সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়ায় তিনি কারা নির্যাতন ভোগ করেছিলেন। কর্মজীবনে এসে তাবলিগ জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের পর ক্রমান্বয়ে জামায়াতেরও শীর্ষ (আমীর) অবস্থানে আরোহণ করেন। বাংলাদেশ-পূর্ব সকল আন্দোলন সংগ্রামে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতীয় নেতা হিসেবে। মাঝখানে ’৭১-এর রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং সশস্ত্রযুদ্ধে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান এবং ভূমিকা নিয়ে তিনি হয়েছেন প্রশ্নবিদ্ধ। স্বাধীন বাংলাদেশে তাঁর রাজনৈতিক শত্রুরা তাঁকে স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রধান হিসেবে চিত্রায়িত করেছে। গণমাধ্যম তাঁকে রাজাকার-আলবদরের মূল হোতা, কপট চরিত্রের সিম্বল হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। জীবদ্দশায় তিনি তাঁর ’৭১-এর ভূমিকা সম্পর্কে বহুবার কথা বলেছেন। বর্ণনা করেছেন আওয়ামী লীগ তথা ভারত ব্লগীয় রাজনীতির সাথে তাঁর মতবিরোধের পূর্বাপর ইতিহাস। স্পষ্টভাবে স্বীকার করেছেন মুক্তিযুদ্ধ কালীন রাজনৈতিক বিরোধী মতে স্বীয় অবস্থানের কথা। পাশাপাশি দৃঢ়তার সাথে চ্যালেঞ্জ দিয়ে অস্বীকার করেছেন তাঁর এবং জামায়াতের কোনো ধরনের হত্যা, সন্ত্রাস এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ। ‘৭১ বিষয়ক রাজনীতিতে গোলাম আজমের সহজ সরল স্বীকারোক্তি-অবস্থান এবং সেই নীতিতে অটল থাকা’ তাঁকে চিরদিন এক অবর্ণনীয় অপবাদের অংশীদার করেছে। তাই স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে গোলাম আযমকে চরম বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে। তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছিল, তিনি দীর্ঘ সময় প্রবাসে মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। দেশে ফিরে আসার পর থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গোপনে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরবর্তীতে তাঁকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে তিনি তাঁর নাগরিকত্ব ফেরত পান। ’৯০ এর গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে তিনি কেয়ারটেকার সরকারের ফর্মুলা দিয়ে গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথনির্দেশ করেন যা এখনও বাংলাদেশের রাজনীতিতে মূল ইস্যু হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। গোলাম আযম যেখানেই রাজনৈতিক সভা করতে গিয়েছেন সেখানেই তাঁর সভা বানচাল বা প্রতিহত করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। চরম এই প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে গোলাম আযম তাঁর দলকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়েছেন। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে কখনো বিএনপি কখনো মূল প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ এর সাথে যুগপৎ কিংবা জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। ফলে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা এবং জিয়া পতœী খালেদা জিয়া উভয়েরই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক স্মৃতি আছে গোলাম আযমের সঙ্গে। গোলাম আযম শুধু দলের শীর্ষ নেতাই ছিলেন না, তিনি তাঁর অনুসারীদের আদর্শিক শিক্ষকও ছিলেন। তাঁর রচিত বিপুল সাহিত্য ও পুস্তকাদি দলের কর্মীদের সাথে তাঁকে ছাত্র-শিক্ষকের  নৈতিক বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। শুধু তাঁর দলের লোকজনই নন, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অনুসারীদের মধ্যে যাদের পাঠ্যাভ্যাস আছে তাদের প্রায় সকলের বুকশেলফ খুঁজলে গোলাম আযমের দু-চারটি বই খুঁজে পাওয়া যাবে এটা নিশ্চিত। তিনি তাঁর কর্মীদের কাছে ছিলেন আধ্যাত্মিক গুরু সমতুল্য। তাঁর পেছনে নামাজ পড়বার জন্য, তাঁর খুতবা শোনার জন্য প্রতি জুমা নামাজে তাঁর মসজিদে বিশেষ সমাগম হতো। গোলাম আযমের মসজিদে এসে তাঁর মাধ্যমে বিয়ে (আকদ) পড়িয়ে সংসার জীবন শুরু করার এক বিশেষ আগ্রহ তাঁর অনুসারীদের মধ্যে লক্ষ্য করা যেত। ফলে তাঁর মত এত বিয়ে (আকদ) জীবনে কোনো নেতা তো দূরের কথা কোন আলেমও পড়িয়েছেন কি না সন্দেহ আছে। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয় হল প্রতিকূলতার পাহাড় ডিঙিয়ে তাঁর দলকে তিনি একাধিকবার ক্ষমতার অংশীদারিত্ব পর্যায়ে নিতে পেরেছিলেন। দল যখন অনুকূল পরিস্থিতিতে উপনীত সবাইকে অবাক করে দিয়ে তখন তিনি স্বেচ্ছায় দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন উত্তরসূরিদের হাতে। বাংলাদেশ তথা বিশ্বময় কোনো রাজনৈতিক দলের এরকম মৌলিক নেতার জীবদ্দশায় দলের সুদিনে শীর্ষ দায়িত্ব অনুসারীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া, দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পরও দল এবং কর্মীদের কাছে এত বিপুল জনপ্রিয় থাকার নজির খুবই বিরল। জীবন সায়াহ্নে গোলাম আযমকে যুদ্ধাপরাধী এবং ’৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ৯০ বছরের আমৃত্যু জেল দিয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল। যে বিশেষ আদালত বা ট্রাইব্যুনাল তাঁকে এ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে সে আদালতের কর্মকাণ্ড, প্রক্রিয়া ও বৈধতা নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যথেষ্ট আপত্তি উঠেছে। ইতোমধ্যে স্কাইপ কেলেঙ্কারি, বিচারের রায় আগেই ফাঁস হওয়া, আদালতের সামনে থেকে সাক্ষী অপহরণ, শাহবাগ আন্দোলনের মাধ্যমে আইন সংশোধনসহ নানা বিতর্কিত কারণে দেশের গণমানুষ এই রায় নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছে। গোলাম আযম কি সত্যিই অপরাধী ছিলেন! নাকি তাঁকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে নির্মম জুলুম করা হয়েছে তা আপিলেট ডিভিশনে চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হওয়ার আগেই তিনি পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। তাই গোলাম আযমের ’৭১ সম্পর্কিত ভূমিকা এবং তাঁর দায় এখনও জাতির কাছে অনিষ্পন্নই রয়ে গেল। গোলাম আযমের মহাপ্রস্থানে তাঁর প্রতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানুষের যে আবেগ এবং শোক-সহমর্মিতা প্রকাশ পেয়েছে তা নিঃসন্দেহে নতুন এক অধ্যায়। গোলাম আযমকে নিয়ে দেশ-বিদেশে যে মাতম তাতে নিজ দলের নেতারাও অবাক হয়েছেন। গোলাম আযমের জানাজায় বাস-ট্রাক ভাড়া করে লোক আনার কোন দৃশ্য দেখা যায়নি (জামায়াত যেটা রাজনৈতিক সভা আয়োজনে বিভিন্ন সময় করে থাকে)। সেরূপ কিছু হলে বিরূপ মিডিয়ার শত শত ক্যামেরার বদৌলতে সে দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য আমাদের হতো। গণমাধ্যম গোলাম আযমের প্রয়াণ আনুষ্ঠানিকতায় যে খুঁত খুঁজে পেয়েছে তা হলো অন্যকোন উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক মিত্র বা সিভিল সোসাইটির বিশিষ্টজনদের তাঁর জানাজায় অনুপস্থিতি। এই অনুপস্থিতির আসল কারণ কী? গোলাম আযমের প্রতি অশ্রদ্ধা না মিডিয়ার বিরূপ প্রচারণার ভয়ে এড়িয়ে যাওয়া? আমি এরকম বহু বিশিষ্ট নাগরিকদের জানি যারা গোলাম আযমকে ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধা করেন, জীবনে বহুবার তাঁর সাথে একান্তে সাক্ষাৎও করেছেন কিন্তু, তাঁরা গোলাম আযমের জানাজায় উপস্থিত হতে সাহস করেননি। কেউ কেউ আন্তরিকভাবে এটাও চেয়েছেন যে গোলাম আযমের শেষ বিদায়টা যেন বর্ণাঢ্য হয়। খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতারা গোলাম আযমের সাথে মিটিং-সভা কি কম করেছেন? কিন্তু আজ তাঁরাও সমালোচনা মোকাবেলার ভয়ে শোক প্রকাশে বিরত থেকেছেন। বাংলাদেশে রাজাকার, আলবদরের দোসর বা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে সিল এঁটে দেয়া একটি দারুণ রাজনৈতিক কৌশলগত অস্ত্র। যে কেউ এই অস্ত্রকে ভয় পায়। হোক তিনি সেক্টর কমান্ডার, বীর উত্তম, বীরবিক্রম বা যেকোনো পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধা। এ কথা সবাই জানে, এই অস্ত্রের সর্বশেষ শিকার হয়েছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের উপ-অধিনায়ক এ কে খন্দকার বীর উত্তম এবং খোদ সরকারেরই আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। একজন খ্যাতিমান মুক্তিযোদ্ধা একবার ঘরোয়া আলোচনায় আক্ষেপ করে তাই বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যদি আজ বেঁচে থাকতেন এবং নীতি বা যুক্তির প্রশ্নে তাঁর কোনো কথা বা বক্তব্য যদি গোলাম আযম বা তাঁর দলের পক্ষে যেত তাহলে এই তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি! তাঁকেও (বঙ্গবন্ধুকে) হয়তো রাজাকার বানিয়ে ফেলত।’ আমি মনে করি গোলাম আযম বিরোধীদের সাফল্য ও ব্যর্থতা এই একই চক্রে ঘুরপাক খেয়েছে। গোলাম আযম বিরোধী প্রচারণায় তাঁরা সফল এ কারণে যে গোলাম আযমের প্রতি সহমর্মী বৃহৎ রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট নাগরিকগণকেও তারা সে ভীতির শিকারে পরিণত করতে পেরেছেন। অপর দিকে তাদের এই কৃত্রিম বাড়াবাড়ি মূলক প্রচারণা গোলাম আযমের প্রতি সাধারণ মানুষের আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে হাজার গুণ। গোলাম আযম সম্পর্কে জানা, জানতে গিয়ে তাঁর অনুসারী হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দিন দিন বেড়েছে। এর পাশাপাশি মুখে গোলাম আযম বিরোধী হলেও ভেতরে ভেতরে গোলাম আযমের প্রতি সহমর্মী সুধী-বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর বিকাশ ঘটেছে উল্লেখযোগ্য হারে। তাই তারা আজ নিজেরাই নিজেদের প্রতি সন্দেহপ্রবণ। শহীদ মিনারে নয়জন বিশিষ্ট নাগরিককে সম্প্রতি নিষিদ্ধ করা এবং তা নিয়ে পরবর্তী প্রতিক্রিয়াই তার উজ্জ্বল প্রমাণ। গোলাম আযমের গৌরবজনক শেষ বিদায়ের আক্ষেপ হয়তো বহুদিন তাড়িয়ে বেড়াবে তাঁর বিরুদ্ধ পক্ষকে। ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে তাঁকে তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ শক্তির প্রতীক হিসেবে দাঁড় করাতে সক্ষম হলেও গোলাম আযম ডাকসুর জিএস ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে তাঁর মৌলিক অবদান এবং তিনি ছিলেন কেয়ারটেকার ফর্মুলার জনকÑ এই স্বীকৃতিগুলোকে তারা ইতিহাস থেকে কখনো মুছতে পারেননি। ঠিক তেমনি গোলাম আযমের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দেশের প্রাণকেন্দ্রে, আনাচে-কানাচে, বিশ্বময় যে জনস্রোত হৃদয়ের ছাপ রেখে গেছে ইতিহাসের আর্কাইভ থেকে তা কি কোন পার্থিব শক্তি কখনো মুছতে পারবে? গোলাম আযমের পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী তাঁর কফিন কাঁধে বহন করে তাঁকে কবরস্থ করেছেন তাঁর সন্তান, দৌহিত্র এবং তাঁর শিক্ষার উত্তম অনুসারী ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রাক্তন সভাপতি বৃন্দ। তাঁর সুযোগ্য সন্তান সাবেক উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল আমান আযমী দাফন শেষে আল্লাহর যে দোয়া করেছেন তাতে বুক ভাঙা কান্নায় হাত তুলে শামিল হয়েছেন সবাই। পরম করুণাময়ের কাছে তাঁর কায়মনোবাক্যে সর্বশেষ আর্তি ছিল, “যারা আমার বাবার বিরোধিতা করেছেন হে আল্লাহ তুমি তাদেরকে আমার বাবা সম্পর্কে জানার, তাঁর সাহিত্য পড়ার তাওফিক দাও। তাদের উত্তরসূরিরা যেন তাদেরকে ভবিষ্যতে এজন্য দায়ী করে। গোলাম আযমের স্বপ্ন ছিল এ দেশে ইসলামী বিপ্লব হবে, তাঁর বিরোধীদের সন্তান ও উত্তরসূরিদের দ্বারা তুমি তা বাস্তবায়ন করে দিও... আমিন। আমার কাছে এই প্রার্থনাকে খুব তাৎপর্যপূর্ণ মনে হয়েছে। নীতি, যুক্তিবোধ এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিসর্জন দিয়ে গোলাম আযম বিরোধীদের অতীত ও বর্তমান কর্মকাণ্ড যদি এভাবেই ক্রিয়াশীল থাকে- আপনারাই বলুন তাহলে তাঁর (গোলাম আযম) সন্তান যে দোয়া করেছেন, গোলাম আযম-উত্তর বাংলাদেশে যদি সত্যি সত্যি তা বাস্তবায়ন হয় তাহলে আশ্চর্য হওয়ার কোন কারণ থাকবে কি? লেখক : সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির