post

জ্ঞানের লড়াই এবং একটি খসে পড়া তারা

১১ নভেম্বর ২০১৩

ড. আহসান হাবীব ইমরোজ

“And He taught Adam the nature of all things; then He placed them before the angels, and said:---Bow down to Adam;" (Baqarah-31-34)

মিল্লাতে ইবরাহিম বা আবরাহাম রিলিজিওনের প্রধান তিনটি ধারা মুসলিম, খ্রিষ্টান আর ইহুদিদের অনুসারীর সংখ্যা পৃথিবীতে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৫ শতাংশ। ১৪ শতাংশ নাস্তিক বা নন-রিলিজিওন বাদ দিলে বাকি সব ধর্মের অনুসারী হচ্ছে মাত্র ৩১ শতাংশ। এই মিল্লাতে ইবরাহিমের সকলের এক সাধারণ বিশ্বাস আদম-হাওয়া বা এডাম-ইভের মাধ্যমেই পৃথিবীতে মানব সভ্যতার সূচনা। আর সেই বিশ্বাস বলে, সৃষ্টির শুভ-সূচনাতেই পরম প্রভু শিক্ষক হয়ে প্রথম মানব আদমকে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সূত্রপাত ঘটান। আর এ শিক্ষায় সর্বোচ্চ সফলতার কারণে আদম (আ) এবং তার বংশধর সমগ্র মানবজাতি হলো আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব।

জ্ঞান মুসলিমদের হারানো সম্পদ ৮৫৯ সালে মরোক্কোর ফেজ নগরীতে ফাতেমা ফিহরি ও মরিয়ম নামক দুবোন ‘Al-Karaouine UniversityÕ (in the Guinness Book of World Records as the world’s oldest continuously operating degree-granting university.) নামক বিশ্বের সর্বপ্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। অতঃপর ৯৭২ সালে মিসরের আল আজহার ১০৬৫ সালে নিজামিয়া ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার পর ইউরোপের প্রথম ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১০৮৮ সালে ইতালির বেলাগোনাতে যেটি মুসলিমদের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় ২৩০ বছর পরের কথা। মুসলিমরা ৭৫১ সালে বিশ্বে সর্বপ্রথম কাগজের মিল প্রতিষ্ঠা করেন সমরকন্দে এর ৪০০ বছর পর ১১৫০ সালে তাদের দ্বারাই ইউরোপের প্রথম কাগজের মিল প্রতিষ্ঠিত হয়। ইউরোপের নুরেমবার্গে খ্রিষ্টানরা নিজেদের উদ্যোগে প্রথম কাগজের মিল প্রতিষ্ঠা করে মুসলিমদের ৬৪০ বছর পর। ৮০৫ সালে সর্বপ্রথম আধুনিক হসপিটাল প্রতিষ্ঠা করেন এর ২৬১ বছর পর নর্মানরা ১০৬৬ সালে ব্রিটেনের প্রথম হসপিটাল প্রতিষ্ঠা করে। সেই নবম শতাব্দীর সূচনায় স্পেনের আন্দালুসিয়ায় আব্বাস ইবনে ফিরনাস প্রথম ফ্লাইং মেশিন নিয়ে উড়াল দেন এর ১১শত বছর পর সেই প্রেরণাতেই ধাপে ধাপে উন্নত হয়ে ১৯০৩ সালে আমেরিকার রাইট ব্রাদার্স উড্ডয়ন মেশিন নিয়ে আকাশে সফল উড্ডয়ন সম্পন্ন করেন। এ ছাড়াও প্রায় ১০০১টি মৌলিক বিষয় যা মুসলিমরা আবিষ্কার করেছে। 1001 Inventions is an award-winning international educational project dedicated to the history of science and technology in Muslim civilization during the period known as the Golden Age. The 1001 Inventions project was created by the Manchester-based non-profit Foundation for Science, Technology and Civilisation.1001 Inventions was launched in 2006 with a traveling exhibition at the Manchester Museum of Science and Industry and an accompanying hardback book. This first exhibition then went on to tour the United Kingdom, visiting Birmingham Thinktank, Glasgow Science Centre, the British Parliament in London, the European Parliament in Brussels and at the United Nations in New York.Then at the National Geographic Museum in Washington, DC. The exhibition were attracted more than 400,000 to 500,000 visitors. অর্থাৎ এ সকল চিত্র থেকে বোঝা যায় বিশ্ব সভ্যতার গোড়াপত্তন করেছিলেন মুসলিমরা। কিন্তু আজ? গত ৫০০ বছরে সে অবস্থা একেবার উল্টে গেছে। মাত্র একটি ঘটনা থেকেই এর সার্বিক পরিবর্তন অনুধাবন করা যায়। ১৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ২২ বছর সময়ে মোগল সম্রাট শাহজাহান ২০ হাজার শ্রমিক কাজে লাগিয়ে ৩২ মিলিয়ন রুপি বা ৪.৮ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে তাজমহল প্রতিষ্ঠা করেন। ঠিক কাছাকাছি সময়ে সুদূর আমেরিকায় ১৬৩৬ খ্রিষ্টাব্দে যোহান হার্ভার্ড মাত্র ৭৮০ ডলার এবং ৩২০টি বই দিয়ে যে কলেজটির যাত্রা শুরু করেন তাই আজকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ড নামে খ্যাত। শুধুমাত্র এর জীবিত সাবেক ছাত্রের সংখ্যা বিশ্বের ২০২টি দেশে প্রায় ৩ লাখ ২৩ হাজার জন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ৮ জন এবং নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ৭৫ জন। বর্তমানে ২১০ বর্গ একরে প্রতিষ্ঠিত এই বিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদের পরিমাণ ৩২ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা। এর লাইব্রেরিতে বইয়ের সংগ্রহ প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ। জ্ঞানবিজ্ঞানের লড়াইয়ে এক সময়কার বিশ্বসেরা মুসলিমদের চরম বিপর্যয়কর একটি যুগসন্ধিক্ষণেই বাংলাদেশে শহীদ আবদুল মালেকের জন্ম হয়। এখন সে বিষয়েই কিছুটা আলোকপাত করছি। ‘একটা তারা খসে পড়লো। খসে পড়লো আকাশ থেকে।... উহ, কী ভীষণ যুদ্ধ। তারায় তারায় যুদ্ধ। আকাশের বুক কেঁপে উঠছে। হঠাৎ ...হঠাৎ একটা তারা খসে পড়লো তার কোলে। চমকে উঠেছিলেন তিনি। ঘুম ভেঙে গিয়েছিল শহীদ আবদুল মালেকের আম্মার।’ শহীদ আবদুল মালেক গর্ভে থাকা অবস্থায় দেখা অদ্ভুত এ স্বপ্নের তাৎপর্য তখন বুঝতে পারেননি তার মহীয়সী আম্মা। তবে এটিই ছিল সমাগত সন্তানের ব্যাপারে মায়ের মনে প্রথম ব্যাপকতর উপলব্ধি। মাত্র ২২ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনে প্রোজ্জ্বল তারকার মতোই অকালে খসে পড়েছিলেন শহীদ আবদুল মালেক।

কে এই আবদুল মালেক আবদুল মালেকের জন্ম, ব্রিটিশ বেনিয়াদের হাত থেকে দুইশত বছরের গোলামির জিঞ্জির মুক্ত হওয়ার ঊষালগ্নে ১৯৪৭ সালের মে মাসের সুন্দর এক দিনে। বগুড়া জেলার ধুনট থানার খোকসাবাড়ী নামক সবুজ-শ্যামল এক গ্রামে। পরে তার পরিবার পাশের গোসাইবাড়ী গ্রামে বসবাস শুরু করে। পাঁচ ভাই ও ছোট এক বোন নিয়ে ছিলো তাদের পরিবার। শহীদ আবদুল মালেক ছিলেন ভাইদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ, আর বোনটি সবার ছোট। তাদের আব্বা মুন্সী মোহাম্মদ আলীর আর্থিক অবস্থা সচ্ছল ছিলো না। শহীদের আম্মা ছাবিরুননেসা একজন ধর্মপরায়ণ মহিলা ছিলেন। সেই ছোটবেলা থেকেই সুযোগ্য পিতা-মাতা তাদেরকে ইসলামের মৌলিক জিনিসগুলো শিক্ষা দিতেন। এমনকি নিজ হাতে তাদেরকে অজু করিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করাতেন। প্রত্যহ সকালে নামাজের পর তাদেরকে নিজেরা আরবি শেখাতেন। আবদুল মালেকের জন্মের পূর্বে পরপর দু’টি ভাইয়ের মৃত্যু এই পরিবারকে কাঁদিয়ে ছিলো। তাই ছোটবেলা থেকেই পরিবারের সকলের কাছ থেকে তিনি পেয়েছিলেন অকৃত্রিম আদর ও ¯েœহ। তিনি ছিলেন পিতা-মাতা ও ভাইদের কাছে কলিজার টুকরো, চোখের মণি।

মেধাবী ও সংগ্রামীর সত্তার বিকাশ শহীদ আবদুল মালেকের গ্রাম থেকে প্রায় চার মাইল দূরে গোসাইবাড়ী হাইস্কুল। গ্রামের পথ-ঘাট ছিল খুবই খারাপ। স্কুলের এই দীর্ঘ পথ তাকে হেঁটে যেতে হতো; এমনকি বর্ষার দিনেও। নিতান্তই শিশু এই ছেলের পক্ষে যা সত্যিই ছিল কষ্টদায়ক। কিন্তু অনেক বড় হওয়ার প্রত্যয় ছিল তার, তাই কোনো কষ্টেই তিনি ক্ষান্ত হননি। এদিকে সব ক্লাসের পরীক্ষায় তিনি প্রথম হতে লাগলেন। তা ছাড়া তার চরিত্রের দৃঢ়তা, সত্যবাদিতা, বিনয়, সরলতা সবকিছু স্কুলের ছাত্র-শিক্ষকদের দৃষ্টি আর্কষণ করলো। এরপর তার জীবন কাটে জায়গিরে, হোস্টেলে, হলে ও বাড়ির বাইরে বগুড়া, রাজশাহী এবং ঢাকায়। তার লজিংমাস্টার মৌলভী মহিউদ্দিন সাহেব এক সেমিনারে বিশিষ্ট চিন্তাবিদ মাওলানা আব্দুর রহীম আলোচিত ‘মানুষের জীবনের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত’ বিষয়টি শুনে এসে বাড়ির সকলকে আবার বোঝাচ্ছিলেন। স্বভাবসুলভ অনুসন্ধিৎসায় আবদুল মালেক প্রশ্ন করেছিলেন ‘চাচা, এ পথের সন্ধান কিভাবে পাওয়া যায়? সেই ছেলেবেলা থেকেই তার মাঝে দেখা যেতো বই পড়ার প্রবল ঝোঁক। বই পড়তে পড়তে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়তেন। মা আলতো আদরে সে বইগুলো গুছিয়ে রাখতেন। বড় ভাইদের বইপত্র, মহিউদ্দিন সাহেবের কাছ থেকে নেয়া বই, পত্রপত্রিকা এবং স্কুল-লাইব্রেরি থেকে বই পড়ে তিনি তার জ্ঞানের পরিধিকে আস্তে আস্তে সমৃদ্ধ করছিলেন। ইতোমধ্যে ১৯৬০ সালে তিনি জুনিয়র স্কলারশিপ পান। ১৯৬১ সালে তিনি বগুড়া জেলা স্কুলে নবম শ্রেণীতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। মাত্র ১৪ বছরের এক কিশোর। সবুজ শ্যামল গাঁয়ের মায়া কাটিয়ে, আব্বা-আম্মা, ভাই-বোনদের আদরের জাল ছিঁড়ে একা শহরের বুকে দিন কাটায়। কী দুরন্ত আশা তার বুকে। ভাবতেই অবাক লাগে। বগুড়ায় এসে আব্বার কাছে চিঠি লিখেন : ‘বাড়ির কথা ভাবি না, আমার শুধু এক উদ্দেশ্য, খোদা যেন আমার উদ্দেশ্য সফল করেন। কঠিন প্রতিজ্ঞা নিয়ে এসেছি এবং কঠোর সংগ্রামে অবতীর্ণ, দোয়া করবেন খোদা যেন সহায় হন। আমি ধন-সম্পদ কিছুই চাই না, শুধু মাত্র যেন প্রকৃত মানুষরূপে জগতের বুকে বেঁচে থাকতে পারি।’ ২০ ডিসেম্বর ১৯৬১ সালে ছোট্ট পোস্টকার্ডে লেখা নবম শ্রেণী পড়–য়া এক কিশোরের সামান্য কয়েকটি কথা কিন্তু ঠিক কতটা এর ব্যাপ্তি ও দীপ্তি, পরবর্তী জীবনে তিনি তার স্বাক্ষর রাখেন। ১৯৬৩ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার পরপরই মালেক চিরতরে বঞ্চিত হন পিতৃ¯েœহ থেকে। তবুও সে পরীক্ষায় অঙ্ক ও রসায়নে লেটারসহ রাজশাহী বোর্ডে একাদশ স্থান অধিকার করেন। শহীদ আবদুল মালেক ভর্তি হলেন রাজশাহী সরকারি মহাবিদ্যালয়ে। জীবনের সমস্ত সমস্যা সমাধানের তীব্র অনুভূতিই তাকে প্রচুর বই পড়ার প্রেরণা জোগায়। এমন সময় তিনি আল্লামা ইকবালের ১৯৩০ সালে প্রকাশিত ‘The Reconstruction of Religious Thought in Islam’ এর দর্শনতত্ত্বে ভরা বইটাও পড়েছিলেন। যেটি মূলত আল্লামা ইকবাল কর্তৃক মাদ্রাজ, হায়দরাবাদ এবং আলীগড়ের চিন্তাশীল সুধীদের উদ্দেশে দেয়া বক্তৃতামালার সঙ্কলন। এই বুদ্ধিবৃত্তিক বইটিকে আধুনিক সময়েও একটি ‘মেজর ওয়ার্ক’ হিসেবে ধরা হয়। যেটি তার মনোজগতে প্রচণ্ড আলোড়ন তুলে। বইটির বিশ্বব্যাপী প্রভাবও ব্যাপক। নিজেদের সময়ে এমনকি নিজ জীবনে এই বইটির অনবদ্য প্রভাব স্বীকার করেছেন ইরানের সামাজিক আন্দোলনের পুরোধা এবং ইরান বিপ্লবের অন্যতম রূপকার আলী শরিয়তী এবং সমসাময়িক বিশ্বে ইসলামী পুনর্জাগরেণের অন্যতম নায়ক তারিক রামাজান। যিনি বিশ্ববিখ্যাত ফরেন পলেসি ম্যাগাজিন (Foreign Policy Magazine) কর্তৃক বিশ্বসেরা ১০০ চিন্তাবিদদের তালিকায় ২০০৮, ২০০৯ ও ২০১০ সালে ছিলেন এবং ২০১২ সালে অষ্টম অবস্থানে আছেন। মজার বিষয়, তিনি হচ্ছেন বিংশ শতাব্দীর পৃথিবীর সাড়া জাগানো ইসলামী আন্দোলন ইখওয়ানুল মুসলিমিনের প্রতিষ্ঠাতা মুরশিদে আম হাসান আল বান্নার বড় মেয়ে ওয়াফা আল বান্না এবং হাসান আল বান্নার অন্যতম অনুসারী সাইয়েদ রামাজানের ছেলে। এ থেকেই বোঝা যায় জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে জানার জন্য শহীদ মালেকের কী দুরন্ত ইচ্ছা ছিলো, কী দুর্নিবার চেষ্টা ছিল। ঠিক এমনি সময় তার পরিচয় ঘটে এক বিপ্লবী কাফেলার সাথে। ইসলামের বিপ্লবী বাণীকে ছাত্রদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার কাজ করছিলো তখন ইসলামী ছাত্রসংঘ। এ দিকে ক্লাসের পড়াশোনায় তার সুনাম ঠিকই থাকলো। তিনি ১৯৬৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী বোর্ডে চতুর্থ স্থান অধিকার করলেন। এবার এলেন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রাণরসায়ন বিভাগে প্রথম বর্ষে ভর্তি হলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় ৩৬ বছর পর এই বিভাগটি প্রতিষ্ঠিত হলেও এটি অত্যন্ত মর্যাদাবান বিভাগ হিসেবে পরিচিত ছিল। তৎকালীন বাংলাদেশের বিখ্যাত প্রাণরসায়ন বিজ্ঞানী প্রফেসর কামালউদ্দীন আহমদ এ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ছিলেন। এই বিভাগের আবদুল মালেকের সমসাময়িক কালের ছাত্ররা দুনিয়াবী ক্যারিয়ারের কী পর্যায়ে আছে অনুধাবনের জন্য ভিন্ন মেরুর হলেও ড. নুরুননবী যিনি আমেরিকায় অবস্থানরত বিখ্যাত বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ও কাউন্সিলর এবং ড. আনোয়ার হোসেন যিনি বর্তমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি তাদের কথা চিন্তা করা যেতে পারে। আবদুল মালেক ১৯৪০ সালে অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ফজলুল হকের নামে প্রতিষ্ঠিত ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। এ হলের প্রতিষ্ঠাতা প্রভোস্ট ছিলেন জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এবং সে সময় প্রভোস্ট ছিলেন ড. মীর ফখরুজ্জামান। (চলবে)

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির