post

মিডিয়া সন্ত্রাসের শিকার ছাত্রশিবির

১২ জুন ২০১৩

হিটলারের প্রচারমন্ত্রীর নাম ছিল গোয়েবলস। তিনি বলেছিলেন, “একটি মিথ্যা কথাকে বারবার প্রচার করলে সত্যে পরিণত হয় এবং লোকেরা তা বিশ্বাস করে।” এটিই বর্তমানে বাংলাদেশের মিডিয়ার প্রধান মূলনীতি হিসেবে ব্যবহারিত হচ্ছে। যাকে আমরা মিডিয়া সন্ত্রাস হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারি। আর এ মিডিয়া সন্ত্রাসের প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। ছাত্রসংগঠনটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে সাধারন ছাত্রদেরকে  তাদের থেকে আলাদা করার নিরলস প্রচেষ্ঠা চালানো হচ্ছে। ছাত্র সংগঠনটির বিরুদ্ধে সাধারন জনগন ও প্রশাসনকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য দেশের বিভিন্ন লোমহর্ষক ঘটনার জন্য উক্ত সংগঠনটিকে দায়ী করে মিডিয়াগুলো অবিরাম একতরফাভাবে শতশত মিথ্যা রিপোর্ট, সম্পাদকীয় লিখে যাচ্ছে। করে যাচ্ছে মিথ্যা টক শো। এসব মিডিয়া সন্ত্রাসের কারণে পথে-ঘাটে প্রায়ই লাঞ্চিত হচ্ছে শতশত যুবক। বছরের পর বছর কারাভোগ করছে নির্দোষ লোকেরা। উদাহরণস্বরূপ ড.তাহের হত্যা মামলার আসামী হিসেবে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালযের ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী। প্রায় বছরখানেক কারাভোগের পর আদালতের রায়ে সালেহী বেকসুর খালাস পান। অথচ তথ্য সন্ত্রাসে নেতৃত্বদানকারী পত্রিকাটি এ ব্যাপারে একাধিক অসৎ ও উদ্দেশ্যমূলক সম্পাদকীয় লিখেছিল প্রশাসনকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য। সম্পাদকীয়গুলোর শিরোনাম ছিল নিম্নরূপ: সালেহীকে গ্রেফতার করুন, সালেহীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা!, তিনি রাবি ভিসি!। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির যখন ‘সিডর’ ও ‘আাইলা’ দুর্গত এলাকায় গিয়ে দুর্গতদের মাঝে লাখ লাখ টাকা বিতরণ করে বা শীতার্ত লোকদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে, তখন সেই খবর তথাকথিত প্রগতিশীল দাবিদার এবং স্বঘোষিত সুশীল এসব পত্রপত্রিকায় কখনোই পাওয়া যায় না। পক্ষান্তরে, অন্যকোনো ছাত্রসংগঠন যখন হাজার খানিক টাকা ব্যয় করে আক্রান্ত লোকদের জন্য খাবার স্যালাইন বানায়, তখন এসব পত্রিকা প্রথম বা শেষ পৃষ্ঠায় হেডিং দেয়। আর এদের জন্য এটাই স্বাভাবিক। কারণ, এদের একমাত্র টার্গেট হচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির সাথে সংশ্লিষ্ট ছাত্রদেরকে অমানুষ, বর্বর, প্রতিক্রিয়াশীল, সাম্প্রদায়িক, ধর্মব্যবসায়ী ও জঙ্গি হিসেবে পরিচিত করিয়ে দেয়া । শাহবাগের গণজাগরণ (?) মঞ্চে যখন পঞ্চাশ জন লোক উপস্থিত থাকে তখন টিভি চ্যানেলগুলো লাইভ সম্প্রচার করে, অথচ শিবিরের হাজার হাজার ছাত্রের মিছিলকে লাইভ দেখানোতো দূরের কথা উল্টো বলা হচ্ছে চল্লিশ- পঞ্চাশ জনের ঝটিকা মিছিল। রামুর বৌদ্ধ পল্লীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দিরগুলোতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও এর অংগ সংগঠনের নেতাদের নেতৃত্বে হামলা করা হলেও প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে এর দায় চাপানো হয় ছাত্রশিবিরের উপর । কিন্তু ছাত্রশিবির যে দু®কৃৃতিকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মন্দির রক্ষার জন্য দিন-রাত পাহারা দিয়েছে, সে খবর কোথাও প্রকাশ করা হয়নি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সব প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের নামে সরকারের গোলামীতে ব্যাস্ত। আর এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশ ও গণতন্ত্র ভয়াবহ হুমকীর সম্মুখীন হবে। সাইদুল ইসলাম লোকপ্রশাসন, চট্টগ্রাম বিশ্বাবদ্যালয়

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির