post

শহীদ সোয়েব আহমদ দুলাল মুক্তির মিছিলে চেতনার বিস্ফোরণ

৩০ নভেম্বর ২০১১
মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক সত্য-মিথ্যার দ্বন্দ্ব মানবজাতির চিরন্তন ইতিহাস। মানব সৃষ্টির আদিকাল থেকে সর্বকালে সর্বযুগে চলছে এবং পৃথিবী নিঃশেষ হওয়া পর্যন্তই এ দ্বন্দ্ব চলতে থাকবে। সমস্যাপীড়িত এই পৃথিবীর ইতিহাসের সত্যিকার রায় হচ্ছে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ছাড়া শান্তি আশা সুদূর পরাহত। প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হয়। এ মহা বাস্তবতাকে কেউ এড়িয়ে চলতে পারে না। মানুষ জন্মগ্রহণ করে এবং জন্ম-মৃত্যুর মালিক আল্লাহতায়ালা কর্তৃক নির্ধারিত দিনক্ষণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে। কোনো কোনো মৃত্যু অমরত্ব ও অবিস্মরণীয় হয়ে অনাদিকাল পর্যন্ত সত্যাশ্রয়ী মানুষের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকে। বিশেষ করে ইসলামের প্রচার ও প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করেন তাদের রক্ত ও জীবন দান ইসলামী বিপ্লবের কর্মীদের মনে শক্তি ও সাহস তীব্র থেকে তীব্রতর করে তোলে। শহীদ সোয়েব আহমদ দুলাল আল্লাহর পথে নিবেদিতপ্রাণ এমনি এক নির্ভীক সৈনিক। মুক্তির মিছিলে যেন চেতনার বিস্ফোরণে। ১৯ বছর বয়সের হালকা, পাতলা, বলিষ্ঠ, সুন্দর ও মিশুক চরিত্রের এ যুবকের অনুপম ব্যক্তিত্ব এলাকার ছাত্র-তরুণদের কাছে জনপ্রিয় করে তোলে। কিন্তু ইসলামের চির দুশমন ধর্মনিরপেক্ষতার লেবাসধারী দুষ্কৃতকারী সন্ত্রাসীচক্র ইসলামী ছাত্র-আন্দোলনের সম্ভাবনাময় এ নেতাকে দুনিয়া থেকে চির বিদায় করে দেয়। বেছে নেয় খুনের পথ। ২০০৫ সালের ১২ ডিসেম্বর রোজ সোমবার। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাতের নিস্তব্ধতা নেমে আসে। আব্বা আম্মাসহ পরিবারের সকলেই অপেক্ষা করছেন কখন দুলাল আসবে, এক সাথে খাওয়া দাওয়া হবে। কিন্তু না, বাবা-মার সে আশা পূরণ হলো না। বরং সকলের অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটলো পরদিন এক অপ্রত্যাশিত আকস্মিক খবরের মাধ্যমে। ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশের খবর পাওয়া যায়। সে খবর পেয়ে শিবিরের জেলা নেতৃবৃন্দ ও আত্মীয়-স্বজন হাসপাতালের মর্গে দুলাল ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করেন। ঘটনাক্রমে পুলিশ সূত্রে জানা গেল জবাই করা লাশটি এমসি কলেজ মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ জনপদ জৈন্তাপুরে ইসলামী আন্দোলনের কাজকে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য সেদিন ইসলামবিরোধী চক্র রাতের আঁধারে শহীদ সোয়েব আহমদ দুলালকে পাশবিক কায়দায় নৃশংসভাবে হত্যা করে। তার অপরাধ ছিল একটাই। কুরআনের ভাষায় ওমা নাকামু মিহুম ইল্লা আই ইউমিনু বিল্লাহিল আজিজিল হামিদ। মহা সত্যের পথে, কুরআনের পথে পথহারা বিভ্রান্ত মানবতাকে আহ্বান জানানোই ছিল তাঁর অপরাধ। শাহাদাতের দিন বিকেলে মায়ের সাথে কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। আসরের নামাজ যথারীতি বাড়ির পাশের মসজিদে আদায় করেন। প্রতিদিনকার ন্যায় মাগরিবের নামাজও ঐ মসজিদে জামাতের সাথে আদায় করেন। এরপর বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে মানুষখেকো দুর্বৃত্ত চক্ররা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মানুষ নামধারী জানোয়ারেরা সোয়েব আহমদ দুলালকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নিভৃতে ঠাণ্ডা মাথায় মধ্যযুগীয় পৈশাচিক কায়দায় জবাই করে হত্যা করে এমসি কলেজ মাঠের দক্ষিণ পাশে ফেলে রেখে চলে যায়। শহীদ সোয়েব আহমদ দুলাল ভাই পারিবারিকভাবে আমার ভাতিজা (আমার পিতার ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে)। পারিবারিক সম্পর্কের কারণে তাদের বাড়িতে আমাদের আসা যাওয়া এবং তাদেরও আসা যাওয়া হতো। সাংগঠনিকভাবে আমি সিলেট মহানগরীর জনশক্তি হওয়ার কারণে বাড়িতে আসা যাওয়াটা আমার কম হতো। কিন্তু সাংগঠনিকভাবে সাথী হিসেবে তার সাথে ২০০৩ সালে কোনো এক ঈদ পুনর্মিলনীতে এক দায়িত্বশীল ভাই (আব্দুর রহমান আল মিসবাহ) আমার সাথে তাকে পরিচয় করিয়ে দেন। শহীদ সোয়েব আহমদ দুুলাল ভাইয়ের বাড়ি থেকে আমার বাড়ি প্রায় দুই মাইল দূরে। তার সাথে সাথী পরিচয় হওয়ার পর থেকে আমার মনে এক বিশাল শক্তি সাহস জাগে। কারণ আমাদের গ্রামের আশপাশে অনেক গ্রাম আছে যেখানে কোনো সাথী নেই। পরিচয়ের দিন থেকে মনের মধ্যে এক অন্য রকম সাহস হয়। মনে মনে ভাবতে থাকি যে আমি আমার এলাকায় একজন সদস্য নয় বরং আমার একজন ভাতিজাকেও সাথী হিসেবে পেয়েছি। এটা আমাকে অনেক বড় সাহস ও উৎসাহ জোগায়। হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত, ওহুদের যুদ্ধে যখন জাবিরের পিতা আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আমর শহীদ হলেন তখন রাসূল (সা) বলেন, হে জাবির তোমার পিতাকে আল্লাহ তায়ালা কী বললেন, তা কি বলবো? আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কারো সাথে সরাসরি কথা বলেন না কিন্তু তোমার বাবার সাথে কথা বলেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘‘হে আব্দুল্লাহ তুমি আমার কাছে কী চাও?” তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ তুমি আমাকে পুনরায় জীবিত কর, আবার আমি শহীদ হতে চাই। তখন আল্লাহ বললেন, এ নিয়মতো নেই। আগেই এর ফায়সালা হয়ে গেছে। কেউ একবার এখানে এলে আর ফেরত যায় না। তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ তাহলে অন্তত এটা কর, আমি যে আকাক্সক্ষা করলাম এটি আমার পেছনের ভাইদের কাছে পৌঁছে দাও। সূরা আল ইমরানে আল্লাহ তখন জানিয়ে দিলেন, ‘‘যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তাদের তোমরা মৃত মনে করো না। প্রকৃতপক্ষে তারা জীবিত। আল্লাহর নিকট থেকে তারা রিজিক পায়। আল্লাহ তাদেরকে নির্জীব অনুগ্রহ যা দান করেছেন তা পেয়ে তারা খুশি ও পরিতৃপ্ত এবং যেসব ঈমানদার লোক তাদের পেছনে দুনিয়ায় রয়ে গেছে এবং এখনও তথায় পৌঁছেনি তাদের জন্য কোনো ভয় ও চিন্তা নেই জেনে তারা সন্তুষ্ট ও নিশ্চিত।” (১৬৯-৭০) শহীদ সোয়েব আহমদ দুলালের জীবন ছিল পূত পবিত্র। হৃদয়ে আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস, রাসূলের প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা। নামাজের প্রতি পাবন্দ। তাই তো মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত জামাতের সাথে নামাজ আদায়ে তৎপর ছিলেন। দুলাল ছিলেন দৃঢ়চেতা এক মুজাহিদ। ফজরের নামাজ কায়েম আর কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হতো তার প্রতিদিনের কর্মসূচি। কারো সাথে তার ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। বরং সবার সঙ্গে ছিল সুসম্পর্ক। কিশোর তরুণেরা তাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসত। তাহলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে কেন হত্যা করা হলো এ তরুণকে, কী ছিল তাঁর অপরাধ? কোন অপরাধে তাকে নিষ্ঠুরভাবে পৈশাচিক কায়দায় খুন করা হলো। ব্যক্তিস্বার্থ, জায়গা সম্পত্তি কিংবা পার্থিব কোনো লেনদেনের অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়নি। হত্যার একমাত্র কারণ তিনি কুরআনের কথা বলতেন। রাসূল (সা) এর আদর্শকে অনুসরণ করতেন। ছাত্রদের চরিত্রগঠনর শিক্ষা দিতেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন। পথহারা ছাত্র-জনতাকে মুক্তির মশাল হাতে নিয়ে আলোর পথ দেখাতেন। শহীদ সোয়েব আহমদ দুলাল সিলেটের ঐতিহাসিক ঐতিহ্যবাহী জনপদ সর্বকালের স্বাধীনতার গর্বিত পতাকাধারী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত খাড়িকাপুঞ্জি (ফরফরা) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সম্মানিত পিতা মোহাম্মাদ আব্দুর রব। মাতা রোকেয়া বেগম। ২ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। জৈন্তা কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা থাকাকালীন তিনি শাহাদাত বরণ করেন। শহীদ সোয়েব আহমদ দুলাল অত্যন্ত সাহসী, অমায়িক, মেধাবী, হাস্যোজ্জ্বল ও সম্ভাবনাময় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। প্রতিভাবান ও নামাজী এ যুবক স্কুলজীবন থেকে দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ছিলেন সদাতৎপর। তাই ২০০১ সালে স্কুলে অধ্যয়নকালেই তিনি ছাত্রশিবিরের সাথী হন। কলেজে ভর্তি হয়েই শিবিরের সদস্য হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালান। তিনি অত্যন্ত কষ্ট করে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতেন। কারণ তার পরিবারের কারোরই এ আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ততা ছিল না। তার নেতৃত্বে স্কুল, কলেজ ও হরিপুর দরবস্ত এলাকায় দাওয়াতি কাজ বিস্তৃত ও মজবুত হয়েছে। তিনি সর্বশেষ জৈন্তাপুর থানা দক্ষিণ সাথী শাখার অফিস সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। শহীদ সোয়েব আহমদ দুলাল বিচক্ষণ ও পরিশ্রমী ছিলেন। সহজ সরলভাবে তিনি চলাফেরা করতেন। স্কুল ও আবাসিক এলাকায় দায়িত্ব পালন করেও কলেজে নিয়মিত দাওয়াতি কাজে অংশ নিতেন। মৃত্যুর সপ্তাহখানেক আগে জেলা দায়িত্বশীল বৈঠকে আসার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন। নিয়মিত ব্যক্তিগত রিপোর্ট সংরক্ষণ করতেন। দুলাল ভাই ও তার সহযোগীদের নিরলস অব্যাহত কার্যক্রমের ফলে জৈন্তাপুরে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমনকি আবাসিক এলাকায় সংগঠনের কাজ দ্রুত এগিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু এতে বাদসাধে আওয়ামী বাকশালী অপশক্তি। তারা বছরের পর বছর ছাত্রশিবিরের সাথে সংঘাত সংঘর্ষ, মিথ্যা মামলা দিয়ে শিবির নেতাকর্মীদের হয়রানি করে আসছে। প্রতিবারই দেশবাসীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা, মুচলেকা ও জরিমানা দিয়ে পরে আর কোনো ঘটনা না ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়। মিথ্যাচার আর প্রতারণার রাজনীতিতে সিদ্ধহস্তরা কে কার প্রতিশ্রুতি মানে। তাই তারা ভিন্ন পথে ষড়যন্ত্র্রের দিকে অগ্রসর হয়। এলাকায় শিবিরকে নেতৃত্বশূন্য করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। ছাত্রলীগের দুষ্কৃতকারী সন্ত্রাসীরা শহীদ দুলালের কাছে আদর্শিকভাবে পরাজিত হয়ে বেছে নেয় ন্যক্কারজনক খুনের পথ। খুন করে প্রিয় ভাই দুলালকে। ওরা জানে না মানুষ হত্যা করে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় করা যায় কিন্তু একটি আদর্শকে মুছে ফেলা যায় না। শাহাদাতের রক্তের যোজনায় জৈন্তাপুরের মাটি ও মানুষ কুরআনের পক্ষে কথা বলবে, মজবুত ঘাঁটি হবে ইসলামী আন্দোলনের এটা অনিবার্য বাস্তবতা। শহীদ সোয়েব আহমদ দুলালের শাহাদাতের পর জৈন্তাপুরে প্রতিটি মানুষ- পরিচিত, অপরিচিত সবার চোখ ছিল অশ্রুসিক্ত। অনেকে তো বিশ্বাসই করতে চাইলো না। সবার মনকে এক আকস্মিক ধাক্কা দিয়ে গেল এই ঘটনা। শতকরা ৯০ ভাগ যেখানে মুসলমান সেখানেই রক্ত ঝরে তরু তাজা প্রাণের, ইসলামের পক্ষে কথা বলার জন্য। কয়েক ঘণ্টা আগেও তিনি ছিলেন কারো অনুজ, প্রিয় বন্ধু, সহকর্মী শাহাদাতের মাধ্যমে হয়ে গেলেন সবার নেতা, অগ্রসেনানী। মা বাবার কলিজার টুকরো সন্তানকে কোলে কাঁধে নিয়ে লালন পালন করে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুকভরা আশা আর চোখভরা স্বপ্ন নিয়ে পাঠান, সন্তান বড় হয়ে সবার মুখে হাসি ফোটাবে, দেশজুড়ে সুখ্যাতি অর্জন করবে, দেশ ও জাতির সেবায় এগিয়ে আসবে। কিন্তু না, তা আর হলো না, পড়ন্ত বিকেলে বেরিয়ে যাওয়া সোয়েব আহমদ দুলাল আর ঘরে ফেরেননি। মা-বাবার কোলে ফিরে এলো তার পবিত্র লাশ। কেন বাবা মায়ের চোখের সামনে ক্ষতবিক্ষত জবাই করা লাশ? কেন অকালে ঝরে গেল মেধাবী এক ছাত্রের জীবন। যাকে পাওয়া যেত আল্লাহর দ্বীনের মহান দাওয়াতকে প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার আন্দোলনে। তাজমহলের রঙ একদিন বিবর্ণ হবে, ভোরের আকাশে রক্তিম আভাও মিলিয়ে যাবে সূর্যোদয়ের সাথে কিন্তু শহীদ সোয়েব আহমদ দুলালের চরিত্রের বর্ণ কোনোদিন ফ্যাকাশে হবে না। শহীদ সোয়েব আহমদ দুলাল বিরল প্রতিভাসম্পন্ন যুবকদের একজন। জীবনে তার কোনো বাসনা ছিল না। ছিল শুধু আল্লাহর পথে জীবন বিলিয়ে দেয়ার। এতে তিনি সফল হয়েছেন। তার মতো অসীম সাহসী ও দুর্নিবার আকাক্সক্ষাপ্রত্যাশী সৈনিকের আজ বড় প্রয়োজন বাংলাদেশে দ্বীনের পতাকাকে সমুন্নত রাখতে। জেলা : সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, সিলেট জেলা পূর্ব

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির