post

সশস্ত্র বাহিনীর অফিসার পদে দুঃসাহসিক ক্যারিয়ার

মুহাম্মদ ওমর গনি

১১ অক্টোবর ২০১৬
(প্রথম পর্ব) আমাদের দেশে সর্বাগ্রে ভালো চাকরি পাওয়ার সুযোগ বলতে গেলে শুধুমাত্র সশস্ত্র বাহিনীতেই রয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার পরই এই পেশায় প্রবেশের জন্য দরখস্ত করা যায়। এখানে ঈযধহপব পাওয়ার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে সাহসিকতা, প্রখর বুদ্ধিমত্তা, শারীরিক যোগ্যতা ও সুস্থতা, সঠিক Chance মনোস্তাত্ত্বিক মান, নেতৃত্বদানের যোগ্যতা, ক্ষিপ্রতা ইত্যাদি। সবকিছু মিলিয়ে বলা চলে শুধুমাত্র চৌকস ছেলেমেয়েরাই এই পেশায় (Proper) হওয়ার উপযোগী। বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষার ওপরে কথ্য এবং লেখ্য উভয় পর্যায়ে ভালো মানের দখল এই পেশায় সুযোগের অন্যতম পূর্বশর্ত। Selected পাওয়ার জন্য এখানে অনেক ধাপ অতিক্রম করতে হয়। এবং এর পর চার বছরের কঠিন ট্রেনিং গ্রহণ করতে হয়। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনী অর্থাৎ এ সকল ক্ষেত্রেই এই নিয়ম একই ধরনের। তবে সেনা মেডিক্যাল কোরের জন্য ক্যাডেট নির্বাচনে দু’ধরনের প্রথা চালু রয়েছে। প্রথমত, এইচএসসি পাস করার পর প্রচলিত প্রথানুযায়ী নির্বাচিত হওয়া এবং সেনাবাহিনীর খরচে এমবিবিএস পড়া। আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজে এই ধরনের ক্যাডেটদেরকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করার সুযোগ প্রদান করা হয়। দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে প্রার্থী এমবিবিএস পাস করার পর আর্মি মেডিক্যাল কোরের অফিসার হিসেবে নির্বাচনী পরীক্ষাসমূহে অংশগ্রহণ করবে। এসব পেশায় যাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণভাবে একটি নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। তা হলো নির্বাচিত হওয়ার পর চার বছরের ট্রেনিং। এই ট্রেনিং চলাকালীন ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি বিএ/বিএসসি ডিগ্রি অর্জনের জন্য অধ্যয়নের সুযোগ। তাই ট্রেনিং সমাপ্তির সাথে সাথেই Candidate  গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করে থাকে। এই ট্রেনিংয়ের আর একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তা হচ্ছে ট্রেনিং প্রাপ্তির পর ব্যক্তি ভিন্ন ব্যক্তিতে পরিবর্তিত হবে। বলা হয়ে থাকে যে কোথাও যদি একশত জন ব্যক্তি একত্রে জটলা করতে থাকেন আর সেখানে যদি সামরিক বাহিনীর একজন মাত্র অফিসার উপস্থিত থাকেন তবে তাকে সহজেই Identify করা যাবে। কেননা সামরিক বাহিনীর ট্রেনিং একজন ব্যক্তির চলা, ফেরা, বসা, দাঁড়ানো, কথা বলার ভঙ্গি তথা সম্পূর্ণ ব্যক্তিত্ব পরিবর্তন করে দেয়। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক সমস্ত ক্ষেত্রে এই ট্রেনিংয়ের প্রভাব অপরিসীম। এরা জানে ঝড়ের গতিতে সমস্যার অকুস্থলে পৌঁছাতে, ঠান্ডা মাথায় সমস্যার সমাধান করতে, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে এবং দৃঢ় পদক্ষেপে গৃহীত পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটাতে। তাই সাহসী সৈনিক জীবনযুদ্ধে সাধারণত হেরে যায় না। বরং যুদ্ধক্ষেত্রের ক্ষিপ্রতা তার সকল কর্মকান্ডে পরিলক্ষিত হয়- এমনকি বেসামরিক কর্মক্ষেত্রেও। সে জানে সামষ্টিক কর্মকান্ডে কিভাবে নেতৃত্ব দিতে হয়। দেশ যখন বহিঃশত্রুর আক্রমণের সম্মুখীন হয়। জাতীয় জীবনে যখন সমূহ বিপদের ঘনঘটা, স্বাধীনতা যখন সঙ্কটময় অবস্থায় পৌঁছে, তেমনি দুর্দিনে এই সাহসী সৈনিকেরাই দেশের কান্ডারি হয়ে থাকেন। জীবন বাজি রেখে তারা এগোতে থাকেন শত্রুমুক্ত করার মানসে। এই যুদ্ধ জীবন-মরণের। তাই এর স্বাদ ভিন্নতর। দেশপ্রেম তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে যুদ্ধক্ষেত্রে সামনে এগিয়ে যাওয়ার, আর সমস্ত দেশবাসী প্রেরণা জোগায় সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করে যেতে। সশস্ত্র বাহিনীতে চাকরি সশস্ত্র বাহিনীতে চাকরি প্রকৃতপক্ষে যৌবনের জন্য একটি উপযোগী পেশা। পেশা হিসেবে উত্তম ক্ষেত্রসমূহের মধ্যে এটা একটা। এই পেশায় যেমন রয়েছে একদিকে সম্মান, দেশ সেবাসহ সুন্দরভাবে জীবন যাপনের সুযোগ আবার পাশাপাশি বেতন, ভাতা, প্রমোশন, বাসস্থান, চিকিৎসা ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা। সর্বোপরি অল্প বয়সে ভালো চাকরি পাওয়ার এটি সবচেয়ে বড় সুযোগ। সশস্ত্র বাহিনীর তিনটি শাখা রয়েছে। এগুলো হলো- সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনী। এই বাহিনীসমূহ যথাক্রমে স্থলভূমি, জলভূমি (সমুদ্র ভাগ) এবং আকাশ অঞ্চল পাহারা দেয়ার জন্য তৈরি হয়ে থাকে। আমাদের দেশে সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা সর্বাপেক্ষা বেশি বলে সেনাবাহিনীর সিপাইদের সংখ্যা অনেক বেশি। তাই তাদের পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনীর অফিসারদের সংখ্যাও বেশি প্রয়োজন হয়ে থাকে। সে কারণে সেনাবাহিনীতে প্রমোশনের সুযোগও বেশি হয়ে থাকে। একই ধরনের সুযোগ যথাক্রমে নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সাধারণভাবে এই তিনটি বাহিনীতে চাকরির জন্য বা চাকরি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গুণাবলি হচ্ছে: সাহসিকতা, শৃঙ্খলাবোধ, বুদ্ধিমত্তা, আনুগত্য, আজ্ঞানুবর্তিতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ইত্যাদি। বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় লেখ্য ও কথ্য উভয় ক্ষেত্রেই ভাষার ওপরে দখল এই পেশায় চাকরি পাওয়ার প্রাথমিক শর্ত। এই বাহিনীসমূহে চাকরি পাওয়ার জন্য উপরোক্ত গুণাবলি ব্যতিরেকেও শারীরিক যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে। তা হলো ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতা (কমপক্ষে) এবং শারীরিকভাবে সুস্থতা। বুকের মাপ : পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৭৬ সে.মি. (স্বাভাবিক), ৮১ সে.মি. (সম্প্রসারিত); মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৭১ সে. মি (স্বাভাবিক), ৭৬ সে.মি. (সম্প্রসারিত)। বৈবাহিক অবস্থা: অবিবাহিত। নৌবাহিনীর ক্ষেত্রে অবশ্যই সাঁতার জানতে হবে। সেনাবাহিনীতে দীর্ঘমেয়াদি কোর্স: ন্যূনতম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় আলাদাভাবে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। বয়স ১৭ থেকে ২১ বছর (সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত প্রার্থীদের জন্য ১৮-২৩ বছর) শারীরিক মান (ন্যূনতম) পুরুষ: উচ্চতা : ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি (১.৬৩ মিটার) ওজন : ৫০ কেজি (১১০ পাউন্ড) বুক : স্বাভাবিক ৩০ ইঞ্চি (০.৭৬ মিটার) প্রসারণ : ৩২ ইঞ্চি (০.৮১ মিটার) মহিলা: উচ্চতা : ৫ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৫৭ মিটার) ওজন : ৪৭ কেজি (১০৪ পাউন্ড) বুক : স্বাভাবিক ২৮ ইঞ্চি (০.৭১ মিটার) প্রসারণ : ৩০ ইঞ্চি (০.৭৬ মিটার) বৈবাহিক অবস্থা: অবিবাহিত। জাতীয়তা : বাংলাদেশি আবেদন পদ্ধতি: www.joinbangladesharmy.mil.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করা যাবে। এক্ষেত্রে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেHome Page এর উপরে ডান কোনায় APPLY NOW এ ক্লিক করে প্রার্থী যে কোর্সে APPLY করতে চায় সেখানে ক্লিক করতে হবে। আবেদনকারী প্রার্থীগণ Bkash/Mkash, Trust Bank Mobile Money, taletalk (প্রি পেইড) এসএমএস, VISAI Master Card-এর মাধ্যমে আবেদন ফি প্রদান করতে পারবে। আবেদন প্রক্রিয়াতেই ওয়েবসাইটে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করেও আবেদন ফি প্রদান করা যায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক সাক্ষাৎকারের কল-আপ লেটার পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীতে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধাসমূহ প্রশিক্ষণকালীন বেতন : ক্যাডেটগণ মাসিক ১০০০০ টাকা এবং কমিশন প্রাপ্তির পর লেফটেন্যান্টের বেতন ভাতা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন। সন্তানদের অধ্যয়ন: নিজ সন্তানদের জন্য ক্যাডেট কলেজ, আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ(AFMC) মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (MIST), বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (BUP) এবং সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত স্কুল/কলেজে অধ্যয়নের সুযোগ। বাসস্থান ও চিকিৎসা: নিরাপদ ও মনোরম পরিবেশে মানসম্পন্ন বাসস্থান প্রাপ্তি এবং বিনাখরচে দেশ-বিদেশে উন্নতমানের চিকিৎসা লাভের সুযোগ। এএইচএস এবং ডিওএইচএস-এ প্লট/ফ্ল্যাট : নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে ঢাকা ও অন্যান্য স্থানে এএইচএস ও ডিওএইচএস এ প্লট/ফ্ল্যাট প্রাপ্তির সুবিধা। জাতিসংঘ মিশন: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে যোগদান করে বিদেশ ভ্রমণ ও আর্থিক সচ্ছলতা অর্জনের সুযোগ। বিদেশে প্রশিক্ষণ : প্রশিক্ষণের বিভিন্ন পর্যায়ে এবং কমিশনপ্রাপ্তির পর মেধাবী ক্যাডেট অফিসারগণের প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে গমনের সুযোগ। বৈদেশিক নিয়োগ: বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে সামরিক/সহকারী সামরিক উপদেষ্টা পদে নিয়োগপ্রাপ্তির সুবিধা। উচ্চতর ডিগ্রি : ব্যক্তিগত যোগ্যতার ভিত্তিতে স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ। নৌবাহিনীতে কমিশন্ড অফিসার কোর্স ন্যূনতম এসএসসি ও এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগে মোট জিপিএ ৪.৫০ (গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানসহ) বয়স ১৭ থেকে ২১ বছর অবশ্যই সাঁতার জানা। শারীরিক মান (ন্যূনতম) পুরুষ: উচ্চতা : ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি (১৬২.৫ মিটার) ওজন : ৫০ কেজি বুক : স্বাভাবিক ৭৬ সে. মি. প্রসারণ : ৮১ সে. মি মহিলা: উচ্চতা : ১৫৫ সে.মি. (৫ ফুট ১ ইঞ্চি) ওজন : ৪৬ কেজি বুক : স্বাভাবিক ৭১ সে. মি. প্রসারণ : ৭৬ সে. মি. বৈবাহিক অবস্থা : অবিবাহিত। জাতীয়তা : বাংলাদেশি। আবেদন পদ্ধতি: অনলাইনে আবেদনের জন্যwww.navy.mil.bd বা www.joinnavy. mil.bd  ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। আবেদনের বিস্তারিত নিয়মাবলি ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। নৌবাহিনীতে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধাসমূহ প্রশিক্ষণ : বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে ১০ সপ্তাহের প্রশিক্ষণসহ বাংলাদেশ নেভাল অ্যাকাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ২৪ মাস এবং মিডশিপম্যান হিসেবে ১২ মাসসহ মোট ৩ বছর মেয়াদি আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে ‘সাব লেফট্যানেন্ট’ পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়। উচ্চতর ডিগ্রি : অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এক্সিকিউটিভ শাখার ক্যাডেটদের মেরিটাইম সায়েন্স বিষয়ে বিএসসি (অনার্স) এবং সাপ্লাই শাখার ক্যাডেটদের বিবিএ ডিগ্রি BUP হতে প্রদান করা হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইলেকট্রিক্যাল শাখার ক্যাডেটদের BUET/MIST হতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান করা হয়। বেতন ও ভাতা: সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য সুবিধাসহ সশস্ত্র বাহিনীতে বেতনক্রম অনুযায়ী অফিসার ক্যাডেটগণ বেতন ও ভাতা প্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে মিডশিপম্যান হিসেবে পদোন্নতির পর উচ্চতর স্কেলে বেতন প্রাপ্ত হন। ক্যারিয়ার : বৈচিত্র্যময় ও রোমাঞ্চকর একমাত্র নেভাল ক্যারিয়ারেই রয়েছে সি (আধুনিক যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন) এয়ার (নেভাল এভিয়েশন) এবং ল্যা- (স্পেশাল নেভাল ফোর্স ও নৌকমান্ড) এ তিনটি মাধ্যমেই চাকরির সুযোগ। বিদেশে প্রশিক্ষণ : প্রশিক্ষণের বিভিন্ন পর্যায়ে এবং কমিশন প্রাপ্তির পর মেধাবী ক্যাডেট এবং অফিসারগণের বিদেশ গমনের সুযোগ। উচ্চতর প্রশিক্ষণ সুবিধা : দেশে-বিদেশে সরকারি খরচে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণের (এমএসসি, এমবিএ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএস) সুযোগ। জাতিসংঘ মিশন : জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিদেশ ভ্রমণ ও আর্থিক সচ্ছলতা অর্জনের সুযোগ। বাসস্থান : নিরাপদ ও মনোরম পরিবেশে মানসম্পন্ন সুসজ্জিত বাসস্থান প্রাপ্তির সুবিধা। চিকিৎসা : সামরিক হাসপাতালসমূহে উন্নত মানের চিকিৎসাসুবিধা ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে উন্নতমানের চিকিৎসার প্রয়োজন হলে বিধি মোতাবেক নগদ অর্থ প্রদানসহ বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা।    [চলবে]

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির