মো: আতাউর রহমান সরকার
ইসলামী আন্দোলনের পথে নিজেকে যুক্ত করার পর থেকেই এ পথের প্রতিটি অনুষঙ্গ থেকে জীবন গড়ার পাথেয় পেয়েছি। রাজনীতির উত্থান, পতন, আন্দোলনের ঘাত-প্রতিঘাত, দায়িত্বশীলদের সংস্পর্শ এসব কিছুই প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণ দিয়েছে শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে এ পথে ঈমান নিয়ে টিকে থাকার। ছাত্রজীবনে আন্দোলনের কাজে জড়িত থেকে শপথ নেয়ার পর থেকে জীবনের এক নতুন দুয়ার উন্মোচিত হলো। ইসলামী আন্দোলনের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গনের সিপাহসলার কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচনে ভোট দেয়া ও সম্মেলনের যাবতীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে জীবনে এক নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চার হলো। ১৯৯৮ সালের ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনটি ছিল খুব আলোচিত। সব সময় টঙ্গীতে সদস্য সম্মেলন হলেও ১৯৯৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনের ভেন্যু ঘোষণা করা হয়েছিল রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে হওয়ায় সম্মেলনের স্থান নিয়ে বামপন্থীদের পক্ষ থেকে তুমুল বিরোধিতা ও সম্মেলন হতে না দেয়ার ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছিল ছাত্রশিবির। তাই আগের দিনই আমাদেরকে ঢাকায় চলে আসতে বলা হলো। আমাদের থাকার ব্যবস্থা করা হলো অনেকের আবেগের সাথে জড়িত সেই চিরচেনা, লাখো মানুষ গড়ার প্রশিক্ষণালয় আল ফালাহ মিলনায়তনে। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৯টায় আমাদের বহু আকাক্সিক্ষত সেই সম্মেলন শুরু হলো। কুরআন তেলাওয়াত, হামদ-নাত, তারপর কেন্দ্রীয় সভাপতির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী বক্তব্যের পরপরই নির্বাচনী সেশন। নির্বাচনী সেশন শুরু হবে ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ অতিথিরা একে একে স্টেজ থেকে নেমে এলেন। ১০টা বাজার ৪ মিনিট আগে সাদা পাঞ্জাবি, উপরে কোট পরিহিত সুষমাম-িত, আমাদের একান্ত আপনজন অধ্যাপক এ কে এম নাজির আহমদ আসন গ্রহণ করলেন। সাথে সহকারী নির্বাচন কমিশনারদ্বয় সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মু. কামারুজ্জামান ও সাইফুল আলম খান মিলন ভাই। কামারুজ্জামান ভাইয়ের ঘোষণায় ১৯৯৯ সালের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করতে শুরু করেন জামায়াতে ইসলামীর তখনকার কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ছাত্রশিবিরের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এ কে এম নাজির আহমদ। তার মুখাবয়বে তখন একজন দৃঢ়চেতা, বীর, প্রাজ্ঞ, সত্যিকার মুজাহিদের ছবিই সুস্পষ্ট হয়ে উঠছিলো। স্বল্পভাষায় হৃদয় নিংড়ানো শব্দ চয়ন, আর বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর দিয়ে লাখো হৃদয় আলোড়িত করার অসাধারণ যোগ্যতা ছিল তার। সেদিন থেকেই স্যারকে আমার দেখা শুরু। আর তখন থেকেই ছাত্রশিবিরের সম্মেলন মানেই নাজির স্যারের উপস্থিতি। ধীরে ধীরে এই তৌহিদী বন্দরের লাখো নাবিকের হৃদয়ে জায়গা করে নেন এই প্রিয় মুখ। আলোচনার শুরুতেই তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরছি : ১৯৩৯ সালে কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলা বোয়ালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি সাহিত্যে বিএ (অনার্স) ও ১৯৬৩ সালে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬০ সালে ছাত্রজীবনেই ইসলামী ছাত্র-আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৫ সালে বৃহত্তর আন্দোলন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন। ১৯৬৭ সালে কুমিল্লা জেলা আমীর ও পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা, কর্মপরিষদ, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সর্বশেষে ২০০৯ সাল থেকে নায়েবে আমীরের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কর্মজীবনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ও কুমিল্লা কলেজের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টারের পরিচালকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি ৩৫টি ইসলামী পুস্তক রচনা করেন। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হিসেবে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেন। কুরআন, হাদীসের ওপর নিয়মিত জ্ঞান চর্চা ও গবেষণা, ইসলামের মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে অনমনীয়তা ও সুদৃঢ় অবস্থান ছিল তার চরিত্রের একটি অনন্য গুণ। আদর্শগত বিষয়ে কোন আপসকামিতা যেমন তাকে কাবু করতে পারেনি; ঠিক তেমনি যে কোন সমস্যা সমাধানে রাসূল (সা) এর সুন্নাহ অনুসরণ, মধ্যমপন্থা অবলম্বন, পারিপার্শ্বিক বিবেচনায় বুদ্ধিবৃত্তিক কৌশল প্রয়োগ তাকে ইসলামী আন্দোলনের অতুলনীয় নেতৃত্বে পরিণত করেছে। তিনি স্বল্প ভাষায় প্রাঞ্জল শব্দ প্রয়োগকারী, চিন্তাশীল, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, সরল ও অনাড়ম্বর জীবন-যাপন করতেন। পাশাপাশি যে কোন সমস্যায় আল্লাহর অভিভাবকত্ব উপলব্ধি করে দৃঢ়চিত্তে মোকাবেলা করা ছিল তার বৈশিষ্ট্য, যা ইসলামী আন্দোলনের সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের জন্য শিক্ষণীয়। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত স্যারের সাথে মেশার ও কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। তার পরিচালনায় স্টাডি ক্লাস ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণমূলক বৈঠকে তার অসাধারণ দারস ও জ্ঞানসমৃদ্ধ বক্তব্য ছিল খুবই আকর্ষণীয়। তার এ সকল প্রশিক্ষণ পেয়ে এবং তার সাথে কথা বলার পর অন্তরে এক অদ্ভুত শীতলতা ও প্রশান্তি অনুভব করতাম। ক্রমেই কুরআনকে জানার, বোঝার ও বাস্তবায়নের মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠতো। বৃহত্তর আন্দোলনের ক্রান্তিকালে তার ভূমিকার কারণে এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন এই আন্দোলনকে মজবুতির সাথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তিনি কালের সাক্ষী হয়ে প্রতিটি সঙ্কটে সংগঠনের যথাযথ ভূমিকা রাখতে অনেক বেশি সহযোগিতা করেছেন। ২০১০ সালে ছাত্র-আন্দোলনের এক কঠিন সঙ্কট মুহূর্ত আসে। দায়িত্বশীল হিসেবে তার কাছে আমাকে যেতে হয়েছে অনেকবার। প্রতিবারই তার কাছে যাওয়ার পর বটবৃক্ষের শীতলতা উপলব্ধি করেছি আমি। মনে হয়েছে আসলেই এই আন্দোলন ব্যক্তির বা মানুষের নয়। এটি আল্লাহর আন্দোলন। আন্দোলনের ব্যক্তিরা সঠিক ভূমিকায় থাকলে আল্লাহই তার হেফাজত করবেন। তার দূরদৃষ্টি বিচক্ষণতা ও সবরের সঠিক নির্দেশনা আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠনকে এগিয়ে নিতে অনেকটাই বড় ভূমিকা রেখেছে। সেই সময়ের দিকভ্রান্ত কিছু ভাই বিক্ষিপ্ত মন নিয়ে এদিক-সেদিক ছুটে গেলেও তার বক্তব্যে এক সুতায় হৃদয়গুলো গাঁথা হয়ে যায়। ২৫ ডিসেম্বর ২০১০ সালে সমাপনী কার্যকরী পরিষদে তার দেয়া বক্তব্য আন্দোলনের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। সবাই উপলব্ধি করে সীসাঢালা প্রাচীর না হতে পারলে এই কাফেলা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। বাতিল ছোট ছোট ছিদ্রগুলোকে গর্তে পরিণত করে ইসলামী আন্দোলনের সবচেয়ে বড় সম্পদ এই ঐক্যের শক্তিকে নষ্ট করবে। আলহামদুলিল্লাহ্। তাই আর কোন সংগঠনের মতো এই সংগঠন খড়কুটোর ন্যায় স্রোতস্বিনী নদীতে হারিয়ে যায়নি। বরং তা মজবুতির সাথে ঈমানী শক্তি নিয়ে স্রোতের বিপরীতে অবিরাম এগিয়ে চলেছে। সঙ্কট মোকাবেলার পাশাপাশি দাওয়াত প্রশিক্ষণের নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া ছিল আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আল্লাহর অশেষ রহমতে ছাত্রশিবির সেই চ্যালেঞ্জ দৃঢ়তার সাথে মোকাবেলা করতে সমর্থ হয়েছে। ২০০২ সালে কুমিল্লা মহানগরীর ‘যুগে যুগে’ নামক একটি স্মারকের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে তার কাছে একটি লেখা নেয়ার জন্য এসেছিলাম। এ ছাড়া মহানগরীর দায়িত্ব পালনরত অবস্থায়ও তাকে বেশ ক’বার কাছে পেয়েছিলাম। তবে মূলত ২০০৯-১০ এই সময়ে তার সাথে আমার ঘনিষ্ঠ পরিচয় হয়। নাজির স্যারের একটি অনন্য গুণ ছিল তিনি আন্দোলনের কর্মীদেরকে পিতার মত কল্যাণকামিতা আর স্নেহময়ী ভাষায় আগলে রাখতেন। আর তাই আমার মত বাবা ছাড়া সন্তানেরা তার কাছ থেকে বাবার স্নেহ পেয়ে ব্যাকুল হয়ে উঠতাম। মনের অজান্তেই আমাদের হৃদয়ে তার জন্য বাবার মতোই ভালোবাসা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। অনেকের মতোই বিশেষ স্নেহ ও ভালোবাসা পেয়েছিলাম আমি। ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে ছাত্রজীবন শেষ করার পর বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হই। আন্দোলনমুখী থেকেই জীবনের বাকি সময়টুকু কাটিয়ে দেবো সিদ্ধান্ত নিই। লেখালেখি করা। ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রগুলোর বুদ্ধিবৃত্তিক জবাব দেয়া ও ইসলামের সৌন্দর্য তুলে ধরাই আমার মিশন হবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংগঠনের একটি প্রোগ্রামে তিনি আমাকে দেখা করতে বললেন। যথারীতি দেখা করব বলে জানালাম। হঠাৎ একদিন আমার নামে মগবাজারের একটি লাইব্রেরির ঠিকানায় একটি চিঠি এলো। প্রেরক বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক এ কে এ নাজির আহমদ। একটি পার্টিসিপিটিয়ারি (অংশগ্রহণমূলক) সেমিনারে আসার আমন্ত্রণপত্র। সাথে সেমিনারের প্রবন্ধ। প্রত্যাশিত জিনিসের সন্ধান পেয়েছি মনে করে অনেক খুশি হলাম। যথারীতি কাঁটাবনে সেমিনারের জন্য নির্ধারিত একটি হলরুমে উপস্থিত হলাম। গিয়ে ড. উমার আলী, আবুল আসাদ, ড. মনজুরে এলাহীসহ আরো ১২ জন বিজ্ঞ অংশগ্রহণকারী দেখে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। আমার মনের অবস্থা বুঝতে পেরে একান্তে নিয়ে কুশলাদি জানার পর তিনি আমাকে তার সহজাত দৃপ্ত ভাষায় আমাকে এভাবেই উদ্দীপ্ত করলেন। ‘আমরা তোমাকে বাছাই করেছি। বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ের এই যুগে টিকে থাকতে হলে জ্ঞানভিত্তিক যে আন্দোলন প্রয়োজন তার সাথী হবার জন্য।’ পরবর্তীতে খুবই চমৎকার আরো দু’টি সেমিনারে আমি অংশগ্রহণ করি। কিন্তু মামলা-হামলার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি। খুব অতৃপ্তি ও অপরাধবোধ কাজ করে এ জন্য। যদিও স্যার গ্রেফতার হওয়ায় পরবর্তীতে সেমিনারটি করা আর সম্ভব হয়নি। স্যারের প্রতি আন্দোলনের কর্মীদের ভালোবাসা ছিল অনেক বেশি। তাই অন্য সবার মতো আমারও ভেতরটা হাহাকার করে ওঠে যখন মনে হয় এই জুলুমবাজ সরকারের হয়রানি স্যারের অসুস্থতার পেছনে একটি বড় কারণ। সকল মামলার জামিন থাকা সত্ত্বেও সত্তরোর্ধ্ব এই প্রবীণকে মানসিক, পারিবারিকভাবে যেভাবে হয়রানি করা হয়েছে তা খুবই নির্মম এবং অমানবিক। সর্বশেষ ২৭ ডিসেম্বর তার বাসায় রাতে পুলিশি অভিযানকালে তার নিরপরাধ পুত্রকে গ্রেফতার করার পর পরই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। কিছুদিন পর জ্ঞান ফিরলেও পুনরায় হার্টঅ্যাটাক হলে হাসপাতালে গত ৭ তারিখে তিনি প্রভুর সাথে মিলিত হলেন। সরকারের নিষ্ঠুরতম এ আচরণ ক্ষমার অযোগ্য। লাখো কোটি জনতার পক্ষে এহেন জুলুমবাজ সরকারের প্রতি ধিক্কার জানাই। এমনটি সরকারের অমানবিক আচরণের আরও একটি নজির আমরা দেখি তার জানাজার নামাজের সময়। লাখো মানুষের ঢল নামতে পারে এই আশঙ্কায় সংক্ষিপ্তভাবে নামাজের আয়োজন এবং শেষ করার জন্য চাপ দেয় স্থানীয় প্রশাসন। চরম প্রতিবন্ধকতার কারণে মনের আকুতি নিয়ে অনেকেই যেতে পারেননি শেষবারের মতো তাকে দেখতে, বিদায় দিতে। উপরন্তু ফিরে আসার পথে শোকাহত ২০ জন মুসল্লিকে পুলিশ আটক করে ঈমানের পথে চলার এ কাফেলায় শরিক হওয়ায় তাদের অপরাধে। এমনই অপরাধে কিছুদিন আগে হত্যা করা হয় ইসলামী আন্দোলনের আরেক সিপাহসলার শহীদ আবদুল কাদের মোল্লাকে। জুড়িশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। কসাই কাদের সাজিয়ে আবদুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেয়ার হীন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করে তারা। জানাজার নামাজে তার পরিবার ঘনিষ্ঠজন কাউকেই যেতে দেয়া হয়নি। সরকারের এহেন আচরণ তার পতনকেই নিকটবর্তী করছে। এ সকল শহীদ ও নির্যাতিত নেতার প্রতিটি রক্তকণা আর তাদের জন্য তাদের দ্বীনি ভাই বোন ও স্বজনদের প্রতি মুহূর্তের ফেলা চোখের পানি-ই শত কোটি গুণ আজাব হয়ে সরকারের পতনকে সুনিশ্চিত করবে; ইনশাআল্লাহ। মহান প্রভুর কাছে দোয়াÑ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার এই দুই প্রিয় বান্দাসহ শাহাদাতবরণকারী সকল আন্দোলনের খেদমতকারীকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন। তাদের জন্য চিরবসন্তের জান্নাতের সুশীতল ছায়ায় বাসস্থান নির্দিষ্ট করে সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন। ইসলামী আন্দোলন তাদের সব ছোট বড় প্রচেষ্টা শ্রম আর মেধার ফসল হিসেবে রেখে যাওয়া বই-পুস্তক, গবেষণা ও বক্তব্য থেকে যেভাবে প্রাণশক্তি পেয়েছে, ইসলামী আন্দোলনের সকল পর্যায়ের কর্মী ও দায়িত্বশীলরা যেভাবে উপকৃত হচ্ছে এবং হতে থাকবে। মহান রাব্বুল আলামীন তার প্রতিদান হিসেবে যুগ যুগান্তরে তাদের আমলনামায় লক্ষ কোটি গুণ সওয়াব পৌঁছে দিন। তাদেরকে সম্মানিত ও মর্যাদা দান করুন এবং তাদের সাথে তাদের উত্তরসূরি হিসেবে ইসলামী আন্দোলনের সকল প্রজন্মকে কবুল করুন। আমিন। লেখক : সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস ও প্রচার সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির [email protected]
আপনার মন্তব্য লিখুন