post

আইবিএ : সফল ক্যারিয়ারের স্বপ্ন

কে এম শফিকুল ইসলাম

০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

প্রত্যেক শিক্ষার্থী একটি উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের স্বপ্ন দেখে। এই স্বপ্ন পূরণ করতে বাংলাদেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থী ব্যবসায় প্রশাসনে অধ্যয়ন করছে। যাতে সমাজে কিংবা দেশে এমনকি বিশ্বে তার মর্যাদা, অবস্থান, স্বীকৃতি, ক্ষমতা, সম্মান, অবদান এবং খ্যাতি তৈরি হয়। ব্যবসায় প্রশাসন এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা, যেখানে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিষ্ঠানের সমস্ত ফাংশনাল, ব্যবস্থাপনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রগুলো শেখানো হয়। একজন ব্যক্তি সহজেই ব্যবসায়িক জগতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন। শিক্ষার্থীরা মূলত দুটি কারণে এই বিষয়ে অধ্যয়ন করে- প্রথমত, ব্যাংক, টেলিকমিউনিকেশন, ফার্মাসিউটিক্যালস ইত্যাদি বিভিন্ন শিল্পে ফিন্যান্স, অ্যাকাউন্টিং, বিপণন, বিক্রয়, গবেষণা, শিক্ষাদান, অপারেশন ইত্যাদিতে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে চাকরি পাওয়ার জন্য। হতে পারে তা স্থানীয় বেসরকারি বা সরকারি সংস্থা। দ্বিতীয়ত, একজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য, একটি ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারে এবং তার শিক্ষার সাথে দিনে দিনে এটিকে প্রসারিত করতে পারে। 

ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ)  

একবিংশ শতাব্দীর ব্যবসায়ী নেতৃত্ব তৈরির পাঠশালা হচ্ছে ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ)। বাংলাদেশে মাত্র ৩টি সরকারি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএ চালু রয়েছে; আইবিএ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আইবিএ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইবিএ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর অবস্থান সবার শীর্ষে। এবং ঢাবি আইবিএ গ্র্যাজুয়েটদের চাহিদা চাকরির বাজারে সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে এই ইনস্টিটিউটের সূচনার পর থেকে, বিজনেস গ্র্যাজুয়েটদের জন্য একটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে যা নিয়োগকর্তা সংস্থার প্রয়োজনীয়তা এবং আধুনিক ব্যবসায়িক বিশ্বের চাহিদা অনুসারে শিক্ষিত এবং দক্ষ মানবসম্পদ প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আপনি কখনোই শুনবেন না আইবিএ  থেকে পাস করে কেউ বেকার বসে আছে। কর্পোরেট থেকে শুরু করে বিভিন্ন বড় বড় জায়গায় শীর্ষ পদে চাকরি করছেন তারা। এমনও দেখা গেছে আইবিএ থেকে পাস করার আগেই চাকরি হয়ে গেছে। আবার অনেকে হয়েছেন উদ্যোক্তা। টেনমিনিট স্কুলের মত নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়েছেন। চাকরিদাতারা যে ধরনের দক্ষ, পেশাদার, স্মার্ট ও ফুল রেডি কর্মী খোঁজেন তার সবই পাওয়া যায় একজন বিজনেস গ্র্যাজুয়েটের মধ্যে। ফলে চাকরির বাজারে বিজনেস গ্র্যাজুটদের চাহিদা আকাশচুম্বী। ব্যবসায়িক রাজ্যের সিংহাসন যেন তাদের দখলে। 

আইবিএ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 

বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইবিএর কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৬৬ সালে। দুই বছরের মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এমবিএ ডিগ্রি দিয়ে যাত্রা করে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি ব্লুমিংটনের সঙ্গে অংশীদারিত্বে গড়ে তোলা আইবিএ। ১৯৭০ সালে চালু করে মাস্টার অব ফিলোসফি (এমফিল) ও ডক্টর অব ফিলোসফি (পিএইচডি)। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭৩ সালে আবার গতিশীল হয় আইবিএ। এরপর ১৯৯৩ সালে শুরু হয় ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ)। ২০০৭ সালে চালু হয় এক্সিকিউটিভ এমবিএ। আর ২০১৩ সালে চালু হয় ডিবিএ বা ডক্টর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (আইবিএ) ফিন্যান্স, অ্যাকাউন্টিং, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, ইনফরমেশন সিস্টেম এবং টেকনোলজি অ্যান্ড অপারেশন্সের ওপর বিবিএ মেজর করা যায়। ইচ্ছা করলে যেকোনো একটি মেজর রেখে অন্য একটি বিষয়ের ওপর মাইনর করা যায়। আইবিএতে বিবিএ করার জন্য বাণিজ্য, মানবিক ও বিজ্ঞান যেকোনো শাখার শিক্ষার্থীরা এখানে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারেন। আসন সংখ্যা ১২০। লিখিত পরীক্ষার পর সাধারণত ১৬০-১৮০ জন শিক্ষার্থী বেছে নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পান ১২০ জন। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ ৫ না পেলে বিবিএতে চান্স পাওয়া প্রায় অসম্ভব এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। দুই পরীক্ষা মিলিয়ে সর্বনিম্ন জিপিএ ৭.৫ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এসএসসি ও এইচএসসিতে আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫ পেতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার দুটি ধাপ লিখিত ও মৌখিক। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যায়। লিখিত পরীক্ষারও রয়েছে দুটি অংশ বহুনির্বাচনী ও রচনামূলক। নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার সময় ৯০ মিনিট। এ অংশে মোট নম্বর হলো ৭৫। এতে তিনটি অংশ থাকে-  ইংরেজি (৩০ মার্কস), গণিত (৩০ মার্কস), অ্যানালিটিক্যাল (বিশ্লেষণী) (১৫ মার্কস)। ইংরেজি, গণিত, অ্যানালিটিক্যাল প্রত্যেকটি অংশ আলাদা আলাদাভাবে পাস করতে হবে। বেশিরভাগ অংশে ফুল মার্কস পেয়েও কোনো একটি অংশে যদি কেউ ফেল করে তাহলে অনুত্তীর্ণ। আর রচনামূলক পরীক্ষার সময় ৩০ মিনিট। এ ক্ষেত্রে সাধারণত নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে ইংরেজি ও বাংলায় দুটি অনুচ্ছেদ লিখতে দেওয়া হয়।

আইবিএ : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চালু হয় ১৯৯১ সালে। বিবিএতে পড়তে চাইলে ই (ঊ)  ইউনিট থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। বাণিজ্য, বিজ্ঞান ও মানবিক সব বিভাগের শিক্ষার্থীরাই ভর্তি হতে পারবেন। তবে আসন সংখ্যা মাত্র ৫০ টি। এর মধ্যে ছাত্রদের জন্য ২৫টি এবং ছাত্রীদের জন্য ২৫টি আসন বরাদ্দ। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক দুই পরীক্ষা মিলে চতুর্থ বিষয়সহ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রদের  মোট জিপিএ ৯.০০ থাকতে হবে এবং মানবিক ও বাণিজ্যের শিক্ষার্থীদে জিপিএ ৮.৫০ থাকা বাধ্যতামূলক। তবে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কেউ বিবিএতে ভর্তি হলে এমবিএ করার জন্য আলাদা ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে না। ইংরেজি, গণিত, বাংলা এবং সমসাময়িক ব্যবসায়ের উপর সাধারণ জ্ঞানে মোট ৮০ মার্কের ভর্তি পরীক্ষা হয়। বাকি ২০ মার্ক মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের জিপিএর ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়। এ ইনস্টিটিউটের অধীনে আছে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ), মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) এবং এক্সিকিউটিভ এমবিএ (ইএমবিএ)। পিএইচডি এবং এম. ফিল. প্রোগ্রাম। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ- জেইউ) পরিচালক অধ্যাপক ড. কে এম জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কো-কারিকুলাম গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডে করা এবং সিলেবাস যেটা ডিজাইন করা হয়েছে তা কর্পোরেট হাউজগুলোর চাহিদা অনুযায়ী। এবং দেশে-বিদেশে যেরকম চাহিদা রয়েছে আমরা সেভাবে গ্র্যাজুয়েটদের তৈরি করি। আমরা ছাত্রদের ক্যাপাসিটি জাজ করার জন্য চাকরি মেলার আয়োজন করি এবং টেকনোলজি ড্রাইভিং যুগে গ্র্যাজুয়েটদের আমরা সেভাবেই তৈরি করি। বিদেশী নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিলেবাস পর্যালোচনা করে আমরা নতুন নতুন কনটেক্সট যুক্ত করি। এছাড়া প্রতি সেমিস্টারে ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টদের এনে তাদের চাহিদার কথা আমরা শুনি এবং শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ারিং সেশন আয়োজন করা হয়।

আইবিএ : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট ২০০২ সালে যাত্রা শুরু করে এমবিএ (সান্ধ্য) প্রোগ্রাম শুরুর মাধ্যমে। ২০১৫-১৬ সেশন থেকে আইবিএর নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী স্বতন্ত্র্যভাবে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) কোর্স চালু হয়। তবে আসনসংখ্যা মাত্র ৫০টি। এর মধ্যে বাণিজ্য থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০টি আসন এবং বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য ২০টি আসন। ৪ বছর মেয়াদি বিবিএ প্রোগামে খরচ হয় প্রায় দেড় লাখ টাকা। বিবিএর প্রথম ব্যাচের ২০১৫-১৬ সেশন শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, ‘বাণিজ্য এবং বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য রাবিতে ভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা হয়। বাণিজ্য ব্যাকগ্রাউন্ডে ছাত্রদের জন্য ইংরেজি, ম্যানেজমেন্ট এবং অ্যাকাউন্টিং এই ৩ বিষয়ে এবং বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রদের গণিত, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান এই ৩ বিষয়ে ১০০ মার্কের এমসিকিউ পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই করা হয়। ঢাবির আইবিএ-এর মত মানবিকের শিক্ষার্থীদের এখানে বিবিএ করার সুযোগ নেই।’  তবে মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) করতে চাইলে যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এমবিএ বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। ব্যবসায় শিক্ষার ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে তিনটি এমবিএ প্রোগ্রাম- এমবিএ (ডে) প্রোগ্রাম, এক্সিকিউটিভ এমবিএ প্রোগ্রাম এবং এমবিএ ফর বিবিএ গ্র্যাজুয়েটস প্রোগ্রাম চালু করেছে ইনস্টিটিউট। এছাড়া ২০০৬ সালে চালু করা হয় পিএইচডি এবং এম. ফিল. প্রোগ্রাম। প্রতিটি প্রোগ্রামে বেসরকারি সেক্টর এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলোর মধ্যে ও শীর্ষ-স্তরের নির্বাহীদের মধ্যে নতুন ছাত্র এবং পেশাদারদের একটি সুন্দর সমন্বয় রয়েছে। রাবি আইবিএর বিখ্যাত অধ্যাপক হাসনাত আলী বলেন, ‘একাডেমিক বিষয়গুলো অরগানাইজডভাবে পরিচালনা করা। ছাত্ররা ক্লাসে যাওয়ার আগেই তাদের একাডেমিক কারিকুলাম হাতে দেওয়া হয়, কখন কয়টি ক্লাস হবে, কখন পরীক্ষা হবে, কবে প্রেজেন্টেশন হবে। এমনকি রেজাল্ট কবে পাবলিশ হবে এবং পরের সেমিস্টারে কবে ক্লাস কখন শুরু হবে এটাও আগে জানিয়ে দেওয়া হয়। ২০০৪ সালে আমি জয়েন করেছি, এখন পর্যন্ত কোনো ক্লাস, পরীক্ষা, রেজাল্ট প্রকাশের শিডিউল ব্রেক হয়েছে এরকম কোনো রেকর্ড নেই।’ এখানকার প্রোগ্রামগুলো সেশন জট থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। সফলভাবে ব্যবসার খাতকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সক্ষম করে তুলতে রয়েছে ‘স্পার্ক’ নামে আইবিএর বিজনেস ক্লাব। বিভিন্ন ধরনের সেমিনার, কর্মশালা, বিতর্ক ইত্যাদি সংগঠিত করার সাথে পরিচিত করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তৈরি করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক জিন্নাত আরা বেগম বলেন, ‘আমরা নিয়মিত সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ব্যবসায়িক আলোচনা এবং কর্পোরেট নেতাদের সাথে অভিজ্ঞতা শেয়ারিং প্রোগ্রাম, কর্মশালা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন ক্যারিয়ার-ভিত্তিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করি যা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল, উদ্ভাবনী, আত্মবিশ্বাসী, করে গড়ে তোলে।’ 

আইবিএর সাফল্য গাঁথা 

আইবিএ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে থেকে শুরু করে উদ্যোক্তা শ্রেণির শীর্ষ পদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজনেস গ্র্যাজুয়েট। বণিক বার্তা পত্রিকার রিপোর্ট থেকে জানা যায়, দেশের অন্যতম বৃহৎ কনগ্লোমারেট সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আজিজ খান আইবিএ গ্র্যাজুয়েট। এ প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণকারী পোশাক খাতের উদ্যোক্তা অধ্যাপক আবদুল মোমেন। অন্যতম শীর্ষ জব পোর্টাল বিডি জবসের শীর্ষ নির্বাহী একেএম ফাহিম মাশরুরও রয়েছেন এ তালিকায়। দারাজের চিফ মার্কেটিং অফিসার তাজদিন হাসান। চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের সচিব মো. মিজানুর রহমান। সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল হাকিম। সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার আইবিএ গ্র্যাজুয়েট। 

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীদের মধ্যে আইবিএ থেকে গ্র্যাজুয়েশন বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আরফান আলী, বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম আব্দুল মান্নান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী নাসের এজাজ বিজয়, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আরএফ হুসেইন, আইপিডিসি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমিনুল ইসলাম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। শুধু দেশের মধ্যেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশী ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন আইবিএ গ্র্যাজুয়েট। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক মালয়েশিয়ার প্রধান নির্বাহী আবরার আনোয়ার আইবিএ গ্র্যাজুয়েট। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন ইউনিলিভার দক্ষিণ এশিয়ার হেড অব মার্কেটিং ট্রান্সফরমেশন জাভেদ আখতার ও বিএটির মানবসম্পদ বিভাগের রুমানা রহমান। বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠানে শীর্ষ নির্বাহীর দায়িত্বে থাকা আইবিএ গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে আরো রয়েছেন সিঙ্গার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী হামিম রহমাতুল্লাহ, নিয়েলসন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী আনাম মাহমুদ, বিএটিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম, ডিএইচএল এক্সপ্রেস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়ারুল হক আইবিএর সাবেক শিক্ষার্থী।

আয়ারল্যান্ডে ইন্টেলের ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট আরিফ ভূইয়া, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রাশেদ আল হাসান, আইএফআইসি ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তৌফিক এলাহী, ব্যাংক এশিয়ার ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট নাফিসা হাবিব, কানাডার একটি বেসরকারি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মাহফুজুর রহমান, অস্ট্রেলিয়ার ডিকেন ইউনিভার্সিটির সিনিয়র লেকচারার ড. শুদ্ধ সত্ত রফিক, ফিনল্যান্ডের সুইডির স্কুল অফ ইকনোমিকসের  সহকারী অধ্যাপক আরাফাত রহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর সাবেক শিক্ষার্থী।  

 লেখক : শিক্ষার্থী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির