post

ইনসাফ ভিত্তিক বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে

মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ

১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ বলেছেন, সন্ত্রাস দিয়ে সন্ত্রাস দমন হবে না। ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা সন্ত্রাস করলেও নেতারা তাদের আশ্রয় দেয়। দল মত নির্বিশেষে সন্ত্রাসীদের বিচার করতে হবে। আর সকল দলের লোকদেরকে কুরআন হাদিসের অনুসারী হতে হবে। সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক না কেন তাদের বিচার করতে হবে। সমাজের শান্তি শৃঙ্খলার জন্য ইনসাফ ভিত্তিক বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে তিনি জানান। ছাত্র সংবাদ : বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম এক অধ্যায় ওয়ান ইলেভেন। ওয়ান ইলেভেনের আগে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছিল। বর্তমানেও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক বলে অনেকেই মনে করছেন। তা থেকে উত্তরণের উপায় কী? মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ : সন্ত্রাস দিয়ে সন্ত্রাস দমন হবে না। ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা সন্ত্রাস করলেও নেতারা তাদের আশ্রয় দেয়। দল মত নির্বিশেষে সন্ত্রাসীদের বিচার করতে হবে। আর সকল দলের লোকদেরকে কুরআন হাদিসের অনুসারী হতে হবে। সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক না তাদের বিচার করতে হবে। অতিউৎসাহী কিছু লোক ফেতনা ফাসাদ সৃষ্টি করার জন্য উস্কানি দিচ্ছে। তাদের দমন করতে হবে। ছাত্র সংবাদ : দেখা যাচ্ছে সরকারি দলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা থাকলে তা তুলে নেয়া হচ্ছে। এমন কী হত্যা মামলাও প্রত্যাহার করতে দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী। মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ : দলীয় লোকদের বিরুদ্ধে মামলা থাকলে তা প্রত্যাহার করা সুষ্ঠু বিচারের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা। সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য ইনসাফ ভিত্তিক বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক নিরপেক্ষভাবে তার বিচার করতে হবে। ছাত্র সংবাদ : বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে খুব বড় দাগে যেসব খুন, হত্যা ও গুমের ঘটনা ঘটেছে তার কিন্তু কোনো কিনারা হয়নি। এসব ঘটনা কিন্তু অন্ধকারেই থেকে গেছে। এর কারণ কী? মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ : এর কারণটি অত্যন্ত স্বাভাবিক। বর্তমান সরকার রাজনৈতিকভাবে যেসব মামলা বা যেসব ঘটনা দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা যায়; সেসব মামলার ব্যাপারে অনেক বেশি উৎসাহী। কিন্তু যেসব মামলার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সরকারি দলের লোকজন জড়িত সে ক্ষেত্রে কোনো মামলাই শেষ পর্যন্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে না। সমস্যাটা হচ্ছে যেখানে সরকার দলীয় নিজেদের লোকজন জড়িত থাকে সেখানে পুরো বিষয়টি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আমি নিশ্চিত যে ভবিষ্যতে সরকার পরিবর্তন হলে বর্তমান সরকারের আমলে ঘটে যাওয়া প্রতিটি ঘটনার জন্য দায়-দায়িত্ব তাদেরকে বহন করতে হবে। যদি আগামী সরকার সুশাসন, সুনীতি এবং সু-সরকারের কথা বলে তাহলে এসব বিষয়ের তদন্ত করে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; রাজনৈতিকভাবে নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির