প্রশংসা শুনতে কার না ভালো লাগে? কেউ যদি আপনার-আমার প্রশংসা করে, তখন আমরা কী করি? অনেক খুশি হই; মনে আনন্দ জাগে, তাই না? ভালো লাগার আলাদা একটা অনুভূতি সৃজন হয় মনের ভেতরে ছোট্টো ওই জায়গাটায়। এই কথা যে অস্বীকার করবে সে হয়তো সত্য বলবে না। আসলে যে-ই আমার বা আমাদের একটু প্রশংসা করুক না কেনো, তাকে তখন ভালো লাগে। আলাদা দৃষ্টিতেই দেখি তাকে। সালাত-সিয়াম করেন, দ্বীন মানতে চেষ্টা করেন, সকল মতাদর্শের ওপর আল্লাহর বিধানের বিজয় চান, দ্বীনের প্রচার-প্রসার ও প্রতিষ্ঠার কাজে নিবেদিতপ্রাণ- কখনো কখনো দেখা যায় যে এমন লোকজনও খুব বেশি প্রশংসা পেতে চায়। পারতপক্ষে কেউ সামনাসামনি সুনাম করলে তাকে বারণ করি না। বাধা প্রদান করি না। মানুষ আমার প্রশংসা করলে, ভালো বললে সে প্রশংসা ফিল করি; উপভোগ করি। যদিও সব সময় না, সবাই না। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। অধিকাংশ লোকই। প্রশংসা কম পেলে, বাহবা না পেলে দেখা যায় কর্মের গতি শ্লথ হয়ে যায়। অনেক সময় তো এমনও দেখা যায়- যে কাজ আমি করি না, যে-সমস্ত কাজের প্রশংসা পাবার যোগ্য আমি না, সেসব বিষয়েও প্রশংসা পাবার জন্য উন্মুখ ও উতলা হয়ে থাকি। এই যে বিষয়টা, এই বিষয়টা ইসলামে শুধু নিরুৎসাহিত করেই থেমে থাকেনি বরং এই কাজের জন্য, এই চিন্তার জন্য তো রয়েছে কঠোর শাস্তিও! পবিত্র কুরআনে এ-নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মহান আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেন- ‘যারা নিজেরা যা করেছে (অযাচিত কর্ম) তাতে আনন্দিত হয়, এবং নিজেরা যেসব কাজ করেনি সেমস্ত কাজের জন্য প্রশংসিত হতে ভালোবাসে, তারা শাস্তি হতে মুক্তি পাবে, আপনি এরূপ কখনো মনে করবেন না, তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’১ এই যে শুধু প্রশংসার জোয়ারে ভাসতে চাওয়া, কাজ না করেও কিংবা কোনো কাজ ¯্রফে প্রশংসা পাবার জন্য করা, এটা নিকৃষ্ট জাতি ইহুদিদের একটা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এই ইহুদিদের একটি দল একবার রাসূলুল্লাহ সা.-এর কাছে এসে তাঁর প্রশংসা পাবার জন্য বলে যে, হে মুহাম্মদ সা. আপনি যে দ্বীন নিয়ে এসেছেন আমরা সেই দ্বীন গ্রহণ করতে প্রস্তুত, প্রস্তুত আপনার আনুগত্য করতেও! অথচ সত্য হলো তাঁরা মোটেও আল্লাহর রাসূলের আনীত দ্বীন মানতে, গ্রহণ করতে কিংবা তাঁর আনুগত্য করতে মোটেও প্রস্তুত ছিলো না।২ তারা বরং বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ইহুদিদের চিঠি প্রেরণ করে করে আল্লাহর রাসূলের ওপর ঈমান আনতে বারণ করে যাচ্ছে। তারা তাদের অনুসারীদের এই বলেই নিষেধ করে যাচ্ছে যে, মুহাম্মদ সা. আল্লাহর নবী নন।৩ কিন্তু তারা যা করেনি, যা মানেনি, সে-কাজের জন্য, সে বিষয়ের জন্য ভালো সেজে প্রশংসা পাবার খায়েশে তাদেরই একটি দল মুহাম্মদ সা.-এর সামনে হাজির হয়ে এমন মিথ্যে এবং প্রতারণাপূর্ণ কথামালা বলেছে। মদিনার মুনাফিকরাও এই দোষে দুষ্ট ছিলো। অজ¯্র অজুহাত উপস্থাপনায় তারা ছিলো দারুণ পটু। অজুহাতের পর অজুহাত উপস্থাপন করে জিহাদের ময়দান থেকে থাকতো তারা দূরে দূরেই। আল্লাহর পথে বীরবিক্রমে সংগ্রামরত মুজাহিদগণ যখন সেসব জিহাদে আহত-নিহত হতো, ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হতো- তখন তারা যাক বেঁচেছি, রক্ষা পেয়েছি; ইত্যাদি ভেবে নিজেরা জিহাদের ময়দান থেকে পালিয়ে থাকবার দরুন খুব বেশি সুখ-স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতো! এই এরাই আবার মুসলমানদের বিজয়ে গিয়ে হাজির হতেন গনিমতের লোভে, নিজেদেরকে পাক্কা মু’মিন হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টাতে একদম কোনো প্রকারের ত্রুটিই করতো না। তারা চাইতো নবীজি এবং সাহাবায়ে আজমাইন তাদেরকেও ভালো মুসলিম হিসেবে গণ্য করুক, মর্দে মুজাহিদদের সাথে তাদেরও একটু প্রশংসা করুক।৪ অনেকেই তো আমরা এই তোষামোদ ও চাটুকারিতার ছলনায়, তিলে তিলে নিজের আত্মসম্মান-ঈমান-আমল-ব্যক্তিত্বকে বিলীন করে দিই। যে একটু তোষামোদ করে, যে একটু চাটুকারিতা করে, তাকে কাছে টেনে নিই, আপন করে নিই। নিজ-ক্ষমতা বলে তাকে যেভাবে যতটুকু সুযোগ সুবিধে দেয়ার প্রয়োজন তারচে বেশি-ই দিই। অন্যকে বঞ্চিত করে তোষামোদকারী এবং চাটুকারকারীকে-ই প্রাপ্যেরও অধিক সুযোগ-সুবিধে প্রদান করি, প্রাধান্য দিই। রাসূলুল্লাহ সা.-এর একটি বিখ্যাত হাদীস আছে, যাতে তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি তোমার সামনাসামনি প্রশংসা করবে, তুমি তাঁর মুখে মাটি ছুড়ে মারো।৫ আল্লাহর রাসূল সা.-এর একজন বিখ্যাত সাহাবী মিকদাদ রা.। এই হাদীসটার বাস্তব প্রতিফলন ছিলেন তিনি। তিনি তাঁর জীবনে পরিপূর্ণরূপে এর বাস্তবায়ন করেছেন অসংখ্যবার। তোষামোদ-চাটুকারিতা এবং সামনাসামনি প্রশংসা বা অতি প্রশংসা- তিনি এমনটা মোটেই পছন্দ করতেন না। যখন যাকেই দেখেছেন অযাচিত প্রশংসা করতে, সম্মুখে প্রশংসা করতে, তিনি তখনই তার মুখে বালি-মাটি নিক্ষেপ করেছেন। একদিন তিনি কোনো এক ব্যক্তিকে দেখলেন যে, সে দণ্ডায়মান অবস্থায় কোনো একজন নেতার সম্মুখে তাঁর প্রচুর পরিমাণে স্তুতি গেয়ে যাচ্ছে, তখন মিকদাদ রা. সাথে সাথেই তার মুখে মাটি ছুড়ে দিয়ে বললেন, রাসূলুল্লাহ সা. আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন অতিমাত্রায় প্রশংসাকারীদের মুখে মাটি ছুড়ে মারার জন্য।৬ এমনিভাবে একদিন উসমান রা.-এর কাছে কিছু লোক এসেছে, সেখানে মিকদাদ রা.ও ছিলেন। তারা মিকদাদের সামনেই তাঁর প্রশংসা শুরু করে দিলো। এতে তিনি এতো বেশি পরিমাণে রুষ্ট হলেন যে, তাদের মুখে মাটি ছুঁড়ে মারতে লাগলেন। উসমান রা. এই অবস্থা দেখে হতচকিত হয়ে পড়লেন! তিনি বলে উঠলেন- মিকদাদ, এ কী হচ্ছে? কী করছো তুমি? জবাবে তিনি বললেন রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন; তোমরা অতিমাত্রায় প্রশংসাকারীদেরকে দেখলে তাদের চেহারায় মাটি নিক্ষেপ করবে।৭ এই মিকদাদ রা. ওনার নিজের প্রতি-ও কেউ প্রশংসা করবে, সেটারও সামান্যতম সুযোগ রাখতেন না। স্পষ্ট আর বাস্তববাদী ছিলেন পুরোদমে। রাসূলুল্লাহ সা.-এর সোহবত, তাঁকে স্বচক্ষে দেখা, তাঁর সঙ্গে সময় কাটানোর যে সৌভাগ্যময় আমেজ-উদ্দীপনা; তা কি প্রশংসার উপযোগী না? একজন মু’মিন কি এই বিষয়ে অনেক বেশি উদ্দীপ্ত হয়ে বাহবা পেতে পারে না? কিন্তু তিনি সেটাতেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন না। দেখুন, এক্ষেত্রেও ওনার ভূমিকা কেমন ছিলো ; “একবার একজন তাবেয়ী তাঁকে বললেন- রাসূলুল্লাহ সা.-এর দর্শন লাভে ধন্য আপনার চোখ দুটো। আপনার এই চোখ দুটো কতোই না সৌভাগ্যের অধিকারী। আল্লাহর কসম আপনি যা কিছু দেখেছেন তা দেখার এবং যেসব দৃশ্য ও ঘটনায় আপনি উপস্থিত হয়েছেন তাতে উপস্থিত হওয়ার জন্য আমি খুবই লালায়িত। এসব একথা শুনে মিকদাদ রা. খুবই ক্ষিপ্ত হয়ে গেলেন। তাঁকে এমন ক্ষিপ্ত দেখে, মানুষজন বললো, এতে উত্তেজিত হওয়ার কী আছে? তিনি তখন জবাবে বললেন, বর্তমানকে ছেড়ে অতীতকে কামনা করা বৃথা কাজ। কারণ, একথা তো তাঁর জানা নেই, তখন সে দুনিয়ায় থাকলে তার ভূমিকা কী হতো। আল্লাহর কসম, রাসূলুল্লাহ সা.-এর সমসাময়িক বহুলোক ঈমান না আনার কারণে তাদের ঠিকানা হয়েছে জাহান্নাম। সে কি জানে সে কোন দলভুক্ত হতো? এমন বিপদ থেকে যে আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছেন এবং তিনি তাকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনয়নকারী বানিয়েছেন- এজন্য কি সে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবে না?”৮-ক আচ্ছা, সব মিলিয়ে ওনারা কি প্রশংসা প্রাপ্তির যোগ্য ছিলো না? অবশ্যই ছিলো। কিন্তু তবুও আল্লাহ ভীতিকে, স্বচ্ছ আমলকে কতো বেশি প্রাধান্য দিলে এমন সচেতন-সতর্ক থাকতে পারেন, ভাবা যায়? আমরা তো নিজেকে কিংবা অন্যকে মুখলিস-মুহসিন আর মুত্তাকি বান্দা হিসেবে তখন মনে করি, যখন অধিক প্রশংসা দেখি বা পাই। আমরা প্রশংসার প্রণোদনায় প্রলুব্ধ হয়েই আমল-আখলাক, আমাদের যাবতীয় ক্রিয়াকলাপ পরিচালনা ও পর্যালোচনা করি। কেউ একটু আধটু প্রশংসা করলে প্রাণোচ্ছলতা পাই, বাহবা পেলে ভালো লাগে, উদ্দীপ্ত হই। তোষামোদ করলে কিংবা কেউ চাটুকারিতামূলক কিছু বললেও অন্যরকম এক আনন্দ আসে মনে। অনেক সময় অন্যকেও অযাচিত প্রশংসার বাণে ভাসিয়ে দিই। নিজেকে বুজুর্গ লোক হিসেবে, অধিক ভালো হিসেবে উপস্থাপন করতে আমরা কিবা না করি? নিজের দুর্বলতার দেয়ালটাকে বরাবরই আড়াল করতে চেষ্টা করি। প্রশংসার প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কতো কতো কৃত্রিমতার-ই না আশ্রয় গ্রহণ করে থাকি আমরা। কিন্তু আমাদের আলোচিত এই বিখ্যাত সাহাবি মিকদাদ রা.- তিনি এমনটি মোটেই করতেন না। অধিক ভালো সাজতে, নিজের দুর্বলতার দেওয়ালটাকে আড়াল করতে কোনো প্রকার কৃত্রিমতার আশ্রয় গ্রহণ করতেন না। সরল আর স্পষ্ট জবানে সত্য কথাটিই বলে দিতেন। ছিলেন সব কৃত্রিমতার ঊর্ধ্বে। যেমন একবার রাসূলুল্লাহ সা. তাঁকে একটি দলের আমীর নিযুক্ত করলেন। তিনি ফিরে আসার পরে রাসূলে কারীম সা. জিজ্ঞেস করেন, ‘নেতৃত্ব কেমন লাগলো?’ সেটার জবাবে তিনি কোনো প্রকার রাখডাক না করে বড়ো রকমের একটি সত্য কথা বলে ফেলেন। তিনি বলেন, ‘নিজেকে আমার সবার ওপরে এবং অন্যদের আমার নিচে মনে হয়েছে। এরপর তিনি নবীজির কাছে আল্লাহর নামে শপথ করে এইভাবে এই বলে প্রতিজ্ঞা করলেন যে- যিনি সত্যসহ আপনাকে পাঠিয়েছেন, তাঁর শপথ; আজকের পর আর কক্ষণো আমি দু’ব্যক্তির ওপর আমীর হবো না।’৮-খ এই যে মিকদাদ রা., তিনি কী করেছেন? আমরা হলে কী করতাম? হয়তো-বা কতো কৃত্রিমভাবেই না নিজেকে পরহেজগার, মুহসিন ও মুত্তাকিরূপে জাহির করার চেষ্টা করতাম। শুধু বাহবা পাবার জন্য, প্রশংসার বাণে ভাসার জন্য। আমরা তো বর্তমান পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত যে জাহিলি জীবনব্যবস্থা, সে জীবনব্যবস্থার মূলোৎপাটন করে ইসলামের সোনালি আলোয় উদ্ভাসিত এক আদর্শ জীবনব্যবস্থা-ই প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। সেজন্য আমাদেরকে তো মিকদাদ রা.-এর মতো ইসলামের জীবন্ত নমুনা হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। তাঁরা যেভাবে ছিলেন স্পষ্ট-সত্যবাদী, কৃত্রিমতা বিবর্জিত- আমরা যদি নিজেদেরকে, নিজেদের ব্যক্তিত্বকে সেভাবে আর সেরকম-ই গঠন-পরিগঠন করার প্রচেষ্টা করি, এবং আমাদের কর্মকাণ্ডগুলোকেও যদি ¯্রফে আল্লাহর সন্তোষের নিমিত্তে পরিচালনা করতে পারতাম কিংবা পারি, তা হলে আমরাও পারবো গোটা দুনিয়াকে আল্লাহর দ্বীন আল-ইসলামের রঙে রাঙিয়ে দিতে, যেভাবে পেরেছেন মিকদাদ রাদিয়াল্লাহু আনহুরা। যাইহোক, আল্লাহর রাসূল সামনাসামনি প্রশংসা করতে নিষেধ করেছেন কেনো? কারণ হচ্ছে এতে ব্যক্তির মনে যেনো কোনোরূপ অহংকারের জন্ম হতে না পারে, ব্যক্তি তথা মানুষটি যেনো ফিতনায় নিপতিত হয়ে না পড়ে, সে জন্যই আল্লাহর রাসূল সা. বলেছেন, “কারো সামনে তার প্রশংসা করা তার পিঠে ছুরি মারা বা তার গলা কেটে ফেলার সমান।”৯ আবার প্রশংসাকারীর মুখে মাটি ছুড়ে মারার বিষয়টি তো পূর্বেই আলোচনা করা হয়েছে। এখন শেষ কথা হচ্ছে যে, সামনাসামনি প্রশংসা কি সব সময়ই অগ্রহণীয়? নাহ, তা না। যদি কারো প্রশংসায় কোনো ব্যক্তির ভেতর পজিটিভ কিছু আসে, তা হলে তা করা যায়। যেমন ধরুন আপনি কোনো একজনের এমন কিছু প্রশংসা করলেন, যে প্রশংসায় সে সালাতে আরো অধিক মনোযোগী হলো, বা সালাত আদায়কারী বনে গেলো। আল্লাহর পথে, দ্বীনের প্রচার-প্রসার-প্রতিষ্ঠার কাজে আরো অধিক সক্রিয় ও মনোযোগী হলো, তাঁর ইখলাসের যে মান, সে মানটার আরো উন্নতি ঘটলো, এবং সে অন্যান্য বেহুদা কাজ ও পথে সময় ক্ষয় না করে দ্বীনের পথে, আত্মগঠন-মানোন্নয়নেই সময়টা ব্যয় করলো- এই যদি হয় আমাদের প্রশংসার লক্ষ্য এবং ফলাফল, তা হলে সেই প্রশংসা করা যাবে বলে মনে করেন ইমাম গাযযালী (রাহিমাহুল্লাহ)। তবে তিনি প্রশংসার আকাক্সক্ষা করাটাকে জুলুমের অন্তর্ভুক্ত বলেছেন, এবং এই ধরনের মানুষদের প্রশংসা করতে নিষেধও করেছেন।১০ ইমাম নববী-ও (রাহিমাহুল্লাহ) ফিতনার আশঙ্কা না থাকলে সামনাসামনি যে কারো প্রশংসা করা যেতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।১১
তথ্যসূত্র : ১. সূরা আলে ইমরান : আয়াত ১৮৮, ২. তাফসিরে খাজেন : ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪৬৫, ৩. আসবাবু নুযুলিল কুরআন : ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪৮, ৪.তাফসীরে ইবনে কাসির : ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৮৯, ৫. আল-আদাবুল মুফরাদ : ৩৪০, ৬. মুসলিম : ৭৩৯৫, ৭. মুসলিম : ৭৩৯৬, ৮-ক. আসহাবে রাসূলের জীবন কথা : ২ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫১, ৮-খ আসহাবে রাসূলের জীবন কথা : ২ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫১, ৯. আদাবুল মুফরাদ : ৩৩৫, ১০. ফয়যুল কাদীর : ৩ খণ্ড, পৃষ্ঠা ১২৯, ১১. আল-মিনহাজ : ২ খণ্ড, পৃষ্ঠা ২১৩
আপনার মন্তব্য লিখুন