post

এসো করি স্বপ্ন পূরণ মোস্তাফিজুর রহমান আশু

০৪ মে ২০১৬
“বিশ্বজোড়া পাঠাগার মোর, সবার আমি ছাত্র, নানানভাবে নতুন জিনিস, শিখছি দিবা রাত্র”। কবির এ কথা মনে রেখে চারপাশ টাতে আবার জ্ঞানপিপাপু দৃষ্টি মেলতে পারি, এ সময় হঠাৎ করে চোখের সামনে ভেসে উঠতে পারে- “মুক্ত দানার শিশির বিন্দু।” কবির ভাষায়Ñ “দেখিতে গিয়াছি পবর্তমালা দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু, দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া, একটি ধানের শিষের উপরে একটি শিশির বিন্দু।” এটা ভাতে ভাবতে যখন ঘুমিয়ে পড়ি, তখন ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি APJ Abdul Kalam এর স্বপ্নের সংজ্ঞা ঘুমের মাঝে খোঁচা দিয়ে বলে, ÔDream is not what you see in sleep is the thing which doesn’t let you sleep.’ আর পরম শ্রদ্ধেয় হান্নান চাচ্চুর কাছে গেলে- অনেক কথার পরে একান্ত স্নেহ ও আদরভরা কণ্ঠে বলা কথাটি “চাচ্চু পড়, বেশি বেশি পড়” মানসপটে একটি নতুন উদ্দীপনার স্রোতো উৎসাহে শিরদাঁড়াটা টনটনে করে তুলে- কিন্তু আষাঢ়ের খরে স্রোতে নদী যেমন শীতে স্তিমিত হয়ে বৈশাখের বালুঝড়ের ধূলিতে পরিণত হয়, আমাদের বড় হওয়ার ইচ্ছাটারও অপমৃত্যু ঘটে কয়েক ঘন্টার মধ্যে। কিভাবে বেশি বেশি মনে রেখে জীবনটাকে উন্নত করা যায়, শিক্ষণের পরিমাণ (Learning)  কিভাবে বাড়ানো যায় আজকে সেই বিষয় নিয়েই আমাদের আলোচনা। প্রথমেই জেনে নেয়া যাক- শিক্ষণের শর্তগুলো কী(Factors of Learning): শিক্ষণ কত দ্রুতগতিতে হচ্ছে তা নির্ভর করে শিক্ষণের বিষয়বস্তু ও শিক্ষণের পদ্ধতির ওপর। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত গুণাবলি যেমন- বয়স, স্বাস্থ্য, বুদ্ধি, ইচ্ছা-অনিচ্ছা ইত্যাদির ওপরেও শিক্ষণের গতি নির্ভর করে। যে সমস্ত ব্যক্তিগত গুণাবলির দরুন শিক্ষণের গতি পার্থক্য হয়, নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা হলো : ১. বুদ্ধি (Intelligent) : বুদ্ধির সঙ্গে (Learning) শিক্ষণের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। যে শিক্ষার্থী যত বেশি বুদ্ধিমান, তার শিক্ষণ তত বেশি দ্রুত হয়, এ জন্যই যাদের বুদ্ধাঙ্ক (I.Q) অপেক্ষাকৃত কম, তাদের শিক্ষণের ক্ষমতাও সীমিত, তবে মনে রাখা উচিত যে, শিক্ষণের ক্ষমতা ও বুদ্ধি এক জিনিস নয়। ২. বয়স (Age) : বুদ্ধির মতো বয়সও শিক্ষণের গতিকে প্রভাবিত করে। মোটামুটি পাঁচ বছর পর থেকে শিক্ষণের ক্ষমতা দ্রুত গতিতে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে চলে, পাঁচ বছরের আগে শিশুর শিক্ষণের পরিমাপ করা যায় না। এই ক্ষমতা কুড়ি বছর পর্যন্ত ক্রমশ বাড়ে, তারপর একই রকম থাকে এবং পঞ্চাশ বছর বয়স থেকে ক্রমশ কমতে থাকে। ৩. প্রেষণা (Motivation) : শিক্ষার্থীর যদি শিক্ষণের প্রেষণা ও আগ্রহ থাকে তবেই শিক্ষণ ত্বরান্বিত হতে পারে। শেখার ইচ্ছা ব্যতীত কোন কিছু শেখা যায় না। প্রেষণা শব্দটির তাৎপর্য একটু ব্যাপক। ব্যক্তি সচেতনভাবে কোন প্রেষণা অনুভব না করলেও বহুবিধ দ্রব্য বা ঘটনা ব্যক্তিকে সন্তুষ্টি দিতে পারে। কোন কিছু ব্যক্তির সন্তুষ্টি উৎপন্ন করলেই তার পেছনে একটি প্রেষণা কাজ করছে মনে করতে হবে। ব্যক্তি যা কিছু শিখবে তার জন্য কোন না কোন প্রেষণার সন্তুষ্টি একটি অপরিহার্য শর্ত বলে বিবেচিত হয়। ৪. অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্য (Experience & Tradition) : শিক্ষণের জন্য অতীত অভিজ্ঞতা ও শিক্ষণ সম্পর্কিত ঐতিহ্য অনেকখানি প্রয়োজন। পূর্বগামী শিক্ষণ নতুন শিক্ষণে যথেষ্ট সাহায্য করে। যেসব শিক্ষার্থীর কোন ঐতিহ্য নেই, ক্রমাগত শিক্ষণের মধ্য দিয়ে যাদের চিন্তাধারা পরিশুদ্ধ হয়নি, তাদের পক্ষে কোন কিছু শিক্ষা করা অপেক্ষাকৃত কঠিন। তাই দেখা যায়, উচ্চশিক্ষিত পরিবারের শিশুরা পরিবার থেকেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে শিক্ষা লাভ করে থাকে। ৫. শিক্ষণের পদ্ধতি (Process of learning) : শিক্ষণের পদ্ধতির জন্যও অনেক সময় শিক্ষণ বিলন্বিত বা বিঘ্নিত হয়। পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত কোন শিক্ষণের বা অনুশীলনের পর অল্প সময় বিশ্রাম নিলে শিক্ষণ তাড়াতাড়ি হয়। একটানা দীর্ঘ সময় ধরে অনুশীলন করার চেয়ে মাঝে মাঝে বিরতি ও বিশ্রাম নিয়ে কোন বিষয় অধ্যয়ন বা অনুশীলন করা অধিকতর উপযোগী। সুতরাং অনুশীলন কালে ভাগ করে নেয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন উপায়ে তা করা যেতে পারে- র)    অল্পক্ষণ অনুশীলন করার পর মাঝে মাঝে বিশ্রাম নেয়া। রর)    শিক্ষণের বিষয়কে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নেয়া। ররর)    একটি বিষয় কিছুক্ষণ অনুশীলন করার পর অন্য একটি বিষয় অনুশীলন করা। রা)    কিছুক্ষণ ধরে কোন বিষয় অধ্যয়ন করার পর স্বভাবতই ক্লান্তি ও একঘেয়েমি আসে। সে জন্য পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে গান শুনা, সঙ্গীত অভ্যাস বা খেলাধুলা করা ভালো। এতে অবস্বাদ বা ক্লান্তি দূরীভূত হয়। খেয়াল রাখতে হবে খেলতে খেলতে যাতে পড়তে ভুলে না যান এবং গান শুনতে শুনতে সুরের ভুবনে হারিয়ে না যান। ৬. পরিণতি বা ফলমূল্যায়ন (Feed back): অনুশীলনের ফল ভালো কি মন্দ হচ্ছে, শিক্ষার্থী যদি তা না জানতে পারে তবে শিক্ষণ দ্রুত হয় না। শিক্ষণের সবচেয়ে ফলপ্রসূ শর্ত হলো প্রত্যেকবার অনুশীলনের পর শিক্ষার্থী কতদূর অগ্রসর হলো তা তাকে জানতে দেয়া। ব্যক্তির কাজের ফলাফল তাকে জানতে দেয়াকে Feed back বলা হয়। অনুশীলন করার পর শিক্ষার্থীকে তার ফলাফল বা পরিণতির কথা জানানো হলে, সে তাড়াতাড়ি ভুল শোধরাতে পারে ও শুদ্ধ আচরণ শিক্ষা লাভ করতে পারে। ৭. মনে মনে পড়া ও আবৃত্তি করা  (Silences reading & recitation): শুধু মনে মনে কোন বিষয় বস্তু পড়ার চেয়ে, মনে মনে পড়া ও আবৃত্তি করার সুফল অনেক বেশি। একই বিষয়বস্তু একজন শুধু মনে মনে পড়ছে, আরেকজন পড়েছে ও আবৃত্তি করেছে। ঐ দুই জনের মধ্যে শেষোক্ত ব্যক্তির শিক্ষণ অনেক দ্রুত হবে। ৮. শিক্ষণীয় বিষয়বস্তু (Topic of learning) : শিক্ষণীয় বিষয়বস্তুর প্রকৃতির ওপর ও শিক্ষণের গতি নির্ভর করে। কঠিন বিষয় শিখতে স্বভাবতই বেশি সময় লাগে। তা ছাড়া আরেকটি শর্ত হলো শিক্ষণীয় বিষয়ের অর্থবোধ। শিক্ষার্থী যদি পাঠ্যবিষয় বা শিক্ষণীয় বিষয়ের অর্থবোধ করতে না পারে, তবে শিক্ষণ ব্যাহত হতে পারে। অর্থহীন একটি শব্দ তালিকার তুলনায় অর্থপূর্ণ একটি শব্দ তালিকা মুখস্থ করতে কম সময় লাগে। ৯. স্পষ্টতা (Clearness): শিক্ষণীয় বিষয়ের স্পষ্টতা শিক্ষণের একটি অপরিহার্য মৌলিক শর্ত। অস্পষ্ট বিষয় ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয় এবং মস্তিষ্কে এর ছাপ সুগভীরভাবে চিহ্নিত হয় না। শিক্ষণীয় বিষয় বস্তুসমূহের মধ্যে বহুল পরিমাণ সাদৃশ্য থাকলে স্মৃতিতে সংশয় ও দ্বন্দ্ব উপস্থিত হয়, ফলে শিক্ষণ বাধাপ্রাপ্ত হয়। ১০. সংগঠন (Organization) : গবেষণায় দেখা গেছে, শব্দের বিন্যাস শিক্ষণের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। টালভিং এবং থমসন (Tulving and Thomson-1973) পরীক্ষা করে দেখেছেন যে শিক্ষার্থীকে কোন বিষয়বস্তু শিখতে দেয়া হলে সে এসব বিষয়বস্তু এমনভাবে সঙ্কেত বদ্ধ করে বা সাংগঠনিক করে যাতে সে সহজে স্মরণ রাখতে পারে। যেমন- Psychology (সাইকোলজি) পিসি চলো যাই,  Lieutenant  লেফটেন্যান্ট (মিথ্যা তুমি দশটি পিপীলিকা)। ১১. আবেগ (Emotion) : অত্যধিক ভাবাবিশিষ্ট অবস্থায় শিক্ষণ, চিন্তন ও অন্যান্য বুদ্ধিমূলক ক্রিয়া বিঘ্নিত হয়। যেসব শিশু মনে ভয় উদ্বেগ বা অনিশ্চয়তা বোধ বিদ্যমান থাকে, তারা স্কুলে পড়াশোনা ভাল করতে পারে না। পরীক্ষায় ভীতিজনক উদ্বেগ অনেক সময় এতো তীব্র হতে পারে যে সব কিছু জানা সত্ত্বেও ছাত্র কিছু মনে করতে পারে না। স্যান্ডিন (১৯৪৪) পরীক্ষা করে দেখেছেন ব্যর্থতার জন্য মৃদু মনো বেদনাতেও বুদ্ধি বা চিন্তাশক্তি খর্ব করে। শিক্ষণের শর্ত তো জানা হলো এবার আসুন জেনে নেই শিক্ষণকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য কী করা যায়- “এই বাবা-সোনা, ইয়াদের বাড়ি থেকে ইয়াটা এনে দিবি” শ্রোতার ‘কিয়া’ এনে দেব এরচেয়ে বেশি কিছু বলার থাকে না। সময় মত সঠিক ব্যাপারটা ভুলে গিয়ে নানা বিড়ম্বনার কৌতুক কম বেশি সকলেরই জানা। তাই এসব বিড়ম্বনা এড়াতে ও ম্মৃতিশক্তি বাড়াতে একটু পরিশ্রম করতে হয়ত কারো আপত্তি থাকবে না- স্মৃতিশক্তি দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য নিম্নোক্ত কাজগুলোতে নিজেকে অভ্যস্ত করে তুলতে পারেন- ১. আন্তরিকতা : কোন কাজের সফলতার জন্য মূল ভিত্তি হচ্ছে আন্তরিকতা। এ সম্পর্কে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিধ খুররম মুরাদ বলেন, “উদ্দেশ্য বা নিয়ত আমাদের আত্মার মত বা বীজের ভেতরে থাকা প্রাণশক্তির মত, বেশির ভাগ বীজই দেখতে প্রায় একই রকম, কিন্তু বীজ বপনের পর চারা বড় হয়ে যখন ফল দেয়া শুরু করে, তখন আসল পার্থক্যটা পরিষ্কার হয়ে যায়।” একইভাবে নিয়ত যত বিশুদ্ধ হবে আমাদের কাজের ফলাফলও তত ভালো হবে। শিক্ষণের পরিমাণও তত বাড়বে। ২. সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা : রবের সহযোগিতা ছাড়া কোন কাজেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। এ জন্য জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য প্রভুর আনুগত্যশীল ও একনিষ্ঠ হওয়া জরুরি। সেই সাথে কল্যাণকর জ্ঞানের জন্য দোয়া করা। যা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই শিখিয়েছেন, ‘রাব্বি জিদ্নি ইল্মা।’ (সূরা ত্বাহা : ১১৪) “হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দাও।” আবার আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া-তা’আলা বলেন, “..... যখন ভুলে যান, তখন আপনার পালনকর্তাকে স্মরণ করুন.....” (সূরা আল-কাহ্ফ : ২৪) তাই সৎচিন্তার সাথে সাথে সার্বক্ষণিক দোয়া ও জিকিরের মধ্যে থাকা উচিত। ৩. পাপ থেকে দূরে থাকা : পাপের প্রভাবে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যায়, পাপের অন্ধকার ও জ্ঞানের আলো কখন এক সাথে থাকতে পারে না। আল্লাহর জ্ঞান হলো আলো এবং আল্লাহর এই আলো কোন পাপাচারীকে দান করা হয় না। যখন কোন মানুষ পাপ করে, এটি তাকে উদ্বেগ ও দুঃখের দিকে ধাবিত করে। সে তার কৃতকর্মের ব্যাপারে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে তার অনুভূতি ভোঁতা হয়ে যায় এবং জ্ঞান অর্জনের মত কল্যাণকর আমল থেকে সে দূরে সরে পড়ে। তাই আমাদের পাপ থেকে দূরে থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা উচিত। ৪. বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা করা : সকলের জ্ঞান অর্জনের পদ্ধতি এক রকম নয়, আবার সকলের সফলতার পদ্ধতিও এক রকম নয়। এ থেকে বুঝা যায় সফল হওয়ার জন্য নানা পথ আছে। ঠিক একইভাবে জ্ঞান অর্জনের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে এর মধ্যে নিজের জন্য সবচেয়ে মানানসই পদ্ধতি ব্যবহার রপ্ত করা দরকার। ৫. স্মৃতির পুনঃরুদ্রক বা ঝালাই করা : স্মৃতি দীর্ঘ দিন একই রকম থাকে না, কিছু সময় পরে যেমন সুন্দরভাবে গোছান টেবিলে ধুলার পরত পড়ে স্মৃতির উপরেও তেমন বিম্মৃতির পরত পড়ে, তাই মাঝে মাঝে ঝালাই করা দরকার, সেক্ষেত্রে মুখস্থ করা বিষয়টি খুব কম সময়ে আত্মস্থ হয় ও দীর্ঘ দিন ব্যবহার উপযোগী থাকে। ৬. পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ : পরিমিত ও সুষম খাদ্য গ্রহণ আমাদের মস্তিষ্কের জন্য একান্ত আবশ্যক। অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ আমাদের ঘুম বাড়িয়ে দেয় এবং অলস করে তোলে। ফলে আমরা জ্ঞানার্জন থেকে বিমুখ হয়ে পড়ি। সম্প্রতি ফ্রান্সে এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে জয়তুনের তেল চাক্ষুষ স্মৃতি (visual memory) ও বাচনিক সাবলীলতা (Verbal fluency) বৃদ্ধি করে। যে সব খাদ্যে অধিক পরিমাণে Omega-3 ফ্যাট আছে, সে সব খাদ্য স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকলাপের জন্য খুবই উপকারী। স্মৃতিবৃদ্ধিতে মধুর উপকারিতা অত্যন্ত কার্যকর। মধুতে রয়েছে মুক্ত চিনিকোষ যা আমাদের মস্তিষ্ক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তা ছাড়া মধু পানের ৭ মিনিটের মধ্যে রক্তে মিশে গিয়ে কাজ শুরু করে দেয়। ইমাম আয-যুহরি বলেন, “যে ব্যক্তি হাদিস মুখস্থ করতে চায় তার উচিত কিশমিশ খাওয়া।” ৭. যথেষ্ট পরিমাণ বিশ্রাম নেয়া : ঘুম বা বিশ্রাম মস্তিষ্কের কোষের পুনর্গঠন ও ক্লান্তি দূর করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে দুপুরের সামান্য ঘুম আমাদের মনমেজাজ ও অনুভূতি চাঙ্গা করে দেয়। এটি রাসূলের সুন্নত। সাহাবীরাও এটা মেনে চলতেন যথাযথভাবে। তাই রাতে জেগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতিরিক্ত দাওয়া বিতরণের অভিনয় না করে, নিজের মস্তিষ্ককে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিয়ে পবরর্তী দিনে কাজের উপযোগী করার চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। ৮. অযথা কাজ পরিত্যাগ করা : “ইজি কাজে বিজি” এই রোগ প্রায়ই আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এ রকম নানা কাজ আমরা প্রতিদিন করে যাচ্ছি। তাই গুরুত্ব মূল্যায়ন করে কাজের তালিকা তৈরি করে দিন শুরু করাই বুদ্ধিমানের কাজ। ৯. হাল না ছাড়া : যে কোন কাজে সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো হাল না ছাড়া। যে কোন কিছু মুখস্থ করতে প্রথমে কষ্টসাধ্য হয়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমাদের মস্তিষ্ক সব কিছুর সাথে মিলিয়ে নেয়। তাই আমাদের উচিত, ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে না দিয়ে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। এভাবে অভ্যাস গঠন করে আমরা আমাদের জ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে পারি। আল্লাহ আমাদের যৌক্তিক স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে সহায় হোন। আমিন। হ লেখক : কনসালট্যান্ট সাইকোলজিস্ট

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির