post

কবিতা

০১ অক্টোবর ২০১২
[ঈমান আনার কারণে যারা নির্যাতিত হয়েছে, হিজরত করেছে, আল্লাহর পথে কঠোর কষ্ট স্বীকার করেছে এবং ধৈর্য ধারণ করেছে তাদের জন্য তোমার রব অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও অসীম দয়াবান। -সূরা আন্ নাহল। আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়, তাদেরকে মৃত বলো না। প্রকৃতপক্ষে তারা জীবিত। -আল বাকারা ১৫৪] মোশাররফ হোসেন খানের কবিতা শহীদ যাদের হৃৎপিণ্ড ঝাঁঝরা করেছো কিংবা মস্তক কেটে দ্বিখণ্ডিত করেছো চেয়ে দেখ, তারা সবাই নক্ষত্র হয়ে গেছে। খণ্ডিত মস্তকগুলো বাতাসের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসে পৃথিবীতে। খণ্ডিত মস্তক থেকে উৎসারিত হয় ভোরের সূর্য এবং সূর্যের উত্তাপে পুনরায় জমাটবদ্ধ হয় খণ্ডিত দেহ। আবদুল মালেক, আবদুল হালিম, রহমত, আমান- কোনো মৃত মানুষের নাম নয়। ওরা শহীদ! এবং শহীদেরা মরে না কখনো। চেয়ে দেখ, প্রতিটি শহীদই এখন তোমাদের ঘুমের দরোজায় অনড় পর্বত। ঐ হিংস্র চোখে তোমরা আর ঘুমুতে পারবে না কখনো। ঐ পাষণ্ড হৃদয়ে আর কখনো দেখবে না সবুজ স্বপ্ন। আর কখনো পাবে না তোমরা প্রশান্তির আরাম। তোমাদের অনুভবে, ভাতের থালায়, দৃষ্টির সীমানায়, ঘুমের বিছানায় শহীদের অগ্নিময় প্রশ্বাস। ইলেকট্রিক করাতের মতো তারা এখন তোমাদের মাথার ওপর। এবং চেয়ে দেখ, প্রতিটি শহীদই এখন তোমাদের মুখোমুখি প্রজ্বলিত লাভা। তোমাদের পাঁজর ভেদ করে ঢুকে গেছে যে দুর্ধর্ষ বাতাস সেই বাতাসের সাথে মিশে আছে শহীদের ঘৃণার থুথু, দর্পিত প্রশ্বাস তোমাদের হলকুমের ওপর একটিই মাত্র অস্তিত্ব- সেটা হলো শহীদের অকম্পিত পা। আবদুল মালেক, আবদুল হালিম, রহমত, আমান- কোনো মৃত মানুষের নাম নয়। ওরা শহীদ! এবং শহীদেরা মরে না কখনো। কাদেরকে পরাজিত করবে? দেখ, পৃথিবীর প্রতিটি বিশ্বাসী মানুষের এখন একটিই মাত্র প্রার্থনা- শহীদ। শহীদ হওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো প্রার্থনা নেই। এবং দেখ- সমুদ্রের বুকে যে দুর্বিনীত ঢেউয়ের গম্বুজ ওটা ঢেউ নয়, শহীদের অন্তিম ক্রোধ। কাদেরকে পরাজিত করবে? রক্তের তরঙ্গের ওপরেও বেঁচে থাকে শহীদের যৌবনদীপ্ত প্রাণ। শহীদেরা মরেনা কখনো।

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির