দিকে দিকে আজ মাথা তুলে ফেরাউন তবু নেই কোনখানে কাফেলার ডাক- মুসার কাফেলা ঘিরেছে কারুন উল্লাসে হাসে এজিদের পাতি কাক- প্রভু একি অরাজকতা! চোখ ফেরাতেই দেখি সিমারের হাতে আহত হোসেন তুলছেই সঙ্গিন। রক্তের করাঘাতে মানবতা চুষে খায় আযাযিল এখানে আসে না আর আবাবিল বন্ধু থেকো না তন্ময় রঙিন- আশাকে কখনো দিয় না জলাঞ্জলি এখনো ঝরছে জীবনের তাজা কালি আর নয় নীরবতা
আয়ুর পালকে এসো মেখে নিই চেতনার চন্দন, মুক্তি আমার জিহাদী জজবা প্রাণে নুরের অমিয় তোমাকেই শুধু টানে ঈমানের তেজ হোক না যতই ক্ষীণ বুকের ভেতর জেগেছে যখন ঋজু সংহতি বল্গাহীন। তবু এখানেই আসে বারবার মৃত্যুমুখর ভয়াল দিন।
হোক আমাদের বদরীর মত ঐক্যের বন্ধন, এসো হাত রাখি আজ তরঙ্গের ঝড়ে আমরা তো জানি হেরার তোরণে লোকালয় শেষ ঘরে- আঁধারের বুক চিরে একদিন আসবে আলোর প্রমিতি, তবু এখানেই আসে বারবার
নব মৃত্যুর অতিথি বিদায় নেবে কি নীলের সমুদ্রে শত জ্বলন্ত প্যারাফিন? তুমি ছুটে এসো খাদ্যবিহীন বিস্ময় ভরা দেশে- ক্রোধে প্লাবিত জাগরণী গান এখনো আসছে ভেসে।
প্রাকারে প্রাকারে পদাঘাত হেনে নামে সাহসিক ঝড়, হালকা আশ্বিন গ্রীষ্ম বর্ষা স্নিগ্ধ শ্যামল শরতে- শোষণের ছোঁয়া লেগেছে তোমার পরতে পরতে, বিনিদ্র রাতে তারার আলোয় ভাসে চেতনার ঘর- উবে যাক আজ ঘুমো বিদ্যুৎ চোখে সব ভয় ডর। দিগন্ত জুড়ে শোষিতের ক্রোধে চোরাবালি থরোথর- স্বদেশে যখন তোলপাড় করে- উত্তাল মাখা স্বর।
আপনার মন্তব্য লিখুন