post

গরিবের পেটে লাথি মারার বাজেট

মোহাম্মদ আবদুল্লাহ

১৬ জুন ২০১৭
বাজেট আসে বাজেট যায় কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাগ্যে কোনো বদল হয় না। উল্টো বাজেটের নামে দ্রব্যমূল্য বাড়ে আরেফ দফা। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। দ্রব্যমূল বেড়েছে আরেক দফা। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত ১ জুন বাজেট ঘোষণার পর থেকেই ক্ষোভে পুড়ছে সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের মতামতকে তোয়াক্কা না করেই বাজেট পাস করা হয়েছে। এই বাজেটে করের বোঝা চাপিয়ে সাধারণ মানুষের উপরে ‘স্টিম রোলার’ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিনা ভোটে নির্বাচিত অবৈধ এই সরকার। সরকার একদিকে যেমন দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে অন্যদিকে ধারাবাহিকভাবে কমানো হচ্ছে বরাদ্দ। এতে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ক্রমেই নাজুক হয়ে পড়ছে। ১ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট ঘোষণা পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে সরকারের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী, এমপি, সুশীলসমাজ বাজেট নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। বিশেষ করে আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার করার জন্য সবাই অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন। বিশেষ করে সাধারণ মানুষ এই বাজেটের বিরোধিতা করে আসছিলেন। কিন্তু জনমতকে কোনো তোয়াক্কা করা হয়নি। দেশের সুশীলসমাজ এই বাজেটকে গরিব মারার শ্রেষ্ঠ বাজেট বলে মনে করছেন। এদিকে সরকার বাজেট ঘোষণার পর থেকেই লাগামহীনভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এখানো তা অব্যাহত আছে। এজন্য সাধারণ মানুষ সরকার দলীয় লোকদের চাঁদাবাজি ও কারসাজিকেই দায়ী করছেন। ১ জুন বাজেট ঘোষণার পর থেকেই খোদ তোপের মুখে পড়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাজেট পেশ করা দেখে মনে হয় সরকারের আয়-ব্যয়ের কোনো ভাবনাই নেই। সরকারের কাজ শুধুমাত্র বিদেশী বিনিয়োগকারী, দেশের ফাটকাবাজ, কালোবাজারি, ব্যবসায়ী শ্রেণীকে উৎসাহ দান করা। এর মধ্যে সরকারের দ্বিচারিতার দিকটি হলো সরকার আসলে ধনী ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দান করে মুখে গরিব মানুষের বাজেটের কথা বলেছেন। বেকার, দারিদ্র্য, ক্ষুধার বিনিময়ে কাদের স্বার্থে বাজেট করলেন অর্থমন্ত্রী, সেটা স্পষ্ট বুঝাই যায়। বেশির ভাগ সাধারণ মানুষের বাজেট মানে বুঝে আবার বুঝি জিনিসপত্রের দাম বাড়লো। অনেকেই বলেন যে, বাজেট না দিলে হয় না। বাজেট দিলেই তো জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। তারা বাজেট ঘাটতি, কর, রাজস্ব আয়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, তারল্য সংকট অনেক কিছুই বোঝেন না। সাধারণ মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে একটু স্বস্তিতে বাঁচতে চায় আগামী দিনগুলোতে। নানা সমস্যায় জর্জরিত মানুষগুলোর কেউ কেউ সরকারি কর্মকা-ে দারুণ হতাশ। বাজেট মানেই গরিবের পেটে লাথি মারা। সাধারণ মানুষের মতে বাজেট নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় কোথায়? গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির টেনশনে মাথা খারাপ হওয়ার দশা। তীব্র পানি সংকটের মধ্যেই ১ জুন আবার বাড়ানো হয়েছে গ্যাসের দাম। এক চুলার জন্য ৯ শ’ টাকা, দুই চুলার জন্য ৯৫০ টাকা দিতে হবে। পানি সংকটও আছে। গ্যাস ও পানির মতো সম্প্রতি বিদ্যুৎও ভোগাচ্ছে। অসহনীয় লোডশেডিং দুর্ভোগ ডেকে আনছে বার বার। এরই মধ্যে ঘোষিত হয়েছে চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট! সুতরাং বাজেটের চেয়ে নগরবাসীর চিন্তা এখন গ্যাস বিদ্যুৎ পানিতে আটকে রয়েছে। স্বাধীনতা অর্জনের ৪৬ বছর পার হতে চললো সাধারণ গরিব মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়নি। মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে তাদের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের কার্যক্রম লক্ষণীয় নয়। বাজেটে যথার্থ দিকনির্দেশনা নেই হতভাগ্য দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য। তাছাড়া নিম্নবিত্ত ও পেছনে পড়া সম্প্রদায় গোষ্ঠীর উন্নয়নের কথা বলা হয়নি। অভাবগ্রস্ত মানুষের অভাব মোচনের দিকনির্দেশনা বাজেটে নেই। সরকারি কোষাগার থেকে কিছু ভিক্ষা দেয়ার কথা বলা হয়েছে তাও যথার্থ নয়। স্মরণ রাখতে হবে ভিক্ষা দিয়ে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করা যায় না। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ না থাকায় শিক্ষা খাতের কয়েকটি প্রকল্প পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া ইউনেসকো ঘোষণার অনুসমর্থনকারী দেশ হিসেবে মোট বাজেটের ২০ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখছে না সরকার। শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানোর সরকারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য এ খাতের বাজেট এখনো অপ্রতুল। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চাহিদার চেয়েও বেশি বরাদ্দ পায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাক্কলিত বরাদ্দ চায় ২৬ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। মন্ত্রণালয়কে দেয়া হয় ২৬ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। তবে দুই মন্ত্রণালয় পর্যায়ের তর্ক বাদ দিয়ে আসন্ন বাজেটে শিক্ষা খাতের বরাদ্দ দেয়ার ক্ষেত্রে ইউনেসকো ঘোষণার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে হবে। উচ্চশিক্ষা খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কারিগরিসহ শিক্ষার সব স্তরে বাজেট বাড়ানো প্রয়োজন। তথ্য মতে, মহাজোট সরকারের প্রথম পাঁচ বছরে শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ ৩ শতাংশ কমে। এ সময়ের মধ্যে জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমে মোট জাতীয় আয়ের (জিডিপির) ০.১৬ শতাংশ। আওয়ামী লীগ সরকারের শিক্ষা ক্ষেত্রে গুণগত মানোন্নয়ন ও ক্রম-উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিতে সরকার গঠন করে। তবে চলমান অর্থবছরে টাকার পাশাপাশি শতাংশের হিসাবেও বরাদ্দ বাড়ে। চলতি অর্থবছরে শিক্ষা খাতের বরাদ্দ অতীতের যেকোনো বছরের তুলনায় বেশি। বরাদ্দ বাড়ানোকে ইতিবাচক বললেও যথেষ্ট হয়নি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে মোট বাজেটের ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা জিডিপির ২ দশমিক ৭ শতাংশ। তথ্য মতে, আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি বর্তমানের চেয়ে পাঁচ গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হবে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমান সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় টিউশন ফি মাত্র ১২ থেকে ১৬ টাকা। এটি অবাস্তব। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে পড়াশোনার খাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুব সামান্য। এ জন্য আগামী বাজেটে টিউশন ফি পাঁচ গুণ বাড়বে। বেতন ও টিউশন ফিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খরচ বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর শিক্ষা খাতে নতুন শঙ্কা দেখা দেয়। প্রয়োজনে অন্য খাতে ভর্তুকি দিয়ে শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি বাড়ানো উচিত হবে না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ সুবিধার জন্য চলতি অর্থবছরে ৬৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। চাহিদার তুলনায় এ ক্ষেত্রে বরাদ্দ কম ছিল বলে অনেকে এখনো টাকা পাননি। যেমন জ্বালানি খাতে ৬.৩ পারসেন্ট বরাদ্দের কথা থাকলেও-এ বিনিয়োগ-ব্যয়ের স্বচ্ছতার কোন দিক চিহ্ন নেই। অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বিশ্ববাজারে কমায় দেশেও তার সমন্বয় করা হবে। কিন্তু বাজেট বক্তৃতায় এর প্রতিফলন না থাকায় জনগণ হতাশ হয়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্য বিশ্ববাজারে কমলেও বাংলাদেশের মানুষ এর কোন সুফল ভোগ করছে না। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশলে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল পাওয়ার ইউনিটগুলোতে যে ভর্তুকি দেয়া হয়-বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য কমে যাওয়ায় ঐসব বেসরকারি কোম্পানিগুলোর সাথে সরকারের চুক্তি পুনঃমূল্যায়ন করা উচিত ছিল। অথচ আশ্চর্যের বিষয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে সরকার উচ্চমূল্যের সময় বিদ্যুতের ইউনিট যে মূল্যে ক্রয় করেছে এখনও সেই মূল্যই দিয়ে যাচ্ছে জ্বালানি তেলের মূল্য বিশ্ববাজারে কমে যাওয়ার পরেও। এই প্রক্রিয়ায় হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ অবারিত করে রেখেছে এই বাজেটেও। স্বাস্থ্য খাতে ৪.৩ পারসেন্ট বরাদ্দ মোটেই যথেষ্ট নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতেও এ বরাদ্দ অন্তত ৬ পারসেন্ট করা যেতে পারতো মানুষের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে। অথচ তারা তা করেনি। স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপক লাগামহীন দুর্নীতিতে স্বাস্থ্যসেবা খাত আজ ধসে পড়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় অতি সম্প্রতি ৪০০ কোটি টাকার একটি দুর্নীতির খবর পত্রিকায় এসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে কেন্দ্র করে। যেখানে ৩২০ টাকার একেকটি মেডিক্যাল বই ৮৮ হাজার টাকায় কেনা হয়েছে। ডাকাতি কাকে বলে! কারণ দেখার কেউ নেই। এ ধরনের লুটপাট-ডাকাতি বহাল থাকলে ৪.৩ পারসেন্ট বরাদ্দের কতটা প্রকৃতভাবে মানুষ পাবে তা ভেবে দেখার বিষয়। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ আরো বেশি প্রয়োজন ছিল। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে। নানামুখী শিক্ষাব্যবস্থা মানবসম্পদ উন্নয়নে-সমন্বয়হীনতার এক বড় দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত। দেশের সরকারি খাতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি, শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিটি উপেক্ষিত হয়েছে এই বাজেটেও। নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে ১ জুলাই থেকে। ব্যবসায়ীদের বড় অংশ শুরু থেকেই নতুন ভ্যাট আইন চালুর বিরোধিতা করে আসছেন এবং মূলত তাদের বিরোধিতার কারণেই ২০১২ সালে পাস করা আইনের বাস্তবায়ন পেছাতে পেছাতে এ পর্যন্ত এসেছে। ইদানীং বিভিন্ন গণমাধ্যমেও নতুন ভ্যাট আইন আসলে কতটা জনকল্যাণমুখী হবে, তা নিয়ে সংশয় উত্থাপিত হচ্ছে। যে বিষয়টা সবচেয়ে বেশি আলোচিত তা হচ্ছে, ভ্যাটযোগ্য সব পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে অভিন্ন ১৫ শতাংশ হারে করারোপ এবং এর ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির শঙ্কা। প্রকৃত প্রস্তাবে বাংলাদেশে ভ্যাট চালুর শুরু থেকে অর্থাৎ ১৯৯১ সাল থেকেই ১৫ শতাংশ হার চালু আছে এবং ভ্যাট আইনেও এর বাইরে অন্য কোনো হার নেই। সুনির্দিষ্ট কিছু সেবা বা পণ্যের ক্ষেত্রে হ্রাসকৃত হারে ভ্যাট দেয়ার যে বিধান আছে তা আসলে ভ্যাটের মূল হার ১৫ শতাংশকে ভিত্তি করেই করা এক ধরনের কারিগরি হিসাব, যাতে ভ্যাট আদায়কারী ব্যবসায়ীরা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন। এতে প্রকৃতপক্ষে ভোক্তা ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রদান থেকে খুব একটা রেহাই পান। সব পণ্য ও সেবার ওপর ব্যবসার সব স্তরে অভিন্ন হারে ভ্যাট আরোপ করার প্রধান সুবিধা হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীকে কোনোভাবে ভ্যাটের দায় বহন করতে হয় না এবং করের ওপর কর আরোপিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তাই তাত্ত্বিকভাবে ভ্যাট ব্যবসাবান্ধব; কিন্তু তা ভোক্তাবান্ধব কি? একনজরে বাজেট উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের শিরোনামে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মূল বাজেট ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা থেকে ২৬ শতাংশ বেশি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ৩ লাখ ১৭ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের আকার বেশি প্রায় ৮৪ হাজার কোটি টাকা। মূল বাজেটের যে আকার ধরা হয়েছে, তা বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৮ শতাংশ। গত বছর প্রস্তাবিত বাজেট ছিল জিডিপিরি ১৭.৩৭ শতাংশ। বাজেটে ব্যয়ের প্রায় ৭২ শতাংশ অর্থ রাজস্ব খাত থেকে আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা আদায় করা যাবে বলে আশা করছেন মুহিত। মোট ঘাটতি ১ লাখ ৬ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা। গতবারের মত এবারও সবচেয়ে বেশি কর আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে, ৯১ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। এই অঙ্ক বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩৩ শতাংশের মত। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাট থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা ছিল ৭২ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা। লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৬৮ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। লেখক : বিশিষ্ট সাংবাদিক

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির