post

জানা

অজানা

০২ সেপ্টেম্বর ২০১১
সিল্ক বুনতে পারে চিংড়িও! চিংড়িও যে সিল্ক বুনতে পারে সম্প্রতি সে তথ্য উদ্ধার করতে পেরেছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। পানির নিচে বালির মধ্যে নিজের বাসা বুনতে চিংড়ি সিল্ক তৈরি করে বলেই গবেষকরা জানিয়েছেন। ঈৎধংংরপড়ৎড়ঢ়যরঁস নড়হবষষরর নামের চিংড়ি সিল্ক বুনতে পারে। চিংড়ির তৈরি তন্তুতে থাকে সমুদ্রতলের পাথুরে সিমেন্ট জৈবের সঙ্গে চিংড়ির বুননশৈলী। চিংড়ি যে সিল্ক তৈরি করে তাকে বলা হয় ‘গ্রোসামার থ্রেড’। এ সিল্ক আঠালো এবং লবণ-পানি প্রতিরোধী। চিংড়ির সিল্ক তৈরির এ প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ‘জটিল উপাদান ব্যবহার করে প্রাকৃতিক নির্মাণশৈলী।’ চিংড়ি নিজের বাড়ি তৈরিতে এ সিল্ক কাজে লাগায় বলেই গবেষকরা জানিয়েছেন। ফল পরিষ্কারে স্টিকার ফলের গায়ে লাগানো বিভিন্ন স্টিকারই ফল পরিষ্কার করবে। সম্প্রতি নিউ ইয়র্কভিত্তিক ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার এবং ডিজাইনার স্কট অ্যামরন ফল পরিষ্কার করতে পারে এমন স্টিকার তৈরি করেছেন। ‘ফ্রুটওয়াশ লেবেল’ নামের এ স্টিকার ফলে লাগানো হলে আলাদাভাবে ফল পরিষ্কার করার প্রয়োজন পড়বে না বলেই স্টিকারনির্মাতা স্কট জানিয়েছেন। ফ্রুটওয়াশ লেবেল জৈব সাবানের মতো কাজ করবে ফলে এতে পানিরোধী মোম, কীটনাশক ও ফাংগাস দূর হবে। ফলে লাগানো সাধারণ স্টিকার কেবল ডিসপ্লের জন্য লাগানো হয় কিন্তু এর আর কোনো কাজ থাকে না। কিন্তু ‘ফ্রুটওয়াশ লেবেল’ স্টিকার ফল পরিষ্কারের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হবে। পানি দিয়ে ফল পরিষ্কার করার সময় স্টিকারটিতে ঘষা দিলেই কাজ হবে। নতুন এ স্টিকারে ঠিক কোন্ কোন্ উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে সে তথ্যটি গোপনই রেখেছেন স্কট। তবে এর পেটেন্ট করিয়ে নিয়েছেন তিনি। আগামী ছয় মাসের মধ্যেই ফলে লাগানো এমন স্টিকার বাজারে পাওয়া যাবে। বাতাসেই চলে মোটরসাইকেল সম্প্রতি বায়ুচালিত একটি মোটরসাইকেল তৈরি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এক শিক্ষার্থী। তার এই মোটরসাইকেলটিকে তিনি আরো উন্নত করার পরিকল্পনাও করেছেন। বেনস্টেডের তৈরি প্রাটোটাইপ মোটরসাইকেলটির নাম ‘০২ পারসুইট’। এ মোটরসাইকেলটির শক্তি যোগায় কমপ্রেসড এয়ার। ২৫০ সিসির এ মোটরসাইকেলটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ডাইপেট্রো এয়ার ইঞ্জিন। মোটরবাইকটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে ঘণ্টায় ৬২ মাইল গতি তুলতে পারলেও উদ্ভাবকের আশা উন্নয়ন ঘটানো গেলে এটি আরো দ্রুত গতি পাবে। এ মোটরসাইকেলটির পার্টস তৈরির আগে বিশেষভাবে ডিজাইন করে নেয়া হয়েছে এবং পরে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে যন্ত্রাংশ সেট করে নেয়া হয়েছে। পরবর্তী প্রটোটাইপটিকে বেনস্টেড হেভি ডিউটি মাউন্টেন বাইক হিসেবে তৈরি করার পরিকল্পনা করেছেন। মঙ্গলের মাটির নিচে প্রাণের সম্ভাবনা মঙ্গলের মাটির নিচে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেতে পারে, ২০০৫ সালে খোঁজ পাওয়া মঙ্গলের কাদায় থাকা খনিজ গবেষণা করেই গবেষকরা এ তথ্য জানিয়েছেন। নাসার গবেষণায় দেখা গেছে, পানি এবং পাথরের সঙ্গে বিক্রিয়া করে তৈরি হয় মঙ্গলের মাটির নীচের কাদা। এ পরিবেশ প্রাণের উদ্ভবের জন্য অনুকূল। গবেষকরা মঙ্গলের ৩৫০টি এলাকার মাটির নীচে এমন কাদার অস্তিত্ব পেয়েছেন। কিন্তু মঙ্গলের পৃষ্ঠ পানি ধারণের উপযোগী নয় বলে পৃষ্ঠে কোথাও এমন কাদার অস্তিত্ব নেই বলেই গবেষকদের মত। মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে নাসা আবারও রোবট পাঠিয়েছে। ‘কিউরিসিটি’ নামের এ রোবটটি ২৫ নভেম্বর মঙ্গলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে। এদিকে, বর্তমানে মঙ্গলের বুকে ‘অপুরচুনিটি’ নামের রোবটটি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কাচ হবে অদৃশ্য জাপানের নিপ্পন ইলেকট্রিক গ্লাস কোম্পানি (এনইজিসি) সম্প্রতি এক ধরনের কাচ তৈরির উপাদান উদ্ভাবন করেছে, যাতে কাচ আর দৃষ্টিগোচর হবে না; এর অর্থ স্রেফ অদৃশ্য দেখাবে কাচ। কাচ তৈরির উপাদানটিকে এনইজিসি কর্তৃপক্ষ নাম দিয়েছে ‘ইনভিজিবল গ্লাস’ যার অর্থ দাঁড়ায় অদৃশ্য কাচ। ইয়োকোহোমায় অনুষ্ঠিত ‘এফপিডি ইন্টারন্যাশনাল ২০১১’ নামের প্রদর্শনীতে এ কাচের উপাদানটি দেখিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কাচ তৈরির এ উপাদানটি কাচের প্রতিফলন কমিয়ে দেয় যাতে কাচটি অদৃশ্য দেখায়। সাধারণ কাচের মধ্য দিয়ে শতকরা ৯২ ভাগ আলো চলে যায়, বাকি ৮ ভাগের প্রতিফলন ঘটে। কিন্তু নিপ্পন কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের তৈরি অদৃশ্য কাচের মধ্য দিয়ে ৯৯.৫ শতাংশ আলোই চলে যেতে পারে। এ প্রযুক্তিতে কাচের উভয়পাশেই ৩০টি স্তরের অ্যান্টি-রিফ্লেকশন ফিল্ম ব্যবহৃত হয়েছে বলেই জানা গেছে। এ ফিল্মগুলো ন্যানোমিটার স্কেলের। এনইজিসি’র এ উদ্ভাবন অ্যামোলিড স্ক্রিন প্রযুক্তিতে কাজে লাগবে। তবে এ অদৃশ্য কাচ বাজারে আসতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির