post

তাকওয়ার শাণ দিতে এলো রমজান

জাফর আহমাদ

০২ এপ্রিল ২০২০
আবার এলো রমজান, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ‘তাকওয়ার শাণ’ দেয়া। যেই তাকওয়া মানবতার সকল প্রকার কল্যাণ ও মর্যাদার প্রতীক। তাকওয়ার ওপর ভিত্তি করেই নিরূপিত হয় মানুষের মর্যাদা বা শ্রেষ্ঠত্ব। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ তাকওয়ার ওপর নির্ভরশীল। সামাজিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের জন্য তাকওয়ার কোনো বিকল্প নেই। তাকওয়াহীন ব্যক্তি সে যেই হউন না কেন, তাকে সম্মানিত ব্যক্তি বলা যাবে না। যদিও পৃথিবীর মানুষগুলো বংশ, বর্ণ, ভাষা, দেশ এবং জাতীয়তার ভিত্তিতে মর্যাদার বৃত্ত গড়ে তুলেছে, কিন্তু তাকওয়ার কাছে তা একান্তই মূল্যহীন। বংশ, ভাষা, বর্ণ ও দেশ- এগুলো আল্লাহরই সৃষ্টি, তাই বলে এগুলো কোনো মর্যাদার মানদণ্ড বা মাপকাঠি নয়। বরং এগুলো আল্ল­াহ দিয়েছেন যাতে মানুষ পরস্পরকে চিনতে পারে। আল্ল­াহ তা’আলা বলেন- “হে মানব জাতি, আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ এবং একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। তারপর তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীতে বিভক্ত করে দিয়েছি যাতে তোমরা পরস্পরকে চিনতে পার। নিশ্চয়ই আল্ল­­াহর নিকট তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অধিক সম্মানিত, তোমাদের মধ্যে যে আল্ল­­াহকে সবচেয়ে বেশি ভয় করে (মুত্তাকি)। নিঃসন্দেহে আল্ল­­াহ সব কিছু জানেন ও খবর রাখেন।” (সূরা আল হুজুরাত : ১৩) পৃথিবীর অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর ন্যায় মুসলমানগণও যেদিন থেকে তাকওয়াকে বাদ দিয়ে অন্যান্য বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে মানুষের মর্যাদা দিতে শুরু করেছে, সেদিন থেকে তাদের কপালও পুড়তে শুরু করেছে। রাসূলের (সা.) অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়া ‘বুনিয়ানুম মারসুস’ ‘সুদৃঢ় প্রাচীর’-এর ফাটল বা ভাঙনও সেখান থেকেই শুরু হয়। বিজাতীয়দের মতো মুসলমানদের মধ্যেও আজ খান্দান, গোত্র ও গোষ্ঠীগত বিভেদের পাহাড় পরিলক্ষিত হয়। আর এরই ফলশ্রুতিতে তাদের মধ্যেও অহঙ্কার, ঘৃণা, তাচ্ছিল্য, বিদ্বেষ ও অবমাননা এবং জুলুম ও নির্যাতন দানা বেঁধে উঠেছে। অথচ এটি ছিল ইহুদি-খ্রিষ্টান ও পৌত্তলিকদের চরিত্র। জাতীয়তার ভিত্তিতে ইহুদিরা মনে করেছে তারাই আল্ল­াহর মনোনীত সৃষ্টি। এ জন্য পৃথিবীর সকল অইসরাইলিরা অধিকার ও মর্যাদার দিক থেকে নিম্ন পর্যায়ের। পক্ষান্তরে খ্রিষ্টানেরা বলেছে ঈসা (আ) আল্লাহর পুত্র (নাউজুবিল্ল­াহ), সুতরাং তারাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি। হিন্দু জাতি পৃথিবীর অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠী থেকে নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠতর মনে করা ছাড়াও নিজেদের মধ্যেও অসংখ্য কঠিন ভেদনীতি চালু করে রেখেছে। তারা বর্ণাশ্রমের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে এবং শূদ্রদের লাঞ্ছনার গভীর খাদে নিক্ষেপ করেছে। তাদের ঘরে অন্য ধর্মের কেউ ঢুকে গেলে সেটিকে ধুয়ে-মুছে পবিত্র করে থাকে। এরাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদার গণতন্ত্র ও কট্টর সমাজনীতি শ্রেণী সংগ্রামের আগুন জ্বালিয়েছে, সাদা-কালো বর্ণবাদনীতি অসংখ্য বনি আদমের রক্ত ঝরিয়েছে, আদিবাসী-অআদিবাসীর উচ্ছেদের সংগ্রাম তো চলছেই। আমাদের ভালো করে মনে রাখা প্রয়োজন খান্দান, বংশ, গোত্র ও গোষ্ঠী, বর্ণ, ভাষা, দেশ ও জাতীয়তা এগুলো অহঙ্কারেরও হোতা। আরও মনে রাখা প্রয়োজন, পৃথিবীর সর্বপ্রথম যে গুনাহের খাতায় নাম লিখিয়েছিল সে হলো শয়তান এবং প্রথম যে গুনাহটি আল্ল­াহর হুকুমকে মানতে অবাধ্য করেছিল সেটি হলো অহঙ্কার। আর অহঙ্কার সৃষ্টি হয়েছিল জন্মগত শ্রেষ্ঠত্বকে ভর করে। সূরা বাকারায় আল্ল­াহ তা’আলা বলেন, “আমি ফিরিস্তাদেরকে বলেছিলাম : আদমকে সেজদা কর। সকলেই সেজদা করলো। কেবল ইবলিস করলো না। সে অস্বীকার ও অহঙ্কার করলো। সে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।” (সুরা বাকারা : ৩৪) অন্যত্র বলা হয়েছে : “সে বললো আমি আগুনের তৈরি আর আদম মাটির তৈরি।” (সুরা আরাফ : ১২) অর্থাৎ তার মধ্যে বর্ণবাদের অহঙ্কার ও বিদ্বেষ দানা বেঁধে উঠেছিল। ফলে সে-ই পৃথিবীর প্রথম নিকৃষ্ট কীট, যে আল্ল­াহর আদেশকে অমান্য করলো এবং তাঁর লানত নিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত তাকে বেঁচে থাকতে হবে। কিন্তু ইসলাম এসব নীতিকে কখনোই সমর্থন করে না। মানুষের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের বুনিয়াদ হলো তাকওয়া। জন্মগতভাবে সকল মানুষ সমান। কেননা তাদের মূল উৎস এক। একমাত্র পুরুষ এবং একমাত্র নারী থেকে গোটা জাতি অস্তিত্ব লাভ করেছে। তাদের সকলের সৃষ্টিকর্তা এক, তাদের সৃষ্টির উপাদান ও নিয়ম-পদ্ধতি এক এবং তাদের সবার বংশধারা একই পিতা-মাতা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। সুতরাং মানুষ যেখানেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন সেটি দেখার বিষয় নয়। বরং যে মূল জিনিসের ভিত্তিতে একজন অপরজনের ওপর মর্যাদা লাভ করতে পারে তা হচ্ছে এই যে, সে অন্য সবার তুলনায় অধিক আল্ল­াহভীরু, মন্দ ও অকল্যাণ থেকে দূরে অবস্থানকারী এবং নেকি ও পবিত্রতার পথ অনুগমনকারী। রাসূল (সা.) মক্কা বিজয়ের সময় কা’বার তাওয়াফের পর বক্তৃতা করেছিলেন তাতে তিনি বলেন : “সমস্ত প্রশংসা সেই আল্ল­াহর যিনি তোমাদের থেকে জাহিলিয়াতের দোষ-ত্রুটি ও অহঙ্কার দূর করে দিয়েছেন। হে লোকেরা! সমস্ত মানুষ দু-ভাগে বিভক্ত। এক, নেক আমলদার ও পরহেজগার-যারা আল্ল­াহর দৃষ্টিতে মর্যাদার অধিকারী। দুই, পাপী ও দুরাচার যারা আল্ল­াহর দৃষ্টিতে নিকৃষ্ট। অন্যথায় সমস্ত মানুষই আদমের সন্তান। আর আদম মাটির সৃষ্টি।” (তিরমিযি) অন্য এক হাদীসে উল্লে­খ আছে: “আল্ল­াহ তা’আলা তোমাদের চেহারা-আকৃতি ও সম্পদ দেখেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও কাজ-কর্ম দেখেন।” (মুসলিম ও ইবনে মাজাহ) ইসলাম সাম্য-সংহতির অনুপম শিক্ষা শুধুমাত্র ব্যক্তি চরিত্রে নয়, বরং মানুষের পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয় জীবনসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাস্তবায়ন করেছে। আজ থেকে চৌদ্দশত বছর আগে রাসূল (সা.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মদীনা নামক ইসলামী রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থার দিকে দৃষ্টিপাত করুন। রাসূল (সা.) এমন এক সমাজ কায়েম করেছিলেন, যেখানে বর্ণ, বংশ, ভাষা, দেশ ও জাতীয়তার কোনো ভেদাভেদ ছিল না, যেখানে উচ্চ নীচ, ছুত-ছাত এবং বিভেদ ও পক্ষপাতিত্বের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। সে সমাজব্যবস্থায় হযরত বেলাল (রা) এবং হযরত ওমর (রা) এর মধ্যে যেমন কোনো পার্থক্য ছিল না, তেমনি আলী (রা) ও আনাস-যায়েদ ইবনে সাবেত (রা)-এর মধ্যে কোন পার্থক্য ছিল না। থাকলেও সেটি তাকওয়ার ভিত্তিতেই নিরূপণ হতো। একবার হযরত ওমর (রা) বেলালকে (রা) ধমক দিয়ে কথা বললে রাসূল (সা.) অসন্তুষ্ট হন এবং বললেন, ওমর হে! তোমার কি এখনো বংশীয় গৌরব রয়েছে? ওমর (রা) লজ্জিত হলেন। তিনি নিজের সকল আভিজাত্যের অহংবোধকে ধ্বংস করেন। মানবিক সাম্য ও ঐক্য সে সমাজকে এমনি ফুলে-ফলে সুশোভিত করেছিল, যা পৃথিবীর আর কোন ধর্ম বা ব্যবস্থায় সামান্যতমও পরিলক্ষিত হয় না। এ ভাবটিই কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কাব্যে এভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন- “সকল কালের সকল দেশের সকল মানুষ আসি’ এক মোহনায় দাঁড়াইয়া শুন এক মিলনের বাঁশি। এক জনে দিলে ব্যথা সমান হইয়া বাজে সে বেদনা সকলের বুকে হেথা। একের অসম্মান নিখিল মানব-জাতির লজ্জা-সকলের অপমান।” (কুলি-মজুর, সাম্যবাদী, নজরুল রচনাবলী) প্রকৃত পক্ষে আমরা মুত্তাকি হতে পারছি না বিধায় ইহুদি-খ্রিষ্টানদের ন্যায় বিকল্প পথে মর্যাদার সন্ধান করে ফিরছি। আর এ জন্য আমরাও বংশ, বর্ণ, ভাষা, দেশ এবং জাতীয়তার ভিত্তিতে মর্যাদার বৃত্ত গড়ে তুলেছি। এ নির্দিষ্ট বৃত্তের মধ্যেই আমাদের সামজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সকল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। এ নির্দিষ্ট গণ্ডির বাইরে আমাদের চিন্তা-চেতনাকে নিয়ে যেতে পারছি না বিধায় উন্নয়নের বাধাগুলোও টপকানো আমাদের জন্য দুষ্কর হয়েছে। ফলে সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা ইহুদি-খ্রিষ্টানদের আজ্ঞাবহ সাজতে বাধ্য হচ্ছি। অথচ তাকওয়ার মত মানবীয় উন্নতর গুণের অধিকারীদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত কল্যাণের ভাণ্ডার সংরক্ষিত রয়েছে বলে আল কুরআনে উল্লে­খ রয়েছে। সত্যিই মুসলিম দেশসমূহের ভৌগোলিক ও কৌশলগত অবস্থান অধিকতর এমন উত্তম স্থানে রয়েছে যে, প্রতিটি মুসলিম দেশের মাটির নিচে আল্ল­াহ তা’আলা অফুরন্ত নিয়ামতের ভাণ্ডার মজুদ করে রেখেছেন। আমাদের গোলামি ও পরাজিত মানসিকতার কারণে আল্ল­াহ দান করছেন না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আমাদের বর্তমান মুসলিম দেশসমূহের সরকার প্রধানগণ আল্ল­াহর ভয়ের চেয়ে সাম্রাজ্যবাদী ইহুদি-খ্রিষ্টানগোষ্ঠীকেই বেশি ভয় করেন। এ জন্যই আল্ল­াহ তা’আলা বলেন: ”লোকালয়ের মানুষগুলো যদি ঈমান আনতো ও তাক্ওয়া বা ভয় করতো তাহলে আমি তাদের ওপর আসমান জমিনের যাবতীয় বরকতের দুয়ার খুলে দিতাম, কিন্তু তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। সুতরাং তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য আমি তাদের পাকড়াও করলাম।” (সূরা আরাফ : ৯৬) অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, এ আয়াতটি ছিল ইহুদিদের সম্পর্কে। বনি ইসরাইল জাতিকে পৃথিবীবাসীর নেতৃত্বের আসনে সমাসীন করে আল্ল­­াহ তা’আলা তাদের ইতিহাসকে অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী করেছিলেন। আল্ল­­­াহ তা’আলা বলেন: “হে বনি ইসরাইল! আমার সেই নিয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আমি তোমাদের দান করে ছিলাম এবং এ কথাটিও যে আমি দুনিয়ার সব জাতির ওপর তোমাদের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছিলাম।” (সূরা বাকারা : ৪৮) পৃথিবীর ইতিহাসের এক দীর্ঘকালব্যাপী তারা এ নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত ছিল। কিন্তু হঠকারী কর্মকাণ্ড, গোঁড়ামি ও চরমপন্থার জন্য আল্ল­­­াহ রাব্বুল আলামিন তাদেরকে নেতৃত্বের আসন থেকে অপসারিত করে মধ্যমপন্থী জাতি হিসাবে ‘উম্মতে মুহাম্মদীর (সা.) হাতে নেতৃত্বের দণ্ড তুলে দিলেন। আল-কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় ইসরাইল জাতির গোঁড়ামির ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে। তাদের ঔদ্ধত্য ও সাহসের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ফলে আল্ল­াহর ক্রোধ সহসা সে জাতির ওপর আছরে পড়ে এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিতে পরিণত হয়। সে বৈশিষ্ট্যগুলো আজ আমাদেরকেও সংক্রমিত করেছে। ইসলাম ভারসাম্য নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। জীবনের প্রতিটি অধ্যায় ও বাঁকে ভারসাম্যপূর্ণ নীতির অনুপম শিক্ষা একমাত্র ইসলামই দিয়েছে। রাসূল (সা.) সমগ্র মানবসমাজকে ভেতর থেকে এমনভাবে বদলে দিয়েছিলেন যে, সমগ্র সমাজ ও সভ্যতায় ভারসাম্য স্থাপিত হয়েছিল। সম্মান ও মর্যাদার মানদণ্ড বদলে গিয়েছিল। তাকওয়া ছিল সে সমাজের মানুষের মর্যাদার মানদণ্ড। তাকওয়া এমন একটা শক্তি, এমন একটা গুণ, যার ওপর ভিত্তি করে মানুষ হক ও বাতিল, ভুল ও সঠিক, ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে। যিনি শুধুমাত্র আল্ল­াহর ভয়ে সেটিকেই সত্য হিসাবে মেনে নেন যা তিনি নাজিল করেছেন। তিনি সেটিকেই সঠিক মনে করেন, যাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। যে কাজ বা প্রথা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আরো অসংখ্য ক্ষতির সৃষ্টি করে, যে সকল কাজে আল্ল­াহ অসন্তুষ্ট হন, সেটিই মানুষের জন্য ক্ষতিকারক। এ ধরনের ক্ষতিকর কাজ থেকে আত্মরক্ষা করা খুবই জরুরি। আর আত্মরক্ষার জন্য জ্ঞানের প্রয়োজন। জ্ঞানের চাহিদা মিটাবে আল-কুরআন। কারণ আল কুরআন আল্ল­াহরই নাজিল করা। আত্মরক্ষার জন্য আত্মাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। আত্মাকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দরকার বাস্তব ট্রেনিং। পুরো রমজানে আমরা সেই ট্রেনিংই দিয়ে এলাম। রমজানের সিয়াম একমাস জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে আমাদেরকে যেই মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে, সেই মর্যাদাকে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। এবং এই তাকওয়াভিত্তিক সমাজ কায়েমে আমাদেরকে অবিরত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে, তাকওয়া গুণসম্পন্ন মর্যাদাশীল জনগোষ্ঠী নিয়ে যে সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠবে, সেটিই হবে আল-কুরআনের সমাজ, ইসলামী সমাজ ও আল্ল­­াহর পছন্দের সমাজ। এ সমাজের প্রতিটি লোক ব্যক্তিগতভাবে আল্ল­াহর কাছে সম্মানিত হবেন। আল্ল­­াহ আমাদের শাসকবর্গসহ সকলকে আল্ল­­াহর দেয়া কর্মসূচিগুলো বুঝে তা বাস্তবায়নের তাওফিক দিন। আমিন। লেখক : ইসলামী চিন্তাবিদ

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির