আমরা এখন এক বিপন্ন পৃথিবীতে বাস করছি।
এমন এক ভয়ঙ্কর পৃথিবীতে বাস করছি-
যেখানে মৃত্যুর চেয়ে সহজলভ্য আর কিছুই নেই।
যেখানে কেবল মূল্যহীন মনুষ্য জীবন।
মানুষ আর কতোটা নীচু হলে তাকে নীচু বলা যায়?
আর কতোটা অসভ্য হলে তাকে অসভ্য বলা যায়?
আর কতোটা নির্লজ্জ হলে তাকে নির্লজ্জ বলা যায়?
আর কতোটা অমানুষ হলে তাকে ঘৃণ্য বলা যায়?
গন্ধক ও বারুদের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন থেকে ঠিক বুঝতে পারি না।
তবে কি পতনোন্মুখ পৃথিবীর ধ্বংস অনিবার্য হয়ে উঠেছে!
সাগরে নিমজ্জিত জাহাজ থেকে
জীবিত মানুষকে উদ্ধার করতে পারে কোন্ ডুবুরি!
তবুও বড় কষ্ট হয়, বড় কষ্ট হয় মেনে নিতে
পৃথিবীর এই অনভিপ্রেত পতন।
এমন কেউ কি আছো, যে পৃথিবীর সমূহ পতনকে রুখতে পারো?
কেউ কি আছো, যে মানুষের হারানো স্বর্ণকুঁচি ফেরত দিতে পারো?
কেউ কি আছো, যে এই পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে পারো?
তোমাকে বলছি, হ্যাঁ তোমাকেই বলছি।
তোমাকেই ডাকছি বিপন্ন পৃথিবীর অস্তরাগ থেকে।
তোমাকেই ডাকছি তিমিরান্ত থেকে।
তুমি জাগো!
জেগে ওঠো ঘুমের দরজা ভেঙে।
বিপন্ন পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় নিয়ে
বিশুষ্ক পাতার মতো চূর্ণ করো।
তারপর বাসযোগ্য এমন একটি পৃথিবী নির্মাণ করো,
যেখানে মানুষই হবে সর্বশ্রেষ্ঠ।
মানুষই হবে মৃত্যুঞ্জয়ী।
মানুষই হবে অপার সৌন্দর্যের
এক অপরিমেয় প্রতিভূ।
আপনার মন্তব্য লিখুন