মরণাস্ত্রে ঘিরেছে ফিলিস্তিনি জমিন ও আসমান,
জুলুমবাজ দখলদার ইহুদি করতে মুসলিম নিধন।
লঙ্ঘন করেছে যখন ইহুদি সকল মানবাধিকার,
বিশ্ব দেখছে দীর্ঘমেয়াদি আনুষ্ঠানিক এ অবিচার।
ইহুদিরা দখল করেছে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর,
নির্মমভাবে তাড়িয়ে তাদেরকে করেছে যাযাবর।
যুগের পর যুগ চলছে যেথা মানবতার হাহাকার,
শত চেষ্টায় ফিরে পেতে তাদের নায্য অধিকার।
তাদের কথা শুনেনি কেউ, দেখিনি কেউ চোখ মেলে
পারেনিকো বলতে তারা আপন দুঃখ মন খুলে।
বিশ্বদরবারে মজলুমের এ ন্যায্য দাবি উঠেছে যতবার,
পশ্চিমাদের ইহুদিপ্রীতি তাদের বঞ্চিত করেছে ততবার।
কোনোকালে কোথাও কভু তারা না পেয়ে সুবিচার,
জীবন বাজি রেখে লড়ে ফিরিয়ে আনতে অধিকার।
আপন শক্তিমত্তায় যখনই দিয়েছে সমুচিত জবাব,
তখনই পশ্চিমারা নাম দিয়েছে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ।
ইহুদিচক্র ফিলিস্তিনি মুসলিমদের করতে ধূলিস্যাৎ,
ঢালছে গাজায় সীমাহীন অত্যাচারের বজ্রাঘাত।
নিষ্ঠুরভাবে করছে তারা নির্বিচারে জীবন নাশ,
আকাশ-বাতাস ভারি শুনে মানবতার হা-হুতাশ!
অনাহারে বইছে যেথা লাখো মানুষের অশ্রুপাত,
অবলা নারী, অবুঝ শিশুর রক্তে রঙিন মরুপথ।
কোথায় আজ সব বিশ্ব মানবতার ঠিকাদার,
নবজাতক শিশুরও নেই বেঁচে থাকার অধিকার।
খাদ্য-পানি বন্ধ করে মারছে শিশু হাজারে হাজার,
প্রতিশোধ নিচ্ছে নাকি ইহুদি শিশু মেরে গাজার।
কোথা বীর গাজি সালাউদ্দীন টিপু সুলতান?
কোথা গজনি মাহমুদ জামাল উদ্দিন আফগান?
নেমে এসো সবাই হাতে নিয়ে খোলা তলোয়ার,
ভাঙতে হবে আবার মানবতার সকল রুদ্ধ দ্বার।
লড়িছে ফিলিস্তিন ঈমানের বলে হয়ে বলীয়ান,
বদর খন্দকের উত্তরসূরি সেই বিজয়ী মুসলমান।
বিশ্ব মুসলিমের কণ্ঠে এবার একই বিপ্লবী তান,
ন্যায্য অধিকার আদায়ে জিহাদে নেমেছে মুসলমান।
যত লাগে অকাতরে নির্ভয়ে জীবন করবে দান,
যতক্ষণ না হবে ইহুদি দখলদারিত্বের চির অবসান।
আপনার মন্তব্য লিখুন