ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন করেছিলেন সম্রাট জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর। সম্রাট বাবরের সাহসিকতা এবং মহত্ত্বের কথা আমরা ছোটবেলায় সর্বপ্রথম জানতে পেরেছিলাম হিন্দু কবি কালিদাস রায়ের কবিতা “বাবরের মহত্ত্ব” পড়ার মাধ্যমে। এখনকার অতিমাত্রার সেক্যুলার পাঠ্যে হয়তো সে কবিতা নেই। কিন্তু অনেকেই ছোটবেলায় কালিদাস রায়ের সেই কবিতাটি পড়ে থাকবেন। শুধু কালিদাস রায় নন, আরও অনেক হিন্দু ঐতিহাসিকগণ সম্রাট বাবরের চারিত্রিক গুণাবলিগুলোকে এড়িয়ে যেতে পারেননি। মোগলদের শেষ যুগের ঐতিহাসিক সোবহান রায় লিখেছেন, “বাবর ইনসাফ ও ন্যায়পরায়ণতার চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।” পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু লিখেছেন, “তিনি ছিলেন জাগরণ যুগের আদর্শ নেতা। তার চরিত্রে অভিযানপ্রিয়তা, শিল্প সাহিত্যানুরাগ ও সৌখিন জীবনের আগ্রহ ছিলো।” প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, এলাহাবাদ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. রাম প্রসাদ ত্রিপাঠি লিখেছেন, “বাবর ধর্মান্ধ ছিলেন না। আমীর গরীব, হিন্দি আফগানী সবার সাথেই তাঁর আচরণ ছিলো ভদ্র, শালীন ও বন্ধুত্বপূর্ণ।” অধ্যাপক শ্রীরাম শর্মা লিখেছেন, “বাবর কোনো মন্দির ধ্বংস করেছেন কিংবা কোনো হিন্দুকে ধর্মীয় কারণে কষ্ট দিয়েছেন এমন কোনো দৃষ্টান্ত ইতিহাসে নেই।” সম্প্রতি ভারতের অযোধ্যায় অবস্থিত সম্রাট বাবরের আমলে নির্মিত বাবরি মসজিদের স্থানে রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো দাবি করে আসছিলো, বাবরি মসজিদটি মন্দির ধ্বংস করে নির্মাণ করা হয়েছে। মূলত বাবরি মসজিদটি তৈরি করেছিলেন মীর বাকী। তিনি ছিলেন একজন মুঘল সেনা কমান্ডার। সম্রাট জহির উদ্দিন বাবরের অনুমতিতে মীর বাকী অযোধ্যার পাহাড়ের চূড়ায় এটি নির্মাণ করেছিলেন। মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিলো সম্রাট বাবরের নামে। সেখানে ১৫২৮ থেকে ১৫২৯ খ্রিস্টাব্দে মন্দির বা অন্য কোনো স্থাপনা নির্মাণের কথা ছিলো না। মসজিদটির মেহরাবের উপরে এর ইতিহাস লিপিবদ্ধ ছিলো। এটি ওই সময় থেকে ১৯৪৯ সালের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মসজিদ হিসেবে মর্যাদাপ্রাপ্ত ও ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। যেখানে মুসলমানরা দিনে পাঁচবার ও শুক্রবারে জুমার নামাজ আদায় করতেন। সেনাপতি মীর বাকী বাবরি মসজিদ নির্মাণের ৩৫৭ বছর পর ১৮৮৫ সালে প্রথম মসজিদটি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক ও আইনি লড়াই। তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতে মহন্ত রঘবীর দাসের দায়ের করা এক মামলা থেকে বাবরি মসজিদ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। মহন্ত রঘবীর দাসের দায়ের করা মামলা খারিজ করে দেয় ব্রিটিশ আদালত। এরপর ১৯৪৯ সালের ২২ ডিসেম্বর রাতে বাবরি মসজিদে রাম ও সীতা মূর্তি রেখে আসে অজ্ঞাতনামা কোনো হিন্দু উগ্রবাদী। এ ঘটনাকে অলৌকিক দাবি করে প্রার্থনা শুরু করে মন্দিরপন্থীরা। এ ঘটনার পর ১৯৫০ সালে মসজিদে তালা দেয় ভারতীয় আদালত। সাথে বন্ধ করে হিন্দুদের মূর্তি দর্শন। ১৯৫৯ সালে হিন্দুদের পক্ষে জমি চেয়ে মামলা করেন নির্মোহী আখড়া। অপর দিকে ১৯৬১ সালে মসজিদের জমির মালিকানা দাবি করে মুসলমানদের পক্ষে আদালতের দ্বারস্থ হয় উত্তর প্রদেশ মুসলিম ওয়াক্ফ বোর্ড। ১৯৮০-এর দিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও তাদের রাজনৈতিক সহযোগী কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতারা ওই স্থানে রামমন্দির নির্মাণে প্রচারাভিযান চালায়। ১৯৮৬ সালে আদালত মসজিদের তালা খোলার নির্দেশ দিলে ১৯৯০ সালে এ প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে বেশ কিছু শোভাযাত্রা ও মিছিল বের করে লাল কৃষ্ণ আদভানি। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি দেড় লাখ কর সেবক নিয়ে একটি শোভাযাত্রা বের করে। পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্য এ দিনে শোভাযাত্রা চলাকালীন সময়ে উগ্রবাদী হিন্দুরা সহিংস হয়ে ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত এ মসজিদটি শহীদ করে মুসলিমদের হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করে। পরবর্তীকালের অনুসন্ধানে ঘৃণ্য এ অপরাধে ৬৮ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে, যাদের অধিকাংশই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বিজেপির নেতা বলে জানা যায়। ৩ এপ্রিল ১৯৯৩ সালে সংসদে এক আইন পাস করিয়ে এ জমি দখল করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১০ সালে সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া ও রামলালা; সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে এই তিনভাগে জমিটি ভাগ করার রায় দেয় এলাহাবাদের তিন বিচারকের বেঞ্চ। কিন্তু ২০১১ সালের ৯ মে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এ রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় এবং ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর শনিবার অযোধ্যার এ জমিটিতে হিন্দুদের মন্দির নির্মাণ ও মুসলিমদের বিকল্প ৫ একর জমি দেওয়ার বিতর্কিত ও সাম্প্রদায়িক এক রায় দেয় ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। ১৮৮৫ সালে বাবরি মসজিদ নিয়ে ১৩৪ বছরের বিতর্কের পর গত ৫ আগস্ট বাবরি মসজিদস্থলে রামমন্দির নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার। বাবরি মসজিদটি কোনো মন্দিরের উপরে নির্মাণ করা হয়েছিলো; এর পক্ষে সামান্যতম প্রমাণও হিন্দুত্ববাদী শক্তি উপস্থিত করতে পারেনি। বরং বাবরি মসজিদের নিচে রামমন্দির থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন দেশটির দুই প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ সুপ্রিয় ভার্মা ও জয়া মেনন। হাফিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাবরি মসজিদের নিচে রামমন্দিরের অস্তিত্ব থাকা নিয়ে ভারতের প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের দেয়া তথ্যকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তাঁরা। হাফিংটন পোস্ট ডটইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “২০০৩ সালে ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ যেখানে বাবরি মসজিদ ছিলো, সেখানে খননকাজ চালায়। পরে তারা এলাহাবাদ হাইকোর্টকে জানায়, মসজিদের নিচে তিনটি রামমন্দিরের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।” সুপ্রিয় ভার্মা ও জয়া মেনন দাবি করেছেন, এএসআইয়ের দেওয়া তথ্য সঠিক নয়। তারা মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলো। সুপ্রিয় ভার্মার মতে, “বাবরি মসজিদের নিচে পুরনো ছোট মসজিদ ছিলো। এর পশ্চিম পাশের দেয়াল, ৫০টি পিলার ও স্থাপত্যশৈলী তারই প্রমাণ। পশ্চিম পাশে দেয়াল দেখলেই বোঝা যায় যে, এই পাশে মুখ করে নামাজ পড়া হয়েছে। এর কাঠামো মসজিদের মতো, মন্দিরের মতো নয়।” সুপ্রিয় ভার্মা ওই সাক্ষাৎকারে আরও বলেছেন, “বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকায় খননকাজে নিয়োজিত বিশেষজ্ঞরা চাপের মধ্যে ছিলেন। তাদের আসলে বাধ্য করা হয়েছিলো মন্দিরের পক্ষে বলতে।” বাবরি মসজিদ উপমহাদেশসহ সমস্ত পৃথিবীর মুসলমানদের ভালোবাসা এবং আবেগের প্রতীক। এমন আবেগের স্থানটিকে মুছে ফেলে সেখানে মন্দির নির্মাণের দরুন মুসলিম হৃদয়ে অব্যাহত রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এই ভারতকে মুসলমানরা শাসন করেছে সাড়ে ৮০০ বছর। ভারতের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নির্মাতা মুসলমানরা। তাজমহল, শীষ মহল, ময়ূর সিংহাসন, কুতুব মিনার, দিওয়ানি আম, দিওয়ানি খাস; এসব স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে ভারতকে সজ্জিত ও সমৃদ্ধ করেছে মুসলমানরাই। যে সুদীর্ঘ কাল মুসলিম শাসকগণ ভারত শাসন করেছেন, তাঁরা যদি হিন্দু নিধনের কাজ করতেন তাহলে আজকের ভারতে একজন হিন্দুরও অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেতো না। তাঁরা সত্যিকারার্থেই যদি মন্দিরকে মসজিদ বানানোর পরিকল্পনা করতেন তাহলে ভারতে এতো এতো মন্দিরের অস্তিত্ব থাকা কল্পনাতীত ছিলো। ইসলাম কখনোই বিধর্মীদের উপাসনালয় ধ্বংস করে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করতে উৎসাহিত করে না। এ ক্ষেত্রে রাসূল সা.-এর উদারতা ছিলো অতুলনীয়। সে যুগে বিজিত ভূখণ্ডের যেসব অধিবাসী বশ্যতা স্বীকার করেছে, তাদের জান-মাল, ধর্ম ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আল্লাহর আমানত ও রাসূল সা. এর জিম্মাদারি বলে গণ্য হতো। সর্বাবস্থায় তারা পূর্ণ নিরাপত্তা ভোগ করতো। রাসূল সা.-এর ফরমান এই ছিলো যে, “তাদের কোনো কিছুতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা যাবে না। তাদের মূর্তি বিগ্রহ ভাঙা যাবে না এবং কোনো পূজারিকে অপসারণ করা যাবে না। কোনো সন্ন্যাসীকে তার অবস্থা থেকে এবং গির্জা মন্দিরের কোনো সেবায়েতকে তার পদ থেকে সরানো যাবে না। তাদের যা কিছু যেভাবে আছে সেভাবে থাকবে। কেউ ফরিয়াদি হলে তার প্রতি ন্যায়বিচার করা হবে।” এ ক্ষেত্রে সাহাবাগণ এবং পরবর্তী মুসলিম আদর্শ শাসকগণ রাসূল সা.-এর আদর্শকে পূর্ণ মাত্রায় ধরে রেখেছেন। ইসলামের ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্তও অতিবাহিত হয়েছে যে, জবর দখলকৃত জমি মসজিদের অন্তর্ভুক্ত করার কারণে মসজিদের ঐ অংশ ভেঙে দেয়া হয়েছে। উমাইয়া খলিফা ওয়ালিদ বিন আবদুল মালিক দামেশকে একটি শানদার মসজিদে নির্মাণের ইচ্ছা করেছিলেন। পরিকল্পনা মত মসজিদটি নির্মাণ করতে গিয়ে জমির সঙ্কট দেখা দিলো। পাশেই একটি গির্জা ছিলো। তিনি ঈসায়ীদের কাছে জমি চাইলেন। তারা বলল, “এই জমি দিতে আমরা প্রস্তুত নই। তারপরও যদি জোর করে নেয়া হয় তাহলে জবর দখলকারী কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হবে।” তাদের জবাব শুনে ওয়ালিদ ক্রুদ্ধ হলেন এবং বললেন, “দেখা যাক কুষ্ঠ হয় কিনা।” ওমর ইবনে আজিজ (রহ) এর জমানায় ঈসায়ীরা তাঁর কাছে অভিযোগ নিয়ে এলো। হযরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ) ছিলেন খোলাফায়ে রাশেদীনের প্রকৃত উত্তরসূরি। তিনি সঙ্গে সঙ্গে মসজিদের ঐ অংশ; যা গির্জার জমিতে নির্মাণ করা হয়েছিলো, তা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। উপরন্তু বায়তুল মালের খরচে গির্জা পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দিলেন। ভারতের মুসলিম শাসনকালকেও যদি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করা হয়, তাহলে দেখা যাবে, মুহাম্মদ বিন কাসিম থেকে বাহাদুর শাহ জাফর পর্যন্ত এ নীতিই অনুসরণ করা হয়েছে। কখনও যদি কারো দ্বারা এই নীতি লঙ্ঘিত হয়ে থাকে তাহলে সেটা তার ব্যক্তিগত অপরাধ নিঃসন্দেহে। এ ক্ষেত্রে তার প্রতি ন্যূনতম সমর্থন মুসলমানদের পক্ষ থেকে থাকে না। মুসলমানদের এসকল নীতি কি এ কথারই প্রমাণ বহন করে না যে, বাবরি মসজিদ শুরু থেকেই মসজিদ ছিলো? এ মসজিদ কখনও মন্দিরের ওপর বানানো হয়নি? মানব সভ্যতার ইতিহাস সাক্ষী, মিথ্যা ও জুলুমের ইমারত কোনোদিন স্থায়ী হয় না। পরিস্থিতি সবসময় একরকম থাকে না। কেটে যায় দুঃসময়ের ঘন কালো মেঘ। টুঁটে যায় আঁধারের অমানিশা। আলোয় আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে আসে শ্বেত শুভ্র সকাল। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, “এ তো দিন পরিক্রমা, যা আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে বদলাতে থাকি।” (সূরা আলে ইমরান : ৪০) তুরস্কের আয়া সোফিয়া মসজিদ সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের জন্য জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত। আয়া সোফিয়া মূলত গির্জা ছিলো, যা খ্রিষ্টান ও পুরোহিতদের দ্বারা পরিত্যাজ্য ছিলো। সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ তাঁর ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে কিনেছিলেন ও ১৪৬২ খ্রিষ্টাব্দে ওয়াক্ফ ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন। ওয়াক্ফ নথির অধীনে ক্রয়কৃত সম্পত্তিটিকে মসজিদ হিসেবে ঘোষণা করেছিলো। তুরস্কের তৎকালীন মন্ত্রিসভা এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে। তবে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত এটি মসজিদ ছিলো। ২০২০ সালে ১০ জুলাই তুরস্কের আদালত ১৯৩৪ সালের মন্ত্রিসভার আয়া সোফিয়া জাদুঘর হিসেবে ব্যবহারের রায় বাতিল করে দেয়। এতে এটিকে ৮৬ বছর পর মসজিদ হিসাবে পুনঃব্যবহারের দ্বার উন্মুক্ত হয়। আমাদের স্মরণ করতে হবে আরও পিছনের ইতিহাসকে। তাওহিদের আন্তর্জাতিক কেন্দ্র এবং আল্লাহর ঘর পবিত্র কাবাঘরও একটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত শিরক ও মূর্তিপূজার আখড়া ছিলো। অবশেষে মক্কা বিজয়ের মতো একটি রক্তপাতহীন বিজয়ের মাধ্যমে সেখান থেকে মূর্তি অপসারণ করা হয়েছে। অনাগত সময় সম্ভাবনার। শুধু বাবরি মসজিদ নয়; ইনশাআল্লাহ একদিন গোটা ভারতের ইথারে ইথারে ছড়িয়ে পড়বে ইসলামের বুলন্দ আওয়াজ। মক্কা বিজয়ের মতো আরেকটি রক্তপাতহীন বিজয়ের মাধ্যমে ভারতের মাটিতে পত পত করে উড়বে কালিমার পতাকা। সেই সুখময় সময়ের সাক্ষী হওয়ার প্রহর গুনে যাই। লেখক : কলামিস্ট
আপনার মন্তব্য লিখুন