[২য় কিস্তি]
ভর্তির অনুমতিপত্র পাওয়ার পর করণীয়
ভর্তির অনুমতিপত্র বা অফার লেটার পাওয়ার পর সাধারণত অফার লেটারে বা প্রসপেক্টাসে উল্লিখিত টিউশন ফির সমপরিমাণ অর্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক ড্রাফট করতে হবে যা ভিসা ইন্টারভিউয়ের সময় দূতাবাসে দেখাতে হয় এবং ভিসা পেলে পরবর্তীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হবে। কিন্তু টিউশন ফি বা বেশি পরিমাণ অর্থ ব্যাংক ড্রাফট করতে হলে ব্যাংকে নিজের নামে একটি স্টুডেন্ট ফাইল চালু করতে হয় এবং সেখান থেকেই বিদেশে পড়াশোনাকালীন সকল আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করা যাবে। ব্যাংকে স্টুডেন্ট ফাইল খোলার জন্য যে সমস্ত কাগজপত্র লাগে সেগুলো হলো- - শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রসপেক্টাস বা ভর্তির প্রমাণপত্র বা ভর্তি ফরম - পাসপোর্ট - শিক্ষাগত সনদপত্র - পুলিশ ছাড়পত্র এবং ছবি। উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন ব্যাংকের বৈদেশিক বিনিময় শাখাগুলোতে স্টুডেন্ট ফাইল খোলার জন্য আলাদা কেন্দ্র রয়েছে।
ভিসা প্রসেসিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার পর তাদের পাঠানো অফার লেটার বা ভর্তির অনুমতিপত্রে উল্লিখিত ডেডলাইনের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে হবে। অন্যথায় ভর্তি বাতিল হবে। তাই নির্দিষ্ট তারিখের পূর্বেই আপনাকে সেদেশের ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও সব নিয়ম প্রায় একই রকম। কোন দেশে ভিসা পেতে হলে প্রথমে সে দেশের ভিসার আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই ভিসার আবেদনপত্র সরবরাহ করে থাকে। অন্যথায় নির্দিষ্ট দূতাবাস থেকে ভিসার আবেদনপত্র সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ দূতাবাসে জমা দিতে হবে এবং নির্দিষ্ট দিনে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। ভিসার জন্য সাধারণত যেসব কাগজপত্র লাগে- - শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, নম্বরপত্র, প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রশংসাপত্রের সত্যায়িত ফটোকপিসহ মূলকপি। - পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে এক বছর থাকতে হবে এবং পেশা, জন্ম তারিখ ও অন্যান্য সকল তথ্যের সাথে শিক্ষাগত কাগজপত্রের মিল থাকতে হবে। আপনার পাসপোর্ট করা না থাকলে পাসপোর্ট করে নিন। - শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রমাণপত্র বা অফার লেটার। - ছবি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে, পরিষ্কার ভদ্র পোশাকে তোলা স্মার্ট ও স্পষ্ট ছবি হলে ভালো হয় এবং রঙিন হওয়াই উত্তম। - টিউশন ফির ব্যাংক ড্রাফট প্রতিষ্ঠান ভেদে টিউশন ফি ভিন্ন হয়ে থাকে। - ভাষাগত দক্ষতার সার্টিফিকেট। - পুলিশ ছাড়পত্র
গবেষণা যারা পিএইচডি করতে যেতে চান, তাদের জন্য গবেষণাপত্রটি থাকা জরুরি। আর মাস্টার্স পর্যায়ের কোন থিসিসের প্রয়োজন নেই। সুতরাং বাংলাদেশে মাস্টার্স করে যারা বাইরে পিএইচডি করতে আগ্রহী তাদের জন্য থিসিস থাকা আবশ্যিকই বটে। তবে যাদের থিসিস নেই তারা দেশে মাস্টার্স করার পরও বাইরে মাস্টার্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে আপনার থিসিসের কোনো মূল্য নেই। আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানের বিভাগগুলোতে কেবলমাত্র আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে ফলাফল ভালোকারীদের এই থিসিস করার সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু বাইরের দেশে বিশেষ করে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা স্নাতক পর্যায়ের তৃতীয় বর্ষ থেকেই গবেষণায় যুক্ত হয়। স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে থিসিসের গুরুত্ব অনেক বেশি। ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে দুই অথবা দুই এর অধিক গবেষণা আর্টিকেল থাকলে স্কলারশিপ পাওয়া সহজ হয়। সুতরাং গবেষণার ক্ষেত্রে আর্টিকেলের গুরুত্ব অনেক বেশি।
ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বিদেশী বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে ভাষাগত দক্ষতা সিজিপিএর চেয়ে বেশি মূল্যবান। টোফেল, আইইএলটিএস, জিআরই, জিম্যাট একজন শিক্ষার্থীর বিদেশী শিক্ষা গ্রহণের মানদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং যারা বাইরে পড়াশোনা করতে আগ্রহী তারা সিজিপিএ নির্ভর না হয়ে ইংলিশ স্কোর বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। বর্তমানে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি স্কোর নির্ধারণ করে দেয়। সেই ক্ষেত্রে নিজেদের কাক্সিক্ষত দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী ইংলিশ প্রোফিয়েন্সি টেস্ট দেয়া প্রয়োজন। কেবলই এই স্কোর থাকলে যেকোনো শিক্ষার্থী তার সিজিপিএ বেশি হোক আর ৩ এর নিচে হোক সে স্কলারশিপ নিয়ে বাইরে পড়াশোনার সুযোগ পাবে। নিম্নোক্ত দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক ভাষাগত দক্ষতার বিবরণ দেয়া হলো।
আইইএলটিএস অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ কানাডা, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অধিকাংশ দেশে ইংরেজিতে দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে আইইএলটিএস (ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গয়েজ টেস্টিং সিস্টেম) গ্রহণ করা হয়। শুধু তা-ই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্র্র্রায় তিন হাজার শিক্ষাপ্র্রতিষ্ঠান টোফেলের সঙ্গে সঙ্গে আইইএলটিএস স্কোর গ্রহণ করে। ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম (আইইএলটিএস) ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি পরীক্ষা। আইইএলটিএস সম্পর্কে আরো যা জানা প্রয়োজন- সময় : বছরের যে কোনো সময় পরীক্ষা দেওয়া যায়। নিবন্ধন ফি : ১৭ হাজার ৫০০ টাকা। (যুক্তরাজ্যে ভিসা ও অভিবাসনের জন্য পরীক্ষা ফি ১৯ হাজার ৭০০ টাকা) পরীক্ষার নম্বর : শূন্য থেকে ৯। সুযোগ-সুবিধা : উচ্চশিক্ষার জন্য ভাষা দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে এই সনদ গ্রহণ করা হয়। বিশ্বের প্রায় ১৪০টি দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইইএলটিএস স্কোর গ্রহণযোগ্য। এ ছাড়া অভিবাসন সংক্রান্ত কাজে সনদ সংযুক্ত করতে হয়। আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ ইংরেজিভাষী বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও কাজের সুযোগ গ্রহণ করে। বিদেশে ভাষা দক্ষতা সনদ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনপত্রের সঙ্গে অ্যাকাডেমিক আইইএলটিএস সনদ জমা দিতে হয়। এ ছাড়া ভিসার আবেদনপত্রসহ চাকরির জন্য ‘আইইএলটিএস জেনারেল ট্রেনিং’ সনদ প্রয়োজন হয়। সনদের মেয়াদ : দুই বছর। পরীক্ষা কর্তৃপক্ষ : ব্রিটিশ কাউন্সিল, আইডিপি, আইইএলটিএস অস্ট্রেলিয়া ও ক্যামব্রিজ অ্যাসেসমেন্ট ইংলিশ। আবেদনের প্রক্রিয়া : বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও আইডিপিতে পরীক্ষার জন্য নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। নিবন্ধন শেষে নির্দিষ্ট দিনে নির্ধারিত সেন্টারে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। পরীক্ষার সময় : ২ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট। পরীক্ষার মডিউল : চারটি। (লিসেনিং, রিডিং, রাইটিং ও স্পিকিং) বিস্তারিত জানতে ব্রিটিশ কাউন্সিল অথবা আইডিপির ওয়েবসাইট https://www.britishcouncil.org.bd/en / https://www.idp.com/bangladesh/ielts/online-test-registration/ https://www.e2language.com/
টোফেল ইংরেজি ভাষায় পেশাদারি দক্ষতা যাচাইয়ে প্র্র্রয়োজন হয় টোফেল (টেস্ট অব ইংলিশ অ্যাজ আ ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ)। কানাডাসহ অন্য উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে আবেদনে প্র্রথম শর্ত টোফেলে নির্দিষ্ট স্কোর পেতে হবে। টোফেল সম্পর্কে আরো যা জানা প্রয়োজন- কী পরীক্ষা : যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয়, টেস্ট অব ইংলিশ অ্যাজ আ ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ (টোফেল) তাদের জন্য ভাষা দক্ষতার পরীক্ষা। কখন : বছরের যেকোনো সময় পরীক্ষা দেয়া যায়। খরচ : নিবন্ধন ফি ২০০ মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৭ হাজার টাকা। কারা অংশ নেন : যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ ইংরেজিভাষী বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও কাজের সুযোগ যারা চান, তারা অংশ নিতে পারেন। কেন প্রয়োজন : বিদেশে ভাষা দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনপত্র, ভিসার আবেদনপত্রসহ চাকরির জন্য এই সনদ কাজে লাগে। পরীক্ষার নম্বর : ১২০। সুবিধা : নম্বরের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ থাকে। বিশ্বের প্রায় ১৩০টি দেশে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টোফেল স্কোরের গ্রহণযোগ্যতা আছে। সনদের মেয়াদ : দুই বছর। পরীক্ষা কর্তৃপক্ষ : এডুকেশন টেস্টিং সার্ভিস (ইটিএস)। আবেদনের প্রক্রিয়া : অনলাইনে নিবন্ধন করে নির্ধারিত দিনে নির্ধারিত কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে হয়। পরীক্ষার সময় : ৩ ঘণ্টা ২৩ মিনিট। পরীক্ষার মডিউল : চারটি। (লিসেনিং, রিডিং, রাইটিং ও স্পিকিং) টোফেল রেজিস্ট্রেশন লিংক : https://www.ets.org/
জিআরই বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি করতে উত্তর আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবশ্যক শর্ত জিআরই (গ্র্যাজুয়েট রেকর্ড এক্সামিনেশন)। জিআরই সম্পর্কে আরো যা জানা প্রয়োজন- কী পরীক্ষা : বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য গ্র্যাজুয়েট রেকর্ড এক্সামিনেশনস (জিআরই) কাজে লাগে। এ ছাড়া ছয়টি বিষয়ে বিষয়ভিত্তিক জিআরই পরীক্ষা নেয়া হয়। কখন : বছরের যেকোনো সময় পরীক্ষা দেওয়া যায়। খরচ : নিবন্ধন ফি ২০৫ মার্কিন ডলার বা প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার টাকা। কারা অংশ নেন : সম্মান শ্রেণি উত্তীর্ণ যে কোনো শিক্ষার্থী, যারা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে পড়তে ইচ্ছুক। কেন প্রয়োজন : যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা, পিএইচডি গবেষণায় ভর্তির জন্য জিআরই প্রয়োজন। পরীক্ষার নম্বর : ৩৪০। সুবিধা : নম্বরের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ থাকে। এ ছাড়া ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি ও গবেষণা অনুদান পাওয়ার সুযোগ আছে। সার্টিফিকেটের মেয়াদ : পাঁচ বছর। পরীক্ষা কর্তৃপক্ষ : এডুকেশন টেস্টিং সার্ভিস (ইটিএস)। আবেদনের প্রক্রিয়া : অনলাইনে নিবন্ধন করে নির্ধারিত দিনে নির্ধারিত কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে হয়। করোনাভাইরাসের কারণে বাড়িতে বসে বিশেষ পদ্ধতিতে অনলাইনে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দিচ্ছে ইটিএস। পরীক্ষার সময় : ৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। পরীক্ষার মডিউল : তিনটি। (অ্যানালিটিক্যাল রাইটিং, কোয়ানটিটেটিভ রিজনিং ও ভার্বাল রিজনিং) জিআরই রেজিস্ট্রেশন লিংক : https://www.ets.org/
জিম্যাট ব্যবসায় প্র্রশাসনভিত্তিক অ্যাকাউন্টিং, ফিন্যান্স, ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং বিষয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামে স্নাতকোত্তর অথবা এমবিএ করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালগুলোতে প্র্র্রয়োজন হয় জিম্যাট (গ্র্যাজুয়েট ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিশন টেস্ট)। জিম্যাট সম্পর্কে আরো যা জানা প্রয়োজন- কী পরীক্ষা : বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ব্যবস্থাপনা ও বাণিজ্যে উচ্চশিক্ষার জন্য গ্র্যাজুয়েট ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিশন টেস্ট (জিম্যাট) গ্রহণ করা হয়। কখন : বছরের যেকোনো সময় পরীক্ষা দেয়া যায়। খরচ : নিবন্ধন ফি ২৫০ মার্কিন ডলার বা ২১ হাজার টাকার বেশি। কারা অংশ নেন: সম্মান শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী, যারা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে এমবিএ পড়তে ইচ্ছুক। কেন প্রয়োজন : যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় এমবিএ ভর্তির জন্য জিম্যাট প্রয়োজন। এখন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় জিম্যাটের বিকল্প হিসেবে জিআরই স্কোর গ্রহণ করে। অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ অনেক দেশে এমবিএ করার ক্ষেত্রে জিম্যাট স্কোর কাজে লাগে। পরীক্ষার নম্বর : ৮০০। সুবিধা : নম্বরের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ থাকে। এ ছাড়া ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি ও গবেষণা অনুদান পাওয়ার সুযোগ আছে। সার্টিফিকেটের মেয়াদ : পাঁচ বছর। পরীক্ষা কর্তৃপক্ষ : গ্র্যাজুয়েট ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিশন কাউন্সিল (জিএমএসি)। আবেদনের প্রক্রিয়া : অনলাইনে নিবন্ধন করে নির্ধারিত দিনে নির্ধারিত কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে হয়। পরীক্ষার সময় : ৩ ঘণ্টা ৭ মিনিট। পরীক্ষার মডিউল : চারটি। (অ্যানালিটিক্যাল রাইটিং, ইন্টিগ্রেটেড রিজনিং, কোয়ানটিটেটিভ, ভার্বাল)
স্যাট কী পরীক্ষা : স্কলাসটিক অ্যাসেসমেন্ট টেস্ট হিসেবে এসএটি বা স্যাট পরীক্ষার স্কোর যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও স্নাতক পর্যায়ে আবেদনে গ্রহণ করা হয়। খরচ : ৫০-১০০ মার্কিন ডলার (বিষয় ও ধরন ভেদে ফি পরিবর্তিত হয়) কারা অংশ নেন : যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। কেন প্রয়োজন : বিষয়ভিত্তিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা সনদ হিসেবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনপত্রের সঙ্গে এসএটি স্কোর জমা দিতে হয়। এসএটি পরীক্ষার দুটি ধরন আছে সাধারণ এসএটি ও এসএটি সাবজেক্ট টেস্ট। পরীক্ষার নম্বর : ১৬০০। সুবিধা : যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদালয়ে স্নাতক পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার জন্য অ্যাকাডেমিক দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে এই সনদ গ্রহণ করা হয়। মেয়াদ : পাঁচ বছর কিংবা তারপরও ভর্তির কাজে ব্যবহার করা যায়। পরীক্ষা কর্তৃপক্ষ : কলেজ বোর্ড। আবেদনের প্রক্রিয়া : অনলাইনে আবেদনের পর বাংলাদেশে নির্দিষ্ট দিনে নির্ধারিত সেন্টারে পরীক্ষা নেয়া হয়। পরীক্ষার সময় : ৩ ঘণ্টা ৫০ মিনিট। পরীক্ষার মডিউল : তিনটি রিডিং, রাইটিং, ল্যাঙ্গুয়েজ এবং গণিতের ক্যালকুলেটর ও নন-ক্যালকুলেটর বিভাগ। বিষয়ভিত্তিক এসএটি পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বা জীববিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা যাচাই করা হয়। উচ্চশিক্ষা এবং বিশ^বিদ্যালয়গুলোর তথ্য পেতে নিচের লিংকগুলোতে ক্লিক বরুন। UCAS (https://www.ucas.com/ Education USA (https://educationusa.state.gov/ https://www.topuniversities.com/university-rankings/world-university-rankings/2020 (http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/)|
আপনার মন্তব্য লিখুন