গত ৩০ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের ম্যাগাজিন শার্লি এবদোর সবশেষ সংস্করণের প্রচ্ছদে প্রিয়নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ব্যঙ্গ করে আঁকা ১২টি কার্টুন ছাপা হয়। এর পক্ষকাল পরে ফ্রান্সের একজন স্কুলশিক্ষক ক্লাসে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলতে গিয়ে মহানবী সা.-কে নিয়ে ব্যঙ্গ কার্টুন প্রদর্শন করেন। সেখানকার মুসলিম কমিউনিটি এর বিরোধিতা করে। মসজিদ থেকে একজন ইমাম এই ধৃষ্টতার বিরুদ্ধে অনলাইনে প্রতিবাদের ডাক দেন। ১৬ অক্টোবর ফ্রান্সের প্যারিসে শহরতলি এলাকায় এক স্কুলশিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করা হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, হামলাকারীর বয়স ১৮ বছর। তিনি চেচেন জাতিগোষ্ঠীর এবং জন্ম রাশিয়ার মস্কোতে। নিহত ওই শিক্ষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়াতেন। ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ ক্লাসে তিনি শিক্ষার্থীদের মহানবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কার্টুন দেখিয়ে ছিলেন। তারপর তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে ফ্রান্সজুড়ে চলছে মুসলিম কমিউনিটির বিরুদ্ধে সরকার ও বিভিন্ন উগ্র জাতীয়তাবাদীদের হামলা ও কঠোর সব পদক্ষেপ। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওই ইমামের মসজিদ বন্ধ করে দেন, বিভিন্ন ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়, চারদিকে ধরপাকড় শুরু হয় এবং প্রকাশ্য জনসভায় তিনি মহানবীর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ জারি রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কার্টুন বন্ধে ব্যবস্থা না নেয়া এবং শার্লি এবদোর পক্ষে ফ্রান্স সরকার অবস্থান নেয়ার পর মুসলিম বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ক্ষোভে ফেটে পড়ছে মুসলিম দেশগুলো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবমাননা এক অব্যাহত অপরাধ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের প্রতি ভক্তি ও ভালোবাসা ইসলামের প্রাণ। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য ঈমানকে পূর্ণতা দান করে। আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ইসলামের মূলভিত্তি এবং মুসলমানের মৌলিক পরিচয়। প্রিয় রাসূলের মর্যাদার সংরক্ষণ এবং রাসূলের শ্রেষ্ঠত্বের বিশ্বাস কোটি মুসলিমের শিরা-উপশিরায় রক্তের ন্যায় প্রবহমান এমন দুর্দমনীয় শক্তি, যা নবুওতের উৎসর্গী ও রিসালাতের আশেকদের দৃষ্টিতে পরিপূর্ণ ঈমানের পরিচয়রূপে বিবেচিত। পক্ষান্তরে এই মহামূল্য সম্পদ এবং ধরাপৃষ্ঠের সর্বোচ্চ দামি এই অনুভূতিটিই প্রতারিত পশ্চিমাদের নজরে অসুস্থ আবেগমাত্র। এ কারণেই আজ ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ, ইসলামী শিক্ষার প্রতি ঘৃণা, মুসলিম সভ্যতা-সংস্কৃতি নিয়ে উপহাস, মুসলমানদেরকে অবদমিত করে রাখা, তাদের ওপর সবধরনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার উন্মত্ততা, মুসলিম দেশগুলোর প্রযুক্তি ও উপকরণের মূলোৎপাটন বা নিয়ন্ত্রণকরণ, মুসলিম যুবকদেরকে ইসলামের প্রতি বীতশ্রদ্ধ করতে এবং মুরতাদ ও ধর্মত্যাগের পথে পরিচালিত করতে অহর্নিশ প্রচেষ্টা, মুসলিম দেশগুলোর রাজনীতি সুসংহত করার বিরুদ্ধে নীলনকশা এবং এ ধরনের অসংখ্য অপকৌশলের আশ্রয়ে ইসলামের শত্রুরা শুধু মুসলমানদের জান-মালেরই ক্ষতি করছে না, বরং ব্যাপক পরিসরে তাদের দ্বীনি কর্মকাণ্ড, সাংস্কৃতিক অবস্থান এবং ধর্মীয় চরিত্রকেও ধ্বংস করছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ ফ্রান্স সরকার ও তাদের দোসররা এই পলিসি গ্রহণ করেছে যে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অন্তরালে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যক্তিত্ব ও গুণাবলিকে টার্গেট করা। প্রিয়নবীর সুমহান সত্তাকে বিতর্কিত করতে নিত্য-নতুন চক্রান্তের জাল বুনা। অবমাননাকর কার্টুন, ফিল্ম, ছবি, বই এবং লিফলেটের ব্যাপক আয়োজন করে গোটা মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর উসকানি ছড়িয়ে তাদেরকে সহিংসতা, আইনভঙ্গ এবং স্বাধীন প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করতে বাধ্য করা। আর পরিশেষে নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার মতো পরিভাষাগুলোর অজুহাতে গৃহযুদ্ধ, সহিংসতা, দাঙ্গা এবং গ্রেফতার ও বন্দিত্বের এক অনিঃশেষ ধারাক্রম আরম্ভ করা। যাতে মুসলমানরা জাঁতার দুইকলের মাঝখানে পিষ্ট হয়ে যায়। না পারে এদিকে যেতে, না পারে ওদিকে। এমনিতো অনুগ্রহকারীকে হত্যা করার মতো জঘন্য অপরাধ ও ধৃষ্টতার কলঙ্ক মানবেতিহাসে সবসময় ছিল। পাপিষ্ঠ হতভাগারা তো নিজের বাবা-মাকেও নির্যাতন করেছে। নিজের শুভাকাক্সক্ষী, কল্যাণকামী, শিক্ষাগুরু ও অভিভাবকদের সঙ্গেও শত্রুর মতো আচরণ করেছে। খোঁজ করলে এ জাতীয় বহু ঘটনা সব জাতি ও ধর্মে মিলে যাবে। এই হিসেবে ইসলামের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যক্তিত্ব কুলাঙ্গার-খোদাদ্রোহীদের প্রথম টার্গেট ও নিশানা নন। যেমনটি ইনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার (১৯৮৪) প্রবন্ধকার লিখেছেন, ‘খুব কম মানুষের ক্ষেত্রে এত বিষোদগার হয়েছে যতটা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে করা হয়েছে। মধ্যযুগের খ্রিস্টানরা তার ব্যক্তিত্বের প্রতি সব ধরনের অপবাদ আরোপ করেছে।’ এ হিস্ট্রি অব মিডওয়াল-এর গ্রন্থকার জি. জি. সেন্ডারস লেখেন, ‘এ সত্যকে অস্বীকার করা সম্ভব নয় যে, আরবের পয়গম্বরকে খ্রিস্টানরা কখনো সহানুভূতি ও ভালো দৃষ্টিতে দেখেনি। তাদের নজরে হজরত ঈসার ব্যক্তিত্বই শ্রদ্ধেয় ও আদর্শ ছিল। ক্রুসেড যুদ্ধের সময় থেকে আজ পর্যন্ত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিতর্কিতভাবেই উপস্থাপন করা হচ্ছে এবং তার সম্পর্কে আগাগোড়া রূপকথা ও ভিত্তিহীন কাহিনী প্রচার করা হচ্ছে।’ ইতিহাস সাক্ষী যারা আল্লাহর নবীকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করেছেন, সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাদের স্মরণ ও আলোচনাকেও যুগে যুগে সমুন্নত রেখেছেন। যেমন, সম্মানিত সাহাবীগণ মুসলিম উম্মাহর জীবনে প্রাতঃস্মরণীয় হয়ে আছেন। এ ছাড়াও যুগে যুগে নবীপ্রেমিক মনীষীগণ মানবজাতির ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। অপর দিকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে শত্রুতা পোষণ ও বিষোদগারকারীরা ইতিহাসে অভিশপ্ত। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্মান ও মর্যাদা আল্লাহ তায়ালা নির্ধারণ করেছেন। তাই ইচ্ছা করে তার মর্যাদা কেউ বাড়াতে বা কমাতে পারবে না। তারা নবীকে নিয়ে যতই কটূক্তি এবং অবমাননা করেছে আল্লাহ ততই তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন। আল্লাহ্ বলেন, ‘‘আর আমরা আপনার খ্যাতিকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছি।’’ (সূরা আল-ইনশিরাহ : ৪) প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আজানে বিশ্বব্যাপী মসজিদে মসজিদে তার নাম উচ্চারিত হচ্ছে। মুয়াজ্জিন ঘোষণা দিচ্ছে, ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্’ অর্থাৎ ‘‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল।’’ মুসলিমবিশ্বের করণীয় ১. ইসলামী শিক্ষার পরিপূর্ণ অনুসরণ। অনৈসলামিক চিন্তা-ধ্যানধারণা, অভ্যাস, রীতিনীতি, সভ্যতা, সংস্কৃতি, সমাজব্যবস্থা ও রাজনীতি ইত্যাদি সম্পূর্ণ পরিহার করতে হবে। বিশেষ করে ফ্যাশনপূজা এবং বস্তুবাদী চিন্তা-চেতনাকে পূর্ণ সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে বর্জন করতে হবে। ২. মুসলিমবিশ্বের প্রধান করণীয় হলো, যারা রাসূলের অবমাননা করে, তাদের বিরুদ্ধে সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিবাদ করা। একজন মুসলিম কখনও এমন হতে পারে না যে, সে মহানবীর অবমাননা হওয়ার কথা জানার পরও নিশ্চুপ বসে থাকবে। কেননা এটি একটি মহা অন্যায় কাজ। আর ঈমানের লক্ষণ হলো, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। মহান আল্লাহ আল কুরআনে ইরশাদ করছেন, ‘‘আর মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীরা একে অপরের বন্ধু, তারা ভালো কাজের আদেশ দেয়, আর অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করে।’’ (সূরা আত-তাওবাহ : ৭১) হজরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘‘আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন অন্যায় কাজ হতে দেখে, তবে সে যেন তা নিজের হাত দ্বারা পরিবর্তন করে দেয়। আর যদি সে সক্ষম না হয়, তাহলে সে যেন মুখ দ্বারা প্রতিহত করে। আর যদি সে এতেও সক্ষম না হয়, তাহলে সে যেন অন্তর দিয়ে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করে। আর এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমানের পরিচয়।’’ (মুসলিম-১৮২) ৩. রাসূলের অবমাননা বন্ধে ঈমানদার ব্যক্তিদের মধ্যে কোন বিরোধ থাকতে পারবে না। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নিজেদের মধ্যে কর্মপন্থা নিয়ে মতভেদ থাকতে পারে। কিন্তু রাসূলের অবমাননার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মসূচি পালনে কোন ধরনের সংশয় রাখা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ এ বিষয়ে কুরআন মাজিদে ঘোষণা এসেছে এভাবে, ‘‘আর তোমরা তাদের মতো হয়ো না, যারা বিভক্ত হয়েছে এবং মতবিরোধ করেছে তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শনসমূহ আসার পর। আর তাদের জন্যই রয়েছে কঠোর আজাব।’’ (সূরা আলে ইমরান : ১০৫) আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সকল মুসলমানের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইউএনও-কে এমন আইন প্রণয়ন করতে বাধ্য করতে হবে, যার মধ্যে আম্বিয়া কেরাম আলাইহিমুস সালামের অবমাননাকারীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকবে। ৪. যারা রাসূলকে কটূক্তি করে, তাদেরকে রাসূলের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে ঘৃণা করা ঈমানের দাবি। অনেকে রাসূলের উম্মাত দাবি করে, কিন্তু রাসূলের শত্রুদের সঙ্গে ওঠা-বসা ও তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কুরআনের ঘোষণা হলো, ‘‘তুমি আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসী এমন কোনো সম্প্রদায় পাবে না, যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধাচারীদের ভালোবাসে। হোক না এ বিরুদ্ধাচারীরা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা তাদের জ্ঞাতি-গোত্র।’’ (সূরা আল-মুজাদালাহ : ২২) ৫. যারা রাসূলের অবমাননা করে, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। এ বিষয়ে কুরআন মাজিদে বলা হয়েছে, ‘‘আর তিনি তো কিতাব তোমাদের প্রতি নাযিল করেছেন যে, যখন তোমরা শুনবে আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করা হচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ে উপহাস করা হচ্ছে, তাহলে তোমরা তাদের সঙ্গে বসবে না, যতক্ষণ না তারা অন্য কথায় নিবিষ্ট হয়, তা না হলে তোমরাও তাদের মত হয়ে যাবে। নিশ্চয় আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদের সকলকে জাহান্নামে একত্র করবেন।’’ (সূরা আন-নিসা : ১৪০) অতএব, মুসলিমবিশ্বের উচিত রাসূলের অবমাননার প্রতিবাদস্বরূপ ফ্রান্সের সঙ্গে রাজতৈনিক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা ও তাদের পণ্য বর্জন করা। ৬. মহানবীর অবমাননাকারীদের বিচারের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করা ঈমানের দাবি। এক শ্রেণির নামধারী মুসলিম, তারা বলে, এ বিচার আল্লাহ করবেন, অতএব আমাদের কিছুই করার দরকার নেই। ঈমানদার হিসেবে এ ধরনের কথা বলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই তাকে অবমাননা করার শাস্তি কার্যকর করেছেন এবং সাহাবায়ে কিরামও তা বাস্তবায়ন করেছেন। তাই যে মহানবীর অবমাননা করে, তাকে দুনিয়াতেই শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ইবনে খাতাল রাসূলের প্রতি কটূক্তি করেছিল, “সে জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে হত্যা করার নির্দেশ দিলেন। এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, হযরত আনাস ইবনে মালেক রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের দিন মক্কায় প্রবেশ করে মাত্র মাথায় যে হেলমেট পরা ছিল তা খুললেন, এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি এসে বলল, ইবনে খাতাল (বাঁচার জন্য) কাবার গিলাফ ধরে ঝুলে আছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (ঐ অবস্থায়ই) তাকে হত্যা কর।’’ (বুখারি-১৮৪৬, মুসলিম-৩৩৭৪) ৭. মহানবীর অবমাননা করার ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে জাতিকে সতর্ক করা সময়ের দাবি। কেননা জেনে-না জেনে, বুঝে-না বুঝে নানানভাবে মহানবীর অবমাননা করা হচ্ছে। এর কারণে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। সে জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত, জাতিকে সতর্ক করা। আল্লাহ তায়ালা সতর্ক করে বলেন, ‘‘আর তোমার পূর্বেও অনেক রাসূলকে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করা হয়েছিল, পরিণামে তারা যা নিয়ে ঠাট্টা করত তাই বিদ্রƒপকারীদেরকে ঘিরে ফেলেছিল।’’ (সূরা আম্বিয়া : ৪১) ‘‘বরং আমি মিথ্যার উপর সত্য নিক্ষেপ করি, ফলে তা মিথ্যাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয় এবং নিমিষেই তা বিলুপ্ত হয়। আর তোমাদের জন্য রয়েছে দুর্ভোগ তোমরা যা বলছ তার জন্য।’’ (সূরা আম্বিয়া : ১৮) ৮. সারা পৃথিবীতে ইসলাম ধর্ম এবং নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সত্যিকার পরিচয় তুলে ধরা। লেখক : প্রাবন্ধিক, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক
আপনার মন্তব্য লিখুন