ক. ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত। চলছে কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া। গোলাম মাসুম স্থির-দৃঢ়চেতা। চাহনি যেনো অব্যক্ত অসীম আকাশ। হঠাৎ জেল দারোগার কণ্ঠস্বর। - গোলাম মাসুম আপনার শেষ ইচ্ছা কী? -“আমার কোন শেষ ইচ্ছে নেই, সবে তো শুরু, এক বাঁশের কেল্লার নিশান ভেঙে গেছে, কিন্তু বাংলার ঘরে ঘরে আবার গড়ে উঠবে মুক্তির কেল্লা। সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং ন্যায়বিচারের নয়া নিশান উড়বেই।” তিনি নিজেই হেঁটে গেলেন পাটাতনে। ফাঁসির রশি পরলেন। এরপর ঝুলে গেলেন সাইয়্যেদ নিসার আলী তিতুমীরের প্রধান সেনাপতি গোলাম মাসুম। এরই মধ্যে ১১ জনের যাবজ্জীবন হয়েছে। কেউ কেউ হয়েছেন দ্বীপান্তর। বাদ পড়েননি তিতুর দলের ‘গাজীর গান’ এর শিল্পীও।
বিপ্লবের স্বপ্নভঙ্গের দাহকাল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে। একের পর এক স্বাধীনতাকামীদের ফাঁসি দিয়ে, গুম করে, খুন করে, পুড়িয়ে, রায়ট বাধিয়ে হত্যা করা হয়। এসব ফাঁসি স্বাধীনতার স্বপ্নকে সলতেঅলা বাতির মতো উস্কে দেয়। মুক্তিকামী মানুষের রক্তের মিম্বরে দাঁড়িয়ে; আসে বিজয়ের সুবর্ণ ক্ষণ। জন্ম হয় পাকিস্তানের। কিন্তু না, শাসকদের একচক্ষু নীতিতে আবারো উত্তাল হয় পূর্ব বাংলা। গোলাম মাসুমের পথ ধরেই যেনো ঘরে ঘরে তৈরি হয় দুর্গ। আসে ১৯৭১। মুক্তিপিপাসু মানুষের ৯ মাসের লড়াই, রক্তক্ষয় এবং মা বোনের সম্ভ্রমের সুতো ধরে জন্ম নেয় নতুন দেশ-বাংলাদেশ।
খ. সদ্য জন্ম নেয়া চকচকে নতুন রাষ্ট্র। বিক্ষিপ্ত স্বপ্ন, বিচিত্র ভাবনা। পশ্চিমের হাওয়া লাগে আমাদের সংস্কৃতিতে। যুদ্ধজয়ের অনুপ্রেরণার সাংস্কৃতিক মশাল সঙ্গীতেও আছড়ে পড়ে উত্তরাধুনিক চিন্তার ঢেউ। এ সময় বাংলা গানে মূলত ৪ ধরনের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এক. প্রচলিত গতানুগতিক ধারা, দুই. সৃজনশীল ধারা, তিন. পশ্চিমা ধারা এবং চার. নিরীক্ষাধর্মী ব্যতিক্রমী ধারা।
এক. প্রচলিত গতানুগতিক ধারা : প্রচলিত গতানুগতিক ধারার গান মূলত পঞ্চাশ ও ষাট দশক থেকে চলে আসা স্রােতেরই ছায়ারূপ। বাণিজ্যিক ঢংয়ের এসব আধুনিক গান দিয়ে খান আতাউর রহমান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, কেজি মুস্তফাসহ অনেকেই শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেন। আব্দুল জব্বার, বশির আহমেদ, ফারুক আহমেদ, সৈয়দ আব্দুল হাদীর কণ্ঠই প্রতিনিধিত্ব করে প্রচলিত গতানুগতিক ধারায়। উদাহরণ দিয়েই বলি, ১৯৭৮ সালে নির্মিত ‘সারেং বউ’ ছবির ব্যাপক জনপ্রিয় গান ‘ওরে নীল দরিয়া। গানটি একটি বিদেশী গানের সুর নকল করে তৈরি করা। কেউ কোনো দিন আমারে তো কথা দিলনা, বিনি সুতোর মালাখানি গাঁথা হইলো না অথবা চুমকি চলেছে একা পথে, সঙ্গে থাকলে দোষ কি তাতে, রাগ করোনা সুন্দরী গো, রাগলে তোমায় লাগে আরো ভালো... এসব গান সেই সময়ে বিপুল শ্রোতাপ্রিয়তা অর্জন করে বা সুপার ডুপার হিট হয়।
দুই. সৃজনশীল ধারা : ঠিক একই সময়ে কথা ও সুর প্রধান, ধ্রুপদী ঢং, দেশপ্রেম এবং লোকজ ফর্মের গানেরও জোয়ার তৈরি হয়। আবু হেনা মোস্তফা কামাল, নজরুল ইসলাম বাবু, ফজল-এ খোদা, আবু জাফর; এরকম আরো অনেকেই ফুল ফসলে সুশোভিত করেন বাংলা গানের সৃজনশীল ধারাটিকে। এ ধারায় আব্বাস উদ্দিন, আব্দুল আলিম, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর নাম স্বর্ণখচিত। আশির দশকে এ ধারারই প্রতিনিধিত্ব করেন লাখী আখন্দসহ অনেকে তরুণ। জীবনানন্দ হয়ে সংসারে আজো আমি/ তোমরা ভুলে গেছো মল্লিকাদির নাম, সে এখন ঘোমটা পরা কাজল বধূ দূরের কোন গাঁয়/ পথের মাঝে পথ হারালে আর কি পাওয়া যায় অথবা চলনা ঘুরে আসি অজানাতে, যেখানে নদী এসে বয়ে গেছে অথবা দুয়ারে আইসাছে পালকি/ নায়রি নাও তোলো রে তোলো মুখে/ আল্লাহ রসূল সবে বলো; এসব গান সৃজনশীল ধারার সার্থক প্রতিনিধি।
তিন. পশ্চিমা ধারা : মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আমাদের বাংলা গানে ঝড়ের বেগে আসে পাশ্চাত্যের হাওয়া। ইউরোপ-অ্যামেরিকার মডার্ন কালচারকে অনুসরণ করে গড়ে ওঠে অসংখ্য ব্যান্ড দল। সারাদেশ মাতিয়ে তোলেন আজম খান, পিলু মমতাজ, ফেরদৌস ওয়াহিদ। আসে অবস্কিউর, ডিফ্রেন্ট টাচ্ নামের ব্যান্ড। তৈরি হয় ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা/ ওরে ফুলবানু পারলিনা বাঁচাতে’সহ অসংখ্য গান।
চার. নিরীক্ষাধর্মী ব্যতিক্রমী ধারা : তিনটি ধারার তীব্র ডামাডোলের মধ্যেও গুটিকতক সঙ্গীতনির্মাতা নিরীক্ষাধর্মী ব্যতিক্রমী ধারা তৈরির চেষ্টা শুরু করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েরই কথা। ঢাকায় নকুল কুমার বিশ্বাস; সুনামগঞ্জে শাহ আব্দুল করিমসহ গুটিকতক সাধক সঙ্গীতে ভিন্নরকম চিন্তার আবহ তৈরির প্রচেষ্টা চালান। সঙ্গীত যে কেবলমাত্র বিনোদনের বায়োস্কোপ নয়; বরং দ্রোহ, বিশ্বাস, একত্ববাদ, আধ্যাত্মিকতা, মানবতাবোধ ও মূল্যবোধেরও হাতিয়ার; তা তাদের গানে ওঠে আসতে থাকে। বাগেরহাটের বারুইপাড়ার এক স্বপ্নবাজ তরুণ। ব্যাগভর্তি স্বপ্নকে সম্বল করে আসেন ঢাকায়। সাদামাটা অথচ মেধার দীপ্তি ছড়ানো তরুণের নাম মতিউর রহমান মল্লিক। শুরুতে বলেছিলাম শহীদ গোলাম মাসুমের কথা। ঠিক যেনো গোলাম মাসুমের চিন্তা, বিপ্লব আর স্বপ্নের দেশলাইয়ে আগুন জ্বালাবার এক নয়া ফিনিক্স পাখি। এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চিন্তাকে আবর্তন করে সঙ্গীতের একটি নিরীক্ষাধর্মী ধারা তৈরির উদ্যোগ নেন তিনি। গান নিয়ে এদেশের কওমি, দেওবন্দি, তাবলিগি, ওয়াহাবি ধারার আলেমদের নানা সমালোচনার বৃত্তের বাইরে গিয়ে মল্লিক সফলতার সঙ্গে শুরু করেন বাদ্যবিহীন ইসলামী গানের প্রচলন।
এ জনপদে ইসলামী গানের প্রচলন শুরু হয়েছে শত শত বছর আগেই। মধ্যযুগের কবি আলাওল বাংলা ভাষায় অসংখ্য ইসলামী গীতি কবিতা লিখে গেছেন। গানগুলোতে সেই সময়ের রাজদরবারের গায়করা কণ্ঠও দিয়েছেন। এরপর আব্দুল হাকিম থেকে শুরু করে কায়কোবাদ; অনেকেই ইসলামী গান লিখেছেন। কিন্তু মোটাদাগে, আমাদের চেতনার নিশানবাহী কবি, কাজী নজরুল ইসলাম-ই প্রথম বিপুল সার্থকতার সঙ্গে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ইসলামী গানের উদ্বোধন করেন। এ ধারাকে এগিয়ে নেন ফররুখ আহমদ, সিরাজুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফাসহ অনেকেই। এদের প্রায় সব গানই ক্যাসেটে, রেডিওতে গীত হয়েছে বাদ্যযন্ত্র সহযোগে। তবে গোলাম মোস্তফার লেখা ও গাওয়া ‘ইয়া নবী সালামু আলাইকা... ব্যাপকভাবে মাহফিল ও মিলাদে বাদ্যবিহীনভাবে গাওয়া হতো। কিন্তু এর মাধ্যমে তিনি বাদ্যবিহীন গানের কোনো ধারা তৈরি করতে পারেননি বা করেননি। এখানেই মতিউর রহমান মল্লিকের মৌলিকত্ব। মূল ধারার গণমাধ্যমের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই দ্রুত মতিউর রহমান মল্লিকের এ ব্যতিক্রমী চিন্তা ছড়িয়ে যেতে থাকে। এবং দেশীয় মূল সাংস্কৃতিক স্রােতের বাইরে গোপনে বা অন্তরালেই তৈরি হতে থাকে আলাদা ব্যতিক্রমী সঙ্গীত ধারার। এর জনপ্রিয়তার পেছনে দুটো কারণ লক্ষ্য করা যায়। বাদ্য ছাড়া ইসলামী গানের ধারায় গানের ব্যাকরণ না জেনেও কেবল সুরেলা কণ্ঠ থাকলেই গান পরিবেশন করার একটি সুযোগ তৈরি হওয়া। বাদ্য না থাকায় বেশির ভাগ আলেম এটাকে গ্রহণ করতে শুরু করা।
অন্যদিকে, বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘেঁটু গানও বাদ্যবিহীন পরিবেশন করার রীতি থাকলেও সেগুলো অশ্লীল ও আদিরসে পরিপূর্ণ। এসবে রাধা-কৃষ্ণের লীলা বর্ণনাই মুখ্য। যেমন: রাধে, দেহ ও মন খুইলা রাখছি আইসো তুমি রাতে/ তিন প্রহরে করবো লীলা সাঙ্গ প্রভাতে। সুতরাং মল্লিক, অন্য বাদ্যবিহীন গান থেকেও তার গানকে সুস্পষ্টভাবেই আলাদা করে তুললেন। এ ধারায় আকৃষ্ট হয়ে চতুর্দিকে তৈরি হতে থাকে শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার। চৌধুরী আব্দুল হালিম, আসাদ বিন হাফিজ, চৌধুরী গোলাম মাওলা, তাফাজ্জল হোসাইন খান, গোলাম মোহাম্মদ; মল্লিকের এ ধারার গর্বিত উত্তরসূরি।
মতিউর রহমান মল্লিক যখন ইসলামী সঙ্গীতের বাদ্যবিহীন প্রয়াস শুরু করেন, ঠিক একই সময়ে পশ্চিমবঙ্গেও আরেকজন শুরু করলেন বাদ্যবিহীন গানের ভিন্নধর্মী ঘরানা। তিনি প্রতুল মুখোপাধ্যায়। গানের মধ্য দিয়ে শ্রেণিহীন সমাজতান্ত্রিক সমাজের স্বপ্নই তিনি দেখালেন মানুষকে। ‘আমি বাংলার গান গাই’ খ্যাত প্রতুল কেন বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করেন না? সাংবাদিকের এরকম প্রশ্নের উল্টোপীঠে তাঁর জবাবটাও বেশ চমৎকার। “আমি গানের মধ্য দিয়ে তান বিস্তার করছি। গান গাওয়ার চেয়ে আমি গান বলাটাকেই প্রাধান্য দেই বলে আমার গানে কোনো বাদ্য নেই। আমি যেহেতু কমিউনিকেট করছি সেহেতু এ পদ্ধতি বেছে নিয়েছি। কমিউনিকেশনের সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে নিঃশব্দতার উপরে শব্দ বা সুর ফেলা, যেমন নিঃশব্দ শ্লেটের উপরেই কিন্তু শব্দ লেখা হয়।” সুতরাং বাম, ডান, মধ্যপন্থা; যাই বলি না কেন; বাদ্যবিহীন গান যে বাংলা ভাষায় একটা আলাদা ধারা তৈরি করেছে, তা অনস্বীকার্য।
গ. বাংলা সঙ্গীত ৭০, ৮০, ৯০-এই তিন দশকে সমান্তরাল প্রবণতায় চলে এলেও, ধাক্কা খায় একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে। অর্থাৎ শূন্য দশকে। একবিংশ শতাব্দীর শুরুটা যে সংস্কৃতির জন্য ক্রান্তিকাল, তা বলা যায় নিঃসন্দেহে। শুধু সাংস্কৃতিক অঙ্গন নয়, পুরো পৃথিবী জুড়েই একটা অস্থিরতার হাওয়া। পরিবর্তনের প্রসব বেদনা যেনো সবখানে। ৯/১১-এর পর বিশ্বে তীব্রভাবেই ছড়িয়ে পড়ে ইসলামফোবিয়া। এ ফোবিয়ায় আক্রান্ত হয় আমাদের দেশের সংস্কৃতিও। জঙ্গিবাদের ভ্রান্ত মতাদর্শ, এই ফোবিয়ার শেকড়ে পানি ঢালতে শুরু করে। ফলে গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সংস্কৃতির সবগুলো নিয়ামক সংস্থা-সংগঠনে ইসলামকে ‘জুজু’ হিসেবে উপস্থাপন এবং এ আদর্শের স্পর্শ পাওয়া যে কাউকেই পরিহারের প্রবণতা জোরালো হয়। সঙ্কট উপলব্ধি করে কতিপয় তরুণ বাংলা গানে মূল্যবোধকে ছড়িয়ে দিতে বিকল্প ভাবনা ভাবতে থাকেন। তারা বাদ্য ব্যবহারের সীমাবদ্ধতার দুয়ার ভেঙে অধিকতর জনস্রােতে আদর্শকে বিস্তার করতে বুদ্ধিমত্তার আশ্রয় নেন। মানবিক ও মূল্যবোধের একটি সাঙ্গীতিক ধারা তৈরির প্রচেষ্টা শুরু করেন। এ ধারা খুব পরিপুষ্ট না হলেও, ধীরে ধীরে এটি ইসলামফোবিয়ার বাইরে কর্মকৌশলের ভাবনায় উপলব্ধির দুয়ারে কড়া নাড়ছে। তা ছাড়া, শূন্য দশকের শুরুতে সংস্কৃতি নিয়ে মিসরের খ্যাতিমান ইসলামিক স্কলার ইউসুফ আল কারদাওয়ির দৃষ্টিভঙ্গি সারা পৃথিবীতেই সঙ্গীতে আলাদা গতিপ্রবাহ তৈরি করে, যার আঁচ বাংলা গানে ক্ষীণ হলেও আলোচনার দাবি রাখে।
ঘ. আগামীতে ইসলামফোবিয়া আরো তীব্র হবে। বাড়বে জঙ্গিবাদী অপতৎপরতা। যার সামগ্রিক প্রভাব আমাদের সংস্কৃতিতেও পড়বে। সেই আলোকেই নিরীক্ষাধর্মী মানবিক ধারার সংস্কৃতি-কর্মীরা, কয়েকটি বিষয়ে ভাবনার দরোজা খুলতে পারি। গণমাধ্যমকে গণশত্রু নয়; বরং গণবন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির উদ্যোগ কল্যাণধর্মী সংস্কৃতির বিপুল স্রােত তৈরি করতে সার্বজনীন বাস্তবমুখী ও বুদ্ধিদীপ্ত কর্মপন্থা তৈরি করা ক্ষীণ স্রােত নয়; সংস্কৃতির মূল স্রােতে থেকেই পরিশুদ্ধির কাজ করা মোটাদাগে মানবিক মূল্যবোধের গানের ধারা তৈরির প্রচেষ্টা চালানো বিতর্ককে সচেতনভাবে দূরে রেখে কর্মতৎপরতা বাড়ানো এবং শুদ্ধ চিন্তার বিপুল সংখ্যক শিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক তৈরি করা।
সোনা রঙের ফসলি জমিন তৈরির জন্য একজন কৃষককে কত কি যে করতে হয়! মাঠ সমান করা, লাঙল দেয়া, মই দেয়া, ধানের চারা রোপণ করা, নিড়ানি এবং কীটনাশক ছিটানো; কত কি! তাই না; তারপরেই তো সোনালি ফসলের প্রত্যাশা. তাহলে আসুন বাংলাদেশকে একটা অনাবাদি পতিত জমি মনে করে, তাকে আবাদি করে সবুজে পরিণত করতে আজ থেকে, হ্যাঁ এখন থেকেই নেমে যাই কাজে। কারণ আমরা তো শহীদ গোলাম মাসুমের রক্ত, চেতনা এবং ঐতিহ্যকে ধারণ করেই এগিয়ে চলছি। ভালো থাকুন সবাই।
লেখক : প্রধান বার্তা সম্পাদক, চেঞ্জ টিভি.প্রেস
আপনার মন্তব্য লিখুন