চারপাশ গুমোট অন্ধকার কোনো কিছুই যায় না দেখা অন্তরালে রয়ে যায় কত কিছু, কত বরাভয় হৃদয়ের ভেতর তরঙ্গ তোলে এক অজানা প্রলয়
কত কিছু ভেসে যায়, স্মৃতির বুদ্বুদ সব কিছুই অবলুপ্ত, কোনটা অদ্ভুত
মাথার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত দুরন্ত হাওয়া দুমড়ে মুচড়ে আছড়ে পড়ছে বৃক্ষলতা ঘরবাড়ি ফসলের ক্ষেত মানুষের আবাসস্থল
প্রলয়ের তাণ্ডবে আর কতদূর উড়ে যাবে মানুষ কিংবা হৃদয়ের ব্যাকুলতা থামে না আর সাগরের তোলপাড় তরঙ্গমালা উত্তাল তরঙ্গ মাড়িয়ে চলে যাচ্ছে প্রবল হাওয়া
এ যেন প্রলয় নয়, কেবলি ভাঙনের উল্লাস
কত যে ভেঙে গেল নদীর দু’পাড় কত যে উড়ে গেল ঘরের চাল কত যে উজাড় হলো গ্রাম থেকে গ্রামাঞ্চল না জানি আরো কত বাকি আছে প্রলয়ের উচ্ছ্বাস
আমি তো ভেবেছিলাম প্রলয় ও তরঙ্গ... যৌবন ও প্রলয় একই পথে হাঁটে পরস্পর হাত ধরাধরি করে অনন্তকাল
কোথায় সেই প্রলয় যৌবনের যে উপমা হতে পারে!
ভারী থেকে আরো ভারী হয় বুকের প্রশ্বাস কাছে ও দূরে কেবলই দেখা যায় প্রলয়ের পূর্বাভাস
প্রলয় তো কেবল ভেঙে যায় কিবা আর গড়তে পারে? যৌবনই শুধু পারে... প্রলয়ের কাছে সে কখনো না হারে।
আপনার মন্তব্য লিখুন