post

সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বৈরাচার সরকার পতনে এগিয়ে আসতে হবে

ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম বাংলাদেশ স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম সিপাহসালার, প্রথম শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী। তাঁর বাবা আমানত ছাফা ও মা বদরুননেছা। জন্ম চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলায়। বাড়িতে আছেন তাঁর স্ত্রী মমতাজ বেগম, তাদের দুই মেয়ে ও দুই ছেলে। ১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম ষোলশহরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে দায়িত্বরত থাকাকালে মুক্তিযুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে। ফলে ঐসময় তিনি মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশ নেন। চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার অন্যতম সাক্ষী তিনি। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। প্রতিরোধযুদ্ধ শেষে ভারতে পুনরায় সংগঠিত হওয়ার পর নিয়মিত মুক্তিবাহিনীর জেড ফোর্সের অধীনে যুদ্ধ করেন।

স্বাধীনতার পর অলি আহমদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্নেল পদে উন্নীত হন। স্বাধীনতাযুদ্ধে অসম সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার অলি আহমদকে বীরবিক্রম খেতাব প্রদান করে। মেজর জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করলে তিনি সেনাবাহিনী থেকে তার চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগদান করেন। তখনও তার আরো ৯ বছর চাকরির মেয়াদ ছিল। এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে যোগাযোগমন্ত্রী হন অলি আহমদ। যমুনা সেতুর কাজ তার সময়েই শুরু হয়। দীর্ঘকাল বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত থাকার পর ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি এ.কিউ.এম. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সাথে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) গঠন করেন। ২০০৮ সালে এ.কিউ.এম. বদরুদ্দোজা চৌধুরী আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন চৌদ্দ দলের সাথে একত্রে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে বিকল্পধারা দল গঠন করেন। ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন এবং নিজ দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) নিয়ে বিএনপি জোটেই থেকে যান। বর্তমানেও তিনি লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান আছেন।

ছাত্রসংবাদ : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

স্যার, কেমন আছেন?

কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম : ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ- আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

ছাত্রসংবাদ : আপনি রণাঙ্গনের লড়াকু সৈনিক, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপনার অবদান অনেক, স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছরের পথপরিক্রমায় আপনার চাওয়া পাওয়া কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে?

ড. কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম : ছাত্রসংবাদকে ধন্যবাদ। প্রথমে বলি বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ১৯৯৬-এর পর থেকে ক্রমাগতভাবে নিম্নমুখী। কারণ রাজনীতিবিদদের মধ্যে যে চরিত্র থাকার কথা, সততা থাকার কথা, নিষ্ঠা থাকার কথা, দেশপ্রেম থাকার কথা, শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার কথা, প্রশাসনিক যোগ্যতা থাকার কথা, সবচেয়ে বড়ো কথা হলো তাদের যে মনুষ্যত্ব থাকার কথা এই সমস্ত জিনিসগুলো অনুপস্থিত। যার কারণে সমগ্র সমাজকে দুর্নীতি গ্রাস করেছে। প্রশাসনে রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি প্রকাশ পেয়েছে। যার কারণে সাধারণ মানুষ অসহায় জীপনযাপন করছে। বিশেষ করে গত কয়েক মাস ধরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। এ সরকার আসার পর থেকে প্রায় ১৩ বছর যাবৎ আমরা সুশাসন থেকে বঞ্চিত। শুধু আমরা নয়; সমগ্র সমাজ বঞ্চিত এবং আমাদের যে ন্যায়বিচার পাওয়ার কথা সেই ন্যায়বিচার থেকে আমরা বঞ্চিত। আমাদের যে সামাজিক অধিকার, বেঁচে থাকার যে অধিকার; আমাদের যে বাকস্বাধীনতা, মানবিক অধিকার, সবকিছু থেকেই আমরা বঞ্চিত। এর পেছনে কারণটা হলো আমাদের রাজনীতিবিদদের। যে কথা আমি প্রথমে বলেছি, আমাদের রাজনীতিবিদরা চরিত্রহীন হয়ে পড়েছে, মনুষ্যত্বহীন হয়ে পড়েছে, এই কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না এবং সরকার পরিচালনায় জনগণের কোনো অংশগ্রহণ থাকছে না। এখন যদি আমার কাছে এর মূল্যায়ন জানতে চান, আমি কয়েকদিন আগেও বলেছি- আমার বাবার কাছে জিজ্ঞাসা করতাম ‘পরিস্থিতি কেমন লাগছে?; উনি তখন বলতেন, ব্রিটিশ আমলে ভালো ছিলাম, পাকিস্তান আমলে ভালো নেই। এখন যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন আমি ব্রিটিশ আমলও দেখেছি পাকিস্তান আমলও দেখেছি এবং যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি। এখন আমাদের ওপর যেভাবে অত্যাচার, অনাচার, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির প্রবেশ করেছে, মিথ্যাচার, মনুষ্যত্বহীন একটা জীবন-যাপন করছি আমরা। যেখানে আমরা সবাই বলছি আমরা মুসলমান, কিন্তু কুরআন এবং হাদিসে যা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে তার কোনোটা আমরা আমাদের জীবনের মধ্যে মানি না। যার কারণে সমাজ ভিন্নদিকে পরিবাহিত হচ্ছে। এটাকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে হবে, এবং নিয়ে আসার জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে। এবং যে সমস্ত জায়গায় দলীয়করণ করা হয়েছে, যে সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবার জনগণের প্রতিষ্ঠানের রূপ দিতে হবে। মানুষ যেন নিজের ভোট নিজে দিতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ যেন সুশাসন ও ন্যায়বিচার পায় তার যে সামাজিক অধিকার, মানবিক অধিকার এগুলো নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই এই স্বাধীনতার সুফল জনগণ ভোগ করতে পারবে। সবচেয়ে বড়ো কথা হলো আমার ভোট আমি দিবো এবং সরকারে আমার অংশগ্রহণ রাখতে হবে। 

ছাত্রসংবাদ : পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ধকল বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী কতটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে বলে মনে করেন? সম্প্রতি ‘নেত্র নিউজ অনলাইন পোর্টালে’ ‘আয়নাঘর’ নামে একটি অনুসন্ধানী তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গুম ও খুনের এই ঘটনাগুলোর দায় নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য উদ্বেগজনক মনে করছেন কিনা...?

কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম : যেকোনো হত্যাকাণ্ড দুর্ভাগ্যজনক। তবে যেভাবে পিলখানায় হত্যাকাণ্ড করেছে এটা কখনও গ্রহণযোগ্য না। আমি যদি তখন সামরিক বাহিনীতে থাকতাম তাহলে আমি ৫ মিনিটের মধ্যেই প্লেন পাঠাইতাম, হেলিকপ্টার পাঠাইতাম, তাদের ওপর গোলাগুলি করে আমাদের যারা অফিসার নিহত হয়েছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতাম। 

ছাত্রসংবাদ : বাংলাদেশের রাজনীতিতে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পরবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতার আগুন আরো তীব্র হয়েছে কিনা? রাজনীতির ময়দান নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম : আমি কিছুক্ষণ আগেই উত্তর দিয়েছি আপনাকে। ২০০৮ সালের পর থেকে দেশে কোনো রাজনীতি নেই। দুর্নীতি, স্বৈরাচার, দুঃশাসন, জনগণের ওপর নিপীড়ন, জায়গা দখল, চাঁদাবাজি, মাস্তানি, পুলিশের সাথে সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে বিরোধী দলকে গুলি করে মেরে ফেলা, হত্যা করা, গুম, রাহাজানি এগুলো ছাড়া বাংলাদেশে কোনো রাজনীতি নেই। এখন চলছে সম্পূর্ণ দুর্নীতির রাজনীতি। 

ছাত্রসংবাদ : দেশে নির্বাচনব্যবস্থা ও সরকার পরিবর্তন নিয়ে জনমনে অনেক প্রশ্ন। বাংলাদেশে কি আদৌ স্বাভাবিক ক্ষমতা বদলের সম্ভাবনা দেখছেন..?

কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম : ইনশাআল্লাহ নিশ্চয়ই হবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এটা নিশ্চয়তা দিয়েছেন কুরআনে যে তিনি ভালো মানুষদের পক্ষে থাকবেন আমরা যদি ভালো মানুষ হই আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই আজকে বাংলাদেশের ৩টা বড়ো রাজনৈতিক দল। একটা রাজনৈতিক দল দেশ শাসন করছে। সবচেয়ে বড়ো রাজনৈতিক দল এবং তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ক্ষমতার বাইরে আছে। সব থেকে বড়ো রাজনৈতিক দল বিএনপি। এবং তৃতীয় বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একদিকে জামায়াত আরেক দিকে বিএনপি যদি উভয় দিক থেকে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে পড়ে তাহলে তাদের পালানোর কোনো জায়গা থাকবে না। 

ছাত্রসংবাদ : বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মুদ্রা, বৈদেশিক ঋণ এবং সামগ্রিক অর্থনীতির দুরবস্থা নিয়ে আপনার মন্তব্য জানান।

কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম : আপনারা নিশ্চয়ই পত্র-পত্রিকায় দেখেছেন, ডিজিটাল চুরির মাধ্যমে গত কয়েক মাসে ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে। এবং এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রায় ৫ লক্ষ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এই পাচার হওয়ার টাকাগুলো সরকারের মদদ যদি না থাকে তাহলে কখনো পাচার হতো না। এ ছাড়াও স্টেট ব্যাংকের টাকা ডিজিটাল চুরির মাধ্যমে বাহির হয়ে গেছে। এই টাকার সাথে যদি সরকারের কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী বা কোনো মন্ত্রী বা মন্ত্রীর ছেলে জড়িত না থাকে তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। যেকোনো দুর্নীতি হোক এদের সাথে মন্ত্রী, এমপি বা সরকারের কোনো কর্মকর্তা জড়িত যদি না থাকে এই সমাজে দুর্নীতি হতে পারে না। আমিও তো ৪ বার মন্ত্রী ছিলাম। আমিও পরিচালনা করেছি। আমার সময়ও লোকজন অনেক দুর্নীতির চেষ্টা করেছিলো কিন্তু আমি তা করতে দেইনি। সবাইকে বলেছিলাম এটা করা যাবে না, এটা হারাম, এটা কুরআনে নিষিদ্ধ, হাদিসে নিষিদ্ধ- একটা মানুষের পক্ষে, একটা মুসলিমের পক্ষে এই ধরনের কর্মকাণ্ড করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সুতরাং যদি তোমাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব থাকে তাহলে তোমরা দুর্নীতির আশ্রয় নেবে না। তারা দুর্নীতির আশ্রয় নেয় নাই আমি তাদের ওপর খুব সন্তুষ্ট ছিলাম।

ছাত্রসংবাদ : বাংলাদেশের যেকোনো বিতর্কিত ইস্যু আড়াল করার জন্য বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিবাদী লোকজনকে জামায়াত-শিবির ট্যাগ দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেয়। সর্বসাধারণের প্রতি এই বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?

কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম : শুধু জামায়াত-শিবিরই তো না, বিএনপির কথাও বলেন। কয়েকদিন আগে তথা সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখে প্রেস ক্লাবে আমি মিটিং করেছিলাম। আমার পাশে বসা ছিলো জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর মাওলানা আব্দুল হালীম সাহেব। এখন আমার পিছনেও লেগেছে, বলে মুক্তিযোদ্ধা জামায়াতের লোককে নিয়ে বসে আছে। আমার কথা হলো তাদের গাত্রদাহ কেনো হয়? ১৯৯০ সালের জামায়াত কিংবা ১৯৯৫ সালের জামায়াত তো এখন নাই। যাদের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযোগ ছিল, তাদের নামে তো যুদ্ধাপরাধী মামলা হয়েছে তাদের কাউকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে, আবার কাউকে জেলে আটকে রেখেছে। তারা যে আসলেই যুদ্ধাপরাধী বা যুদ্ধাপরাধী নয় এই ব্যাপারে কথা বলার কোনো অধিকার আমার নেই। আর আমি আইনের লোক নই যে, আমি এইগুলো অনুসন্ধানের সাথে জড়িত ছিলাম। আমার মতে এই আওয়ামী লীগের সাথে ১৯৮৭ সালে এবং ১৯৮৬ সালে এরশাদ সরকারের অধীনে আওয়ামী লীগ জামায়াতকে সাথে নিয়ে বিএনপিকে বাইরে রেখে নির্বাচনে গিয়েছিল। এবং আমরা যুগপৎ আন্দোলন করেছিলাম। একদিকে জামায়াত আর আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের জোট, আরেকদিকে ছিলো বিএনপির ৭ দলীয় জোট। তখন কেন জামায়াতের গন্ধ ছিলো না আর এখন কেন গন্ধ হচ্ছে? মূলত এখন মাইরের ভয় পাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এজন্য বারবার জামায়াতের নামটা নিতে চেষ্টা করে। এছাড়াও ১৯৯৬ সালে জামায়াত যখন প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রস্তাব দিল তখন জামায়াত এবং আওয়ামী লীগ একসাথে মিলেই বিএনপির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিল। জামায়াত তখন আওয়ামী লীগের কাছে মধুর ছিলো। ১৯৮৬ সালে পরম আত্মীয় ছিলো ১৯৮৭ সালেও আত্মীয় ছিলো। এখন তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে বলে ব্যথা লাগে আর তাদের কথা ঘন ঘন মনে পড়ে।

ছাত্রসংবাদ : ছাত্রসমাজের প্রতি আপনার পরামর্শ কী?

কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম : ছাত্রসমাজের প্রতি পরামর্শ হলো আমি নিজেও ছাত্র ছিলাম। নিজেকে যদি তৈরি করতে হয় সমাজের জন্য মা-বাবার জন্য, পরিবারের জন্য তাহলে রাজনীতি থেকে বেশি লেখাপড়ার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। অবশ্যই কলেজের যে রাজনীতি আছে, ইউনিভার্সিটির রাজনীতি আছে যথাসম্ভব সেটার সাথে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। কারণ তাদের ওয়েলফেয়ার প্রশ্ন আছে, ভালো-মন্দ প্রশ্ন আছে। কলেজের বন্ধু বা ভার্সিটির বড়ো ভাইদের সাথে অবশ্যই সম্পৃক্ততা থাকতে হবে। এখান থেকে একটা ট্রেনিংও হয়। কিন্তু সরাসরি সরকারদলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত হয়েছে অধিকাংশ ছেলেরা চাঁদাবাজির মধ্যে সম্পৃক্ত হয়েছে। এই জিনিসটা থেকে ছাত্রদেরকে দূরে থাকতে হবে এবং এই ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির