post

সময় ব্যবস্থাপনা : সময়ের দাবি

০৩ এপ্রিল ২০১৫

মুহাম্মদ আবদুল বাছেত#

Carear2কিছুক্ষণের সমন্বয়ে গঠিত মানবজীবন। একেকটা সেকেন্ড নষ্ট করা মানেই জীবনের ঐ অংশটুকু হারিয়ে ফেলা। ছোটবেলা যখন বিদ্যালয় পালিয়ে বেড়াতাম, মায়ের বকুনি ও বেত্রাঘাত এতটা আঘাত হতো না বাবার উক্তিটি যতটা হৃদয়স্পর্শী হতো যে, ‘ঠিক আছে পড়াশোনা করা লাগবে না; ও বদলা দেবে, আর ওর যে শরীর কেউতো বদলাও নেবে না।’ বাবা সে সময় সমসাময়িক বেশ কয়েকজন সফল ও ব্যর্থ মানুষের নজির টানতেন। বলতেন, তাদের অবস্থান ছিল এরকম, এইভাবে সময়টাকে কাজে লাগিয়ে তারা এখন বর্তমান অবস্থায়। মাঝে মাঝে পড়াশুনায় অমনোযোগিতা ও সময় নষ্ট করা দেখে বলতেন, যে সময় চলে যায়, এই সময় আর পাবি না, এক সময় আফ্সোস করবি আর বসে বসে কাঁদবি, তখন কোনো কাজে আসবে না। বাবার কথা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি এখন, প্রায়শ্চিত্তও হচ্ছে পেছনে রেখে আসা অবহেলার সময়টুকুর। সম্প্রতি ভারতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের একাল সেকাল ‘হাবাগোবা সেই ছেলেটি এখন দিল্লির শিরোমনি’ ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ একটি দৈনিকের এই প্রতিবেদনে কেজরিওয়ালের ছোটবেলা থেকেই সময়ের প্রতি গুরুত্ব দেয়ার বিষয়টিই বেশ লক্ষণীয়। কেজরিওয়ালের বাবা ছিলেন একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। দরিদ্র পরিবারের মালিকানায় ছিল একটা স্কুটার। ছোটবেলার স্মৃতি খুব বেশি মনে নেই কেজরিওয়ালের, শনিপাত ও গাজিয়াবাদে ইংরেজি মাধ্যম মিশনারি স্কুলের পর হিসারের ক্যাম্পাস স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। তার সে সময়ের বন্ধুরা জানান, হাবাগোবা টাইপের ছেলে ছিল ও। ক্লাসের সামনের সারিতে চুপচাপ বসে থাকত। ঘন কালো চুলের ছেলেটিকে বেশ দুর্বল লাগত। ক্রিকেট, ফুটবলের পরিবর্তে বইপড়া ও দাবার ঘুঁটি খেলা পছন্দ করতো। ছোট বোন রঞ্জনা অষ্টম শ্রেণীর পরীক্ষার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে কেজরিওয়াল সারারাত জেগে বোনকে বই পড়ে মুখস্থ করিয়ে দিয়েছিলেন। শিশুবয়স থেকে ধর্মের প্রতি অনুরাগী ছিলেন কেজরিওয়াল। সময়ের মূল্যায়নশীল ব্যক্তিরাই সফলকাম হয়েছেন। যারা সময়কে যথাযথভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন এবং সময়ের আলোকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন। শুরুতেই পর্যালোচনার আওতায় নিয়ে আসা বিগত দিনগুলোর সময় কিভাবে অতিবাহিত হয়েছে। বাস্তবিক কাজ কতটুকু হয়েছে। আর ঘুম ও অবহেলায় কতটুকু সময় ব্যয় হয়েছে। এমন অনেক ঘুম্প্রেমিককে দেখেছি সকালের ঘুম এতটুকু সময় পর্যন্ত গড়িয়েছে, ঘুমক্লান্ত যুবক আক্ষেপ করে বলে এখন সকালের নাস্তা করবো না দুপুরের খাবার খাবো। ক্লান্ত-শ্রান্ত ঘুমবীর তড়িঘড়ি করে দিনের কর্ম পরিকল্পনা করে ও অন্যান্য কাজকর্মের খোঁজ নেয়া শুরু করে। অথচ যেখানে ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠেই কাজে মনোনিবেশের কথা ছিল। সে জন্য রাতেই পরের দিনের সময় বণ্টন করে নেয়াই সময়ের দাবি। নিজের কর্মস্থল ও দায়িত্বের জায়গাটা যেন সময়ের অজুহাতে ব্যাঘাত না হয়। জেনে রাখা দরকার, আপনি এখন যে স্থানে আছেন জীবনেও এটি আর ফিরে আসবে না, কর্মস্থল যতই ক্ষুদ্র বা সঙ্কীর্ণই হোক না কেন ব্যক্তির কারণেই এর মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। মনে করতে হবে, এটি হয়তো আমার জীবনের শেষ কর্মস্থল। এখান থেকেই আমাকে জয় করে নিতে হবে। প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত জীবনের যেমনি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা চাই, তেমনি দায়িত্ব ও কর্মস্থলের একটি স্বচ্ছ ও সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা থাকা দরকার। যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা আবার বার্ষিক, মাসিক, দৈনিক ও ঘণ্টাসহ বিভিন্ন মেয়াদে বিন্যাস করে নেয়াও সময়ের অপরিহার্য দাবি। যে কথাটুকু এখন আর শুধু বুলিতে সীমাবদ্ধ নয়, সফলকামী অনেকেই তার বাস্তবতাও দেখিয়েছেন। যেকোনো কাজের পরিকল্পনা গ্রহণ বাস্তবায়নের অর্ধেক, আবার পরিকল্পনার ক্রিয়দাংশ পালন হলেও বাকি অর্ধেক বাস্তবায়িত হয়। প্রতিক্ষণ ব্যয় হয় যেন ফলাফলভিত্তিক। যে কাজে যতটুকু সময় ব্যয় করবেন তার ফলটুকুও নিয়ে নিতে সচেষ্ট হবেন। নচেৎ ঐ সময় ব্যয় বৃথার নামান্তর হবে। অবহেলা অসচেতনতায় না কাটিয়ে প্রতিটি ক্ষণকেই শিক্ষাপোযুক্ত হিসেবে গ্রহণ করা যায়। স্বাভাবিকভাবে শিক্ষার্জনের মাধ্যম দু’টিÑ এক, বই পড়ে। দুই, ভ্রমণের মাধ্যমে। অনেকেই বই পড়া বা জ্ঞানার্জন করেন শুধুমাত্র চাকরি লাভের জন্য। যেটি নিছক সঙ্কীর্ণতার পরিচায়ক যা ব্যক্তিকে মহৎ না করে আরো সঙ্কীর্ণমনা করে তোলে। তবে ভ্রমণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান অধিক স্থায়ী ও কার্যকরী। আবার অনেক অবলা শিক্ষার্জনের এ সময়টুকুও কাটায় আহম্মকতায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় একই সাথে দুই যাত্রী ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণ করে এলেন। একজন আসা-যাওয়ার পথে ও কক্সবাজার এলাকার শিক্ষণীয় বিষয়গুলোর সুস্পষ্ট বিবৃতি দিলেন, কিন্তু অন্যজন কিছুই বলতে পারলেন না। তিনি আসা-যাওয়ার পথে ঘুমিয়েছেন বা শুধু ভ্রমণের জন্যই ভ্রমণ করেছেন। অথচ দু’জনের একই সময় অতিবাহিত হয়েছে। একজন ভ্রমণটিকে নিয়েছেন শিক্ষণীয় হিসেবে। অন্যজন নিয়েছেন গতানুগতিক সময় অতিক্রম হিসেবে। এভাবে জীবন চলার পথে কোনো সময় শিক্ষাও কাজে লাগানোর বাহিরে না হওয়া চাই। সময়ের প্রকৃত মূল্য অনুধাবনশীল ব্যক্তিদের জীবন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়- কোষ্ঠকাঠিন্যতায় ভোগা ব্যক্তিকে করেছে জগৎবিখ্যাত। শৌচাগারে অধিক সময় অতিক্রান্ত হওয়া সময়কে পত্রপত্রিকা পাঠ ও অন্যান্য কর্মের মধ্যে কাজে লাগানোর মধ্য দিয়ে। ইবনে বতুতা ইউরোপ, আফ্রিকা এবং এশিয়ায় ৭৫,০০০ মাইল পরিভ্রমণ করে হয়েছেন বিশ্বপর্যটক। দীর্ঘদিনের দীর্ঘপথের পরিভ্রমণে ক্ষুধা-তৃষ্ণা, প্রাকৃতিক বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ এবং ভয়ভীতি ইত্যাদি জানার আগ্রহ তাঁকে দমাতে পারেনি। যদিও তিনি কবি-সাহিত্যিক ছিলেন না, কিন্তু তার অনুসন্ধিৎসু ভ্রমণ শুধু কাহিনী নয় বরং শিক্ষণীয় হিসেবে জগদ্বাসী স্মরণ করে রেখেছেন। একটু চিন্তা করে দেখুন, আমাদের চলার পথের দীর্ঘ বা ক্ষুদ্র সময়ের ভ্রমণগুলো অন্যের জন্য না হোক, কতটুকু নিজের জন্য স্মরণীয় ও শিক্ষণীয় করে রাখতে পেরেছি। এমনতো আর নয় যে, ইবনে বতুতা আলাদা জগতের কোনো মানুষ ছিলেন বা স্বাভাবিকের চেয়ে দীর্ঘায়ু পেয়েছিলেন। বাল্যকাল থেকে মৃত্যু পর্যন্ত স্ব-স্ব স্থান থেকে প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও অন্যান্য দায়িত্বের স্থান থেকে শত ব্যস্ততার মাঝেও সবটুকু কাজকে সঠিকভাবে আঞ্জাম দিতে পেরেছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা দরকার। আসলে কাজ করার জন্য প্রয়োজন কাজ করার মানসিকতা। এক্ষেত্রে সময়ের অজুহাত ফাঁকিবাজদেরই কাজ। সময় ব্যবস্থাপকের চাই দৈনন্দিন কার্যকর রুটিন, যা তৈরির ক্ষেত্রে অতি আবেগি না হয়ে ধীরে ধীরে কাজের ভার বেশি গ্রহণের মানসিকতা তৈরি করা। সাময়িক লাভজনক কিন্তু ভবিষ্যৎ অকল্যাণকর এমন কর্ম সম্পাদন সময়ের দাবি নয়। অন্যের সফলতা ও মঙ্গল দেখে খুব বেশি হতাশ ও ঈর্ষান্বিত না হয়ে তাঁর দৈনন্দিন সমব্যয়ের কার্যতালিকা দেখা যেতে পারে, তাকে নিজের প্রতিপক্ষ না ভেবে তাঁর থেকে অর্জনীয় দিকগুলো গ্রহণ করা। হোক না তিনি সমবয়সী বা কম বয়সী কোনো লোক। হিংসাকে যত বেশি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, ততই মঙ্গলকর। হিংসা কোথাও বিজয়ী হলে সেখানে ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী। সমাজ উন্নয়ন বা কোনো মিশন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অতিবাহিত হওয়া সময়টুকু সবচেয়ে বড় নিঃস্বার্থ দান। অপেক্ষাকৃত স্বার্থহীন ব্যক্তিগণ স্বীয় সময় ব্যয়ের জন্য পৃথিবীবাসীর নিকট অধিক স্মরণীয়, বরণীয় ও ভাস্বর হয়ে থাকবেন। বস্তুত নিঃস্বার্থ জনকল্যাণে ব্যয় হওয়া সময়টুকু স্বীয় কল্যাণেও আসে। কারণ বৃহৎ লক্ষ্য ক্ষুদ্র লক্ষ্যের স্বাদটুকুও মিটিয়ে দেয়। বৃহৎ স্বার্থে সময় দিতে যারা বিভিন্ন কৌশলে নিজেদেরকে আড়াল করে রাখে অনেক সময় খালি ঝুড়িও তাদের ভাগ্যে মিলে না। যা নিতান্তই নিজের, সমাজ ও জাতির সাথে ধোঁকার নামান্তর। অনেকেই আবার সময়কে গালি দিতে খুব বেশি অভ্যস্ত, যা স্বয়ং ¯্রষ্টার সাথেও বাড়াবাড়ি। সময়ের দাবি অনুযায়ী সময় ব্যবস্থাপনার অভাবে অনেকেই স্বীয় কর্মের জন্য লজ্জিত ও লাঞ্ছিত হতে হয়, যা ভাগ্যকে দোষারোপ করা অজ্ঞতা বৈ কিছুই নয়। অনর্থক গল্প, গিবত চোগলখুরিসহ অন্যের সমালোচনায় যে সময়টুকু ব্যয় হয়, বার্ষিক সময়ের যোগফল থেকে তার বিয়োগফল বের করা দরকার। তাহলে হয়তো সময়ের সঠিক পরিমাপ ও গুরুত্ব বুঝতে কিছুটা হলেও সম্ভব হবে। ¯্রষ্টাপ্রদত্ত সময় বিন্যাসÑ “যে রাত্রিকে বিশ্রাম ও দিনকে কর্মের” এর যতটুকু ব্যতিক্রম যারা করেছে, বিজ্ঞান কর্তৃক ও প্রমাণিত তারা শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ভাবে নিজেরদের ততটুকু ক্ষতিই করেছে। সময় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ¯্রষ্টার নীতির দিকে লক্ষ্য রাখা কল্যাণকর। একটু পেছনের দিকে তাকালেই দেখা যায়, শিশুকালে বেড়ে ওঠার সময় থেকে এখন পর্যন্ত কতজনের অবদান ছিল আমার জীবন সংগ্রামের সহযোগী হয়ে। হয়তো সৌজন্য আচরণের পরিবর্তে দাম্ভিক পদাচারণা তাঁদের হৃদয়ে আঘাত হেনেছে বারবার। যে বান্দার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে জানে না, সে ¯্রষ্টার কৃতজ্ঞ বান্দাও হতে পারে না। সময়ের লাঞ্ছনা অপদস্থতা ছাড়া তার ভাগ্যে ভালো কিছু জোটে না। হোক তিনি বাহ্যত দৃষ্টিতে অনেক বড়। সময়ের ব্যবধানে অনেককে দেখা যায়, বাবা-মা, আপনাজনকে ছেড়ে আলাদা ভুবন তৈরি করতে, যা তার পরবর্তী প্রজন্মের জন্যও একটি বার্তা সময়ের উপযুক্ত জবাব দিতে। সে জন্য বাবা-মা, আত্মীয় ও পাড়া-প্রতিবেশীর সাথে কিছু সময় ব্যয়ের রুটিন থাকা দরকার। নিজের জীবনের বেড়ে ওঠার পেছনে আদর-¯েœহ, সহযোগিতা পাওয়া লোকগুলোর অবদানের জাবরকাটা, যা ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত বিনয়ী ও কৃতজ্ঞ করে তুলবে। পৃথিবীকে যারা বরণ করে নিতে পেরেছেন, তারা সময়ের কাজ সময়মতোই করেছেন, সাময়িক শক্তি দিয়ে এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ উচিত হবে না- যার বেগ পোহাতে হবে যুগ থেকে যুগান্তর। আবার সাময়িক কষ্ট পরবর্তী বৃহৎ ক্লান্তি থেকে পরিত্রাণেরও রয়েছে উৎকৃষ্ট উদাহরণ। সময়ের অভিজ্ঞতা একজন ব্যবস্থাপকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। সে জন্য চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে কর্মবয়সের অভিজ্ঞতা প্রাধান্য পায় বেশি। কথায় আছে কাহারো বয়স বাড়ে না বরং কমে, বাস্তবতাও তাই। দৈনিক সময় চব্বিশ ঘণ্টা শুনতে অনেক লম্বা মনে হলেও গভীর মনোনিবেশে ঘড়ির কাঁটার দিকে একটু তাকিয়ে দেখুন টিক্ টিক্ করে সময় কত দ্রুত পার হচ্ছে। তার মানে জীবন থেকে এ সময়গুলো পার হয়ে যাচ্ছে, যা সেকেন্ড থেকে মিনিট, ঘণ্টা, সপ্তাহ, মাস, যুগ ইত্যাদি নামে নামকরণ হয়ে থাকে। যে শিশুকে দেখলাম মায়ের কোলে কাতরায়, বছর খানিকের ব্যবধানে সে এখন হাঁটে, কিছুদিন আগে যাকে দেখলাম তরতাজা, দাম্ভিক-যুবক, এখন তার দাড়ি-চুলে পাকন ধরেছে। যার ভয়ে এক সময় পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র এমনকি বহির্বিশ্ব পর্যন্ত থরথরে কাঁপতো, সে এখন এবড়ো-থেবড়ো, অবলা শিশুর মতো কাঁথার নিছে ঝিমিয়ে কাতরাচ্ছে। সময়ের বাস্তবতা বুঝেছেন মহাবীর আলেকজান্ডার। তিনি বলেছেন মৃত্যুর পর দাফনের সময় আমার হাত দুটো উন্মুক্ত করে রাখবে। তাহলে মানুষ বুঝতে পারবে যে ধন দৌলতের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছি মৃত্যুর সময় তা না নিয়ে খালি হাতেই চলে যেতে হচ্ছে। “এক সেকেন্ডের নাইরে ভরসা” গানের শিল্পী গান পরিবেশনের মাঝে জগৎ সংসার ত্যাগ করে সময়ের প্রকৃতি আরো স্পষ্ট করে দিয়েছেন। যে ক্ষুদ্র জীবনের জন্য এত ব্যবস্থাপনা। তাহলে মৃত্যু-পরবর্তী অনন্ত জীবন সাজানোর জন্য আলাদা সময় পাবো কোত্থেকে। একজন প্রকৃত সময় ব্যবস্থাপক তার পার্থিব সময় ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়েই অনন্তজীবনেরই প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির