মনের মুকুরে স্বাধীনতার অদম্য স্পৃহা। প্রকৃতিতে অগ্নিঝরা মার্চের তাপদাহ। শাসন শোষণ অন্যায়ের মূলোৎপাটনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তারুণ্য। বুকে ঈমানের তাজাল্লী; ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদগ্র বাসনা। আমাদের সোনার বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচার, জালেমের নিপাত না হওয়া পর্যন্ত মরণজয়ী যুদ্ধ আজও চলমান। ১৯৭১-এর লক্ষ্য উদ্দেশ্য এখনও ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে স্বাধীনতার একক সুবিধাভোগী গোষ্ঠীটির মাধ্যমে। অন্যায়, দুর্নীতি, অনিয়ম, বন্দুকযুদ্ধ, গুম, খুনের করদরাজ্যখ্যাত প্রিয় বাংলাদেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চেয়েও বেশি শোষণ করছে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী। দেশের আইন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অপব্যবহার করে তারা মাতৃভূমিকে বানিয়েছে জাহান্নাম পল্লী। দেশ মাতৃকার এই দুর্দিনে বসে থাকার উপায় নেই দেশপ্রেমিক জনতার। জনতার অধিকার আদায়ে এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে একসাথে। এবারের স্বাধীনতা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হোক স্বৈরাচার নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তি পাক।
রমাদান মাস রহমের ফুল নিয়ে নাজাতের মূর্ছনা শুনিয়ে যায় প্রতিবার। অশান্ত হৃদয়ে আঁধারের মরীচিকা ধুয়ে মুছে দেয় আবে জমজমের শীতল বারিধারা। সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুক্তির পয়গাম হয়ে বদরের ময়দান মুসলিমদের হৃদয়ে জাগায় শিহরণ। তাকওয়ার পরিশুদ্ধতায় ঈমানী শক্তি বৃদ্ধি করতে সিয়ামুন নাহার ওয়া কিয়ামুল্লাইলের আয়োজন। মাগফিরাতের অবারিত সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না আমাদের। নিয়মিত তারাবীহ আদায়ে তৎপর হতে হবে সবাইকে। সাহরী, ইফতার, নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত হোক নিত্যদিনের অনুসঙ্গ। পিতা মাতার সেবা, প্রতিবেশী-আত্মীয় স্বজনের খোঁজ খবর, গরীব দুঃখীর প্রতি সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে ভুল করা যাবে না। রমাদান হোক আমাদের আত্মগঠন ও আত্ম সংশোধনের অনুপম সঙ্গী; নাজাতের উপঢৌকন।
ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহত মুসলমানদের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে মহান আল্লাহ জান্নাত নসীব করুন ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোকে ধৈর্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন। এটি মানবসৃষ্ট নাকি প্রাকৃতিক তা মহান আল্লাহই ভালো জানেন। তবে মুসলিম নিধনের অপচেষ্টা পৃথিবীর চলমান ষড়যন্ত্রের অংশ। ইহুদি, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধরা নিয়মিতই মুসলিম নিধনে ব্যস্ত। কিন্তু মুসলমানরা ঐক্য থেকে সরে গিয়ে অনৈক্যের বেড়াজালে সুন্নাত কিংবা মুস্তাহাব বিষয়ে নানা ফতুয়ায় দ্বিধাবিভক্ত। দ্বীন কায়েমের মিশন থেকে শুধু সরে গিয়েই ক্ষান্ত নয় অনেক মুসলমান দ্বীন কায়েমের ঘোর বিরোধিতায় লিপ্ত। অনেক মুসলমান তাদের প্রাত্যহিক জীবনে নামাজ রোজা ও তাসবিহ তাহলিলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকাকে পছন্দ করছেন। তারা পৃথিবীর নির্যাতিত মুসলমানদেরকে খোদার গজব বলে তাচ্ছিল্য করে যাচ্ছেন দেদারছে। অথচ ইসলামের শত্রু এবং মুনাফিকদের কাজকে না বুঝে অবলীলায় সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন তারা। আল্লাহ মুসলমানদের সঠিক সমঝ দান করুন; মুসলমানদের ঐক্যকে সুসংহত করুন।
সরকারের ছত্রছায়ায় লালিত পালিত সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের লুটেরা মানসিক প্রবণতায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য হু হু করে বাড়ছেই। রমাদানের বরকত নেওয়ার চিন্তা তো দূরের কথা ওরা রমাদান মাসকে কেন্দ্র করে আরো বেশি ফায়দা লুটতে ব্যস্ত। সাধারণ মানুষের একদিকে রোজগারের সীমাবদ্ধতা অন্যদিকে মূল্য বৃদ্ধির কারণে বিপর্যস্ত জীবন। এই দুর্বিষহ জীবন যাপন ও হতাশার চিত্র স্বৈরাচার জালেমের মনে কখনো রেখাপাত করে না। সরকারি অট্টালিকায় জান্নাতের সুখ আস্বাদন করে যারা রাতদিন কাটাচ্ছে তাদের তো সমস্যা নেই; তারা সাধারণ মানুষের কষ্ট নিয়ে তাচ্ছিল্য তো করবেই। এমতাবস্থায় আপনার আমার বিবেককে খাটাতে হবে। ঘুম ভেঙ্গে দাঁড়াতে হবে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে, আনতে হবে সুদিন।
আপনার মন্তব্য লিখুন